অভাগীর স্বর্গ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল

১। কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি। 

হয়ত উহারই বুকে ভগবান জাগিছেন দিবা-রাতি। 

অথবা হয়তাে কিছুই নহে সে, মহান উচ্চ নহে,

আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ দহে,

তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভদ্যনালয়

ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়।

ক. ‘কাঙালী’ কবিরাজকে কত টাকা প্রণামি দিয়েছিল?

খ. রসিক হতবুদ্ধির মতাে দাঁড়াইয়া রহিল কেন?

গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। ৩ 

ঘ. “উদ্দীপকের চেতনাই ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের মূল সুর”- বিশ্লেষণ কর।

২। আমার মায়ের চোখে কোন দুরন্তপনাই ধরা পড়ে না কখনাে; যেন 

বিরাট গুণের অধিকারী

সুবােধ বালক আমি

ঠোটস্থ সকাল বিকাল তার আমার সমস্ত কাজ বুঝি তাই 

পরম স্নেহে ছুঁয়ে যায় আশীর্বাদের মতাে নরম হাত!

ক. মাকে বিশ্বাস করাই কার অভ্যাস?

খ. “এই ছলনায় বহুদিন কাঙালীর মা তাকে ফাঁকি দিয়া আসিয়াছে।” উক্তিটি  বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে বিষয়টি তুলে ধরে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ, “সন্তানের প্রতি মমত্ববােধে উদ্দীপকের মা এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালীর মা অভিন্ন।”— মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

৩। ও কে? চণ্ডাল? চমকাও কেন? নহে ও ঘৃণ্য জীব!

ওই হতে পারে হরিশ্চন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব।

আজ চণ্ডাল, কাল হতে পারে মহাযােগী-সম্রাট।

তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী পাঠ।

রাখাল বলিয়া কারে কর হেলা, ও-হেলা কাহারে বাজে!

হয়ত গােপনে ব্রজের গােপাল এসেছে রাখাল সাজে!

ক. “বৈকুণ্ঠের উইল’ শরৎচন্দ্রের কী জাতীয় গ্রন্থ?

খ. বৃদ্ধ মুখােপাধ্যায় মহাশয়কে ধানের কারবারে অতিশয় সংগতিপন্ন মনে হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. “উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে একই প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে।” – মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

৪। জমিদার বাবু বাগান বাড়ানাের জন্য উপেনের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা করে সেই জমি দখল করে নেয়। বহুদিন গ্রামছাড়া উপেন আবার গ্রামে এসে তার বহু স্মৃতিবিজড়িত আমগাছটির ছায়াতলে বসে পরম শান্তি অনুভব করে এবং গাছ থেকে তখন দুটি আম তার কোলের কাছে পড়লে সে তা হাতে তুলে নেয় আর তখনই মালি ছুটে এসে উপেনকে ‘আম চোর’ বলে গালিগালাজ করতে থাকে। এবং আম চুরির দায়ে জমিদার বাবুর কাছে হাজির করলে উপেন আমটি ভিক্ষা চাইল। তখন জমিদার তাকে সাধুবেশী চোর বলে অপবাদ দেয় ।

ক. জমিদারের কাছারির কর্তা কে?

খ. “ছেলের হাতের আগুন, সে তাে সােজা কথা নয়”- কে, কেন এ কথা বলেছে? 

গ. উদ্দীপকে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের যে সমাজচিত্রের ইঙ্গিত রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. কাঙালীর সঙ্গে উদ্দীপকের মিল থাকলেও কাঙালী সম্পূর্ণরূপে উপেনের প্রতিনিধিত্ব করে না- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৫। গাহি সাম্যের গান

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান 

নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,

সব দেশে সব কালে ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।

ক. শরশ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যয় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?

খ. রাখালের মা কাঙালীর মাকে সতী-লক্ষ্মী বলেছিল কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজচিত্রের যে গরমিল রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা যদি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজভাবনা হতাে, তবে গল্পটির পরিসমাপ্তি এত করুণ হতো কি? তােমার মতের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬। ছকঃ 

তৎকালীন নিম্নবিত্ত সমাজ

দারিদ্র্য

মুল্য বোধের আস্ফালন

নির্যাতিত

ধর্মহীনতার স্বীকার

অসহায়ত্ব

ক. কী জাতের ছেলে তুই? কথাটি কে, কাকে বলেছিল?

খ. “ইস, ছেলের হাতের আগুনি, রথকে যে আসতেই হবে” – কেন? ব্যাখা কর

গ. উদ্দীপকের ছকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ?

ঘ. উদ্দীপকের বর্ণনা এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্প এক সূত্র মন্তব্যটি বিচার বিশ্লেষণ করে বােঝাও।

৭। মুখুয্যে বাড়ির গৃহকত্রীর মৃত্যুর পর সৎকারের দৃশ্য দেখে অভাগীর ভেতরকার ভাবানুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হয়েছে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পটি । মৃতের শবযাত্রার আড়ম্বরতা ও সক্কারের ব্যাপকতা দেখে অভাগীও নিজের মৃত্যু মুহুর্তের স্বপ্ন দেখে। দুঃখিনী অগীও ভাবে তার মৃত্যুর সময় স্বামীর পায়ের ধূলি নিয়ে মৃত্যু শেষে পুত্র মুখাগ্নি করলে সে গিন্নিমার মতাে স্বর্গে যাবে। মৃত্যুর সময় কাঙালী তার বাবাকে হাজির করতে পারলেও কাঠের অভাবে মায়ের সৎকার করতে পারেনি।

ক. অভাগীর মুখের উপরে কিসের ছায়া পড়েছে?

