সাহসী জননী বাংলা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১।

1.সবাই পালাচ্ছে শহর ছেড়ে দিগ্বিদিক।

নবজাতককে বুকে নিয়ে উদভ্রান্ত জননী

বনপােড়া হরিণীর মততা যাচ্ছে দুটে।

অদূরে গুলির শব্দ, আর্ত শব্দ সবখানে।

2.খাটি আর্যবংশ সদ্ভূত শিল্পীর কঠোর তত্ত্বাবধানে ত্রিশ লক্ষ কারিগর,

দীর্ঘ ন’টি মাস দিনরাত পরিশ্রম করে বানিয়েছেন এই ছবি।

এখনাে অনেক জায়গায় রং কাচা কিন্তু কী আশ্চর্য গাঢ় দেখেছেন?

ক. মধ্যরাতে কারা জাগে?

খ. কান কেটে দিয়েছি তােদের।’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপক i-এর সঙ্গে সাহসী-জননী বাংলা কবিতার যেদিকে সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপক ii-এ ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার বাঙালিদের সাহসী চেতনারই প্রকাশ ঘটেছে।”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

১নং প্রশ্নের উত্তর

ক। মধ্যরাতে নীলকমলেরা জাগে।

খ। কান কেটে দিয়েছি তােদের।’- এ কথা বলতে কবি পাকিস্তানি বর্বর হানাদারদের চরম অপমানের মাধ্যমে এই দেশ থেকে বিতাড়িত করার বিষয়টি বুঝিয়েছেন।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাস্ত্রে বাঙালিদের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তবু তারা বাঙালিদের বীরবিক্রমের কাছে শােচনীয়ভাবে পরাজয়বরণ করেছে। মুক্তিসেনারা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে যুদ্ধে পরাস্ত করে মাথানত করতে বাধ্য করেছে। তাদের কান কেটে দেওয়া মানে হচ্ছে চরম অপমানের সম্মুখে দাঁড় করানাে। আলােচ্য বক্তব্যে কবি পাকিস্তানিদের পরাজয় এবং তাদের আত্মসমর্পণ করাকে বুঝিয়েছেন।

গ। উদ্দীপক i-এর সঙ্গে ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞের দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার নিরস্ত্র নিরীহ ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা এদেশের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে। তাদের নির্মমতা থেকে এদেশের নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউ রেহাই পায়নি।

উদ্দীপকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে এদেশের মানুষের আত্মরক্ষার জন্য ছােটাছুটি করার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে শহর ছেড়ে মানুষের পালিয়ে যাওয়া, গুলির শব্দ, গুলিবিদ্ধ মানুষের আর্তনাদ প্রভৃতির কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়টি সাহসী জননী বাংলা কবিতায় প্রতিফলিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের দিককে নির্দেশ করে। হানাদাররা তখন এদেশের মানুষের সঙ্গে আসুরিক আচরণ করেছে। যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। মধ্যরাতে তারা আক্রমণ করে এদেশের মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেষ্টা করে। তাদের সেই হত্যা ও নির্যাতনের ভয়ে মানুষের ছুটে পালানাের বিষয়টি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ। “উদ্দীপক ii-এ ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার বাঙালিদের সাহসী চেতনারই প্রকাশ ঘটেছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

বাঙালি বীরের জাতি। তারা বিদেশি শাসক-শােষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নিজেদের অধিকার আদায় করেছে। অত্যাচার, নির্যাতনের ভয়ে বাঙালি কখনাে পিছপা হয়নি। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শত্রুর মােকাবিলা করেছে। তাদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

উদ্দীপক ii-এর কবিতাংশে কবি ত্রিশ লক্ষ কারিগর বলতে মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহিদকে বুঝিয়েছেন।’এখানে ‘ছবি’ হচ্ছে সবুজ-শ্যামলে ছাওয়া বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এদেশের মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। এদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভাের মুক্তিযােদ্ধারা দীর্ঘ নয় মাস প্রাণপণ যুদ্ধ করেছেন। উদ্দীপকের প্রতিফলিত মুক্তিযুদ্ধের এই চেতনা ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় প্রতিফলিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কবি এখানে বাঙালিদের সাহসী ভূমিকা এবং পাকিস্তানি শত্রু বাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করে স্বাধীনতা অর্জনের কথা বলেছেন।

সাহসী জননী বাংলা কবিতায় মুক্তিযােদ্ধাদের বীরত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এদেশের মানুষ জীবন বাজি রেখে সেদিন শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। তারা হানাদার বাহিনীর অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের সমুচিত জবাব দিয়েছে।

তারা দীর্ঘ নয় মাস ধরে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অনেক রক্ত ও আত্মদানের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। কবিতার এই বিষয়টি উদ্দীপক ii-এ প্রতিফলিত হয়েছে। এ দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন ২।

মাগাে ভাবনা কেন

আমরা তােমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে

তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি

তােমার ভয় নেই মা

আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।

ক. কখন হানাদার আসে?

