মানুষ কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। শিল্পপতি কবীর চৌধুরী দরিদ্র মানুষকে ভালােবাসেন। ঈদের দিন তিনি দরিদ্র মানুষের মাঝে কাপড়, চাল, ডাল, চিনি, সেমাই ইত্যাদি বিতরণ করেন। তাঁর  মতে সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।

ক। ফুকারি শব্দের অর্থ কী?

খ. কবি কালাপাহাড়কে কিসের আহ্বান জানিয়েছেন? কেন?

গ. কবীর চৌধুরী ‘মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত যে চরিত্রের বিপরীত সত্তা, ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “মানুষ’ কবিতায় বর্ণিত ভণ্ডদের মানসিকতা পরিবর্তনে কবীর চৌধুরীর মতাে ব্যক্তিদের প্রয়ােজনীয়তা অপরিসীম।”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

২। “মানুষ হইয়া মানুষকে কুকুর-বিড়ালের মতাে এত ঘৃণা করা মনুষ্যত্বের ও আত্মার অবমাননা করা নয় কি? আত্মাকে ঘৃণা করা আর পরমাত্মাকে ঘৃণা করা একই কথা। সেদিন নারায়ণের পূজারী বলিয়াছিলেন, “ভাই, তােমার সে-পরম দিশারী তাে হিন্দুও নয়, মুসলমানও নয়, সে যে মানুষ!” কী সুন্দর বুকভরা বাণী! এ যে নিখিল কণ্ঠের সত্য বাণীর মূর্ত প্রতিধ্বনি! যাহার অন্তর হইতে এই উদ্বোধনী-বাণী নির্গত হইয়া বিশ্বের পিষ্ট ঘৃণাহত ব্যথিতদের রক্তে রক্তে পরম শান্তির সুধা-ধারা ছড়াইয়া দেয়, তিনি মহা-ঋষি; তাহার চরণে কোটি কোটি নমষ্কার!”

ক. ‘মানুষ’ কবিতায় কে ভেবেছিল যে দেবতার বরে সে রাজা হয়ে যাবে?

খ. “মােল্লা পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবি!” বলার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের পুরােহিতের সঙ্গে মানুষ’ কবিতায় কার বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? নির্ণয় কর।

ঘ, “মানুষ’ কবিতায় কবি যে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তা উদ্দীপকে মূর্ত হয়ে উঠেছে।”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

৩। জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে 

সে জাতির নাম মানুষ জাতি;

এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত

একই রবি শশী মােদের সাথি।

বাহিরের ছােপ আঁচড়ে সে লোেপ,

ভিতরের রং পলকে ফোটে,

বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র

কৃত্রিম ভেদ ধুলায় ললাটে।

বংশে বংশে নাহিকো তফাত

বনেদি কে আর গর-বনেদি।

দুনিয়ার সাথে গাথা বুনিয়াদ

দুনিয়া সবারি জনম-বেদি।

ক. মােল্লা সাহেব কী নিয়ে মসজিদে তালা দিলেন?

খ. নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি’- পঙক্তিটি ব্যাখ্যা কর। 

গ. উদ্দীপকটি মানুষ’ কবিতার কোন দিকটি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপক ও ‘মানুষ’ কবিতায় মানুষের জয়গানই মুখ্য হয়ে উঠেছে।”– মন্তব্যটি যাচাই কর।

৪। বামন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র

কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লােটে।

রাগে অনুরাগে নিদ্রিত জাগে

আসল মানুষ প্রকট হয়,

বর্ণে বর্ণে নাইরে বিশেষ

নিখিল জগৎ ব্রহ্মময়।

ক. দ্যোলয় ধ্বংস করেছিলেন কে?

