সুভা গল্পের গুরুত্বপূর্ণ সৃজনশীল প্রশ্ন    

১. জন্মান্ধ রুবিনা তার পরিবার ও নিজের চেষ্টায় ২০১৭ সালে এস.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। সাংবাদিকরা তার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে সে জানায় সে অন্ধ হলেও কারও ওপর নির্ভর করে বসে থেকে পরিবারের বােঝা হতে চায় না। সে আরও লেখাপড়া করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করতে চায়।

ক. সুভার বাবার নাম কী?

খ. সে ভাষাবিশিষ্ট জীব’- কার সম্পর্কে কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনা দাও।

ঘ. “সুভা যদি উদ্দীপকের রুবিনার মতাে সমর্থন ও সহযােগিতা পেত তাহলে তার এ পরিণতি হতাে না”- মন্তব্যটি যাচাই কর ।

  • বাংলা ১ম পত্রের অন্যান্য গল্প ও কবিতার মূলভাব, জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন পেতে ক্লিক করুন

২. মা-মরা মেয়ে মিনু। বাবা জন্মের আগেই মারা গেছে। সে মানুষ হচ্ছে এক দূরসম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে। বয়স মাত্র দশ, কিন্তু এই বয়সেই সবরকম কাজ করতে পারে সে। সবরকম কাজই করতে হয়। লােকে অবশ্য বলে যােগেন বসাক মহৎ লােক বলেই অনাথা বােবা মেয়েটাকে আশ্রয় দিয়েছেন।

ক. গোসাইদের ছােট ছেলেটির নাম কী?

খ. সুভা মনে মনে বিধাতার কাছে অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করত কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের মিনু সুভা’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতীক? নিরূপণ কর।

ঘ. “উদ্দীপকের মিনুর সাথে সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্য থাকলেও সুভার জগৎটি ভিন্ন।”_ উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৩। প্রকৃতি বলতে পরিবেশে অবস্থিত উপাদানসমূহের সামষ্টিক রূপকে বােঝায় ।।প্রকৃতির ভাষা আছে কিন্তু শব্দহীন, প্রাণ আছে কিন্তু কোলাহলহীন, সৌন্দর্য আছে কিন্তু বাহুল্যহীন। ফলে প্রকৃতিকে হঠাৎ করেই অনুধাবন করা যায় না। প্রকৃতির স্বরূপকে বুঝতে হলে চাই অনুধাবন শক্তি। প্রকৃতির পরতে পরতে দৃষ্টির বিচরণ  করাতে পারলে, প্রকৃতির ডাবের সাথে আপনার মনের ভাবকে মিলিয়ে নিতে পারলে, প্রকৃতি ধরা দেয় প্রাণবন্তভাবে। প্রকৃতির প্রতি অনুরক্ত থাকার কারণেই প্রকৃতি কবির কাছে ধরা দিয়েছে মাতারূপে। আর কবি বলেছেন

“ও আমার বাংলা মা তাের

আকুল করা রূপের সুধায়

হৃদয় আমার যায় জুড়িয়ে।”

ক. ‘ঝিল্লিরব’ অর্থ কী?

খ. প্রতাপের প্রতি তার বাবা-মায়ের নিরাশ হওয়ার কারণ কী?

গ. উদ্দীপকটি ‘সুভা’ গল্পের কোন ভাবকে নির্দেশ করে?

ঘ. “উদ্দীপকের কবি ও ‘সুভা’ গল্পের সুভা প্রকৃতির প্রতি সমান অনুরক্ত।” – তথ্যটি বিশ্লেষণ করো 

৪। কুলপি নদী এঁকেবেঁকে বয়ে যায় বাখারীপুর দিয়ে। প্রসার তেমন নয় নদীটির, কিন্তু আপন গাম্ভীর্যে হেলে দুলে বয়ে যায়। আশেপাশের গ্রামের সঙ্গে তার মাতা-ভগ্নির পেলে শুষে নেয় তার জল। মাধবীলতা রোজ বিকেলে নদীর পাড় ঘেঁষে হাঁটে যথার্থতা প্রতিপন্ন কর সম্পর্ক। চারপাশের বৃক্ষগুলাে মাথা উচু করে দিন-রাত তাকে পাহারা দেয়। তৃষ্ণা মাধবীলতার মা নেই। নদীর জলে মাধবীলতা তার মায়ের ছবিই খোঁজে।

ক. মাঝিরা কখন খেতে যায়?

