মানবধর্ম কবিতার জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

মানবধর্ম কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন-১। সব লােক লালনের কোন বিষয়টি নিয়ে কথা বলে?

উত্তর; সব লােক লালনের জাত বা ধর্মের পরিচয় নিয়ে কথা বলে।

প্রশ্ন-২. লালন কীসের রূপ দেখেননি বলে মত দিয়েছেন?

উত্তর: লালন জাতের কী রূপ তা দেখেননি বলে মত দিয়েছেন।

প্রশ্ন-৩. তসৃবি, মালা এগুলােকে লালন শাহ্ কী বলেছেন?

উত্তর: তসবি, মালা এগুলােকে লালন শাহ্ জাতের চিহ্ন বলেছেন।

প্রশ্ন-৪.জন্ম বা মৃত্যুর সময় কীসের চিহ্ন থাকে না?

উত্তর: জন্ম বা মৃত্যুর সময় জাতের চিহ্ন থাকে না।

প্রশ্ন-৫। জলকে কখন কূপজল বলা হয়?

উত্তর: জল যখন গর্তে থাকে তখন তাকে কূপজল বলা হয় ।

প্রশ্ন-৬। জল গর্তে গেলে তার কী নাম হয়?

উত্তর: জল গর্তে গেলে তার নাম হয় কূপজল।

প্রশ্ন-৭। কূপজল ও গাজলকে কখন ভিন্ন বলা যায়?

উত্তর: কূপজল ও গাজলকে পাত্ৰ-অনুসারে ভিন্ন বলা যায়।

প্রশ্ন-৮, কবি জগৎ বেড়ে কীসের কথা সম্পর্কে বলেছেন?

উত্তর: কবি জগৎ বেড়ে জেতের (জাতের) কথা সম্পর্কে বলেছেন।

প্রশ্ন-৯, জগৎ জুড়ে কী নিয়ে কথা হয়?

উত্তর: জগৎ জুড়ে জাত-ধর্ম নিয়ে কথা হয়।

প্রশ্ন-১০, জগৎজুড়ে লােকে কী নিয়ে গৌরব করে?

উত্তর: জগৎজুড়ে লােকে জাত নিয়ে গৌরব করে।

প্রশ্ন-১১। লােকে যথা-তথা কী নিয়ে গৌরব করে?

উত্তর: লােকে যথা-তথা জাত নিয়ে গৌরব করে।

প্রশ্ন-১২. লালন ‘জেতের ফাতা’ কোথায় বিকিয়েছেন?

উত্তর: লালন জেতের ফাতা’ সাত বাজারে বিকিয়েছেন।

প্রশ্ন-১৩, জাতের ফাতা কোথায় বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: জাতের ফাতা সাত বাজারে বিক্রি করার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন-১৪, লালন সাত বাজারে কী বিকিয়ে দিয়েছেন?

উত্তর: লালন সাত বাজারে জাত-ধর্মের চিহ্ন বা বৈশিষ্ট্যকে বিকিয়ে দিয়েছেন।

প্রশ্ন-১৫, কয়’ শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: কয়’ শব্দটির অর্থ- বলে।

প্রশ্ন-১৬. জেতের অর্থ কী?

উত্তর: জেতের অর্থ হলাে— ‘জাতের’।

প্রশ্ন-১৭, যাওয়া কিংবা আসার বেলায় বলতে কী বােঝায়?

উত্তর: যাওয়া কিংবা আসার বেলায় বলতে জন্ম বা মৃত্যুর সময় বােঝায়।

প্রশ্ন-১৮. ‘কূপজল’ অর্থ কী?

উত্তর: কূপজল’ শব্দের অর্থ— কুয়াের পানি।

প্রশ্ন-১৯, ‘গগাজল’ শব্দটি মানবধর্ম’ কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

উত্তর: ‘গঙ্গাজল’ শব্দটি ‘মানবধর্ম’ কবিতায় পবিত্র অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।

প্রশ্ন-২০. ‘ফাতা’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ফাতা’ শব্দের অর্থ পার্থক্য।

প্রশ্ন-২১, হিন্দুদের কাছে পবিত্রতার প্রতীক কী?

