সৌরজগত ও ভূমন্ডল অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। প্রতিপাদ স্থান কী?

উত্তর : ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত কোনাে বিন্দুর বিপরীত বিন্দুই সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান।

প্রশ্ন ২। অক্ষাংশ কী?

উত্তর : নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনাে স্থানের, কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলে।

প্রশ্ন ৩। মূল মধ্যরেখা কাকে বলে? 

উত্তর : যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম  করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে।

প্রশ্ন ৪। নিরক্ষরেখা কী? 

উত্তর : দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেস্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তা নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা। 

প্রশ্ন ৫। আহ্নিক গতি কাকে বলে? 

উত্তর : পৃথিবী নিজ অক্ষে বা মেরুরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করে যার সময়কাল ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডপৃথিবীর এ’গতিকে আহ্নিক গতি বলে।

প্রশ্ন ৬ | গ্রহ কাকে বলে?

উত্তর: মহাকর্ষ বলের প্রভাবে যেসব জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট  সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিগমন করছে, এদের গ্রহ বলা হয়।

প্রশ্ন ৭। সৌরকলঙ্ক কাকে বলে? 

উত্তর : সূর্যের মধ্যে, মাঝে মাঝে যে কালাে দাগ দেখা যায় তাকে  সৌরকলঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ৮। গ্রহাণুপুঞ্জ কাকে বলে?

উত্তর : মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে অসংখ্য ক্ষুদ্র গ্রহ একত্রে পুঞ্জীভূত  হয়ে পরিক্রমণ করছে, এ পরিসরের মধ্যে আর কোনাে গ্রহ নেই। ৮০৫ কিলােমিটার থেকে ১.৬ কিলােমিটারের কম ব্যাসসম্পন্ন এসব  জ্যোতিষ্ককে গ্রহাণু বলে। একত্রিতভাবে এসব গ্রহাণুকে গ্রহাণুপুঞ্জ বলে। 

প্রশ্ন ৯। বার্ষিক গতি কাকে বলে?

উত্তর : পৃথিবী নিজ অক্ষে অবিরাম ঘুরতে ঘুরতে একটি নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে, নির্দিষ্ট দিকে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে পৃথিবীর এ পরিক্রমণকে বার্ষিক গতি বলে।

প্রশ্ন ১০। আহ্নিক গতি কাকে বলে? 

উত্তরঃ পৃথিবীর নিজ অক্ষের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ২৪ ঘণ্টায় একবার আবর্তন করাকে আহ্নিক গতি বলে।

প্রশ্ন ১১। সৌরজগৎ কাকে বলে?

উত্তর : সূর্য এবং এর গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণুপুঞ্জ, ধূমকেতু, উদ্ধা নিয়ে সূর্যের যে পরিবার তাকে বলা হয়:সৌরজগৎ।

প্রশ্ন ১২। মেরু রেখা কাকে বলে?

উত্তর : পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ বা মেরু রেখা বলে।

প্রশ্ন ১৩। সৌরকলঙ্ক কী?

উত্তর : সূর্যের মধ্যে মাঝে মাঝে যে কালাে দাগ দেখা যায় তাই হলাে সৌরকলঙ্ক।

প্রশ্ন ১৪। সৌরদিন কাকে বলে?

উত্তর : নিজ অক্ষের ওপর পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনকে সৌরদিন বলে।

প্রশ্ন ১৫। কেন্দ্রাতিগ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের উপর থেকে চারদিকে দুত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার যে প্রবণতা রয়েছে তাকে কেন্দ্রাতিগ শক্তি বলে।

প্রশ্ন ১৬। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে প্রমাণ সময় কতটি?

উত্তর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে প্রমাণ সময় ৪টি।

প্রশ্ন ১৭। প্রতিপাদ স্থান কাকে বলে? 

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত, কোনাে বিন্দুর বিপরীত বিন্দুকে সেই বিন্দুর প্রতিপাদ স্থান বলে।

প্রশ্ন ১৮। সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র কী?

উত্তরঃ সূর্য

প্রশ্ন ১৯।কোন যন্ত্রের সাহায্যে স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়? 

উত্তর : সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন ২০। সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহ কোনটি?