খ. ‘বিজন মহত্ত্ব’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের কোন চিত্রকল্পটি ফুটে উঠেছে?

ঘ. উক্ত চিত্রকল্পটি ‘সুভা’ গল্পের একমাত্র বিষয় নয়- মন্তব্যটির সত্যতা যাচাই কর।

৫। চোখের দৃষ্টি নেই যার, ব্রেইল পদ্ধতিতে সে লেখাপড়া করে তার শারীরিক ও অন্যান্য যােগ্যতা কাজে লাগাতে পারে। আসলে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ মানুষকে দক্ষ করে তােলে। তখন নানাক্ষেত্রে অবদান রাখার মতাে সে যােগ্য হয়ে ওঠে। তার সম্পর্কে আলাদা করে ভাবনার আর কোনাে প্রয়ােজন থাকে না। প্রতিবন্ধী, কিন্তু সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের চেয়েও সচল- এমন লােকও সমাজে অনেক আছে।

ক. কে সুভার গা চেটে দিত?

খ. সুভার যে সঙ্গীটি উন্নত শ্রেণির জীব তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য কেমন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সাদৃশ্য কোথায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকে প্রকাশিত চেতনা যদি ‘সুভা’ গল্পের সুভার পিতা-মাতার মধ্যে থাকত তবে সুভাকে নিয়ে তাদের এত চিন্তা-ভাবনা করতে হতাে না”- মন্তব্যটি বিচার কর।

৬। অমিত জন্ম থেকেই কথা বলতে পারে না। কিন্তু অমিত এবার এস.এস.সি. পরীক্ষায় জি.পি.এ. ৫ পেয়েছে। কারণ তার পিতা-মাতা তাকে খুব ভালাে একটি প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্মিত প্রতিষ্ঠানে রাখেন। এখন অমিত বাবা-মায়ের সাথে তার বাসায় থাকবে।

ক. কে জলকুমারী হতে চায়?

খ. সুভা অলৌকিক ক্ষমতা প্রার্থনা করে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের অমিতের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার বৈসাদৃশ্যের ক্ষেত্রটি কী? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘উদ্দীপকের অমিতের পিতা-মাতার মতাে যদি ‘সুভা’ গল্পের সুভার পিতা-মাতা সুভাকে পড়ালেখা শেখাত তবে সুভার পরিণতি ভিন্ন হতাে”-মন্তব্যটি যৌক্তিকতা বিচার কর।

৭। শিশুটি জন্ম নেওয়ার সময় তার বাবা-মা শিশুটির নীল চোখ দেখে নাম রেখেছিল নীলাঞ্জনা। কিন্তু কয়েক মাস যেতেই বাবা-মা বুঝতে পারে তাদের সন্তান অন্ধ। সে তার নীল চোখ দিয়ে কখনই দেখতে পাবে না। বড় হতে হতে নীলাঞ্জনা তার অক্ষমতা সম্পর্কে খুব ভালােভাবে বুঝতে পারে এবং মনে মনে কষ্ট পায়। তবে নীলাঞ্জনার খুব বেশি কষ্ট হলে সে গান গাইত।

ক. ‘শেষের কবিতা’ গ্রন্থটি কার লেখা?

খ. কেন সুভার সমস্ত হৃদয় অশ্রুবাম্পে একেবারে ভরে গিয়েছিল? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে নীলাঞ্জনার সাথে সুভা’ গল্পের সুভার বৈসাদৃশ্য কোথায়?