খ. ‘চির কবিতার দেশ’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বর্ণিত বাঙালি চরিত্রের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ তিন চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার মূলভাবের প্রতিফলন ঘটেছে- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। মধ্যরাতে হানাদার আসে।

খ। ‘চির কবিতার দেশ’ বলতে বাংলা ও বাঙালির কবিতার এক সমৃদ্ধ ঐতিহাকে বােঝানাে হয়েছে।

‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় কবি বাঙালির সংগ্রামী ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছেন। বাংলাদেশকে ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে দাঁড় করিয়েছিল পাকিস্তানি শত্রুবাহিনী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা টিকতে পারেনি। বাঙালিরা কবিতার লালিত্য নিয়ে কোমলে, শ্যামলে বেড়ে উঠলেও তারা শত্রুর মােকাবিলায় দমে যায়নি। চির কবিতার দেশ’ বলতে কবি মূলত বাঙালির চিরচেনা প্রিয় দেশ বাংলাদেশকে বুঝিয়েছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানরা যে দেশটিকে স্বাধীন করেছেন সেই দেশটিকে কবি এখানে পরম শ্রদ্ধায় ও ভালােবাসায় ‘চির কবিতার দেশ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গ। উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় বর্ণিত বাঙালি চরিত্রের স্বভাব- কোমল, শান্ত, নিরীহ দিকটি ফুটে উঠেছে।

বাঙালির স্বভাববৈশিষ্ট্য কোমল। কিন্তু তারা অন্যায়ের প্রতিবাদী। অধিকার আদায় সংগ্রামে বাঙালি তাই বারবার রুখে দাঁড়িয়েছে। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে। আবার যারা বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাঙালি তাদেরকে কোমল হৃদয়ে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছে।

উদ্দীপকের প্রথম দুই চরণে বাঙালির শান্ত ও কোমল স্বভাব সম্পর্কে বক্তব্য প্রতিফলিত হয়েছে। ঐতিহ্যগত দিক থেকে বাঙালি জাতি শান্তিপ্রিয়; নম্র স্বভাবের। ধর্ম-বর্ণ নিয়ে এদের মধ্যে বাড়াবাড়ি নেই। সবাই সবার জন্য উদার ও মানবিক। উদ্দীপকে প্রতিফলিত বাঙালির এই বৈশিষ্ট্য সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায় প্রতিফলিত বাঙালির স্বভাববৈশিষ্ট্যের কোমল দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। আর্যরা আসার পর এদেরকে অনার্য জাতি বলে অভিহিত করা হয়। জাতিগতভাবে বাঙালি খর্ব এবং একটু কৃশ। চির কবিতার দেশের মানুষ বলে বাঙালি যে স্বভাবে কোমল তা কবি সাহসী জনীন বাংলা কবিতায়ও নির্দেশ করেছেন। পাকিস্তানি শত্রুরা বাঙালির সেই কোমল রূপটি প্রত্যক্ষ করেই তাদেরকে ভিতু ও ভেতাে বলে ধারণা করেছিল।

ঘ। উদ্দীপকের শেষ তিন চরণে ‘সাহসী জননী বাংলা’ কবিতার মূলভাবের প্রতিফলন ঘটেছে- মন্তব্যটি যথার্থ।

বাঙালি জাতির ইতিহাস গৌরবদীপ্ত। কালে কালে বহু অপশক্তি, শাসক, শােষক বাঙালির ওপর আঘাত হেনেছে। বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের সেই আঘাতের সমুচিত জবাব দিয়েছে। বাঙালি অন্যায়ের কাছে মাথানত করে কাপুরুষের মতাে পালিয়ে আসেনি। অন্যায়, অবিচার, নির্যাতনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