উত্তর : সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম গ্রহের নাম বুধ।

প্রশ্ন ২১। বাংলাদেশ কত ডিগ্রি অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশ ২০°৩৪’ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°.৩৮’ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে এবং ৮৮°.০১’ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ১২°.৪১ পূর্ব দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত।

প্রশ্ন ২২। কয়টি উজ্জ্বল বলয় শনিকে বেষ্টন করে আছে?

উত্তর : তিনটি উজ্বল বলয় শনিকে বেষ্টন করে আছে।

প্রশ্ন ২৩। সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা কত?

উত্তর : সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০°।

প্রশ্ন ২৪। সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ কোনটি?

উত্তর : সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ হলাে বৃহস্পতি।

প্রশ্ন ২৫। কোন গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়?

উত্তর : শুক্র গ্রহের আকাশে বছরে দুইবার সূর্য উদিত হয়।

প্রশ্ন ২৬ | অক্ষরেখা কী?

উত্তর : পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে কল্পিত রেখাকে অক্ষ (Axis) বা মেরুরেখা বলে।

প্রশ্ন ২৭। পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ কোনটি? 

উত্তর : পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।

প্রশ্ন ২৮। অনুসূর কী?

উত্তর : জানুয়ারির ১ থেকে ৩ তারিখে সূর্য পৃথিবীর নিকটতম অবস্থানে থাকে। একে পৃথিবীর অনুসূর বলে।

প্রশ্ন ২৯। সূর্যের উত্তরায়নের শেষ দিন কত তারিখ?

উত্তর : ২১ জুন হলাে সূর্যের উত্তরায়নের শেষ দিন।

প্রশ্ন ৩০। অক্ষাংশ কাকে বলে?

উত্তর : নিরক্ষরেখা হতে উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের অক্ষাংশ বলা হয়।

প্রশ্ন ৩১। পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ কত? 

উত্তর : পৃথিবীর কেন্দ্রে উৎপন্ন কোপের পরিমাণ ৩৬০°।

প্রশ্ন ৩২। কেন্দ্রাতিগ/কেভিমুখী শক্তি কী? 

উত্তর : পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের উপর থেকে চারদিকে দুতবেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চতুর্দিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে, একে কেন্দ্রাতিগ শক্তি বলে।’

প্রশ্ন ৩৩। দিনরাত্রি হওয়ার কারণ কী? 

উত্তর : পৃথিবীর আহ্নিক গতির কারণে দিনরাত্রি হয়।

প্রশ্ন ৩৪। পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ কত ডিগ্রি?

উত্তর : পৃথিবীর পরিধি দ্বারা উৎপন্ন কোণ ৩৬০ ডিগ্রি।

প্রশ্ন ৩৫। সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা কত?

উত্তর : সূর্যের উপরিভাগের উষ্ণতা ৫৭,০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

প্রশ্ন ৩৬। প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের কত সময় পর ভাটা হয়?

উত্তর : প্রত্যেক স্থানে জোয়ারের ৬ ঘন্টা ১৩ মিনিট পর ভাটা হয়।

প্রশ্ন ৩৭। কোন গ্রহের দুটি উপগ্রহ আছে?

উত্তর : মঙ্গল গ্রহের দুটি উপগ্রহ আছে।

প্রশ্ন ৩৮। প্রতিপাদ স্থান দুটির মধ্যে সময়ের পার্থক্য কত হবে? 

উত্তর : প্রতিপাদ স্থান দুটির মধ্যে সময়ের পার্থক্য হবে ১২ ঘন্টা।

প্রশ্ন ৩১। ৩০° উত্তর অক্ষরেখার প্রতিপাদ স্থান কত?

উত্তর : ৩০° উত্তর অক্ষরেখার প্রতিপাদ স্থান হচ্ছে ৩০° দক্ষিণ অক্ষাংশ।

প্রশ্ন ৪০। গুরুমণ্ডলের উপরাংশকে কী বলা হয়?

উত্তর : গুরুমণ্ডলের উপরাংশকে বলে অশ্বমণ্ডল বা শিলামণ্ডল।

প্রশ্ন ৪১। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পৃথিবীর পরেই কোন গ্রহের অবস্থান?

উত্তর : সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পৃথিবীর পর মঙ্গলের অবস্থান।

প্রশ্ন ৪২। মহাকর্ষণ শক্তি কাকে বলে?

