আম আঁটি ভেঁপু গল্পের গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীলসমূহ

১। পল্লি প্রকৃতির দুরন্ত সন্তান ফটিক। কোলকাতা শহর দেখার অদম্য বাসনায় এবং মায়ের ইচ্ছায় অতি আগ্রহে মামার সাথে সে চলে গিয়েছিল গ্রাম ছেড়ে। কিন্তু কোলকাতা শহরের ইট-কাঠ ঘেরা নির পরিবেশে হাঁপিয়ে উঠল তার কিশাের মন। গ্রামের সজল-শ্যামল মায়াময় প্রকৃতিতে অবগাহন করতে তার মন চঞ্জল হয়ে উঠল। গ্রামের বন্ধুদের সাথে খেলা, চড়ইভাতি, ঝড়ের দিনে আম কুড়ানাের স্মৃতি সর্বদাই তার মনকে টানতে লাগল। লেখাপড়া শিখে গাড়িঘােড়া চড়ার চেয়ে গায়ের ধুলায় গড়াগড়ি করাটাই যেন তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল।

ক.অপুর কাছে কত টাকা দামের পিস্তল ছিল?

খ. দশঘরার লােকটির অনুরােধে হরিহর তৎক্ষণাৎ সেখানে যেতে রাজি হলো না কেন?

গ. উদ্দীপকটি “আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকটি ধারণ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “লেখাপড়া শিখে গাড়ি-ঘােড়া চড়ার চেয়ে গাঁয়ের ধুলােয় গড়াগড়ি করাটাই যেন তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল”- উক্তিটি উদ্দীপক ও গল্পের আলােকে ব্যাখ্যা কর।

২. জসীম সাহেব পেশাগত প্রয়ােজনে শহরে থাকেন। কিন্তু তার শৈশব কেটেছে গ্রামে। সেই উঠান, সেই নদীর তীর, বিস্তীর্ণ আকাশ, গাজি শেখের বিশাল আমবাগান, ভাইবােনের খুনসুটি, মা-বাবাকে না বলে গ্রামমায় ঘুরে বেড়ানাে সবই মনে পড়ে। আর সেসব দিনের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। তখন ঘরে ঘরে পয়সার অভাব হয়তাে ছিল, কি মাটির গন্ধে মন মােহিত ছিল। 

ক. অপুর খেলনা পিস্তলের দাম কত ছিল?

খ. দশঘরার লােকটির অনুরােধে হবিহর তৎক্ষণাৎ সেখানে যেতে রাজি হলো না কেন?

গ. উদ্দীপকটি “আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের কোন দিকটি নির্দেশ করে ব্যাখ্যা কর।

ঘ. দুরন্তপনাই যেন উদ্দীপক ও আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের প্রাধান্য প্রকাশ পেয়েছে – তােমার মতামত উপস্থাপন কর?

৩। প্রকাণ্ড একটা ধাউস ঘুড়ি লইয়া বো বো শব্দে উড়াইয়া বেড়াইবার সেই মাঠ,’তাইরে নাইরে নাইরে না’ করিয়া উচ্চস্বরে সুরঞ্জিত রাগিণী আলাপ করিয়া অকর্মণ্যভাবে ঘুরিয়া বেড়াইবার সেই নদীতীর, দিনের মধ্যে যখন তখন ঝাঁপ  দিয়া পড়িয়া সাঁতার কাটিবার সেই সংকীর্ণ স্রোতস্বিনী, চিত্তকে চল করিত।

ক. হরিহর কাজ সেরে কখন বাড়ি ফিরল?

খ. দিদির কথায় নুন ও তেল আনতে অপু দ্বিধা করছিল কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে পঠিত গল্পের কোন দিকের ইতি লক্ষণীয়?

ঘ. উদ্দীপকটি ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের সমতা স্পর্শ করেছে।” মূল্যায়ন কর।

৪। বড় ননদের বাড়ি থেকে কিছু চাল এনে আপাতত সংসার চালানোর মত দেন স্ত্রী জয়গুন। বােনের অবস্থা যথেষ্ট ভালাে হলেও সেখানে যেতে অনীহা দেখায় কবেজ আলী। বলে, ‘এক সময়ের সচ্ছল গৃহস্থ যদি বােনের বাড়ি চাল ধার আনতে যায় তাহলে বােন-ভগ্নিপতি আর যাই ভাবুক না কেন বাড়ির অন্যরা অনেক কিছু ভাববে। না, তা হয় না।’ স্ত্রী জয়গুনও তার স্বামীকে প্রলুব্ধ করে না। ঘরে থাকা একটা পিতলের কলস অবশেষে সন্ধ্যার সময় বাজারে বিক্রি করতে যায় কবেজ আলী।

ক. আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে দুর্গার বয়স কত?