খ. গৃহকত্রীর শবযাত্রা শােকের মনে হয়নি কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. অভাগীর স্বর্গ গল্পে সামন্তবাদের যে স্বরূপ উন্মােচিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. হতরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট যন্ত্রণার যে চিত্র উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে তা উদ্দীপক ও ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্প অবলম্বনে মূল্যায়ন কর।

৮। মতলবপুর গ্রামে আজও জমিদারি প্রথার চালচলন অব্যাহত আছে। সেখানে যারা ধনী তারা যে বাজারে যায় গরিবরা যেতে পারে না। তারা একসাথে কথা বলে। গরিবরা ধনীদের সব সময় এড়িয়ে চলে। এমনকি এ খামে ধনী কেউ মারা গেলে তার লাশ দাফন করার জন্য অনেকেই যেমন ব্যস্ত হয়, দরিদ্র কেউ মারা গেলে তেমন ব্যস্ততা দেখা যায় না।

ক. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মসাল কত?

খ. কার বাবার গাছে তাের বাপ কুড়ুল ঠেকাতে যায়’- এরূপ উক্তির কারণ

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সমাজচিত্রের যে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের সামাজিক চিত্র ও অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সামাজিক চিত্র প্রায় এক হলেও পরিপ্রেক্ষিত আলাদা, বিশ্লেষণ কর।

৯। কাশিপুরে শিবচরণ বাবুর খিড়কির পুকুরে যা একটু জল আছে তা সাধারণে পায়। অন্যান্য জলাশয়ের মাঝখানে দু-একটা গর্ত খুঁড়িয়ে যা একটু জল সঞ্জিত হয় তাহাতে যেমন কাড়াকাড়ি, তেমন ভিড়। বিশেষত মুসলমান বলিয়া আমিনা তাে কাছেই ঘেষিতে পারে না। ঘণ্টার পর ঘন্টা দূরে দাঁড়াইয়া বহু অনুনয় বিনয়ে কেহ দয়া করিয়া যদি তাহার পাত্রে একটু ঢালিয়া দেয় সেইটুকুই সে ঘরে আনে।

ক. জমিদারের কাছারির কর্তা কে?

খ. মায়ের কোন কথা শুনে কাঙালীর বড় ভয় করে? বুঝিয়ে দাও।

গ. ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে কোন দিকটি প্রদত্ত উদ্দীপকে দৃশ্যমান- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “একটি বিশেষ দিক দৃশ্যমান হলেও উদ্দীপকটি ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের খণ্ডাংশ”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

১০। মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর রশিদ সাহেব। তার শয্যার পার্শ্বে আত্মীয় পরিজন সব দাঁড়িয়ে আছে। সবাই ব্যাকুল হয়ে এটা ওটা জিজ্ঞেস করছে। রশিদ সাহেব হাত নাড়ছেন, কিন্তু উত্তর দিতে পারছেন না, ঘরে কান্নার গুঞ্জন উঠল । তারা দোয়া দুরুদ পড়তে লাগল। যন্ত্রণা ক্রমেই বেড়ে চলল । রশিদ সাহেবের ছােট ছেলে হাফেজ। দুই গ্রাম দূরের মাদ্রাসার শিক্ষক। সে শিয়রের কাছে নাই। হঠাৎ রশি সাহেব কথা বলতে পারলেন। বড় মেয়ের হাত ধরে অনুরােধ করলেন- “আনার জানাজা পড়বে আমার ছােট ছেলে, আমার এই শেষ ইচ্ছটা পুরা করো।” তারপর তিনি আর কিছু বলতে পারলেন না। ঘরে জোর কান্নার আওয়াজ উঠল ।

ক. কাঙালী কবিরাজকে কত টাকা প্রণামি দিল?

খ. “জলপানির পয়সা দুটো ত তালে দেবে না মা!”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের সাদৃশ্য চিহ্নিত কর !

ঘ. উদ্দীপকের রশিদ সাহেব এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালীর মার শেষ চাওয়া একই রূপ।”- উক্তিটির সার্থকতা যাচাই কর ।

১১। উপলের বাবা বেঁচে আছেন, কিন্তু উপল কখনাে দেখেনি। জন্মের তিন মাস আগেই তার বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছেন। নতুন বিয়ে করে সংসার করছেন। উপল মায়ের কাছে বড় হয়েছে, প্রতিদিন তারা শুধা আর দৈন্যের সাথে লড়াই করে ! এখন উপলের বয়স বারাে বছর। বাবার প্রতি তার এক প্রকার ঘৃণা জন্মেছে। শিক্ষা-দীক্ষায় সে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, মায়ের দুঃখ দূর করতে চায়।

ক. গােমস্তার নির্বিকার চিত্তে কী পড়ল না?

খ. জমিদারের দারােয়ান রসিক দুলেকে চড় মারল কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের উপলের সাথে ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালির চরিত্রের বৈসাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. উদ্দীপকের উপলের মা এবং ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কাঙালীর মা একই ধরনের লাঞ্ছনার শিকার।”- উক্তিটির সত্যতা প্রমাণ কর ।          

Leave a Comment