নবম দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞানের জীবে পরিবহনের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। ধমনি কী?

উত্তর : অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বহনকারি রক্তনালিই হলাে ধমনি।

প্রশ্ন ২। লসিকা কী?

উত্তর : রক্তের কিছু উপাদান কৈশিক জালিকার প্রাচীর ভেদ করে কোষের চার পাশে অবস্থান করে। এ উপাদানগুলােকে সম্মিলিতভাবে লসিকা বলে ।

প্রশ্ন ৩। ইমবাইবিশন কী?

উত্তর : ইমবাইবিশন হলাৈ কলয়েড জাতীয় শুকনাে বা আধা শুকনাে পদার্থ কর্তৃক তরল পদার্থ শশাষণের প্রক্রিয়া ।

প্রশ্ন ৪। ব্যাপন কী?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোনাে দ্রব্যের অণু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন বলে ।

প্রশ্ন ৫। রক্তরস কী?

উত্তর : রক্তের বর্ণহীন তরল অংশই রক্তরস।

প্রশ্ন ৬। প্রস্বেদন কি?

উত্তর : যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার বায়বীয় অঙ্গের মাধ্যমে বাম্পাকারে পানি বের করে দেয়, তাই প্রস্বেদন বা বাম্পমােচন।

প্রশ্ন ৭। ব্যাপন চাপ ঘাটতি কী?

উত্তর : একই বায়ু চাপে কোনাে একটি দ্রবণ ও দ্রাবকের ব্যাপন চাপের পার্থক্যই হলাে ব্যাপন চাপ ঘাটতি।

প্রশ্ন ৮। হাইপারটেনশন কী?

উত্তর : স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তচাপই হলাে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ।

প্রশ্ন ৯। রক্তচাপ মাপক যন্ত্রের নাম কী?

উত্তর : রক্তচাপ মাপক যন্ত্রের নাম হলাে স্ফিগমােম্যানােমিটার।

প্রশ্ন ১০। Universal Receipient কাদের বলা হয়?

উত্তর : AB ব্লাডগ্রুপের রক্তধারী যেকোনাে ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করতে পারেন তাই তাদের Universal Receipient বলা হয়।

প্রশ্ন ১১। মহিলাদের রক্তে HDL এর আদর্শ মান কত?

উত্তর : মহিলাদের রক্তে HDL এর আদর্শ মান হলাে ০.৯০-১.৬৮।

প্রশ্ন ১২। আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে?

উত্তর : বায়ুতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ও বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতার আনুপাতিক হারকে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বলে।

প্রশ্ন ১৩। LDL এর পূর্ণরূপ লেখ।

উত্তর : LDL এর পূর্ণরূপ Low Density Lipoprotein.

প্রশ্ন ১৪। ফুইড অফ লাইফ কি?

উত্তর : পানিকে ফুইড অফ লাইফ বলে।

প্রশ্ন ১৫। অভিস্রবণ প্রক্রিয়া কী?

উত্তর : দ্রাবকের বৈষম্যভেদ্য পর্দাভেদ করে তার নিম্ন ঘনত্বের দ্রবণ থেকে উচ্চ ঘনত্বের দ্রবণের দিকে প্রবাহিত হওয়াই হলাে অভিস্রবণ প্রক্রিয়া ।

প্রশ্ন ১৬। পত্ররন্দ্র কাকে বলে?

উত্তর : উদ্ভিদের পাতায়, কচিপাতা, ফুলের বৃতি ও পাপড়িতে দুটি রক্ষি কোষ বেষ্টিত এক ধরনের রন্দ্র থাকে এদেরকে পত্ররন্দ্র বলে ।

প্রশ্ন ১৭। কৈশিক নালি কী?

উত্তর : পেশিতন্তুতে চুলের মতাে অতি সূক্ষ্ণ রক্তনালি দেওয়া যায় এগুলােই কৈশিক জালিকা ও কৈশিক নালি ।

প্রশ্ন ১৮। উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে?

উত্তর : স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তচাপকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয় ।

প্রশ্ন ১৯। রক্তবাহিকা কাকে বলে?

উত্তর : যেসব নালির ভিতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত বা সালিত হয় তাকে রক্তনালি বা রক্ত বাহিকা বলে।

প্রশ্ন ২০। লিউকেমিয়া কাকে বলে?

উত্তর : রক্তকোষের ক্যানসারকে লিউকেমিয়া বলে।

প্রশ্ন ২১। হৃদস্পন্দন কী?