উত্তর : পৃথিবীর সকল পর্দার্থের আকর্ষণ আছে এবং একটি অপরটিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণকে মহাকর্ষণ শক্তি বলে।

প্রশ্ন ৪৩। নিরক্ষরেখা কাকে বলে?

উত্তর : পৃথিবীর দুই মেরু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেন্টন করে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে নিরক্ষরেখা বা বিষুবরেখা বলা হয়।

প্রশ্ন ৪৪। প্রমাণ সময় কাকে বলে?

উত্তর : প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনাে স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় সে সময়কে ঐ দেশের প্রমাণ সময় বলা হয়।

প্রশ্ন ৪৫। কিসের সাহায্যে কোনাে স্থানের অবস্থান জানা যায়?

উত্তর : অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে কোনাে স্থানের অবস্থান জানা যায়।

প্রশ্ন ৪৬। পূর্ব-পশ্চিমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিস্তৃতি কত?

উত্তর : পূর্ব-পশ্চিমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিস্তৃতি ৪৪০ কি.মি.।

প্রশ্ন ৪৭। সূর্য চন্দ্র কত গুণ বড়?

উত্তর : সূর্য চন্দ্র অপেক্ষা প্রায় ২.৬০ কোটি গুণ বড়।

প্রশ্ন ৪৮। পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে কী বলে?

উত্তর : পৃথিবীর একটি পূর্ণ আবর্তনের সময়কে সৌরদিন বলে।

প্রশ্ন ৪৯। কুমেরু কাকে বলে?

উত্তর : অক্ষরেখার দক্ষিণ প্রান্ত বিন্দুকে দক্ষিণ মেরু বা কুমেরু বলে।

প্রশ্ন ৫০। বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর কোনটি? 

উত্তর : বায়ুমণ্ডলের সর্বনিম্ন স্তর হলাে ট্রপােমণ্ডল।

প্রশ্ন ৫১। কোন গ্রহ নীলাভ বর্ণের?

উত্তর : নেপচুন গ্রহ নীলাভ বর্ণের।

প্রশ্ন ৫২। সৌরজগতে কয়টি গ্রহ আছে?

উত্তর : সৌরজগতের ৮টি গ্রহ আছে।

প্রশ্ন ৫৩। সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক কে?

উত্তর : সৌরজগতের সকল গ্রহ ও উপগ্রহের নিয়ন্ত্রক হলাে সূর্য।

প্রশ্ন ৫৪। সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা কত গুণ বড়?

উত্তর : সূর্য পৃথিবী অপেক্ষা ১৩ লক্ষ গুণ বড়। .

প্রশ্ন ৫৫। পৃথিবী থেকে সূর্য কত দূরে অবস্থিত?

উত্তর : পৃথিবী থেকে সূর্য প্রায় ১৫ কোটি কিলােমিটার দূরে অবস্থিত।

প্রশ্ন ৫৬। গ্ৰহ কী?

উত্তর : মহাকর্ষ বলের প্রভাবে মহাকাশে কতকগুলাে জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পরিক্রমণ করেছে এদের গ্রহ বলে।

প্রশ্ন ৫৭। বুধ কী?

উত্তর : বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম ও সূর্যের নিকটতম গ্রহ।

প্রশ্ন ৫৮। সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে শুক্রের অবস্থান কত?

উত্তর : সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে শুক্রের অবস্থান দ্বিতীয় এবং এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ।

প্রশ্ন ৫৯। শুক্রের আয়তন কত?

উত্তর : শুক্রের আয়তন ৪৬০,২৩০,০০০ বির্গ কি. মি.।

প্রশ্ন ৬০। পৃথিবীর আয়তন কত?

উত্তর : পৃথিবীর আয়তন ৫১০,১০০,৪২২ বর্গ কিলােমিটার।

প্রশ্ন ৬১। সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব কত?

উত্তর : সূর্য থেকে মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ২২.৮ কোটি কিলােমিটার।

প্রশ্ন ৬২। মঙ্গল গ্রহের ব্যাস কত?

উত্তর : মঙ্গল গ্রহের ব্যাস ৬,৭৭৯ কিলােমিটার।

প্রশ্ন ৬৩। বৃহস্পতির উপগ্রহ কয়টি?

