পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন       

প্রশ্ন-১। আমরা কেন কাজ করতে পারি না?

উত্তর: সদা ভয় ও লাজে আমরা কাজ করতে পারি না।

প্রশ্ন-২। কী কারণে সংকল্প টলে?

উত্তর: সংশয়ের কারণে সংকল্প টলে।

প্রশ্ন-৩। কীসে সংকল্প সদা টলে?

উত্তর: সংশয়ে সংকল্প সদা টলে।

প্রশ্ন-৪। আমরা কী কারণে আড়ালে আড়ালে থাকি?

উত্তর: আমরা সমালােচনার ভয়ে আড়ালে আড়ালে থাকি।

প্রশ্ন-৫। পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সম্মুখে কী চলে না?

উত্তর: ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সম্মুখে পা চলে না।

প্রশ্ন-৬। হৃদয়ে বুদবুদের মতাে কী উঠে?

উত্তর: হৃদয়ে বুদবুদের মতাে শুভ্র চিন্তা উঠে।

প্রশ্ন-৭। আমাদের হৃদয়ে বুদবুদের মতাে কী উঠে আসে?

উত্তর: আমাদের হৃদয়ে বুদবুদের মতাে শুদ্র চিন্তা উঠে আসে।

প্রশ্ন-৮। শুদ্র চিন্তা কোথায় মিশে যায়?

উত্তর: শুভ্র চিন্তা হৃদয়ের তলে মিশে যায়।

প্রশ্ন-৯। আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখে কখন?

উত্তর: যখন প্রাণ কাঁদে তখন আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখে।

প্রশ্ন-১০। “একটি স্নেহের কথা” -এর পরের চরণটি লেখাে।

উত্তর: “একটি স্নেহের কথা” -এর পরের চরণ “প্রশমিতে পারে ব্যথা।”



প্রশ্ন-১১। একটি স্নেহের কথা কী করতে পারে?

উত্তর: একটি স্নেহের কথা ব্যথা প্রশমিত করতে পারে।

প্রশ্ন-১২। কীসে কবির ব্যথা প্রশমিত হয়?

উত্তর: একটি স্নেহের কথায় কবির ব্যথা প্রশমিত হয়।

প্রশ্ন-১৩। অন্যের ব্যথা উপশমের বিষয় এলে আমরা কী করি?

উত্তর: অন্যের ব্যথা উপশমের বিষয় এলে আমরা উপেক্ষা করে চলে যাই।

প্রশ্ন-১৪। মহৎকাজ করতে হলে কী উপেক্ষা করতে হবে?

উত্তর: মহকাজ করতে হলে ভয়ভীতি, সংকোচ ও অন্যের সমালােচনা উপেক্ষা করতে হবে।

প্রশ্ন-১৫। পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সবাই একসঙ্গে মিলে কেন?

উত্তর: ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সবাই একসঙ্গে মিলে মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য।

প্রশ্ন-১৬। ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সবাই একসঙ্গে মিলে কেন?

উত্তর: ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় সবাই একসঙ্গে মিলে মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য।

প্রশ্ন-১৭। শক্তি কীসের কবলে মরে?

উত্তর: শক্তি ভীতির কবলে মরে।

প্রশ্ন-১৮। ভীতির কবলে কী মরে?

উত্তর: ভীতির কবলে শক্তি মরে।

প্রশ্ন-১৯। বিধাতা প্রদত্ত প্রাণ নিয়েও আমরা সর্বদা কেমন হয়ে থাকি?

উত্তরঃ বিধাতা প্রদত্ত প্রাণ নিয়েও আমরা সর্বদা মিয়মাণ হয়ে থাকি।

প্রশ্ন-২০। ‘সদা’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘সদা’ শব্দের অর্থ— সবসময়।



প্রশ্ন-২১। ‘সংকল্প’ মানে কী?

উত্তর: ‘সংকল্প’ মানে মনের দৃঢ় ইচ্ছা।

প্রশ্ন-২২। ‘শুভ্র’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘শুভ্র’ শব্দের অর্থ সাদা।

প্রশ্ন-২৩। পাছে লােকে কিছু বলে কবিতায় শুভ্র’ শব্দটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েহে?

উত্তর: ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় ‘শুভ্র’ শব্দটি ‘অমলিন’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন-২৪। প্রশমিতে’ মানে কী?

উত্তর: প্রশমিতে’ মানে নিবারণ করতে।

প্রশ্ন-২৫। ‘হল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: হল’ শব্দের অর্থ- ‘ছুতা’।

প্রশ্ন-২৬। “মিয়মাণ’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: “মিয়মাণ’ শব্দের অর্থ কাতর বা বিষাদগ্রস্ত।

প্রশ্ন-২৭. ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতাটি কার লেখা?

উত্তর: পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতাটি কবি কামিনী রায়ের লেখা।

প্রশ্ন-২৮। কে কী সমালােচনা করবে ভেবে বসে থাকলে কী এগােয় না?

উত্তর: কে কী সমালােচনা করবে ভেবে বসে থাকলে কাল এগােয় না।

প্রশ্ন-২৯। যারা সমাজে অবদান রাখতে চান তাদের কী করলে চলবে না?