উত্তর: হিন্দুদের কাছে পবিত্রতার প্রতীক গঙ্গার জল।

প্রশ্ন-২২. জেতের ফাতা’ অর্থ কী?

উত্তর: ‘জেতের ফাতা অথ’ জাত বা ধর্মের বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন-২৩. মানবধর্ম’ কবিতাটির রচয়িতা কে?

উত্তর: মানবধর্ম’ কবিতাটির রচয়িতা লালন শাহ্।

প্রশ্ন-২৪. কোন গানটি মানবধর্ম কবিতা হিসেবে পাঠ্যবইয়ে গৃহীত হয়েছে?

উত্তর: সব লােকে কয় লালন কী জাত সংসারে’ গানটি মানবধর্ম” কবিতা হিসেবে পাঠ্যবইয়ে গৃহীত হয়েছে।

প্রশ্ন-২৫. মানবধর্ম কবিতায় লালন ফকির কোন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন?

উত্তর: মানবধর্ম’ কবিতায় লালন ফকির মানুষের লাত-পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।

প্রশ্ন-২৬, লালন কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না?

উত্তর: লালন জাতকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না।

প্রশ্ন-২৭, মনুষ্যধর্মকে মূলকথা বলে মনে করেন কে?

উত্তর: লালন শাহ মনুষ্যধর্মকে মূলকথা বলে মনে করেন।

প্রশ্ন-২৮, লালন কীসের ভিন্নতার কথা বিশ্বাস করেন না?

উত্তর: লালন জাত ও ধর্মভেদে মানুষে মানুষে ভিন্নতার কথা বিশ্বাস করেন না।

প্রশ্ন-২৯, লালন শাহ্ কী ধরনের কবি?

উত্তর: লালন শাহ্ মানবতাবাদী মরমি কবি।

প্রশ্ন-৩০, লালন শাহ্ কার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন?

উত্তর: লালন শাহ সাধক সিরাজ সাঁই বা সিরাজ শাহর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৩১. লালন শাহের গুরু কে ছিলেন?

উত্তর: লালন শাহের গুরু ছিলেন সিরাজ সাঁই।

প্রশ্ন-৩২. লালন শাহ্ গানের মধ্যে নিজেকে কী নামে উল্লেখ করেন?

উত্তর: লালন শাহ গানের মধ্যে নিজেকে ফকির লালন নামে উল্লেখ করেন।

প্রশ্ন-৩৩, লালন কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন?

উত্তর: লালন হিন্দু ও মুসলমানের ধর্মীয় শাস্ত্র সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন।

প্রশ্ন-৩৪, লালন তার দর্শন কীসের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন?

উত্তর: লালন তার দর্শন গানের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন

প্রশ্ন-৩৫। লালন শাহের গানের বৈশিষ্ট্য কী?

উত্তর: লালন শাহের গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে অধ্যাত্মভাব ও মরমি রসব্যঞ্জনী।

প্রশ্ন-৩৬, অধ্যাত্মভাব ও মরমি রসব্যঞ্জনা কার গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য?

উত্তর: অধ্যাত্মভাব ও মরমি রসব্যঞ্জনা লালন শাহের গানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্ন-৩৭, লালন শাহের জন্ম কত সালে?

উত্তর: লালন শাহের জন্ম ১৭৭২ সালে।

প্রশ্ন-৩৮, কবি লালন শাহ্ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন? 

উত্তর: কবি লালন শাহ্ ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

 

মানবধর্ম কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। ‘সব লােক বলতে লালন কাদের বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: ‘সব লােক’ বলতে লালন মূলত জাত-ধর্মকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা মানুষদের বুঝিয়েছেন।

লালন কোন জাতি বা ধর্মের, তা নিয়ে সমাজের অনেক মানুষই প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। তারা জাত-ধর্মের ওপর ভিত্তি করে লালনকে বিচার করতে চেয়েছে। মানুষের মানুষ’ পরিচয়ের চেয়ে তার জাত-ধর্মকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে বলেই তারা লালনের জাত-পাতের পরিচয় জানতে উৎসাহী হয়েছে। লালন সব লােক’ বলতে মুলত উক্ত মানসিকতার মানুষদের কথাই বুঝিয়েছেন।

