স্বাধীনতা, এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো কবিতার জ্ঞানমূলক
প্রশ্ন ১। ‘বজ্রকণ্ঠ বাণী’ অর্থ কী?
উত্তর : বজ্রকণ্ঠ বাণী অর্থ- সহজে উদ্দীপ্ত দ্যুতিময় বঙ্গবন্ধুর বাণী।
প্রশ্ন ২। প্রাণের সবুজ কী?
উত্তর : প্রাণের সবুজ হলাে আমাদের স্বাধীনতা।
প্রশ্ন ৩। কোন বিদেশি পত্রিকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি’ আখ্যা দেয়?
উত্তর : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক’ পত্রিকা বঙ্গবন্ধু শেখ, মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি’ আখ্যা দেয়।
প্রশ্ন ৪। ছােটদের জন্য লেখা নির্মলেন্দু গুণের গ্রন্থটির নাম কী?
উত্তর : ছােটদের জন্য লেখা নির্মলেন্দু গুণের গ্রন্থটির নাম ‘কালােমেঘের ভেলা’।
প্রশ্ন ৫। ‘নিউজউইক’ পত্রিকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কী বলে আখ্যায়িত করেছিল?
উত্তর : নিউজউইক’ পত্রিকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে আখ্যায়িত করেছিল।
- স্বাধীনতা, এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
- স্বাধীনতা, এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো কবিতার মূলভাব ও ব্যাখ্যা
প্রশ্ন ৬। চোখে স্বপ্ন নিয়ে কারা এসেছিল?]
উত্তর : চোখে স্বপ্ন নিয়ে মধ্যবিত্ত এসেছিল।
প্রশ্ন ৭। “স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর :কবিতাটি ‘চাষাভূষার কাব্য’ থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ৮। আগামী দিনের কবি কারা?
উত্তর : আগামী দিনের কবি হলাে অনাগত শিশুরা।
প্রশ্ন ৯। হাতের মুঠোয় মৃত্যু নিয়ে কারা ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে এসেছিল?
উত্তর : হাতের মুঠোয় মৃত্যু নিয়ে মধ্যবিত্তরা এই মার্চের ভাষণ শুনতে এসেছিল।
প্রশ্ন ১০। কারা হাতের মুঠোয় মৃত্যু এবং চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল ভাষণ শুনতে?
উত্তর : মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, করুণ-কেরানি; নারী, বৃদ্ধ, ভবঘুরে আর পাতা কুড়ানি শিশুরা হাতের মুঠোয় মৃত্যু এবং চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল ভাষণ শুনতে।
প্রশ্ন ১১। সেই দিন এই মাঠ কেমন ছিল?
উত্তর : সেই দিন এই মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়।
প্রশ্ন ১২। আগামী দিনের শিশু কোথায় দোল খাবে?
উত্তর : আগামী দিনের শিশু দোল খাবে শিশুপার্কের রঙিন দোলনায়।
প্রশ্ন ১৩। ‘শােভিত’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : শােভিত’ শব্দের অর্থ সজ্জিত।
প্রশ্ন ১৪। লাঙল-জোয়াল কাঁধে কারা এসেছিল?
উত্তর : লাঙল-জোয়াল কাঁধে উলঙ্গ কৃষক এসেছিল।
প্রশ্ন ১৫। কার মতাে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে কবি জনতার মঞে এসে দাঁড়ালেন?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের মতাে দৃপ্ত পায়ে হেঁটে কবি জনতার মঞে এসে দাড়ালেন।
প্রশ্ন ১৬। লক্ষ বিদ্রোহী শ্রোতা কেন বসে আছে?