উত্তর : বৃহস্পতির উপগ্রহ ৬৭টি।

প্রশ্ন ৬৪। সূর্য থেকে শনির দূরত্ব কত?

উত্তর : সূর্য থেকে শনির দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলােমিটার।

প্রশ্ন ৬৫। নেপচুনের আয়তন কত?

উত্তর : নেপচুনের আয়তন ১৭,৬১৮,৩০০০০০ বর্গ কি.মি.।

প্রয় ৬৬। গুরুমণ্ডল কাকে বলে?

উত্তর : কেন্দ্রমণ্ডলের ওপর থেকে চতুর্দিকে প্রায় ২৮৮৫ কি. মি. পর্যন্ত মণ্ডলটিকে গুরুমণ্ডল বলে।

প্রশ্ন ৬৭। সমাক্ষরেখা কাকে বলে?

উত্তর : নিরক্ষরেখা থেকে প্রত্যেক রেখার কৌণিক দূরত্ব ৯০° এ কোণকে ডিগ্রি ৩ মিনিটে ভাগ করে নিরক্ষরেখার সমান্তরাল যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকে সমাক্ষরেখা বলে।

প্রশ্ন ৬৮। দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে?

উত্তর : নিরক্ষরেখাকে ডিগ্রি, মিনিট ও সেকেন্ডে ভাগ করে প্রত্যেক ভাগ বিন্দুর ওপর দিয়ে উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত যে রেখাগুলাে কল্পনা করা হয়েছে তাকে দ্রাঘিমারেখা বলে।

প্রশ্ন ৬৯। মূল মধ্যরেখা কাকে বলে?

উত্তর : যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরের উপকণ্ঠে গ্রিনিচ মানমন্দিরের ওপর দিয়ে উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত যে মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে তাকে মূল মধ্যরেখা বলে।

এয় ৭০। গ্রিনিচের দ্রাঘিমা কত ডিগ্রি?

উত্তর : গ্রিনিচের দ্রাঘিমা (৩) শূন্য ডিগ্রি।

প্রশ্ন ৭১। ঢাকার প্রতিপাদ স্থান কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : ঢাকার প্রতিপাদ স্থান দক্ষিণ আমেরিকার অন্তর্গত চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত।

প্রশ্ন ৭২। পৃথিবী দেখতে কেমন?

উত্তর : পৃথিবী প্রায় একটি গােলকের ন্যায়।

প্রশ্ন ৭৩। পৃথিবীর গতি কত প্রকার?

উত্তর : পৃথিবীর গতি দুই প্রকার। যথা- আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি।

প্রশ্ন ৭৪। পৃথিবীর গতি কী?

উত্তর : মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে সূর্যকে সম্মুখে রেখে পৃথিবী নিজ অক্ষে আবর্তন ও নির্দিষ্ট কক্ষপথে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করছে। এটাই পৃথিবীর গতি।

প্রশ্ন ৭৫। আহ্নিক গতির সময় কত?

উত্তর : আহ্নিক গতির সময় ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ৪ সেকেন্ড।

প্রশ্ন ৭৬। বার্ষিক গতির সময় কত?

উত্তর : বার্ষিক গতির সময় ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড।

প্রশ্ন ৭৭। সৌরবছর কত দিনে গণনা করা হয়?

উত্তর : সৌর বছর ৩৬৫ দিনে গণনা করা হয়।

প্রশ্ন ৭৮। ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিন হলে তাকে কী বলে?

উত্তর : ফেব্রুয়ারি মাস ২৯ দিন হলে তাকে লিপ ইয়ার বলে।

প্রশ্ন ৭৯। পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে কেন? –

উত্তর : বার্ষিক গতির ফলে পৃথিবীতে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর     

প্রশ্ন ৩২। একটি দেশে প্রমাণ সময় ব্যবহারের প্রয়ােজন হয় কেন?