প্রশ্ন-২।  সব লােকে কয় লালন কী জাত সংসারে।’—বাখ্যা করাে।

উত্তর: আলােচ্য পর্ভূক্তিতে লালনের জাত-ধর্ম নিয়ে সমাজের মানুষের প্রশ্ন উত্থাপনের প্রসঙ্গটি বিবৃত হয়েছে।

লালন জাত-ধর্মের ভেদাভেদে বিশ্বাসী ছিলেন না। তিনি মনে-প্রাণে মানবধর্মকে ধারণ করেছিলেন। এ কারণে লালনের চলন-বলন তথা জীবনাচরণ দেখে তার জাত বা ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে ধারণা করা যেত। ফলে মানুষ তার জাত-ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করত যা আলােচ্য পত্তিতে ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন-৩। জাত পরিচয় নিয়ে লােকের জিজ্ঞাসার জবাবে লালন কী বলেন?

উত্তর: জাত পরিচয় নিয়ে লােকের জিজ্ঞাসার জবাবে লালন বলেন, জাতের কী রূপ তিনি জানেন না।

লালন মানুষের জাত পরিচয়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না। কোনাে মানুষকে তিনি জাত দেখে বিচার করেন না। তাই তার জাত পরিচয় নিয়ে লােকের জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি বলেন, জাতের কোনাে রূপ আছে কিনা, তা তিনি চোখে দেখেননি। 

প্রশ্ন-৪। যাওয়া কিংবা আমার বেলায় ক্ষেত্রে চিহ্ন রয় কার রে’- বলতে কী বােঝায়? 

উত্তর: জন্ম-মৃত্যুকালে মানুষ জাত-পাতের চিহ্নস্বরূপ তসৃবি বা জপমালা কোনােটাই ধারণ করে থাকে না— প্রশ্নোক্ত পক্তিটিতে এ দিকটিই ফুটে উঠেছে।

সমাজে জাত-পাত ভেদে মানুষে মানুষে ভিন্নতার কথা বলা হয়। সৃষ্টি করা হয় ভেদাভেদ, বিভাজন। মানুষের এ আচরণকে প্রশ্নবিদ্ধ করে লালনের ভাষ্য হলাে যে, মানুষ জন্ম-মৃত্যুকালে তাে ধর্ম-গােত্রের চিহ্ন বয়ে নিয়ে বেড়ায় না। তাই পৃথিবীতে জীবনযাপনকালেও জাত-ধর্মের বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা অনুচিত। মূলত, জাত-ভেদে মানুষে মানুষে দূরত্ব সৃষ্টিকারী মানুষদের বিবেকবােধ জাগ্রত করতে উক্ত প্রশ্নটি করেছেন লালন শাহ্।

প্রশ্ন-৫। মানবধর্মী কবিতায় ‘জেতের ফাতা’ বলতে কী বােঝানো হয়েছে?

উত্তর: মানবধর্ম’ কবিতায় ‘লেতের ফাতা’ বলতে জাতের চিহ্নকে বােঝানাে মানুষের প্রকৃত পরিচয় তার জন্ম, গােত্র বা বংশে নয়, তার যথার্থ পরিচয় তার মনুষ্যত্বে, বিবেক ও মানবিকতায়। লালন বংশমর্যাদা বা লতি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে মানা করেছেন। লেতের ফাতাকেও তিনি বিকিয়ে দিতে বলেছেন সাতে সারে।

প্রশ্ন-৬। লালন সে লেরে ফাত বিকিয়েছে সাত লারে-এখানে ‘সাত বাজারে’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর: ‘সাত বাজারে’ বলতে যেখানে-সেখানে জাত-পরিচয়কে বিলিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জাত বিভেদের ধারণা লালনের কাছে এতটাই মূল্যহীন যে, তিনি জাতের  চিহ্নকে যেখানে-সেখানে বিকিয়ে দিয়েছেন। জগতের লােকেরা জাতের মধ্যে ভেদাভেদ করে গৌরব করে। লালন মানুষের এই আত ও ধর্মভেদের ভিন্নতার কথা বিশ্বাস করেন না বলেই তিনি তভেদকে পুঁজি করে  রাখেননি।

