মানুষ কবিতার জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

মানুষ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

১। গােশত-রুটি নিয়ে কে মসজিদে তালা দিল?
উত্তর : গােশত-রুটি নিয়ে মােল্লা মসজিদে তালা দিল ।
প্রশ্ন ২। মসজিদে কে তালা দিল?
উত্তর : মসজিদে মােল্লা তালা দিল
প্রশ্ন ৩। আজারি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ‘আজারি’ শব্দের অর্থ বুগণ বা ব্যথিত ।
প্রশ্ন ৪। ‘মানুষ’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতাটি ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
প্রশ্ন ৫। সুলতান মাহমুদ কতবার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেছিলেন?
উত্তর : সুলতান মাহমুদ সতেরাে বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন।
প্রশ্ন ৬। মুসাফির কত বছর প্রভুকে ডাকেনি?
উত্তর : মুসাফির আশি বছর প্রভুকে ডাকেনি।
প্রশ্ন ৭। মানুষ’ কবিতায় পথিকের বস্ত্র কীরূপ ছিল?
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতায় পথিকের বস্তু ছিল জীর্ণ।
প্রশ্ন ৮। পথিক কী বলে পূজারিকে ডাক দিল?
উত্তর : পথিক ‘বাবা’ বলে পূজারিকে ডাক দিল।
প্রশ্ন ৯। ‘মানুষ’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর : মানুষ’ কবিতাটি লিখেছেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রশ্ন ১০। কালাপাহাড়ের প্রকৃত নাম কী?
উত্তর : কালাপাহাড়ের প্রকৃত নাম- রাজচন্দ্র বা রাজকৃষ্ণ বা রাজনারায়ণ ।
প্রশ্ন ১১। ফুকারি শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ফুকারি শব্দের অর্থ চিৎকার করে।
প্রশ্ন ১২। মােল্লা মুসাফিরকে কোথায় গিয়ে মরতে বলেছে?
উত্তর : মােল্লা মুসাফিরকে গাে-ভাগাড়ে গিয়ে মরতে বলেছে।
প্রশ্ন ১৩। কে মন্দিরের দরজা বন্ধ করেছিল?
উত্তর : পূজারি মন্দিরের দরজা বন্ধ করেছিল।
প্রশ্ন ১৪। ‘মানুষ’ কবিতায় যে দেবতার বরে রাজা হয়ে যাবে এটা কে ভেবেছিল?
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতায় মন্দিরের পূজারি ভেবেছিল যে, দেবতার বরে সে রাজা হয়ে যাবে।
প্রশ্ন ১৫। কাজী নজরুল ইসলাম কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ১৬। কাজী নজরুল কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : কাজী নজরুল বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ১৭। দরিরামপুর হাই স্কুল কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : দরিরামপুর হাই স্কুল ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানায় অবস্থিত।
প্রশ্ন ১৮। কত সালে প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয়?
উত্তর : ১৯১৪ সালে প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয়।
প্রশ্ন ১৯। কত বছর বয়সে কাজী নজরুল দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন?
উত্তরঃ চল্লিশ বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম দুরারােগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন।
প্রশ্ন ২০। কত সালে কাজী নজরুলকে বাংলাদেশে আনা হয়?
উত্তর : ১৯৭২ সালে কাজী নজরুলকে বাংলাদেশে আনা হয়।
প্রশ্ন ২১। কবি কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৭৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন ২২। বাংলা কোন মাসের কত তারিখে নজরুল মারা যান?
উত্তর : বাংলা ভাদ্র মাসের ১২ তারিখে কাজী নজরুল ইসলাম মারা যান।
প্রশ্ন ২৩। কবির মতে কিসের চেয়ে বড় কিছু নাই?
উত্তর : কবির মতে মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই ।
প্রশ্ন ২৪। ‘মানুষ’ কবিতায় কাকে দুয়ার খােলার জন্য বলা হয়েছে?
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতায় পূজারিকে দুয়ার খােলার জন্য বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ২৫। ‘মানুষ’ কবিতানুযায়ী মসজিদে কাল কী ছিল?
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতানুযায়ী মসজিদে কাল শিরনি ছিল ।
প্রশ্ন ২৬। মানুষ’ কবিতানুযায়ী মসজিদে কাল কী বেঁচে গেছে?
উত্তর : অঢেল গােশত-রুটি বেঁচে গেছে।
প্রশ্ন ২৭। কার গায়ে আজারির চিন ছিল?
উত্তর : মুসাফিরের গায়ে আজারির চিন ছিল।
প্রশ্ন ২৮। মুসাফিরের কথা শুনে মােল্লা কী করে?
উত্তর : মুসাফিরের কথা শুনে মােল্লা তেরিয়া ওঠে।
প্রশ্ন ২৯। গােশত-রুটি নিয়ে মােল্লা কী করল?
উত্তর : গােশত-রুটি নিয়ে মােল্লা মসজিদে তালা দিল ।
প্রশ্ন ৩০। কালাপাহাড় অনেক কী ধ্বংস করেছেন?