উত্তর : একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট দূর করার জন্য প্রমাণ সময় প্রয়ােজন। প্রত্যেক দেশেই সেই দেশের মধ্যভাগের কোনাে স্থানের দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী যে সময় নির্ণয় করা হয় তাকে প্রমাণ সময় বলে। দ্রাঘিমারেখার উপর মধ্যাহ্নের সূর্যের অবস্থানের সময়কালকে দুপুর ১২টা ধরে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করলে একই দেশের মধ্যে সময় গণনার বিভ্রাট হয়। সেজন্য প্রত্যেক দেশের একটি প্রমাণ সময় নির্ণয় করা হয়। অনেক বড় দেশ হলে কয়েকটি প্রমাণ সময় থাকে।

প্রশ্ন ৩৩। “সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহস্পতি”- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সৌরজগতের সর্ববৃহৎ গ্রহ বৃহম্পতি। সূর্য থেকে বৃহস্পতি গ্রহের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। এর আয়তন পৃথিবীর প্রায় ১,৩০০গুণ। এর ব্যাস ১,৪২,৮০০ কিলােমিটার। এটি সূর্য থেকে প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলােমিটার দূরে। বৃহস্পতি ১২ বছরে একবার সূর্যকে এবং ৯ ঘন্টা ৫৩ মিনিটে নিজ অক্ষে আবর্তন করে। এ গ্রহটিতে পৃথিবীর একদিনে দুবার সূর্য ওঠে ও দুবার অস্ত যায়। এ গ্রহে গভীর বায়ুমণ্ডল আছে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগের তাপমাত্রা খুবই কম এবং অভ্যন্তরের তাপমাত্রা অধিক। এর ১৬টি উপগ্রহ রয়েছে।

প্রশ্ন ৩৪। আহ্নিক গতির ফলাফল উল্লেখ কর।

উত্তর : আহ্নিক গতির ফলে দিন ও রাত হয়। এ গতির ফলে চাঁদ। সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবীতে জোয়ার ও ভাটা হয়। আহ্নিক গতি সমুদ্রযােত ও বায়ুপ্রবাহের ওপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে।

প্রশ্ন ৫। স্থানীয় সময়ের পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবী গােলাকার এবং নিজ অক্ষ বা মেরুরেখার পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে অনবরত আবর্তিত হচ্ছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে উপস্থিত হয়। যে সময়ে কোনাে স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে চলে আসে অর্থাৎ ওই স্থানে সূর্যকে ঠিক মাথার উপর দেখা যায়, তখন তাকে মধ্যাহ্ন বা দুপুর ১২টা ধরা হয়। মধ্যাহ্ন অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় নির্ধারিত হয়। প্রতি এক ডিগ্রি দ্রাঘিমার জন্য স্থানীয় সময়ে ৪ মিনিট ব্যবধান হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ৩৬। পৃথিবী কেন জীবজগতের বাস উপযােগী?

উত্তর : পৃথিবী জীবজগতের জন্য বসবাস উপযােগী হওয়ার কারণ হলাে পৃথিবীতে আছে বায়ুমণ্ডল যার ৭৮.০১% নাইট্রোজেন, ২১.৭১%। অক্সিজেন এবং উত্তপ্তকারী ক্ষতিকর গ্যাস কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ অনেক কম। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাঁচার জন্য এর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া পৃথিবী এমন এক জায়গায় অবস্থিত যেখান থেকে বসবাস উপযােগী তাপ ও আলাে পাওয়া যায়। পাশাপাশি পৃথিবীতে রয়েছে প্রচুর আলাে, বাতাস ও পানি যা পৃথিবীকে বসবাসের উপযােগী করে তুলেছে।

প্রশ্ন ৩৭। সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহের বিবরণ দাও।

উত্তর : শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে শনির দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলােমিটার। শনি ২৯ বছর ৫ মাসে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে এবং ১০ ঘন্টা ৪০ মিনিটে নিজ অক্ষে একবার আবর্তন করে। শনি পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ গুণ বড় এবং খালি চোখে এটি দেখা যায়। তিনটি উজ্জ্বল বলয় শনিকে বেষ্টন করে আছে। শনির ৬২টি উপগ্রহের মধ্যে ক্যাপিটাস, টেথিস, হুয়া, টাইটান প্রধান।

