পড়ে পাওয়া গল্পের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-০১। আকাশে কালাে মেঘের রাশি উড়ে আসতে লাগল কোন দিক থেকে?
উত্তরঃ আকাশে কালাে মেঘের রাশি পশ্চিম দিক থেকে উড়ে আসতে লাগল।
প্রশ্ন-০২। বালকদের মধ্যে কার হাতের লেখা ভালাে ছিল ?
উওরঃ বালকদের মধ্যে বাদলের হাতের লেখা ভালাে ছিল।
প্রশ্ন-০৩। কাপালির হারানাে বাক্সের ভেতর নগদ কত টাকা ছিল?
উক্তরঃ কাপালির হারানাে বান্তের ভেতর নগদ পঞ্চাশ টাকা ছিল।
প্রশ্ন-০৪। পড়ে পাওয়া’কী ধরনের রচনা ?
উওরঃ পড়ে যাওয়া একটি কিশাের গল্প ।
প্রণা-০৫। ‘পত্রপাঠ বিদায়’ কথাটির অর্থ কী ?
উত্তরঃ ‘পত্রপাঠ বিদায়’ কথাটির অর্থ তৎক্ষণাৎ বিদায়।
প্রশ্ন-০৬। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের লেখক কে ?
উত্তরঃ ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন-০৭। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন ?
উওরঃ ১৮৯৪ সালে।
প্রশ্ন-০৮। ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পটি কোথা হতে সংকলিত হয়েছে ?
উওরঃ ‘পড়ে পাওয়া’ গল্পটি লগঞ্জের ফালমান সাহেব’ খাড় থেকে সংকলিত।
প্রশ্ন-০৯। লেখক ও তার বন্ধুরা কেথায় গুপ্ত মিটিং করেছিল ?
উত্তরঃ লেখক ও তার বন্ধুরা বাদলদের ভাঙা মন্দিরের কোণে গুপ্ত মিটিং করেছিল।
প্রশ্ন-১০। বিধু, সিধু, নিধু, তিনু আর বাদল-এদের মধ্যে বয়সে বড় কে ?
উত্তরঃ বিধু, বিধু, নিধু, তিনু আর বাদল-এদের মধ্যে বড় হলাে বিধু।
প্রশ্ন-১১। টিনের বাক্সের সাথে কে হোঁচট খেল?
উত্তরঃ টিনের বাক্সের সাথে বাদল হোঁচট খেল ।
প্রশ্ন-১২। কোথায় ভূত আছে বলে সবাই জানে ?
উত্তরঃ তেঁতুলগাছে ভূত আছে বলে সবাই জানে।
প্রশ্ন-১৩। বাক্সের মালিকের সন্ধান বের করতে কাগজে বিজ্ঞাপন লেখার বুদ্ধি কে দিয়েছিল ?
উত্তরঃ বাক্সের মালিকের সন্ধান বের করতে কাগজে বিজ্ঞাপন লেখার বুদ্ধি দিয়েছিল বিধু।
প্রশ্ন-১৪। কালবােশেখীর ঝড় উঠলে কোথায় ভিড় জমে ওঠে ?
উত্তরঃ কালবােশাখীর ঝড় উঠলে বাড়য্যেদের চাপাতলীর আমগাছের নিচে ভিড় জমে ওঠে।
প্রশ্ন – ১৫। কালবােশাখীর ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল কে ?
উত্তরঃ ‘বিধু’ কালবােশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিল ।
প্রশ্ন – ১৬। বাক্সের উপযুক্ত মালিককে কোথায় যােগাযােগ করতে বলা হয়েছিল ?
উত্তরঃ বক্সের উপযুক্ত মালিককে ‘রায় বাড়িতে যােগযােগ করতে বলা হয়েছিল ।
পড়ে পাওয়া গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-০১। অম্বরপুর চরের কাপালিরা সর্বস্বান্ত হয়ে গেলেন কেন ?
উত্তরঃ বন্যার কারণে অম্বরপুর চরের কাপালিরা সর্বান্ত হয়ে গেলেন ।
বন্যার কারণে নদীতে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হয়। সেই প্রােতের টানে ভেসে যায় অম্বরপুর চরের কাপালিদের ঘর-বাড়ি, সবজির খেত ও গরু। বন্যায় ঘরবাড়ি ও খেতের সবজি নষ্ট হওয়ায় তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। কারণ ওই ভিটে আর সবজি খেতই তাদের সম্বল ছিল । তরকারি বেচেই তারা দু’পয়সা আয় করতেন।
প্রশ্ন-০২। “যাও, যাও,যা পার করাে গিয়ে। বাক্স আমরা কুড়িয়ে পাইনি। যাও”-বিধু একথা কেন বলেছিল ?
