ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা কর

মনে কর, তােমার নাম শিমুল। তুমি প্রথম আলাে পত্রিকার স্টাফ রিপাের্টার। এখন ‘ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন রচনা কর।

 

প্রতিবেদকের নাম – রুবাইয়াত রহমান।

প্রতিবেদনের বিষয় – ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি।

স্থান – সিলেট।

তারিখ – ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।

ভূমিকম্প ও জনমনে সচেতনতা সৃষ্টি

প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলাের মধ্যে ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ। এটি আকস্মিকভাবে আঘাত হেনে মুহূর্তের মধ্যে গােটা সভ্যতাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারে। অবশ্য তা নির্ভর করে ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যেই বাংলাদেশের অবস্থান। ইদানীং কিছুদিন পর পরই ভূমিকম্পের ধাক্কা লাগছে। বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ২/১ বার এদেশের অভ্যন্তর ভাগ ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। তবে মাত্রা বেশি ছিল না, তাই ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলােতে ভূমিকম্পের কেন্দ্র থাকায় আমাদের দেশে ব্যাপক কোনাে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারেনি। তবে বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। ভূমিকম্প কখন হবে তা যেমন আমরা কেউ বলতে পারি না, তেমনি তা প্রতিরােধ করার ক্ষমতাও আমাদের নেই। আমরা কেবল সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি। ভূমিকম্পের সময় জনগণ কী করবে, কোথায় থাকবে সে ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জনগণকে জানাতে হবে কীভাবে, কতটা নিরাপদ থাকা যায়। এগুলাে নিচে উল্লেখ করা হলােঃ

১. ঘরের শক্ত টেবিল, বেঞ বা ডেস্ক থাকলে মাথার উপর বালিশ দিয়ে আশ্রয় নিতে হবে এগুলাের নিচে।

২. হেলমেট থাকলে মাথায় পরে নিতে হবে।

৩. ছাদ ভাঙার আশঙ্কা থাকলে দেয়ালের ট্রায়াঙ্গাল স্থানে অবস্থান নিতে হবে।

৪. ‘ ঘরের বাইরের দিকের দেয়াল বা বিমের নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

৫. দুত গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ সংযােগ বন্ধ করে দিতে হবে।

৬. বাইরে থাকলে ভােলা বা ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে।

৭. বড় গাছ, ব্রিজ, বিদ্যুৎ লাইন থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে হবে।

৮. গাড়িতে থাকলে ধীরে ধীরে গাড়ি রাস্তার ধারে থামিয়ে গাড়ির মধ্যেই থাকতে হবে।

৯. বড় ভূমিকম্পের পর ‘আফটার শক’ হয়, এ সময় সতর্ক থাকতে হবে।

রুবাইয়াত রহমান

প্রতিবেদক

Leave a Comment