উত্তর : লক্ষ বিদ্রোহী শ্রোতা কখন কবি আসবেন সেই অপেক্ষায় বসে আছে।
প্রশ্ন ১৭। রােধে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘রােধে’ শব্দটির অর্থ রােধ করে, বাধা দেওয়া বা বন্ধ করে দেওয়া।
প্রশ্ন ১৮। ‘ভবঘুরে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘ভবঘুরে’ শব্দটির অর্থ যাদের কোনাে আশ্রয় বা কাজ নেই অর্থাৎ বেকার ঘুরে বেড়ায়।
প্রশ্ন ১৯। উদ্যান’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : উদ্যান’ শব্দটির অর্থ বাগান, একটু বড় পরিসরের বাগান।
প্রশ্ন ২০। প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
উত্তর :কবি নির্মলেন্দু গুণ।
প্রশ্ন ২১। কখন জনসমুদ্রে জোয়ার লাগল?
উত্তর : যখন কবি মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন তখন জনসমুদ্রে জোয়ার লাগল।
প্রশ্ন ২২। কারখানা থেকে মাঠে কে ছুটে এলাে?
উত্তর : কারখানা থেকে মাঠে লােহার শ্রমিক ছুটে এলাে।
প্রশ্ন ২৩। কবির বিরুদ্ধে কে?
উত্তর :কবির বিরুদ্ধে কবি।
প্রশ্ন ২৪। কবি তার অমর কবিতাখানি কীভাবে শােনালেন?
উত্তর : কবি তার অমর কবিতাখানি শােনালেন গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে।
স্বাধীনতা, এ শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর : জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার’ বলতে কবি জনতার মঞে দাঁড়ানাে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শুনতে আসা সর্বস্তরের লক্ষ লক্ষ জনতার ঐক্যবদ্ধ জাগরণকে বুঝিয়েছেন।
‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মূল বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সেদিন ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়েছিল। সেদিন পড়ন্ত বিকেলে তিনি যখন জনতার মঞ্চে এসে দাঁড়ালেন তখন উপস্থিত জনতার মধ্যে সংগ্রামী চেতনার জাগরণ ঘটে। সবাই প্রিয় নেতাকে সামনে পেয়ে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। জনতার মধ্যে জোয়ারের সূচনা হয়, যেন সবার মধ্যে আন্দোলনের উদ্দাম হাওয়া লাগে। সেই হাওয়ায় বহুল আকাক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের পথে তারা এগিয়ে চলার প্রেরণা পায়। প্রিয় নেতাকে পেয়ে তার সংগ্রামী চেতনার স্ফুরণে জনতা সতেজ হয়ে ওঠার এই বিষয়টি বােঝানাে হয়েছে প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা।
প্রশ্ন ২। ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে কোন কোন পেশার মানুষ বেশি এসেছিল?
উত্তর : ৭ই মার্চের ভাষণ শুনতে শ্রমিকশ্রেণির মানুষ বেশি এসেছিল।
১৯৭১ সলের ৭ই মার্চ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শােনার জন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে এসেছিল নানা পেশার লক্ষ লক্ষ মানুষ। তবে কলকারখানা থেকে লােহার শ্রমিক, কৃষক, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, করুণ-কেরানি, নারী, বৃদ্ধ, ভবঘুরে, পাতা-কুড়ানি শিশুরা এসেছিল বেশি। অর্থাৎ বাংলার সাধারণ মানুষেরা সমবেত হয়েছিল সব থেকে বেশি।
প্রশ্ন ৩। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’- এ বাণীর তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’- এ বাণীর মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষ মুক্তির চেতনায় জাগ্রত হয়েছিল, তাই এ বাণীর তাৎপর্য অনেক।
পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এ দেশের মানুষকে শােষণ করে আসছিল। সেই শােষণ থেকে বাঙালিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ জনতার সামনে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেন, যা বাঙালিকে অধিকার আদায়ে, শােষণ-বনা থেকে মুক্ত হওয়ার ও লড়াই করার সাহস ও প্রেরণা জোগায়। এ কথাটি ছিল বাঙালির মুক্তির নির্দেশনা। তাই এ বাণী অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রশ্ন ৩। মানুষের ব্যাকুল প্রতীক্ষা কেন ছিল?