ঘ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের সুভার আর্তনাদ কতটুকু প্রকাশ পেয়েছে? বিশ্লেষণ কর।

৮) আসমা জন্ম থেকে বােবা। বাড়ির সমস্ত কাজকর্মে ও বুদ্ধিমত্তায় অন্য ভাইবােনদের থেকে সে এগিয়ে। কিন্তু বােবা বলে বারবার তার বিয়ের চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়। তাই গ্রামের লােকজন আসমার বাবাকে কটাক্ষ করে এবং তাদের পরিবারকে সমাজ থেকে আলাদা করে দেওয়ার প্রস্তাবও করে গ্রামের মাতব্বররা।

ক. প্রতাপ সুভাকে কী নামে ডাকত?

খ. “কিন্তু, তাহার সুদীর্ঘপল্লববিশিষ্ট বড়াে বড়াে দুটি কালাে চোখ ছিল”বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “উদ্দীপকটিতে আসমা ‘সুভা’ গল্পের সুভা চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ধারণ করে”- মন্তব্যটি যাচাই কর।

৯। সীমা কথা বলতে না পারলেও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে নিয়মিত যায় এবং লেখাপড়া করার চেষ্টা করে। কিন্তু তার বয়স বেড়ে যাওয়ায় এবং বােবা হওয়ার কারণে বিয়ে না হওয়ায় পাড়ার মানুষজন সীমার পরিবারকে সবসময় কথা শােনায়। এসব বুঝতে পেরে সীমা মন খারাপ করে গাছের নিচে বসে থাকে ও দূরের গ্রামের দৃশ্য দেখে। সে নীরব ভাষায় আপন মনে কথা বলতে থাকে।

ক. কে সুভাকে নিজের কুটিরূপে দেখতেন?

খ. “এখন সকলে তাহাকে সংক্ষেপে সুভা বলে”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সাথে সুভা’ গল্পের সুভার সাদৃশ্যের দিকটি নির্দেশ কর।

ঘ. “উদ্দীপকের সীমার এবং সুভা’ গল্পের সুভার হাহাকার এক ও অভিন্ন” মন্তব্যটি সম্পর্কে তােমার মতামত ব্যাখ্যা কর।

১০। সবাই পৃথিবীতে সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জন্মায় না। কেউ কেউ জন্মগতভাবে শারীরিক কিছু প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্মায়। তাদের আমরা শারীরিক প্রতিবন্ধী বলে থাকি। সমাজে তারা অনেক অবহেলিত। এমনকি নিজের পরিবারের কাছেও তাদের সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার করার দায়িত্ব আমাদের। কারণ তারাও আমাদেরই একজন। আর তারা যে প্রতিবন্ধিতা নিয়ে জন্ম নিয়েছে এটার জন্য তারা দায়ী নয়। তাই তাদের সাথে আমাদের সবার ভালােবাসার সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত।

ক. কাদের দস্তুরমতাে অনুসন্ধান ও অর্থব্যয়ে বিয়ে হয়েছিল?

খ. বাণীকণ্ঠের শত্রু থাকার কারণ কী ছিল? বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকে সুভা’ গল্পের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের সুভার প্রতি অবহেলার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে”- মূল্যায়ন কর।

১১। আবিদ জন্ম থেকে কানে শুনতে পায় না। কিন্তু ইশারায় সে সব বােঝাতে এবং বুঝতে পারে। কারণ অসাধারণ কালাে দুটো বড় চোখ তার মনের সমস্ত ভাবকে ধারণ করত। কিন্তু সবাই তাকে ছােট করে দেখে বলে সে মনে কষ্ট পায়। মাঝে মাঝেই সে তার বাড়ির পােখা কুকুরটিকে নিয়ে বসে নিজের মতাে করে মনের ভাব বােঝানাের চেষ্টা করে।

ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন পরিবারের সন্তান?

খ. সুভার চোখকে কেন তর্জমা করার প্রয়ােজন হয় না?– বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের আবিদের সাথে ‘সুভা’ গল্পের সুভার অমিল কোথায়?

ঘ. “উদ্দীপকে ‘সুভা’ গল্পের অন্তর্নিহিত ভাব ফুটে উঠেছে”তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দেখাও।

Leave a Comment