উত্তর: যারা সমাজে অবদান রাখতে চান তাদের দ্বিধা করলে চলবে না।

প্রশ্ন-৩০। পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় দৃঢ় মনােবল নিয়ে কী উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় দৃঢ় মনােবল নিয়ে লােকলজ্জা ও সমালােচনাকে উপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।



প্রশ্ন-৩১। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে কী উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে?

উত্তর: মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে ভয়-ভীতি সংকোচ উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন-৩২। কামিনী রায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: কামিনী রায় ১৮৬৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৩৩। কামিনী রায় কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন? 

উত্তর: কামিনী রায় বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৩৪। কামিনী রায় কোন কলেজে পড়াশােনা করতেন?

উত্তর: কামিনী রায় কলকাতার বেথুন কলেজে পড়াশােনা করতেন।

প্রশ্ন-৩৫। কামিনী রায় কোন বিষয়ে অনার্স করেন?

উত্তর: কামিনী রায় সংস্কৃতে অনার্স করেন।

প্রশ্ন-৩৬৷ কামিনী রায়ের কবিতায় কার প্রভাব স্পষ্ট?

উত্তর: কামিনী রায়ের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রভাব স্পষ্ট।

প্রশ্ন-৩৭। কীসের সহজ-সরল প্রকাশে কামিনী রায়ের কবিতা তাৎপর্য অর্জন করেছে?

উত্তর: আনন্দ-বেদনার সহজ-সরল প্রকাশে কামিনী রায়ের কবিতা তাৎপর্য অর্জন করেছে।

প্রশ্ন-৩৮। কামিনী রায়ের লেখা ছােটদের কবিতা সংগ্রহের নাম কী?

উত্তর: কামিনী রায়ের লেখা ছােটদের কবিতা সংগ্রহের নাম ‘গুঞ্জন’।

প্রশ্ন-৩৯। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবি কামিনী রায়কে কোন পদকে ভূষিত করে?

উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবি কামিনী রায়কে জগত্তারিণী স্বর্ণপদকে ভূষিত করে।

প্রশ্ন-৪০। কামিনী রায়ের মৃত্যু হয় কত সালে?

উত্তর: কামিনী রায়ের মৃত্যু হয় ১৯৩৩ সালে।



পাছে লোকে কিছু বলে কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। আমরা সদা ভয় ও লাজে কাজ করতে পারি না কেন? বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ মানুষের সমালােচনার ভয়ে আমরা ভীত ও লজ্জিত থাকি বলেই কোনাে কাজ করতে পারি না।

পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় বলা হয়েছে কোনাে কাজ করতে গেলে কেউ কেউ অনেক সময় দ্বিধাগ্রস্ত হয়। সমালােচনার কথা ভেবে তারা বসে থাকে। এর ফলে কোনাে কাজ এগােয় না এবং অনেক শুভ চিন্তার অপমৃত্যু ঘটে।

প্রশ্ন-২। ‘সম্মুখে চরণ নাহি চলে’- কেন? 

উত্তর: সমালােচনা ও নিন্দার ডয়ে কোনাে কালে সামনে এগােতে না পারার দিকটি আলােচ্য পক্তিতে ফুটে উঠেছে।

মানুষ কোনাে কাজ করতে গেলে প্রথমেই অন্যেরা কী ভাববে তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সমালােচিত বা নিন্দিত হওয়ার ভয়ে সে তার লক্ষ্যের ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ফলে সে আর সামনে এগিয়ে যেতে পারে। আলােচ্য পত্তিতে এ দিকটিই ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন-৩। ‘উঠে শুদ্র চিন্তা কত’ পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: মহৎ কাজের জন্য মানুষের মনে উদ্ভূত শুভ চিন্তার বিষয়টি এখানে উঠে এসেছে।

অপরের মঙ্গলের জন্য কাজ করার ইচ্ছে প্রত্যেক মানুষের মনে কমবেশি থাকে। ফলে মহৎ কাজে ইচ্ছুক মানুষের মনে বুদবুদের মতাে অসংখ্য শুভবুদ্ধির উদয় হয়। দ্বিধা ত্যাগ করে এই শুভ চিন্তাগুলােকে কাজে লাগাতে পারলে জীবন সার্থক হয়।

প্রশ্ন-৪। কাদে প্রাণ যবে, আঁখি সযতনে শুষ্ক রাখি’—চরণটি বুঝিয়ে লেখাে।

উত্তর: আলােচ্য পর্ভুক্তিতে লােকলজ্জার ভয়ে নিজের অনুভূতি লুকিয়ে রাখার দিকটি ফুটে উঠেছে।

অন্যরা কী বলবে বা ভাববে তা নিয়ে আমরা সর্বদাই তটস্থ থাকি। ফলে নিজেদের অকৃত্রিম অনুভূতিও ঠিকমতাে প্রকাশ করতে পারি না। মনে দুঃখ পেলেও কাঁদতে পারি না তা নিয়ে কেউ বিদ্রুপ করবে এই ভয়ে। এভাবে সমালােচনার ভয়ে নিজেদের দুঃখ কষ্ট পর্যন্ত আমরা লুকিয়ে রাখি যা আলােচ্য পঙক্তিতে ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন-৫। আর্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও কেউ কেউ উপেক্ষা করে চলে যায় কেন?