উদ্দীপকের শেষ তিন চরণে স্বদেশমাতাকে শত্রুর হাত থেকে মুক্ত করতে এবং মুক্ত রাখতে বাঙালির সাহসিকতার দিকটি প্রতিফলিত। কবি এখানে শত্রুর মােকাবিলায় বাঙালির নির্ভয় চেতনার দিকটিকে নির্দেশ করেছেন। এই দিকটি ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় প্রতিফলিত বাঙালির সংগ্রামী চেতনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উদ্দীপকে এদেশের মানুষের মনে কাব্যময় স্নিগ্ধতার সঙ্গে সাহসের ইস্পাতদৃঢ়তার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা সাহসী জননী বাংলা’ কবিতায়ও প্রতিফলিত হয়েছে।

‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তানি শত্রুরা এদেশের মানুষের স্বাধীনতার স্বপ্নকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে নির্মম অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তা প্রতিহত করেছে। শত্রুদের বিতাড়িত করে দেশকে শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন করেছে। এ দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন ৩।

(i) মরিয়া হয়ে কোদাল চালাচ্ছে মতি মাস্টারের দল। এ বাঁধ ভাঙতে দেবে না তারা। কিছুতেই না। তাদের সােনার ফসল ডুবতে

দেবে না তারা কিছুতেই। কখনই না।”

(ii) “মাগাে, ভাবনা কেন?

আমরা তােমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে,

তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানিতােমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।”

ক. মৃতের আগুন’ কোথায় চাপা?

খ. “কিন্তু কী ঘটল শেষে, কে দেখাল মহা প্রতিরােধ”- কথাটি দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের (i) এ সাহসী জননী বাংলা কবিতার প্রতিফলিত দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের (i) সাহসী জননী বাংলা কবিতার মূলভাবকে ধারণ করেছে কি? তােমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন কর।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক। মৃতের আগুন” বুকে চাপা।

খ। “কিন্তু কী ঘটল শেষে, কে দেখাল মহা প্রতিরােধ” কথাটি দ্বারা কবি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার জন্য বাঙালিদের কঠোর প্রতিরােধ গড়ে তােলার বিষয়কে বােঝাতে চেয়েছেন।

‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় কবি বলেছেন যে, যাদেরকে ভিতু ও ভেতাে বাঙালি বলে অভিহিত করা হয়েছিল, সেই বাঙালি জাতি সব মিথ্যাচার ব্যর্থ করে দিয়ে মহা প্রতিরােধ গড়ে তুলেছে। তারা শত্রুর আসুরিক আচরণ বিকট উল্লাস ব্যর্থ করে দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পথে এগিয়ে গিয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির শক্তি’ সম্পর্কে আগে যে ধারণা পােষণ করেছিল, বাঙালিরা তা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। এ বিষয়টি বােঝাতেই কবি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।

গ। উদ্দীপকের (i)-এ ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার প্রতিফলিত বাঙালি জাতির সাহসিকতা ও সংগ্রামী চেতনার দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালিরা দেশের প্রয়ােজনে বারবার প্রতিরােধ সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছে। বাঙালি তাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করতে জীবন বাজি রেখেছে। তারা সেই বিপদ দেখে পিছিয়ে যায়নি।

উদ্দীপক (i)-এ মতি মাস্টারের দলের চেষ্টায় বাঁধ রক্ষার মাধ্যমে সােনার ফসল ডুবতে না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। তারা মরিয়া হয়ে কোদাল চালিয়ে যাচ্ছে যাতে বাঁধটি রক্ষা করতে পারে। কারণ তারা কিছুতেই সেই বাঁধ ভেঙে সােনার ফসল ডুবতে দিতে চায় না। উদ্দীপকের মতি মাস্টারের এই চেষ্টা ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে বাঙালির মহা প্রতিরােধের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। বাঙালিরাও শত্রুর বিরুদ্ধে কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারা নিজেদের জীবনউৎসর্গ করে হলেও স্বাধীনতার শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে চেয়েছে। শুৎ মাথত্বি মাস্টারের দলের বাঁধ রক্ষা করার চেষ্টা সাহসী জননী বাংলা কবিতার বাঙালির স্বদেশকে শত্রুমুক্ত করার সাহসী চেতনার সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ। হ্যা, উদ্দীপকের (ii) সাহসী জননী বাংলা কবিতার মূলভাবকে ধারণ করেছে।

বাঙালি শান্ত ও নিরীহ জাতি হিসেবে পরিচিত। বাঙালির এ পরিচয়ের বাইরেও একটা পরিচয় আছে, তা হলাে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ-প্রতিরােধ গড়ে তােলা, শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানাে। যারা বাঙালির এ স্বভাব-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা রাখেনি তারা ভুল করেছে।

