সুখী মানুষ নাটিকার মূল বক্তব্য

সুখী মানুষ নাটিকার উৎসঃ 

‘সুখী মানুষ’ মমতাজ উদদীন আহমদের একটি নাটিকা ।এর দুটি মাত্র দৃশ্য। 

 

সুখী মানুষ নাটিকার পাঠের উদ্দেশ্যঃ

এ নাটিকা পাঠ করে শিক্ষার্থীরা উপলব্ধি করবে যে, অন্যায় ও অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থ বিত্তই মানুষের অশান্তির মূল কারন। বরং সৎ পথে নিজ পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকানির্বাহ করলেই জীবনে শান্তি মেলে । সুতরাং নীতিহীন পথে সম্পদ উপার্জনের পথ পরিহার করাই উত্তম।

সুখী মানুষ নাটিকার মূল বক্তব্যঃ

‘সুখী মানুষ’ নাটিকাটি একজন অত্যাচারী মােড়লের কাহিনি নিয়ে রচিত । মােড়ল মানুষকে ঠকিয়ে, মানুষের মনে কষ্ট দিয়ে ধনী হয়েছে। সে এখন অসুস্থ। তার মনে শান্তি নেই। চিকিৎসক বলেছেন, কোনাে সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলেই শুধু মােড়লের অসুস্থতা কেটে যাবে। কিন্তু পাঁচ গ্রাম খুজেও একজন সুখী মানুষ পাওয়া গেল না। 

অবশেষে একজনকে পাওয়া গেল , যে নিজের শ্রমে উপার্জিত আয় দিয়ে কোনােভাবে জীবিকা নির্বাহ করে সুখে দিনাতিপাত করছে। সে সুখে ঘুমাতে পারে, কারণ তার কোনাে সম্পদ নেই। ফলে তার কোনাে চোরের ভয় নেই। সে একজন প্রকৃত সুখী মানুষ। কিন্তু মুশকিল হলাে এই সুখী মানুষের কোনাে জামা নেই। অতএব মােড়লের সমস্যার সমাধান হলাে না। এখানে লেখকের বক্তব্য স্পষ্ট যে, অন্যায় ও অনৈতিকভাবে উপার্জিত অর্থ বিত্তই মানুষের অশান্তির মূল কারণ। সুখ একটা আপেক্ষিক ব্যাপার । একজনের অনেক সম্পদ থেকেও সুখ নেই।

আবার আরেকজনের কিছু না থাকলেও সে সুখী থাকতে পারে । সৎ পথে পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করলেই জীবনে শান্তি মেলে।

 

সুখী মানুষ নাটিকার লেখক পরিচিতিঃ

* মমতাজ উদ্দীন আহমদ পশ্চিম বঙ্গের মালদহ জেলায় ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহন করেন।

* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।

* কর্মজীবনে সরকারী কলেজে অধ্যাপনা শেষে ১৯৯২ সালে অবসর গ্রহন করেন।

* নাট্যকার ও নাট্যভিনেতা হিসেবে তিন বাংলাদেশে একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব।

 

তার উল্লেখযােগ্য রচনাঃ

* নাটক : স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা , রাজা অনুস্বারের পালা, সাত ঘাটের কানাকড়ি, আমাদের শহর , হাস্য লাস্য ভাষ্য

* প্রবন্ধ গবেষনা : বাংলাদেশের নাটকের ইতিবৃত্ত, বাংলাদেশের থিয়েটারের ইতিবৃত্ত

* সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি – শিশু একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বাংলা একাডেমি পুরস্কার , একুশে পদক লাভ করেন।

সুখী মানুষ নাটিকার গুরুত্বপুর্ন তত্ত্বঃ

* সুখী মানুষ একটি – নাটিকা।

* সুখী মানুষ নাটিকায় সবচেয়ে বেশী বয়স – কবিরাজের ।

* সুখী মানুষ নাটিকায় মােড়লের বয়স – ৫০

* সুখী মানুষ নাটিকায় উল্লেখিত গ্রামের নাম – সুবর্ণপুর।

* মােড়লের মামাতাে ভাইয়ের নাম – হাসু।

* মােড়ল মুরগী জবাই করে খেয়েছে – হাসুর ।

* মােড়লের যে রােগ হয়েছে তার নাম – হাড় মড়মড় ।

* ভূত ধরতে পারলে – মাছ ভাজা করে খাবে।

* সুখী মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে – কাঠ কেটে।

* সুখী মানুষের নেই – জামা ।

* আয়ুর্বেদ শামতে যিনি চিকিত্সা করেন তিনি – কবিরাজ।

* যার মরন নেই তাকে বলে – অমর।

* খুশি হয়ে কোনাে কিছু দেওয়াকে বলে – বকশিশ ।

* সাবাড় অর্থ – সমাপ্ত হওয়া ।

* তাজ্জব শব্দের অর্থ – অদ্ভুত।

* সুখী মানুষ নাটিকার দৃশ্য সংখ্যা – দুইটি ।

* সুখী মানুষ নাটিকার মােড়লের মনে – শান্তি নেই।

* মােড়লের অশান্তির কারন – মানুষকে কষ্ট দেওয়া ।

* সুখী মানুষের জামা গায়ে দিলে রােগ সেরে যাবে – কবিরাজের কথা ।

* খুঁজে পাওয়া সুখী মানুষ – অত্যন্ত গরিব।

* হারানাের কিছু নেই – সুখী মানুষের।

সুখ হলাে এক প্রকার – আপেক্ষিক ব্যাপার।

* সুখী মানুষ নাটিকার লেখকের বক্তব্য – স্পষ্ট ।

* সুখী মানুষ নাটিকায় মােট চরিত্র সংখ্যা – ৫টি।

* মানুষ ও প্রাণী অমর নয় , উক্তিটি – কবিরাজের।

* নাটক ছাড়াও মমতাজ উদ্দীন আহমদ রচনা করেছেন – গল্প, উপন্যাস ও সরস রচনা।

* কবিরাজের বয়স – ষাট বছর।

* মােড়ল শান্তি এনে দিতে বলল – হাসু মিয়াকে।

* মোড়লের যে অসুখ হয়েছে – হাড় মড়মড় রােগ।

* এ দুনিয়াতে ধনী বলছে – আরও ধন দাও ।

* সুখী লােকটির পেশা – কাঠ কাটা।

* সুখ – বড় কঠিন জিনিস।

* সুখী লােকটি থাকে – বনের মধ্যে একলা ঘরে।

* ওষুধে কাজ হয় না – মনের মধ্যে অশান্তি থাকলে।

* হাসু মিয়া মােড়লের – ফুফাত ভাই।

* সুখী মানুষ পাওয়ার জন্য – ৫টি গ্রাম খুঁজা হলাে ।

* সুখী মানুষটি খেয়ে দেয়ে – গান গাইতে গাইতে শুয়ে পড়ে।

* সম্পদই অশান্তির মূল কারন , উক্তিটি – লেখকের।

* মূর্খ অর্থ – নির্বোধ।

* সুখী লােকটির বয়স – ৪০ বছর।

* মােড়লের বিশ্বাসী চাকরের নাম – রহমত আলী।

* মােড়ল মানুষের কান্না দেখলে – হাসে।

* মােড়ল সুখী মানুষের জামার জন্য বকশিশ দেবে – হাজার টাকা।

Leave a Comment