উত্তর : প্রতি মিনিটে যে সংখ্যকবার হৃৎপিণ্ড সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়, তাকে হৃদস্পন্দন বলে।

প্রশ্ন ২২। কিউটিকুলার প্রস্বেদন কাকে বলে?

উত্তর : পাতা ও কাণ্ডের ত্বকের বাইরে অবস্থিত কিউটিনের স্তরকে কিউটিকল বলে। কিউটিকলের দ্বারা যে প্রস্বেদন ঘটে, তাকে কিউটিকুলার প্রস্বেদন বলে ।

প্রশ্ন ২৩। উদ্ভিদ প্রধানত অভিকর্ষীয় পানি কী দ্বারা শােষণ করে?

উত্তর : উদ্ভিদ প্রধানত অভিকর্ষীয় পানি. মূল দ্বারা শােষণ করে।

প্রশ্ন ২৪। কার্ডিয়াক পেশি কী?

উত্তর : হৃৎপিণ্ডের প্রাচীর এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি দ্বারা গঠিত। এ পেশিই কার্ডিয়াক পেশি ।

প্রশ্ন ২৫। শিরা কাকে বলে?

উত্তর : যেসব রক্তনালির মাধ্যমে রক্ত দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তাদেরকে শিরা বলে।

প্রশ্ন ২৬। হৃৎপিণ্ড কাকে বলে?

উত্তর : রক্ত সংবহনের যে অঙ্গটি পাম্পের মতাে সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে সারা দেহে রক্ত সংবহিত করে তাকে হৃৎপিণ্ড বলে।

প্রশ্ন ২৭। স্ট্রোক কী?

উত্তর : মস্তিষ্কের কোনাে অংশের শিরা বা ধমনি ছিড়ে যাওয়ার কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থাকে স্ট্রোক বলে।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

   

প্রশ্ন ১। নিষ্ক্রিয় ও সক্রিয় শােষণ বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : যে শােষণ প্রক্রিয়ায় আয়ন শোষণের জন্য কোনাে বিপাকীয় শক্তির প্রত্যক্ষ প্রয়ােগের প্রয়ােজন হয় না তাকে নিষ্ক্রিয় শােষণ বলে।

উদ্ভিদ এ প্রক্রিয়ায় মূলরােম ইমবাইবিশন ও অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় লবণ শােষণ করে। আবার, যে শোষণ প্রক্রিয়ায় খনিজ লবণ পরিবহনের জন্য কোষে উৎপন্ন বিপাকীয় শক্তির প্রয়ােজন হয় তাকে সক্রিয় শােষণ বলে।

প্রশ্ন ২। প্রস্বেদনকে প্রয়ােজনীয় অমঙ্গল বলা হয় কেন?

উত্তর : প্রস্বেদন প্রক্রিয়াটি উদ্ভিদের বহু ধরনের উপকার করলেও কিছু অপকারী ভূমিকা পালন করে। পানি শােষণের চেয়ে প্রস্বেদনে পানি হারানাের হার অধিক হলে উদ্ভিদে পানি ও খনিজের ঘাটতি দেখা দিবে এবং এর ফলে উদ্ভিদটির মৃত্যুও হতে পারে। এজন্য প্রস্বেদনকে প্রয়ােজনীয় অমঙ্গল বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। ব্লাড গ্রুপ বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : মানুষের রক্তের লােহিত রক্ত কণিকায় ‘A’ ও ‘B’ নামক দুই ধরনের এন্টিজেন থাকে এবং রক্তরসে ‘a’ ও ‘b’ দুই ধরনের এন্টিবডি থাকে। এই এন্টিজেন ও এন্টিবডির উপস্থিতির উপর ভিত্তি করে মানুষের রক্তকে বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা যায়। একে ব্লাড গ্রুপ বলে। মানুষের রক্তে চার ধরনের ব্লাড গ্রুপের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তা হলাে – ‘A’, ‘B’, ‘O’ এবং ‘AB।

প্রশ্ন ৪। কোলেস্টেরল বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : কোলেস্টেরল হলাে হাইড্রোকার্বন কোলেস্টেইন থেকে উৎপন্ন একটি যৌগ। এটি লিপােপ্রােটিন নামক যৌগ সৃষ্টির মাধ্যমে রক্তে প্রবাহিত হয়। রক্তে ৩ ধরনের লিপােপ্রােটিনের মধ্যে HDL হলাে ভালাে কোলেস্টেরল। কারণ এটি হৃদরােগের ঝুঁকি কমায়। অপরদিকে LDL হলাে খারাপ কোলেস্টেরল কারণ এটি হৃদরােগের ঝুঁকি বাড়ায়।

প্রশ্ন ৫। কৈশিক জালিকা বলতে কী বােঝায়?