উত্তর : মানুষের ব্যাকুল প্রতীক্ষা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শােনার জন্য।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠনিঃসৃত বক্তব্য শােনার জন্য। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অপেক্ষা করছিল লাখ লাখ মানুষ। তারা ব্যাকুল হয়ে বসেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ শােনার অপেক্ষায়। রেসকোর্স মাঠে এসে তিনি কী নির্দেশ দেন, কী আশার বাণী শােনান, তা শােনার জন্যই লাখ লাখ মানুষ সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিল। কারণ পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচারে বাংলার মানুষ তখন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। তারা তখন সঠিক পথনির্দেশনা চেয়েছিল।
প্রশ্ন ৪। ‘অপেক্ষার উত্তেজনা’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : অপেক্ষার উত্তেজনা’ বলতে মানুষের অধীর প্রতীক্ষার বিষয়টিকে বােঝানাে হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ডাকা হয় ঐতিহাসিক জনসভা। সেই সভায় ভাষণ দেবেন বাঙালির প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণ শােনার জন্য সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ আসে। তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমিত ভাষণ শােনা ও তাদের শােষণ-বঞনা থেকে মুক্তির নির্দেশনা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। মুক্তিকামী মানুষের এমন আন্তরিক আগ্রহকেই অপেক্ষার উত্তেজনা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৫। গণসূর্যের মঞ’ বলতে কী বােঝ?
উত্তর : গণসূর্যের মঞ’ বলতে তেজীয়ান দ্যুতি ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের অধিকারী প্রাণপ্রিয় নেতার গণমানুষের মুক্তির বাণী উচ্চারণের নির্দিষ্ট মঞকে বােঝানাে হয়েছে।
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণ্ঠনিঃসৃত ভাষণ শােনার জন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অপেক্ষা করছিল লাখ লাখ জনতা। তারা ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল তাদের প্রিয় নেতা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপেক্ষায়। তাদের প্রিয় নেতার ভাষণের মঞ থেকে কী নির্দেশ আসে, তাদের নেতা কী আশার বাণী শােনান সেজন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। তখন উপস্থিত জনতার কাছে চেতনাদীপ্তির দিক থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেন গণসূর্য। তিনি যে মঞে এসে দাঁড়াবেন, ভাষণ দেবেন তা যেন গণসূর্যের মঞ।
প্রশ্ন ৬। “সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালাে হাত”– লাইনটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : “সেদিনের সব স্মৃতি মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত কালাে হাত”- এ লাইনটি দ্বারা কবি সেদিনের স্মৃতিকে আড়াল করার সুকৌশলের উদ্যোগকে বুঝিয়েছেন।
১৯৭১ সালে ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে উত্তাল জনতার সামনে মহান নেতা রাজনীতির কবি মুক্তির শাশ্বত বাণী উচ্চারণ করেন, তখন আজকের শিশুপার্ক এবং ফুলের বাগান সেখানে ছিল না। সময়ের বিবর্তনে আজ সেই মাঠে সেদিনের কোনাে স্মৃতি নেই। কবির মতে, কতিপয় কালাে হাত সেদিনের সেই স্মৃতিকে মুছে দিতেই পার্কের মধ্যে বিভিন্ন কৃত্রিম বস্তু স্থাপন করেছে।
প্রশ্ন ৭। “অতঃপর কবি এসে জনতার মঞে দাঁড়ালেন। কোন কবি, কেন তিনি কবি?
উত্তর : “অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।”— এখানে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবি বলা হয়েছে।
‘স্বাধীনতা, এ শব্দটি কীভাবে আমাদের হলাে’ কবিতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণের মূল বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। এই ভাষণেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের নিগড় থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। তিনি বর্জকণ্ঠে ঘােষণা করেন। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সর্বস্তরের মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন করে। বাঙালির শিকড় থেকে জেগে ওঠা এই সংগ্রামী নেতাকে কবি তাই রাজনীতির কবি’ বলেছেন এবং তার কণ্ঠনিঃসৃত বক্তব্যকে ‘অমর কবিতাখানি’।