খ. কবি মানুষকে ‘মহীয়ান’ বলেছেন কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকটি মানুষ’ কবিতার কোন দিকটি ফুটিয়ে তুলছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “মানুষ’ কবিতা ও উদ্দীপক দুটোতেই মানুষের জয়গান মুখ্য হয়ে উঠেছে।”- বিশ্লেষণ কর।

৫। দুপুর বেলা হঠাৎ করেই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শােনা গেল। বাড়ির মালিক রশিদ মিয়ার ছেলে রাজু দরজা খুলে দেখতে পেল ময়লা ও ছেড়া কাপড় পর এক ব্যক্তি দাড়িয়ে আছেন। রাজুকে সেই ব্যক্তি বললেন, আমি কাল থেকে কিছু খাইনি, আমাকে একটু খেতে দেবে? রাজু বলল, আপনি কোন সম্প্রদায়ের? এ কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে এলেন রশিদ মিয়া। তিনি ছেলেকে বললেন, এই ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সে পরিচয়ের চেয়ে তিনি মানুষ এটিই তার বড় পরিচয় আর তার চেয়ে বড় কথা তিনি ক্ষুধার্ত, তাকে খেতে দাও। বাবার কথা শুনে রাজু তার ভুল বুঝতে পারল।

ক. কাকে দুয়ার খােলার কথা বলা হয়েছে?

খ. ক্ষুধার মানিক কেন জ্বলছে? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের রাজুর সঙ্গে ‘মানুষ’ কবিতার কোন চরিত্রের মিল আছে তা তুলে ধর।

ঘ. “মানুষ’ কবিতায় কবি যা বলতে চেয়েছেন উদ্দীপকে রশিদ মিয়া সে কথাই বলেছেন।”- মন্তব্যটি বিচার কর।

৬। ধর্মান্ধের ধর্ম নেই, আছে লােভ, ঘৃণ্য চতুরতা,

মানুষের পৃথিবীকে শত খণ্ডে বিভক্ত করেছে।

তারা টিকিয়ে রেখেছে শ্রেণিভেদ ঈশ্বরের নামে।

ঈশ্বরের নামে তারা অনাচার করেছে জায়েজ।

ক. তেরিয়া অর্থ কী?

খ. “দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হয়ে যাবে নিশ্চয়”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি মানুষ’ কবিতার সঙ্গে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মূলভাষ এবং মানুষ কবিতার মূলভাব একসূত্রে গাঁথা। মূল্যায়ন কর।

৭। স্তবক ১-

দেখিনু সেদিন রেলে,

কুলি বলে এক বাবু সা’ব তারে

গাহে স্বার্থের জয়!

ঠেলে দিলে নিচে ফেলে।

চোখ ফেটে এলাে জল,

এমনি করে কি জগৎ জুড়িয়া

মার খাবে দুর্বল?

স্তবক২-

হায়রে ভজনালয় 

তােমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড

গাহে স্বার্থের জয় 

ক. ‘বর’ শব্দের অর্থ কী?

খ. পূজারি মন্দিরের দ্বার বন্ধ করল কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. স্তবক : ১-এর প্রথম তিন চরণ মানুষ’ কবিতার কোন দিককে ধার করেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. স্তবক : ১-এর কবির মনােভাব এবং স্তবক : ২-এ মানুষ’ কবিতার অংশটিতে যা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভবকে ধারণ করেছে- কথাটির সত্যতা যাচাই কর।

৮। মাওলানা জালালউদ্দীন রুমি বলেছিলেন মনুষ্য হৃদয় কাবার চেয়েও উত্তম। তৎকালীন ধার্মিক গােষ্ঠী ক্ষেপে উঠেছিল। তুমি জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাদের ঈশ্বরের ঘরের স্থাপত্য কার হাতে? তার ভিত্তি বাস্তবায়ন কার হাতে? উত্তর এসেছিল মানুষের হাতে। তবে সেই মানুষের হৃদয় কি অধিকতর পবিত্র নয়? এভাবেই যুগে যুগে সকল মুনি, ঋষি, ধর্মাচার্য মানুষের জয়গান গেয়ে গেছেন। ধর্ম কিংবা ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে মানুষকে ছােট করার শিক্ষা কখনাে কোন ধর্মাবতার বা ধর্মগ্রন্থ দেয়নি। মানুষ সব যুগে সব ধর্মে, সব বাণীতেই শ্রেষ্ঠ হিসেবে ঘােষিত। স্বার্থান্ধ কিছু কুঞ্জই মানুষকে হেয় করেছে স্বার্থোদ্ধারে।

ক. মুসাফির মসজিদ-মন্দিরে কী নেই বলেছিল?