উদ্দীপকের (ii)-এ বাংলার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলেদের দেশের প্রয়ােজনে শত্রুর মুখােমুখি দাঁড়িয়ে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। দেশমাতার সাহসী সন্তানরা প্রিয় জন্মভূমি মাকে অভয় দিচ্ছে এই বলে যে, শত্রু এলে তারা অস্ত্র হাতে ধরতে জানে। তারা শত্রুকে পরাজিত করে দেশমাতাকে রক্ষা করবে। তাই দেশমাতা যেন শত্রুকে ভয় না করে। উদ্দীপকের এ বিষয় ও সংগ্রামী চেতনা ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার কবিও বাঙালির সাহসী চেতনা ও সংগ্রামী কর্মকাণ্ডের পরিচয় দিয়েছেন।

‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় কবি বাঙালির সংগ্রামী ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষকে যখন নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করেছে তখন বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের যার যা কিছু আছে তা নিয়েই শত্রুর মােকাবিলা করেছে। বাঙালিরা পাকিস্তানিদের অত্যাচারের সমুচিত জবাব দিয়েছে। এ কবিতায় বাংলা জননীকে রক্ষা করতে যে বাঙালিরা এগিয়ে, এসেছিল, উদ্দীপকেও সেই বাঙালি সন্তানরা স্বদেশমাতাকে রক্ষা করার অঙ্গীকার করেছে। এ দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন ৪।  

‘আসাদের মৃত্যুতে আমি

চিহ্ন; কেননা আমার বৃদ্ধ মাতার

অশুহীন; অশােক; কেননা

কণ্ঠে নেই আর্ত হাহাকার, নেই

নয়ন কেবল বজ্রবর্ষী, কেননা

অভিসম্পাত- কেবল

আমার বৃদ্ধ পিতার শরীরে

দুর্মর ঘৃণার আগুন।

এখন পশুদের প্রহারের

ক. সাহসী জননী বাংলা কবিতায় চির কবিতার দেশ বলা হয়েছে কাকে?

খ. “এবার বাঘের থাবা, ভােজ হবে আজ প্রতিশােধে”- চরণটিতে কবিমনের কোন ধরনের অভিমত ব্যক্ত হয়েছে? বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকের কবিতাংশে সাহসী জননী বাংলা কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকে সাহসী জননী বাংলা কবিতার সমগ্র অনুভূতি দৃশ্যমান।”- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৪ নং প্রশ্নের উত্তর

ক। ‘সাহসী জননী’ বাংলা কবিতায় বাংলাদেশকে চির কবিতার দেশ বলা হয়েছে।

খ। ‘এবার বাঘের থাবা, ভােজ হবে আজ প্রতিশােধে’- চরণটিতে কবিমনের মুক্তিযােদ্ধাদের শক্তিশালী আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিশােধ গ্রহণের ব্যক্ত করা হয়েছে।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এদেশের মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। এদেশের সাহসী মানুষ তাদের অত্যাচার নীরবে সহ্য করেনি। তারা পাকিস্তানি শত্রুদের ধ্বংস করার জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের সেই আক্রমণকে বাঘের থাবার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। তাদের শক্তিশালী আক্রমণের মধ্য দিয়ে চরম প্রতিশােধ গ্রহণের বিষয়টি প্রশ্নোক্ত লাইনটির মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়েছে।

গ। উদ্দীপকের কবিতাংশে সাহসী জননী বাংলা কবিতার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিশােধস্পৃহার দিকটি ফুটে উঠেছে।

বাঙালি শান্ত ও নিরীহ জাতি হিসেবে পরিচিত। বাঙালির এই পরিচয়ের বাইরেও একটা পরিচয় আছে, তা হলাে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ, শত্রুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানাে। যারা বাঙালির এই বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা রাখেনি তারা ভুল করেছে। 

