প্রশ্ন-১। বাবুরের মহত্ব’ কবিতায় দিল্লির সিংহাসন দখল করেছিলেন কে?
উত্তর: বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় দিল্লির সিংহাসন দখল করেছিলেন সম্রাট বাবুর।
প্রশ্ন-২৷ পাঠান বাদশা ইব্রাহিম লােদি কোথায় মারা যান?
উত্তর: পাঠান বাদশা ইব্রাহিম লােদি পানিপথের যুদ্ধে মারা যান।
প্রশ্ন-৩। ভারতের লােদি বংশীয় শেষ পাঠান সম্রাটের নাম কী?
উত্তর: ভারতের সােদি বংশের শেষ পাঠান সম্রাটের নাম ইব্রাহিম লােদি।
প্রশ্ন-৪৷ বাবুর পানিপথের যুদ্ধে কাকে পরাজিত করেন?
উত্তর: বাবুর পানিপথের যুদ্ধে সুলতান ইব্রাহিম লােদিকে পরাজিত করেন।
প্রশ্ন-৫৷ সম্রাট বাবুরকে দেশে ফিরে যেতে বলেছেন কে?
উত্তর: সম্রাট বাবুরকে দেশে ফিরে যেতে বলেছেন সংগ্রাম সিং।
প্রশ্ন-৬৷ কোন যুদ্ধে সংগ্রাম সিং-এর পতন হয়?
উত্তর: খানুয়ার যুদ্ধে সংগ্রাম সিং-এর পতন হয়।
প্রশ্ন-৭৷ সংগ্রাম সিংকে বাবুর কোথায় পরাজিত করেন?
উত্তর: সংগ্রাম সিংকে বাবুর খানুয়ার প্রান্তরে পরাজিত করেন।
প্রশ্ন-৮৷ বাবুরের মহত্ত্ব কবিতায় সম্রাট বাবুর ভারতের কোন অংশ জয় করেছিলেন?
উত্তর: বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় সম্রাট বাবুর ভারতের উত্তর অংশ জয় করেছিলেন।
প্রশ্ন-৯. সম্রাট বাবুর কোন জয়কে খাটি জয় বলে মনে করেননি?
উত্তর: সম্রাট বাবুর শুধু রাজ্য জয়কে খাটি জয় বলে মনে করেননি।
প্রশ্ন-১০। প্রজারঞ্জনে মন দিয়েছিলেন কে?
উত্তর: প্রজারঞ্জনে মন দিয়েছিলেন সম্রাট বাবুর।
প্রশ্ন-১১। হিন্দুদের হৃদয় জয় করার জন্য বাবুর কী করেছিলেন?
উত্তর: হিন্দুদের হৃদয় জয় করার জন্য বাবুর সুশাসন করেছিলেন।
প্রশ্ন-১২। বাবুরের ছদ্মবেশে রাজপথে ঘােরার কারণ কী?
উত্তর: প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা, নিজ চোখে অবলােকন করাই বাবুরের ছদ্মবেশে রাজপথে ঘোরার কারণ।
প্রশ্ন-১৩। চিতােরের তরুণ যােদ্ধার নাম কী?
উত্তর: চিতােরের তরুণ যােদ্ধার নাম রণবীর চৌহান।
প্রশ্ন-১৪। রণবীর চৌহান কে ছিলেন?
উত্তর: রণবীর চৌহান ছিলেন এক স্বদেশপ্রেমিক রাজপুত যুবক।
প্রশ্ন-১ রনবীর চৌহন কোথায় তলােয়ার লুকিয়ে রেখেছিলেন?
উত্তর: রনবীর চৌহান কুর্তার নিচে তলােয়ার লুকিয়ে রেখেছিলেন।
প্রশ্ন-১৬। রাজপথে ধুলায় পড়ে থাকা শিশুটি কার?
উত্তর: রাজপথে ধুলায় পড়ে থাকা শিশুটি এক মেথরের।
প্রশ্ন-১৭। শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে বাবুরকে কীসের ঘর্ষণ সহ্য করতে হয়েছিল?