উত্তর :কালাপাহাড় অনেক দেবালয় ধ্বংস করেছেন।
প্রশ্ন ৩১। গাে-ভাগাড় মানে কী?
উত্তর : গাে-ভাগাড় মানে হচ্ছে মৃত গরু ফেলার নির্দিষ্ট স্থান।

মানুষ কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। কবি কালাপাহাড়কে কিসের আহ্বান জানিয়েছেন? কেন?
উত্তর : মসজিদ-মন্দিরে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মােল্লাপুরুতদের আধিপত্য ধ্বংস করে সেখানে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্য কবি কালাপাহাড়কে আহ্বান জানিয়েছেন।
পৃথিবীর সব মানুষ সমান। দেশ, কাল, পত্রভেদে কিংবা জাত-ধর্ম দিয়ে মানুষের পার্থক্য করা উচিত নয়। কারণ তা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। ‘মানুষ’ কবিতায় কবি সাম্য ভাব ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে তুলে ধরেছেন। যারা ধর্মের নামে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে স্বার্থ হাসিল করে তাদের নিশ্চিহ্ন করতে কবি বীর যােদ্ধাদের বিপ্লবী চেতনাকে স্মরণ করেছেন। তিনি পবিত্র উপাসনালয়ের বন্ধ দরজা খুলে দেওয়ার জন্য ‘কালাপাহাড়’ নামক বীরকে আহ্বান করেছেন। কালাপাহাড়ের প্রকৃত নাম রাজচন্দ্র বা রাজকৃষ্ণ বা রাজনারায়ণ। কারও কারও মতে তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বহু দেবালয় ধ্বংস করেছেন তিনি। এখানে মূলত মােল্লা-পুরুতের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চেতনাকে স্মরণ করা হয়েছে।
প্রশ্ন ২। কবি কেন চেঙ্গিস, গজনি মামুদ ও কালাপাহাড়কে আহ্বান জানিয়েছেন?
উত্তর : উপাসনালয়ের ভণ্ড দুয়ারীদের ধ্বংস করার জন্য কবি চেঙ্গিস, গজনি মামুদ ও কালাপাহাড়কে আহ্বান জানিয়েছেন।
পৃথিবীতে প্রচলিত সব ধর্মেই মানবতার কথা বলা হয়েছে। ধর্ম প্রচারকরা মানুষকে মানবতার শিক্ষা দিয়েছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ভণ্ড প্রতারক ধর্মকে ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করে। সবার জন্য উপাসনালয়ের দরজা উন্মুক্ত করতে চায় না। কবি তাই চেঙ্গিস, গজনি মামুদ ও কালাপাহাড়কে এসব ভণ্ড, ধর্মের ধ্বজাধারীদের ধ্বংস করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রশ্ন ৩। ‘ভ্যালা হলাে দেখি লেঠা’- কেন?
উত্তর : ভ্যালা হলাে দেখি লেঠা উক্তিটি মানুষ’ কবিতায় মােল্লা সাহেব বিরক্ত হয়ে ক্ষুধার্ত ভিখারিকে করেছিলেন।
মসজিদের শিরনি উপলক্ষে অঢেল গােশত-রুটির আয়ােজন করা হয় এবং তার থেকে অনেকটা বেঁচে যায়। যার জন্য মােল্লা সাহেবের খুশির শেষ নেই। এমন সময় এক ক্ষুধার্ত ভিখারি তার কাছে খাবার প্রার্থনা করে। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মােল্লা তাকে ধর্মের অজুহাতে খাবার না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। তাড়ানাের আগে মােল্লা ভিখারিকে বিরক্ত হয়ে প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন।
প্রশ্ন ৪। সব দ্বার এর খােলা রবে, চালা হাতুরি শাবল চালা- এই কথাটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘সব দ্বার এর খােলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা’- এই কথাটি দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন যে সৃষ্টিকর্তার উপাসনালয়ে প্রবেশের অধিকার সবার সমান।
সৃষ্টিকর্তা কোনাে বিশেষ শ্রেণির মানুষের নন, তিনি সবার। তাই তার উপাসনালয়ে প্রবেশের অধিকার সকলেরই থাকা উচিত। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যক্তি উপাসনালয়ে প্রবেশের অধিকার সীমিত করে দিতে দৃঢ়হস্ত । কবি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন যে, উপাসনালয়ের রুদ্ধ দ্বার ভেঙে ফেলে এ দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত করতে।
প্রশ্ন ৫। খােদর ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?- এ লাইনটি দ্বারা কী বোঝানাে হয়েছে?
উত্তর : খােদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা– লাইনটি দ্বারা খােদার ঘরের উন্মুক্ত অবস্থা কামনা করাকে বােঝানাে হয়েছে।
খােদার ঘর সব মানুষের জন্য। সব মানুষই খােদার ঘরে সমান অধিকার রাখে। কারণ খােদা সব মানুষকে সমান ঘােষণা করেছেন। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ খােদার ঘরের সেবক সেজে স্বার্থ হাসিলের চিন্তা করে, যা ধর্মসম্মত নয়। তাদের অধিকারও নেই তা করার। প্রশ্নোক্ত বাক্যে কবি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছেন।
প্রশ্ন ৬। ‘মানুষ’ কবিতায় কবি গজনির মাহমুদকে আহ্বান করেছেন কেন?