উদ্দীপকে আসাদের মৃত্যুতে অশ্রুসিক্ত না হয়ে তাঁর মৃত্যুর প্রতিশােধ নেওয়ার সংগ্রামী চেতনার কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের কবির নয়ন এখানে ববর্ষী। কারণ নরপশুরা আসাদকে হত্যা করেছে, তার বাবাকে প্রহার করে ক্ষতবিক্ষত করেছে। তার বৃদ্ধ মাতার কণ্ঠে ছেলে হারানাের আর্তনাদের পরিবর্তে দুর্মর ঘৃণার আগুন জ্বলছে। তাই তিনি অভিসম্পাত না করে প্রতিশােধ প্রত্যাশা করেন। শত্রুর অন্যায়ের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশােধের যে স্পৃহা এখানে প্রতিফলিত তা সাহসী জননী বাংলা কবিতার শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিশােধের বিষয়টি নির্দেশ করে। এই কবিতায় কবি স্বাধীনতার শত্রুদের আক্রমণের জবাব বহুগুণে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। তিনি শত্রুদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিতে এবং তাদের কান কেটে দেওয়ার কথা বলেছেন। কারণ পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশে পৌরাণিক কাহিনির অসুরের মতাে তাণ্ডব চালিয়েছিল। নির্বিচারে গুলি করে নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করেছে। বাঙালি তাদের সেই অত্যাচারের সমুচিত জবাব দিয়েছে। উদ্দীপকের কবিও অনুরূপ প্রতিশােধের জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।

ঘ। “উদ্দীপকে ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার সমগ্র অনুভূতি দৃশ্যমান।”- মন্তব্যটি যথার্থ।

পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে শােষণ করে আসছিল। বাঙালিরা তাদের সেই শশাষণ থেকে মুক্ত হতে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করে, ন্যায্য অধিকার ও স্বাধীনতা দাবি করে। ন্যায্য দাবি হলেও পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী কিছুতেই তা মেনে নেয় না। তারা অন্যায়ভাবে বাঙালিদের ওপর দমন-পীড়নের নীতি অবলম্বন করে।

উদ্দীপকে আসাদের মৃত্যুতে তার স্বজনরা শােকের পরিবর্তে শত্রুর প্রতি চরম ঘৃণা প্রকাশ করেছে। তাদের ওপর পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর পীড়ননির্যাতনের প্রতিবাদ ও প্রতিশােধের জন্য তারা তৎপর হয়েছে। এখানে আসাদের মৃত্যুর চরম প্রতিশােধ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখানে যে ভাব প্রকাশ পেয়েছে তা সাহসী জননী বাংলা কবিতার মূলভাবের সঙ্গে অভিন্ন। শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিশােধের যে ইচ্ছা উদ্দীপকের কবিতাংশে প্রকাশ পেয়েছে তা আলােচ্য কবিতায় প্রতিফলিত কবির ইচ্ছার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কারণ উভয় ক্ষেত্রেই শত্রুর অত্যাচারের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রতিজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে।

‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় মাতৃভূমির বীরত্বপূর্ণ দেশপ্রেমের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য তার সন্তানেরা হাতে তুলে নিয়েছিল গ্রেনেড, রাইফেল। তারা বাংলা মায়ের অপমানের উপযুক্ত প্রতিশােধ নিয়েছে। শত্রুদের রক্তাক্ত হাত মুচড়ে দিয়েছে, কান কেটে দিয়েছে, অর্থাৎ পরাজিত করে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছে। প্রতিশােধের এই দিকটি উদ্দীপকেও প্রতিফলিত হয়েছে। উদ্দীপকের কবিতাংশের কবির মা আসাদের মৃত্যুতে শত্রুদের অভিসম্পাত না করে, আর্তনাদ না করে ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। এভাবে উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিশােধস্পৃহা এক ও অভিন্ন। এসব কারণে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন ৫।

যখন হানাদারবধ সংগীতে

ঘৃণার প্রবল মন্ত্রে জাগ্রত

স্বদেশের তরুণ হাতে

নিত্য বেজেছে অবিরাম

মেশিনগান, মর্টার গ্রেনেড ।

ক. মধ্যরাতে কারা এসেছিল?

খ. বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘুরেছিল কেন?

গ. উদ্দীপকের অনুভব ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার অনুভবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।”- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়।”- মূল্যায়ন কর।

৫ নং প্রশ্নের উত্তর

ক। মধ্যরাতে হানাদাররা এসেছিল।

খ। বর্ণমালা পথে পথে তেপান্তরে ঘােরার কারণ | ভাষার বর্ণমালা শত্রু কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ চেতনায় ও সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিল।

১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য এদেশের তরুণরা বুকের রক্ত ঝরিয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হওয়ার পর থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠী এদেশের মানুষকে নানাভাবে শােষণ করতে থাকে। তারা প্রথম আঘাত করে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ লােকের ভাষা বাংলা হওয়া সত্ত্বেও উর্দুকে চাপিয়ে দিয়ে। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগােষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বাংলা ভাষার পরিবর্তে এদেশের মানুষের ওপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্ত বাঙালি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে এবং এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তােলে। মূলত বাংলা ভাষার জন্য যে আন্দোলন ও সংগ্রামী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে পরবর্তীতে তা স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