খ. হায় রে ভজনালয়- কবির এই আক্ষেপের কারণ ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে মানুষ’ কবিতার একাত্ততা উপস্থাপন কর।

ঘ. আচারসর্বস্ব ধর্মই আসলে সামাজিক-অর্থনৈতিক সব অসাম্য, বিভেদের মূল উদ্দীপক ও ‘মানুষ’ কবিতার আলােকে উটি ব্যাখ্যা কর।

৯। অন্ধকারে লুকিয়ে আপন মনে

কাহারে তুই পূজিস সংগােপনে,

নয়ন মেলে দেখ দেখি তুই চেয়ে দেবতা নাই ঘরে।

তিনি গেছেন যেথায় মাটি ভেঙে করছে চাষা চাষপাথর ভেঙে কাটছে যেথায় পথ, খাটছে বারাে মাস ।

রৌদ্রে জলে আছেন সবার সাথে,

ধুলা তাহার লেগেছে দুই হাতে

ক। কাজী নজুরুল ইসলাম কত বছর বয়সে দুরারােগ্য রােগে আক্রান্ত হন?

খ. নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি’- চরণটি দ্বারা কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের প্রথম তিনটি চরণ মানুষ’ কবিতার পূজারির জন্য শিক্ষণীয় কেন? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের শেষ চরণগুলাে প্রমাণ করে মানুষ’ কবিতার ভূখারির মাঝে, দেবতার বসস রয়েছে বিশ্লেষণ কর।

১০।

“আসিতেছে খুড় দিন,

দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ!

হাতুড়ি শাবল গাইতি চালায়ৈ ভাঙিল যারা পাহাড়,

পাহাড়-কাটা সে পথের দু-পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,

তােমারে সেবিতে হইল যারা মজুর, মুটে ও কুলি,

তােমারে বহিতে যাৱা পবিত্র অঙ্গে লাগাল ধূলি

তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদের গান,

তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উদ্ধান!”

ক. কে সবচেয়ে বড় মহীয়ান?

খ. “তিমিররাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুধার মানিক জ্বলে!” বলতে কী বােঝ?

গ. উদ্দীপকের মজুর, মুটে ও কুলির সঙ্গে ‘মানুষ’ কবিতার ভুখারির বৈসাদৃশ্য নির্ণয় কর।

ঘ. “উদ্দীপক ও ‘মানুষ’ কবিতায় তাদেরকেই ভৎসনা করা হয়েছে, যারা দুর্বলের প্রতি অন্যায় করে।”- আলােচনা কর।

১১। পৃথিবীর সব মানুষই এক। আর পৃথিবীতে যত ধর্ম আছে, তত আলাদা মত ও পথ আছে। মানুষের প্রতি মানুষের বৈষম্য কোনাে ধর্মই শিক্ষা দেয় না। অথচ ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষই মানুষের সঙ্গে বৈষম্য সৃষ্টি করে। এটা ধর্মের অপব্যবহার। মানুষ যদি বৈষম্য সৃষ্টি না করে মানুষের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে, তবে ধর্মেরই সেবা করা হবে।

ক. মানুষ’ কবিতানুযায়ী কোথায় চড়ে ভণ্ড স্বার্থের জয়গান করে?

খ. আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তােমায় কভু, আমার ক্ষুধার অন্ন তা বলে বন্ধ করনি প্রভু’। কথাটির ব্যাখ্যা দাও।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘মানুষ’ কবিতার আলােচনাগত বৈসাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. “আলােচনার বৈষম্য থাকলেও উদ্দীপক ও ‘মানুষ’ কবিতা একই আদর্শের ধারক”- এক্ষেত্রে তােমার মতামত ব্যক্ত কর।

Leave a Comment