উত্তর: অন্যের সমালােচনার ভয়ে আর্তের পাশে দাঁড়াতে গিয়েও কেউ কেউ উপেক্ষা করে চলে যায়।

কামিনী রায় ‘পাছে লােকে কিছু বলে’ কবিতায় নিন্দুকের সমালােচনার ভয় নানা কাজে আমাদের কীভাবে বাধা দেয় তা উল্লেখ করেছেন। নিন্দুকের ভয়ে অনেকে মানুষের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে ব্যর্থ হয়। কারণ লােকে কী মনে করবে, কী ভাববে এ কথা ভেবে তারা অস্থির হয়ে পড়ে। অথচ একটি স্নেহের কথা আর্ত মানুষের দুঃখ প্রশমন করতে পারে তবুও তারা লােকলজ্জার কারণে তা উপেক্ষা করে চলে যায়।



প্রশ্ন-৬। বিধাতা দিয়েছেন প্রাণ, থাকি সদা ম্রিয়মাণ ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: আলােচ্য পর্ভূক্তিটিতে সমালােচনার ভয়ে প্রাণশক্তিহীন হয়ে থাকার দিকটি ফুটে উঠেছে।

বিধাতা মানুষকে প্রাণ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু অনেক সময় মানুষকে নিষ্প্রাণ তথা উদ্যমহীনরূপে দেখা যায়। সমালােচনার ভয়ে, নিন্দার ডয়ে মানসিক শক্তি হারিয়ে মানুয় এমন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। আলােচ্য পত্তিতে এই দিকটিই ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন-৭। ‘পাছে লােকে কিছু বলে চরণটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর: ‘পাছে লােকে কিছু বলে চরণটিতে সমালােচনার ভয়ে ভীত হওয়ার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।

মানুষ কোনাে কাজ করতে গেলে প্রথমেই চিন্তা করে লােকে কী বলবে বা ভাববে। নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী না হয়ে মানুষ অন্যের মন্তব্য নিয়েই চিন্তিত থাকে। আলােচ্য চরণটিতে মানুষের এই মন্তব্য তথা সমালােচনার ভয়ে ভীত হওয়ার দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে।

প্রশ্ন-৮। দ্বিধাগ্রস্ত মানুষ কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে?

উত্তর: দ্বিধাগ্রস্ত মানুষ জীবনে কোনাে মহৎ কাজে অংশ নিতে পারে না।

কোনাে কাজ করতে গেলে নানা রকম সমালােচনা তৈরি হতে পারে। দ্বিধাগ্রস্ত মানুষেরা সেসব সমালােচনার ফলে নিজেদের সংকল্প সাধনা থেকে বিচ্যুত হয়। দৃঢ় মনােবলের অভাবে দ্বিধাগ্রস্ত মানুষ কোনাে কাজই সম্পন্ন করতে পারে না।

প্রশ্ন-৯। সমাজে অবদান রাখতে চাইলে কেমন মানসিকতা থাকতে হবে?

উত্তর: সমাজে অবদান রাখতে চাইলে সকল ভয়-ভীতি, সংকোচকে উপেক্ষা করার মানসিকতা থাকতে হবে।

সমাজের জন্য কাজ করতে চাইলে মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রাখা চলবে না। দৃঢ় মনােবল নিয়ে লােকলজ্জা ও সমালােচনাকে উপেক্ষা করতে হবে। মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ করতে হলে সমালােচনা বা নিন্দার ভয়কে জয় করতে দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী হতে হবে।

প্রশ্ন ১০। কবি কেন লােকলজ্জা ও ভয়কে দূর করতে বলেছেন?

উত্তর: মানুষের কল্যাণে মহৎ কাজ সম্পন্ন করার জন্য কবি লােকলজ্জা ও ভয়কে দূরে রাখতে বলেছেন।

সমাজের কল্যাণে যারা আত্মনিয়ােগ করতে চায় তাদের দ্বিধা থাকলে চলবে না। মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে সব ভয়ভীতি, সমালােচনা ও সংকোচ উপেক্ষা করে দৃঢ়মনােবল নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন-১১। সংশয় পাকলে কাজ এগােয় না কেন?

উত্তর: সংশয়াপন্ন মানুষ অন্যের সমালােচনার ভয়ে ভীত থাকে তাই মনে সংশয় থাকলে কোনাে কাজই এগােয় না।

সংশয়ের ফলে মানুষের মনে দুর্বলতা ভর করে। ফলে মানুষের কাজ। করার স্বাভাবিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় | কেননা দুর্বল মানসিকতার অধিকারী মানুষ কোনাে কাজই সুষ্ঠুভাবে করতে পারে না। তাই মনে যদি। সংশয় থাকে তাহলে কোনাে কাজই এগােয় না।       

Leave a Comment