উত্তর: বৃক্কের নেফ্রনের রেনাল ধমনি থেকে সৃষ্ট অ্যাফারেন্ট আর্টারিওল ক্যাপসুলের ভিতর ঢুকে সে প্রায় ৫০টি জালিকা সৃষ্টি করে তাদেরকে কৌশিক জালিকা বলে।

প্রশ্ন ৬। “ধমনি শিরা থেকে ভিন্নতর।”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যেসব রক্তনালির মাধ্যমে সাধারণত অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত হৃৎপিণ্ড থেকে সারা দেহে বাহিত হয় তাকে ধমনি বলে। ধমনিতে কপাটিকা থাকে না। এর নালিপথ সরু। পক্ষান্তরে, যেসব নালি দিয়ে মত দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃৎপিণ্ডে ফিরে আসে তাদের শিরা বলে । শিরায় কপাটিকা থাকে এবং নালি পথ প্রশস্থ, তাই বলা যায় যে, ধমনি থেকে শিরা ভিন্নতর।

প্রশ্ন ৭। উদ্ভিদে পরিবহন বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : উদ্ভিদে পরিবহন বলতে মাটি থেকে শোষিত পানি ও খনিজ লবণ এবং পাতায় প্রস্তুতকৃত খাদ্যের চলাচলকে বুঝায় । জাইলেম ভেসেলের মাধ্যমে পানি ও খনিজ লবণ উদ্ভিদের পাতায় পৌছায়। প্রস্তুত খাদ্য উদ্ভিদের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহনের দায়িত্ব গ্রহণ করে ফ্লোয়েম টিস্যু ।

প্রশ্ন ৮। রক্তের রং লাল কেন?

উত্তর : মানুষের রক্তের অন্যতম একটি উপাদান লোহিত রক্তকণিকা । এ রক্তকণিকাতে হিমােগ্লোবিন নামক এক ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকে। আর লােহিত কণিকায় হিমােগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণে রক্তের রং,

লাল হয়।

প্রশ্ন ১৯। শ্বেত কণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : দেহে কোনাে রােগ জীবাণু ঢুকলে রক্তের শ্বেতকণিকা সেগুলােকে মেরে ফেলে রােগ প্রতিরােধ করে। এজন্যই শ্বেত কণিকাকে দেহের প্রহরী বলা হয় ।

প্রশ্ন ১০। বর্ষাকালে কাঠের দরজা বন্ধ করতে কষ্ট হয় কেন?

উত্তর : বর্ষাকালে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় কাঠের দরজা ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় বাতাসের জলীয় বাষ্প শােষণ করে। ফলে কাঠের দরজা স্ফীত হয়ে যায়। যার ফলে দরজা বন্ধ করতে কষ্ট হয় ।

প্রশ্ন ১১। রক্তের গ্রুপ জানা প্রত্যেকের জন্য জরুরী কেন?

উত্তর : কোনাে জটিল রােগে দীর্ঘদিন ভােগার ফলে অথবা কোনাে দুর্ঘটনাজনিত কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মানুষের ভয়াবহের রক্তশূন্যতা দেখা দিতে পারে। যেহেতু রক্তের বিকল্প একমাত্র রক্ত, সেজন্য জরুরি ভিত্তিতে এই রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য রােগীকে অন্য মানুষের রক্ত দিতে হয়। এ প্রয়ােজনের সময় রক্তগ্রহণ বা দানকালে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই জটিলতা এড়ানাের জন্য যেকোনাে মানুষের রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা একান্ত প্রয়ােজন।

প্রশ্ন ১২। পানিকে ফুইড অব লাইফ বলা হয় কেন?