প্রশ্ন ৩৮। সময় নির্ণয়ে কাল্পনিক রেখার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবী একটি গােলকের ন্যায় হওয়ার ফলে সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কাল্পনিক রেখার ভূমিকা অপরিসীম। গােলাকার পৃথিবী নিজ অক্ষের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে আবর্তন করছে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে আসে। যে সময়ে কোনাে স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে আসে সে সময়কে মধ্যাহ্ন ধরে প্রমাণ সময় নির্ধারণ করা হয়। এ কারণে সময় নির্ণয়ে কাল্পনিক রেখার গুরুত্ব অনেক বেশি।

প্রশ্ন ৩৯। ‘ছায়াবৃত্ত’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবী গােলাকার বলে সূর্যের আলাে একই সময়ে ভূপৃষ্ঠের সকল অংশের ওপর পড়ে না। আবর্তনের সময় যে অংশ সূর্যের দিকে থাকে সে অংশ সূর্যের আলােতে আলােকিত হয় এবং বিপরীত অংশে সূর্যের আলাে পড়ে না বলে তা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। পৃথিবীর যে অংশে সূর্যের আলাে পড়ে, সে অংশে তখন দিন হয় এবং তার বিপরীত দিকে তখন রাত হয়। পৃথিবীর আলােকিত অর্ধেক অংশ এবং অন্ধকার অর্ধেক অংশের মধ্যবর্তী বৃত্তর সীমারেখাকে ছায়াবৃত্ত বলে।

প্রশ্ন ৪০। গুরুমণ্ডলের গঠন ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভূত্বকের নিচের স্তরই গুরুমণ্ডল। কেন্দ্রমণ্ডলের উপর থেকে চতুর্দিকে প্রায় ২.৮৮৫ কিলােমিটার পর্যন্ত মণ্ডলটিকে গুরুমণ্ডল বলে।

সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি ভারী ধাতুগুলাের সংমিশ্রণে এ মণ্ডলটি গঠিত। এর উপরাংশে ১৪.৪৮ কি.মি, স্বরে ব্যাসল্ট জাতীয় উপাদান। দ্বারা গঠিত বলে একে ব্যাসল্ট অলও বলে। সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা মণ্ডলটি গঠিত বলে একে সিসা বলে।

প্রশ্ন ৪১। বায়ুমন্ডলে মানুষের সবচেয়ে প্রয়ােজনীয় স্তর কোনটি? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বায়ুমণ্ডলে মানুষের সবচেয়ে প্রয়ােজনীয় স্তর ট্রেপােমডল। 

ট্রগােমন্ডল ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন স্তর বা বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর। এর স্তরটির গড় গভীরতা প্রায় ১৩ কি.মি.। আর্দ্রতা, কুয়াশা, মেঘ, বৃষ্টি, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি এ স্তরে লক্ষ করা যায়। উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এ স্তরে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যায়। আবহাওয়া ও জলবায়ুজনিত যাবতীয় প্রক্রিয়া বায়ুমণ্ডলের এ স্তরে ঘটে।

প্রশ্ন ৪২। জোয়ার ভাটার ব্যবধান ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবী ও চন্দ্র নিজ অক্ষের ওপর পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে প্রদক্ষিণ করে। আবার চন্দ্র নিজ কক্ষপথে ২৭ দিনে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে বলে পৃথিবীর একবারে আবর্তনকালে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টায় চাঁদ (৩৫০ + ২৭) বা ১৩° পথ অতিক্রম করে। পৃথিবী ও চাদ উভয়েই যেহেতু পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘুরছে তাই পৃথিবী উক্ত ১৩° পথ আরও (১৩ x ৪) = ৫২ মিনিটে অতিক্রম করে। তাই কোনাে স্থানে মুখ্য জোয়ার হওয়ার ১২ ঘন্টা ৫৬ মিনিট পর সেখানে গৌণ জোয়ার হয় এবং মুখ্য জোয়ারের ২৪ ঘণ্টা ৫২ মিনিট পর সেখানে আবার মুখ্য জোয়ার হয়। এভাবে জোয়ারের ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পর ভাটা হয়।

প্রশ্ন ৪৩। স্থানীয় সময় ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে তার নিজ মেরুরেখার উপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্বদিকে অবস্থিত স্থানগুলােতে আগে সূর্যোদয় হয়। পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনাে স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং ওই স্থানের ঘড়িতে তখন বেলা ১২টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয়। একে ওই স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যেও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায়।        

Leave a Comment