প্রশ্ন-৭। ‘মানবধর্ম’ কবিতায় জাত বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: ‘মানবধর্ম’ কবিতায় জাত বলতে বিভিন্ন জাত বা ধর্মকে বােঝানাে হয়েছে।

পৃথিবীতে বিভিন্ন জাত বা ধর্মের মানুষ বাস করে। একেক জাতির মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতি একেক রকম। তবে জাতিগত পরিচয় মানুষের আসল পরিচয় নয়। তার আসল পরিচয় তার মনুষ্যত্বে। কেননা জাত-পাত বিধাতার সৃষ্টি নয়। মানুষই নিজেদের স্বার্থের জন্য জাতিভেদ করেছে। জাত বলতে কবি’ পৃথিবীতে বিরাজমান নানা জাতি বা ধর্ম সম্প্রদায়কে বুঝিয়েছেন।

প্রশ্ন-৮। সাধারণ মানুষ কেন জাত নিয়ে গর্ব করে?

উত্তর: মানবিক পরিচয়ের গুরুত্ব বােঝে না বলে লােকে জাতপাতের কথা ভেবে অযথা গৌরব করে।

লালন শাহ জাত-ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে মানবধর্মকেই শ্রেষ্ঠ মনে করতেন। কেননা, জন্ম ও মৃত্যুর সময় মানুষ জাত-ধর্মের উর্ধে অবস্থান করে। ধর্ম বা সম্প্রদায়গত পরিচিতির চেয়ে মানুষ পরিচয়টাই বড়। এ সত্যটি বােঝে বলেই লােকে জাতি-ধর্ম নিয়ে অযথা গৌরব করে।

প্রশ্ন-৯। লালন জাতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না কেন? বুঝিয়ে লেখাে।

উত্তর: লালন জাতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না কারণ তিনি মানবধর্মকে সবার উপরে স্থান দিয়েছেন।

লালন মানুষের জাত পরিচয়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না। কোনাে মানুষকে তিনি জাত দেখে বিচার করেন না। কেননা ‘তিনি মনে করেন, মানুষের প্রকৃত পরিচয় তার জন্ম, গােত্র বা বংশে নয়, তার যথার্থ পরিচয় তার মনুষ্যত্বে, বিবেক ও মানবিকতায়। এ কারণেই লালন জাতকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না।

প্রশ্ন ১০। লালন মানুষের ধর্ম অভিন্ন মনে করেছেন কেন?

উত্তর: পৃথিবীর সকল মানুষকে সমান বিবেচনা করে লালন মানুষের ধর্মকে অভিন্ন বলে ঘােষণা করেছেন।

লালন মানুষে মানুষে জাতিগত ও ধমীয় ভেদাভেদে বিশ্বাসী নন। তার মতে মানবতাই হলাে মানুষের জীবনের একমাত্র সত্য, একমাত্র ধর্ম। মানবতার ধর্মেই প্রতিটি মানুষের জীবন মহীয়ান হয়ে ওঠে। তাই তিনি মানুষের ধর্ম অভিন্ন বলে মনে করেছেন।

প্রশ্ন-১১। মানবধর্ম বলতে কী বােঝায়? ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: সকল জাত-ধর্ম-শ্রেণি-পেশার উর্ধ্বে মানুষের মানুষ পরিচয়টিকে মুখ্য করে তােলার চেতনাই হলাে মানবধর্ম ।

মানবধর্ম এমন এক চেতনা বা বােধ যেখানে জাত-পাত নিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ বা বৈষম্যের কোনাে স্থান নেই। মনুষ্যত্ববােধই এর মূল কথা। মানুষের মানুষ’ পরিচয়কে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সকল মানুষের মাঝে সমতা আনা উদ্দেশ্য। মানবধর্মের চেতনায় উজ্জীবিত হলে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বিরাজ করবে।          

Leave a Comment