বাক্সের প্রকৃত মালিক না হয়েও একজন লােক বিধুর কাছে আসে ও তাকে শাসিয়ে যায়। তার জবাব দিতেই বিধু প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিল।
মানুষ লােভের বশবর্তী হয়ে মিথ্যাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতেও কুণ্ঠিত হয় না। পড়ে পাওয়া’ গল্পের কিশােররা একটি টিনের বাক্স কুড়িয়ে পেলে তা প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয়। এই বিজ্ঞপ্তি পেয়ে বিভিন্ন ধরনের লােক আসে বিধুর কাছে। একজন লােক এসে টিনের বাক্সের দাবি করলেও বর্ণনা না মেলার কারণে বিধু তাক প্ৰত্রপাঠ বিদায় করে দেয়। যাওয়ার সময় সে বিধুকে শাসায়। বিধু তাচ্ছিল্যের সুরে তখন বলে, “যাও , যাও, যা পার করাে গিয়ে। বাক্স আমরা কুড়িয়ে পাইনি। যাও।”
প্রশ্ন-০৩। “ওর মতাে কত লােক আসবে”-কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ পড়ে যাওয়া বাক্সের লােভে পড়ে অনেক লােকই যে বিধুর কাছে আসবে সেটি বােঝাতেই বলা হয়েছে যে, “ওর মতাে কত লােক আসবে।
কুড়িয়ে পাওয়া বাক্সের প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করার জন্য কিশােররা তিনটি কাগজে এ সম্পর্কিত তথ্য লিখে রাস্তায় ভিন্ন ভিন্ন গাছে লাগিয়ে দেয়। এরপর তাদের কাছে বেশ কয়েকজন লোক আসে। কিন্তু কারও কথারই কোনাে মিল তারা খুঁজে পায় না বাক্স সম্পর্কিত তথ্যের সাথে । মূলত লােভে পড়েই তারা এসেছে এবং মিথ্যে কথা বলেছে। তাই এ সম্পর্কে বিধু আলােচ্য কথাটি বলেছে।
প্রশ্ন-০৪। এখন জলে নামব না’- কথাটির প্রাসঙ্গিকতা বর্ণনা কর।
উত্তরঃ কালবৈশাখী ঝড় উঠবে তাই লেখক ও তার বন্ধুরা জলে নামবে না ।
কালবৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানাে গ্রামে উৎসবের মতাে। পড়ে পাওয়া’ গল্পে কয়েকজন কিশাের মিলে নদীতে স্নান করতে গেছে। সেখানে গিয়ে বুঝতে পেরেছে ঝড় উঠবে। ঝড় উঠলে আম কুড়াতে হবে। তাই তারা আর জলে নামবে না।
প্রশ্ন-০৫। দুজনেই হঠাৎ ধার্মিক হয়ে উঠলাম’-বলতে লেখক কী বােঝাতে চেয়েছেন ?
উত্তরঃ ‘দুজনেই হঠাৎ ধার্মিক হয়ে উঠলাম’-কথাটি দ্বারা কিশােরদের সৎ ও নির্লোভ মানসিকতা বােঝানাে হয়েছে।
‘পড়ে পাওয়া’ গল্পের বাদল ও গল্প কথক একটি টিনের বা কুড়িয়ে পায়। বাটার মধ্যে দামি কিছু আছে বলে তাদের ধারণা। তাই তারা ঐ বাক্সটি ভাঙতে চায় । কিন্তু হঠাৎ তাদের মনে আসে-‘না, বাক্সটি ভাঙা ঠিক হবে না। কারণ এ বাক্সের মালিক তাে তারা নয়। যে লােকের বাক্সটি সে হয়তাে কােন চিন্তায় রাতে ঘুমাতে পারবে না।’ এ কথা মনে আসার সঙ্গে সঙ্গে উভয়ে কেমন ধার্মিক হয়ে উঠল এবং বান্ধটি প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার উপায় খুঁজতে লাগল।
প্রশ্ন-০৬। “ঠাকুরমশাই, আপনারা মানুষ না দেবতা?’ কাপালি এ কথা কেন বলেছে?
উত্তরঃ বিধুর সততার কারণে কাপালি তার ‘হারানাে ডবল টিনের ক্যাশ বাবা অক্ষত অবস্থায় ফেরত পেয়ে বিধুদের সম্পর্কে এ মন্তব্য করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাদের সত্যতায় কাপালি মুগ্ধ হয় ।
প্রশ্ন-০৭। বিধু লােকটির কাছে রশিপ ঢাইল কেন ?
উত্তরঃ বিধুর লােকটির কাছে রসিদ চাওয়ার কারণ হলো স্বীকারােক্তি সংরক্ষণ করা। বিশেষ কিছু হস্তান্তরে ক্ষেত্রে প্রমাণপত্র সংগ্রহ করা বুদ্ধিমানের কাজ।