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতায় কবি গজনির মাহমুদকে স্রষ্টার ঘরে তালাদানকারী ভণ্ড মােল্লা-পুরুতদের ধ্বংস করার জন্য আহ্বান করেছেন।
গজনির সুলতান মাহমুদ পর পর সতেরােবার ভারতবর্ষ আক্রমণ করে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালান। তাই যে মসজিদ-মন্দির মানুষের কল্যাণে নির্মিত, সেই মসজিদ-মন্দিরের মােল্লা-পুরুতরা মানুষকে উপেক্ষা করে, নিরন্নকে অন্ন দান না করে মসজিদ-মন্দিরের দরজায় তালা দিয়েছে। অবৈধ সে তালা ভাঙার জন্য গজনির মাহমুদের খোঁজ করা হয়েছে। স্রষ্টার ঘরে মােল্লা-পুরুত যে তালা লাগিয়েছে সেই তালা ভেঙে স্রষ্টার ঘরকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে কবি সর্বসংহারক গজনির মাহমুদকে আহ্বান করেছেন।
প্রশ্ন ৭। ‘নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি’- পঙক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্ম জাতি দ্বারা দেশ।
কারও কাল-পাত্র এবং ধর্ম জাতির কারণে মানুষের প্রকৃত পরিচয় যে পাল্টে যায় না সেই বিষয়টি বােঝানাে হয়েছে। মানুষের প্রকৃত পরিচয় হলাে সে মানুষ। দেশ-কাল-পাত্র এবং ধর্ম জাতি কোনােকিছুই তার এ পরিচয় মুছে দিতে পারে না। জাতি ধর্ম, বর্ণ গােত্রের কৃত্রিম ভেদ দ্বারা মানুষের মাঝে বিভেদের দেয়াল তৈরি করা উচিত নয়। কারণ তার মানবসত্তা সর্বদাই অক্ষুন্ন থাকে। এ বিষয়টি বােঝাতে কবি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
প্রশ্ন ৮। “ভুখা আছ, মর গাে-ভাগাড়ে গিয়ে! নমাজ পড়িস বেটা?”- মােল্লার করা এ উক্তিটির অন্তর্নিহিত কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রশ্নোক্ত লাইনটির মাধ্যমে মােল্লার ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ভণ্ডামির চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে।
‘মানুষ’ কবিতায় ক্ষুধার্ত মুসাফির মােল্লার কাছে নিজের অসহায় অবস্থা বর্ণনা করে খাবার প্রার্থনা করলে মােল্লা তাকে জিজ্ঞেস করে নমাজ পড়িস বেটা!’ মােল্লার এই উক্তিটিতে তার অমানবিকতা, ঐ ধর্মীয় আচারসর্বস্বতা ও ধর্মের মর্মবাণী থেকে বহুদূর চলে আসার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন ৯। কালাপাহাড়ের পরিচয় সম্পর্কে যা জান লেখ।
উত্তর : ‘মানুষ’ কবিতায় অন্যায় প্রতিহত ও ধ্বংস করার জন্য কালাপাহাড়কে স্মরণ করা হয়েছে।
কালাপাহাড়ের প্রকৃত নাম রাজচন্দ্র বা রাজকৃষ্ণ কিংবা রাজনারায়ণ । কালাপাহাড় সম্পর্কে তেমন বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে কারও কারও মতে তিনি ব্রাহ্মণ ছিলেন এবং পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। আর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি অনেক দেবালয় ধ্বংস করেন। কালাপাহাড় নামধারী এই বিখ্যাত ব্যক্তিকে মানুষ’ কবিতায় যারা পবিত্র উপাসনালয় নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে তাদের ধ্বংস করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৮। গজনি মামুদ কে? তার খোজ কেন করা হয়েছে?
উত্তর : গজনির সুলতান মাহমুদই হচ্ছে গজনি মামুদ।
গজনির সুলতান মাহমুদ পরপর সতেরােবার ভারতবর্ষ আক্রমণ করে মারাত্মক ধ্বংসলীলা চালান। তাই যে মসজিদ-মন্দির মানুষের কল্যাণে নির্মিত, সেই মসজিদ-মন্দিরে মােল্লা-পুরুতরা মানুষকে উপেক্ষা করে, নিরন্নকে অন্ন দান না করে মসজিদ-মন্দিরের দরজায় তালা দিয়েছে। অবৈধ সে তালা ভাঙার জন্য গজনি মাহমুদের খোজ করা হয়েছে। স্রষ্টার ঘরে মােল্লা-পুরুত যে তালা লাগিয়েছে সেই তালা ভেঙে সষ্টার ঘরকে সবার জন্য খুলে দিতেই সর্বসংহারক গজনির মাহমুদকে আহ্বান জানানাে হয়েছে।

Leave a Comment