গ। উদ্দীপকের অনুভব সাহসী জননী বাংলা কবিতার অনুভবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে নির্বাচনে বিজয়ী বাঙালিদের দমন করার জন্য হত্যা,  নির্যাতন, অগ্নিসংযােগে এদেশকে ধ্বংসভূপে পরিণত করেছিল। তাদের সেই অন্যায়ের প্রতিবাদে বাঙালিরা মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শত্রুদেরকে দেশছাড়া করে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে।

উদ্দীপকে প্রকাশ পেয়েছে, পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশকে যুদ্ধের শুরুতেই ছারখার করে দেওয়ার কারণে এদেশের মানুষের মনে জেগেছে হানাদারদের প্রতি প্রবল ঘৃণা। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে দারুণ সাহসে। মেশিনগান, গ্রেনেড আর মর্টার চালিয়েছিল শত্রুর বিরুদ্ধে। ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায়ও এ ভাবের প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। সহস্র মৃত মানুষ দেখে এদেশের মানুষের মনে যে ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠেছে, সেই ক্রোধেই তারা রাইফেল হাতে নিয়েছে। যে হাত কবিতা লিখত, সেই হাতেই আবার অস্ত্র চালিয়েছে শত্রুর বিরুদ্ধে। এভাবে দেখা যায় যে, উদ্দীপকের সঙ্গে সাহসী জননী বাংলা কবিতার অনুভবের সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ। উদ্দীপকের ভাবনা ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়।”- মন্তব্যটি যথার্থ। কারণ এতে স্বাধীনতা যুদ্ধ ছাড়াও বাংলার মানুষের সংগ্রামী চেতনার প্রকাশ ঘটেছে।

ঐতিহ্যগত দিক থেকে বাঙালি জাতি শান্তিপ্রিয় নম্র স্বভাবের। বাঙালি শিল্পমনা, শিল্পকর্মে তাদের দক্ষতা প্রশংসনীয়। এছাড়া ধর্ম নিয়েও এ জাতির মধ্যে বাড়াবাড়ি নেই। ফলে আপাত দৃষ্টিতে বেশ নিরীহ জাতি মনে হলেও বাঙালি যে একেবারেই নিরীহ নয়, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে তার প্রমাণ পেয়েছে শত্রুপক্ষ ও বিশ্ববাসী।

উদ্দীপকে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন বাংলায় তরুণদের সক্রিয় ভূমিকার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে। পাকিস্তানি সেনাদের নৃশংস তাণ্ডবে সেসময় এ দেশের মানুষ শিউরে উঠেছিল। আপনজনের রক্ত আর মৃতদেহ দেখে দেখে তাদের সেই ঘৃণা আরও প্রবল হয়ে উঠেছিল। ফলে তাদের মনে দারুণ উত্তেজনা জেগেছিল শত্রু হননের জন্য। তখন মারণাস্ত্র হাতে সাহসী তরুণ যুদ্ধ করেছিল অবিরাম। সাহসী জননী বাংলা কবিতায়ও এ ভাবের প্রকাশ লক্ষ করা যায়। পাকিস্তানিরা এদেশে যে অত্যাচারের পরাকাষ্ঠা চালিয়েছে তার প্রতিশােধ নিতে বাঙালিও যুদ্ধে নেমেছিল। বাঘের থাবা বসিয়েছিল শত্রুর বুকে। প্রতিশােধের নেশায় দিগ্বিদিকশূন্য হয়ে তারা লড়াই করেছিল এবং অবশেষে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল।

‘সাহসী জননী বাংলা কবিতায় কবি মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ের সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্যকেও ফুটিয়ে তুলেছেন। জাতিগতভাবে বাঙালি খর্ব এবং একটু কৃশ। ধর্মের প্রতি এদের কোনাে বাড়াবাড়ি নেই। ফলে বাঙালি জাতিকে স্বভাবগত দিক থেকে অনেকটা নিরীহ ভদ্র জাতি মনে হয়। উদ্দীপকে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেখানে বাঙালির ঐতিহ্যগত কোনাে প্রেক্ষাপট নেই। এসব কারণে উদ্দীপকটি ‘সাহসী জননী বাংলা কবিতার সামগ্রিক পরিচয় নয়।       

Leave a Comment