উত্তর : পানির অপর নাম জীবন। প্রােটোপ্লাজম জীবদেহের ভৌত ভিত্তি। এ প্রােটোপ্লাজমের শতকরা ৯০ ভাগই পানি। পানির পরিমাণ কমে গেলে প্রােটোপ্লাজম সংকুচিত হয়ে মরে যেতে পারে। এছাড়া উদ্ভিদের দেহে যত বিপাকীয় বিক্রিয়া চলে তা পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণেই পানিকে ফুইড অব লাইফ বলা হয়।

প্রশ্ন ১৩। উচ্চ রক্তচাপ বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : রক্ত চলাচলের সময় রক্তনালি গাত্রে যে চাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তচাপকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে সিস্টোলিক চাপ ১২০ এবং ডায়াস্টলিক চাপ ৮০ বা এর নিচের মাত্রাকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রা হিসেবে ধরা হয়। আর এ রক্তচাপ যখন মাত্রাতিরিক্ত হয় তখনই আমরা তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকি ।

প্রশ্ন ১৪। সর্বজনীন গ্রহীতা ও সর্বজনীন দাতা বলতে কাদের বুঝানাে হয়?

উত্তর : AB গ্রুপের রক্তের লােকদের রক্তে কোনাে অ্যাটিনিন না থাকায় তারা সবার রক্ত নিতে পারে। তাই তাদের সর্বজনীন গ্রহীতা বলে। আবার o গ্রুপের লোকদের রক্তে কোনাে অ্যাগ্লুটিনােজেন না। থাকায় তাদের পক্ষে সবাইকে রক্ত দেওয়া সম্ভব। তাই তাদের সর্বজনীন দাতা বলে ।

প্রশ্ন ১৫। বায়ুপ্রবাহের তারতম্যে প্রস্বেদন হারের তারতম্য ঘটে কেন?

উত্তর : প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদের চারদিকের বায়ু সিক্ত হয়ে ওঠে ফলে এ প্রক্রিয়ার হার কমতে থাকে। যখন বায়ুপ্রবাহ সম্পৃক্ত বায়ু দূরে সরিয়ে দেয় তখন এ হার আবার বৃদ্ধি পায়। বায়ুপ্রবাহের ফলে পত্রসমূহ আন্দোলিত হয় ও করন্ধে চাপ পড়ে ফলে অধিক হারে জলীয়বাষ্প রপথে নির্গত হয়। এ সকল কারণে বায়ুপ্রবাহের তারতম্যে প্রস্বেদন হারের তারতম্য ঘটে।

প্রশ্ন ১৬। হাইপার টেনশনের কারণ কী?

উত্তর : হাইপার টেনশনের প্রকৃত কারণ আজও জানা যায় নি। তবে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, মেদবহুল শরীর, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস, অস্থিরচিত্ত ও মানসিক চাপগ্রস্ত, রক্তে কোলেস্টেরােলের আধিক্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ রােগের সম্ভাবনা বেশি।

প্রশ্ন ১৭। রক্তবাহিকায় রক্ত জমাট বাধে না কেন?

উত্তর : নিম্নলিখিত কারণে রক্তবাহিকায় রক্ত জমাট না বাঁধার কারণ—

১. বেসােফিল হেপারিন নিঃসৃত করে রক্তকে রক্তবাহিকায় জমাট বাঁধতে বাধা দেয়।

২. রক্ত রক্তবাহিকার মধ্য দিয়ে অনবরত সঞ্চালিত হতে থাকে।

প্রশ্ন ১৮। লিউকোসাইটকে কেন শ্বেত রক্তকণিকা বলা হয়?

উত্তর : লিউকোসাইট নিউক্লিয়াসযুক্ত বড় আকারের রক্তকণিকা। এরা নির্দিষ্ট আকৃতিবিহীন এবং এদের কোনাে হিমােগ্লোবিন থাকে না। হিমােগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থ না থাকার কারণে এদের শ্বেত।রক্তকণিকা বলা হয়।

প্রশ্ন ১৯। বাতজ্বর বলতে কী বুঝ?

উত্তর : স্ট্রেপটোকক্কাস (Streptococcus) অণুজীবের সংক্রমণে সৃষ্ট শ্বাসনালির প্রদাহ, ফুসকুড়িযুক্ত সংক্রামক জ্বর, টনসিলের প্রদাহ অথবা মধ্যকর্ণের সংক্রামক রােগ বাতজ্বরের উল্লেখযােগ্য লক্ষণ। সাধারণত শিশুকালেই এ রােগের আক্রমণ শুরু হয় এবং দেহের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হয়। বিশেষ করে হৃৎপিণ্ড। হৃৎপিণ্ড যদি এ রােগে পূর্ণভাবে আক্রান্ত নাও হয়, হৃৎপেশি এবং হৃৎপিণ্ডের কপাটিকা বা ভাৰ অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে হৃৎপিণ্ড যথাযথভাবে পাম্প করতে সক্ষম হয় না। এবং দেহে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমে যায়।

Leave a Comment