হস্তমৈথুন একটি কঠিন রোগ। বয়ঃসন্ধিকালেই বেশির ভাগ ছেলেরা সব জড়িয়ে পড়ে এই রোগে। যার ফলাফল খুবই খারাপ।
তাই প্রত্যেকের উচিৎ হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানা এবং কিভাবে হস্তমৈথুন ছাড়া যায় সে সম্পর্কে জানা।
হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাবঃ
হস্তমৈথুনের ফলে দুই রকম ক্ষতি হয়ে থাকে।
১. শারিরীক ক্ষতিঃ হস্তমৈথুন নামের রোগে সাধারণত ১৩-১৯ বছরের ছেলারা আক্রান্ত হয়। তারপর আর তারা এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না।
তাই হস্তমৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব সমূহ আলোচনা করা হলো।
বৈবাহিক জীবনে অসুখীঃ হস্তমৈথুন করার ফলে অনেক আগে থেকে বীর্য ক্ষরণ হতে থাকে দেহ থেকে। যার ফলে শরীরের বীর্য ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
বীর্য পাতলা হওয়ার কারণে বিয়ে করার পর সেই বীর্য দিয়ে সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব হয় না৷ যার ফলে তার বৈবাহিক জীবনে অসুখী থেকে যায়।
এছাড়াও বিয়ের আগেই অতিরিক্ত বীর্য বের হয়ে যাওয়ার কারণে লিঙ্গ তার কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যার কারণে সে তার স্ত্রীকে সুখী করতে পারে না।
নার্ভের ক্ষতিঃ অল্প বয়স থেকে হস্তমৈথুন করার ফলে লিঙ্গের নার্ভগুলো পরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যার কারণে বয়স বাড়ার পর যখন বিয়ে করা হয়, তখন সেই নার্ভ আগের মতো কাজ করে না।
যার ফলে বিবাহিত জীবনে সুখ পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে এইসকল নার্ভে বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।
লিঙ্গ বেঁকে যাওয়াঃ হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গের টেন্ডন ও লিগামেন্ট পেশির ক্ষতি হয়। যার ফলে লিঙ্গ কঠিনভাবে বেঁকে যায়।
লিঙ্গ হালকা বেঁকে যাওয়ার পরেও যদি কেও হস্তমৈথুন করা ছেড়ে না দেয়, তাহলে তার লিঙ্গ আরও বেঁকে যেতেই থাকবে। যার ফলে সে বিবাহিত জীবনে সম্পূর্ণভাবে সহবাস করতে পারবে না।
এতে তার লিঙ্গ হালকা ছোটও হয়ে আসে।
চোখের সমস্যা হয়ঃ অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। যেমনঃ মাঝেমধ্যে ঝাপসা হওয়া, কম দেখা ইত্যাদি।
কানে কম শোনাঃ হস্তমৈথুন করার পর অনেকেই কানে কম শোনে। আবার অনেকের ক্ষেত্রেই এটি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।
২. মানসিক ক্ষতি
স্মৃতিশক্তি কমে যায়ঃ হস্তমৈথুন করার ফলে অনেক নার্ভের ক্ষতি হয়। যার ফলে অনেকেরেই স্মৃতি শক্তি কমে যাওয়া জনিত সমস্যা দেখা দেয়।
মন খারাপ হয়ঃ নিজের যৌন তাড়নায় পড়ে অনেকেই হস্তমৈথুন করে ফেলে। কিন্তু তার পড়েই আবার খারাপ লাগা শুরু করে।
আবার হস্তমৈথুন করার সময় কল্পনায় কাওকে ভেবে নিতে হয়। অনেকেই কাছের কাওকে এ ক্ষেত্রে পছন্দ করে থাকে।
তাই পরে কল্পনা করা ব্যক্তিকে নিয়েও মনের মধ্যে খারাপ লাগা শুরু করে। এবং মানষিক যন্ত্রনায় ভোগে।
হস্তমৈথুন ছাড়ার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায়ঃ
হস্তমৈথুন নামক রোগটি থেকে অবস্যই দূরে থাকতে হবে। এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া বেশ কষ্টকর। এর জন্য জানতে হবে হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায়।
একা থাকবেন নাঃ কখনো একা একা থাকবেন না। কেননা একা একা থাকলে মনের মধ্যে খারাপ চিন্তা চলে আসে।
খারাপ চিন্তা থেকেই হস্তমৈথুন করার কথা মাথায় আসে। তাই কখনোই একা থাকা উচিৎ না। সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যাস্ত রাখুন।
ভিডিও গেমস খেলুনঃ হস্তমৈথুন ছাড়ার সহজ উপায় হচ্ছে ভিডিও গেমস খেলা। যখনই খারাপ চিন্তা মাথায় আসবে তখনই ভিডিও গেমস খেলতে পারেন।
ধৈর্য্য ধরুনঃ আপনি কখনোই একদিনে হস্তমৈথুন ছাড়তে পারবেন না। আপনি যদি হস্তমৈথুন ছাড়তে চান তাহলে আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে।
সময় খুঁজুনঃ দিনের কোন সময় আপনি হস্তমৈথুন করেন? গোসলের সময়? না রাতে?
এই সময় বের করে সেই অনুযায়ী কাজ শুরু করুন।
আপনি যদি গোসলের সময় হস্তমৈথুন করে থাকেন তাহলে গোসল তাড়াতাড়ি শেষ করুন।
কখনোই উলঙ্গ অবস্থায় গোসল করবেন না এবং নিজের বিশেষ অঙ্গ নাড়া চাড়া করা থেকে বিরত থাকেন।
এছাড়া সবসময় ঠান্ডা পানি দ্বারা গোসল করুন।
খারাপ জিনিস এড়িয়ে চলুনঃ সবসময় খারাপ জিনিস এড়িয়ে চলুন৷
সবসময় মাথায় রাখুন হস্তমৈথুন করা ইসলামে হারাম। আপনি যদি মুসলমান হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে হস্তমৈথুন থেকে দূরে থাকতে হবে।
কেননা এটির চরম শাস্তি রয়েছে। ইহকালে এবং পরকালে অবশ্যই আপনাকে এর জবাবদিহি করতে হবে।
তাই দূরে থাকুন এই অভিশাপ থাকুন।