খ. আমার কাপড় যে বাসি’- অপু এ কথা কাকে, কেন বলেছিল? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের কবেজ আলী আর আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের হরিহরের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের জয়গুনকে কি ‘আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের সর্বজয়ার সমান্তরাল ভাবা যায়? যৌক্তিক মতামত দাও।

৫। গীরব এবং সৌরভ দুই ভাই। তাদের একজনের আর একজনকে ছাড়া চলে না। দুজন সারাদিন একসঙ্গে থাকে, অন্য কোনাে বন্ধুর প্রয়ােজনই হয় না। তারা একসঙ্গে খেলাধুলা করে, ঝগড়া করে, মারামারিও করে। মারামারির পরে একজন অন্যজনকে মুখ দেখবে না এরকম বলেও আবার মিলে যেতে তাদের পাঁচ মিনিটও দেরি হয় না। অর্থাৎ একজন অন্যজনের উপর পুরােপুরি নির্ভরশীল।

ক. হরিহর রায়ের জ্ঞাতি ভ্রাতার নাম কী?

খ. ‘এগুলি তাহার মহামূল্যবান সম্পত্তি’- কথাটি বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকটিতে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা কর।

ঘ. উদ্দীপক এবং আম-আঁটির ভেঁপু গল্প উভয় জায়গাতেই ভাই-বােনের অনবদ্য সম্পর্ক চিহ্নিত হয়েছে।-উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর।

৬। আবুল মিয়ার কষ্টের সংসার। পরের বাড়ি কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সংসার চলে না। দুবেলা পেট ভরে খেতে পায় না। স্ত্রী, ছেলেমেয়ের কাপড়-চোপড়ের দিকে তাকালে মাথা নিচু হয়ে আসে। ঘরের অবস্থা আরও করুণ। তাই একদিন স্ত্রী কবিমনকে ডেকে সবকিছু ফেলে শহরে যাওয়ার প্রস্তাব করে। কিন্তু করিমন ভিটেমাটি ছেড়ে কিছুতেই শহরে যেতে রাজি হলাে না।

ক. রায়বাড়ি থেকে হরিহর কত টাকা বেতন পেত?

খ. ‘আজকাল চাষাদের ঘরে লক্ষ্মী বাধা’ বলতে কী বোঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন্ দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? এবং ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের করিমন আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের সর্বজয়ার বিপরীত সত্তা বিশ্লেষণ কর।

৭। বুদ্ধদেব বসুর নদীর স্বপ্ন কবিতায় দুরন্ত এক কিশােরের কল্পনার চমৎকার আবেগ প্রকাশিত হয়েছে। কিশোের কানাই তার ছােট বােন ছােকানুকে নিয়ে স্বপ্নে নৌকা ভ্রমণে যায়। নৌকাতে উঠে নদীর পর নদী পার হয়ে যায়। উপভােগ করে নীল রঙের আকাশ, ঝাকে ঝাকে পাখি উড়ে চলা, রুপােলি ইলিশ, নানা রঙের পালতােলা নৌকা, গল্প করা- এত কিছু কিশোর মনে গভীর স্বপ্ন নিয়ে আসে। এত কিছুর মধ্যেও বােনের প্রতি দায়িত্ব পালনে কোনাে ঘাটতি নেই। দুই ভাইবােনের বিচিত্র বিষয় নিয়ে বিস্ময় ও কৌতূহল মানুষের চিরায়ত শৈশবকেই যেন স্মরণ করিয়ে দেয়।

ক. টিনের ভেঁপ বাশিটির দাম কত?

খ. সর্বজয়া কেন সংসার ছেড়ে চলে যেতে চায়? বুঝিয়ে দাও ।

গ. উদ্দীপকটি আম-আঁটির ভেঁপুর সাথে কোন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত, ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও “আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে চিরায়ত শৈশবকেই যেন স্মরণ করে।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৮। আমার ভাইপাে বলাই। তার প্রকৃতিতে কেমন করে যেন গাছপালার মূল সুরগুলােই হয়েছে প্রবল। ছেলেবেলা থেকেই চুপচাপ চেয়ে চেয়ে দেখাই তার অভ্যাস, নড়ে চড়ে বেড়ানাে নয়। পুবদিকের আকাশে কালাে মেঘ স্তরে স্তরে স্তম্ভিত হয়ে দাড়ায়, ওর সমস্ত মনটাতে ভিজে হাওয়া যেন শ্রাবণ অরণ্যের গন্ধ নিয়ে ঘনিয়ে আসে।

ক. নীলমণি রায়ের সাথে হরিহর রায়ের কী সম্পর্ক ছিল?

খ. তুই ফের এখন বেরিয়েছিলি বুঝি- সর্বজয়া কেন একথা বলেছে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের বলাইয়ের সাথে “আমি আঁটির ভেপু গল্পের দুর্গার বৈসাদৃশ্য আলোচনা কর।

ঘ. উদ্দীপক ও আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পে প্রকৃতি একটি বড় নিয়ামক পরের ঘরে মানুষ বিশ্লেষণ কর।

৯। ছেলেটার বয়স হবে বছর দশেক,

ম্যয় খায় দমাদম,

পাল খায় অজয়,

ছাড়া পেলেই আবার দেয় দেীড়

ক. হরিহরের জ্ঞাতি,ভ্রাতা নীলমণি কবে মারা গিয়েছিলেন?

খ.  সদগােপ জানা সত্ত্বেও সর্বজয়া হরিহরকে রাজি হতে বলল কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের ছেলেটা যেন আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের দুর্গার প্রতিচ্ছবি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “কৈশােরের দুরন্তপনাই উদ্দীপক ও ‘আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের প্ৰতিকায়।” মূল্যায়ন কর।

১০। গাধাটাকে নিয়ে আর পারি না। গাধা নয় ঠিক, আমার ছােট ভাই। আমিও ছােট। তবে ও আমার দু’বছরের ছােট। ওকে বললাম মায়ের খাটের নিচ থেকে ফুটবলটা বের করে আনতে, ও একটা গামলা নিয়ে এলাে । এদিকে মা যদি এসে পড়ে, তবে আমার রক্ষা নেই। বিকেলেও খেলতে পারব না। আবার পাঠালাম ওকে। ও বল নিয়ে আসছিল পাশের ঘর থেকে মা ডাক দিল- মন্টু কোথায় যাচ্ছিস?’ মন্টু বলল, মা, ঝন্টুদাকে ফুটবলটা দিয়ে আসি। আমি তাে ভয়ে জড়সড়। মন্টু বল দিয়ে বলল- যাও, মা দেখলে মারবে, শুনেছে, শুধু শুনলে মনে হয় মারবে না’

ক. রায়বাড়ি থেকে হরিহর কত টাকা বেতন পেত?

খ. তেলের ভাড় দুলে অপুকে তার মা মারবে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের মন্টুর সাথে আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের অপু চরিত্রের বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের ঝন্টু এবং আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের দুর্গা একই রকম দুরন্ত।” – আলােচনা কর।

১১। গ্রামের ছেলে সালাম, খুব দুরন্ত। তবে তার দুরন্তপনা কেউ খুব একটা টের পায় না। দুরন্ত ছেলেরাই সাধারণত দলবল নিয়ে এ কাজটি করে। কিন্তু সালামের কোনাে দলবল নেই। সে একা একা সারাদিন বন-বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়। কোথায় কার বাগানে আম পেকেছে, কার গাছের আমড়া বেশি মিষ্টি, কোথায় গেলে ভালাে রকম গােল রঙিন পাথর পাওয়া যাবে এসব গবেষণাতেই তার যতসব ওস্তাদি! ঘরের সাথে বিশেষ কোনাে যােগ নেই। শুধু খাওয়ার সময় হাজির হয়। আবার মায়ের কোল ফাকি দিয়ে পালায়।

ক. রৌদ্রের তাপে কী পুড়ে যায়?

খ. মায়ের সম্মুখ দিয়ে দুর্গা ঘরে প্রবেশ করার সাহস পায় না কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি “আম-আঁটির ভেঁপু’ গল্পের কোন দিকের ইঙ্গিত করেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের সালাম আর আম-আঁটির ভেঁপু গল্পের দুর্গা পরস্পরের প্রতিবিম্ব।”- উক্তিটির যথার্থতা আলােচনা কর ।

2 thoughts on “আম আঁটি ভেঁপু গল্পের গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীলসমূহ”

Leave a Comment