উত্তর: শিশুটিকে বাঁচাতে গিয়ে বাবুরকে হাতির শুড়ের ঘর্ষণ সহ্য করতে হয়েছিল
প্রশ্ন-১৮। রাজপথে পথিকরা মেথর শিশুকে ফেলে রেখে বাবুরকে কী করতে বলেছিল?
উত্তর: রাজপথে পথিকরা মেথর শিশুকে ফেলে রেখে বাবুরকে গােসল করতে বলেছিল।
প্রশ্ন-১৯। বাবুর কীসের ছদ্মবেশ ধরেছিলেন?
উত্তর: বাবুর পর্যটকের ছদ্মবেশ ধরেছিলেন।
প্রশ্ন-২০। রনবীর চৌহান কাকে ভারতের যােগ্য পালক বলেছিল?
উত্তর: রনবীর চৌহান সম্রাট বাবুরকে ভারতের যােগ্য পালক বলেছিল।
প্রশ্ন-২১। বাবুর কোন ব্যাপারটিকে জীবন নেওয়ার চেয়ে কঠিন বলে মনে করেছেন?
উত্তর: বাবুর জীবন দেওয়াকে জীবন নেওয়ার চেয়ে কঠিন বলে মনে করেছেন।
প্রশ্ন-২২। রাজপথ থেকে যুবকটিকে উঠিয়ে বাবুর কী বলেছিলেন?
উত্তর: রাজপথ থেকে যুবককে উঠিয়ে বাবুর বলেছিলেন, ‘বড়ই কঠিন জীবন দেওয়া যে জীবন নেওয়ার চেয়ে।
প্রশ্ন-২৩। তরুণ যােদ্ধাকে বাবুর কোন পদে নিযুক্ত করেন?
উত্তর: তরুণ যােদ্ধাকে বাবুর তার দেহরক্ষী পদে নিযুক্ত করেন।
প্রশ্ন-২৪। মসনদ’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: মসনদ’ শব্দটির অর্থ সিংহাসন।
প্রশ্ন-২৫। করি-শুণ্ড শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: করি-শুণ্ড শব্দের অর্থ হাতির শুড়।
প্রশ্ন-২৬। গুপ্ত কৃপাণ অর্থ কী?
উত্তর: ‘গুপ্ত কৃপাণ’ অর্থ লুকানাে তলােয়ার।
প্রশ্ন-২৭। ‘দণ্ডবিধান’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: ‘দণ্ডবিধান’ শব্দটির অর্থ শাস্তি প্রদান।
প্রশ্ন-২৮। ‘জিনিতে’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: জিনিতে’ শব্দের অর্থ হলাে জয় করতে।
প্রশ্ন-২৯। বাবুর কে ছিলেন?
উত্তর: বাবুর ছিলেন ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
প্রশ্ন-৩০। ‘বাবুর’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: বাবুর’ শব্দটির অর্থ সিংহ।
প্রশ্ন-৩১। বাবুরের আসল নাম কী?
উত্তর: বাবুরের আসল নাম জহিরউদ্দিন মুহাম্মদ।
প্রশ্ন-৩২। সম্রাট বাবুর কত বছর বয়সে সিংহাসনে আরােহণ করেন?
উত্তর: সম্রাট বাবুর ১১ বছর বয়সে সিংহাসনে আরােহণ করেন।
প্রশ্ন-৩৩। অল্প বয়সে বাবুর কতবার সিংহাসন হারান?
উত্তর: অল্প বয়সে বাবুর দুইবার সিংহাসন হারান।
প্রশ্ন-৩৪। লােদি বংশের শেষ সুলতান কে ছিলেন?
উত্তর: লােদি বংশের শেষ সুলতান ছিলেন ইব্রাহিম লােদি।
প্রশ্ন-৩৫। পানিপথ যুদ্ধক্ষেত্র কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: পানিপথ যুদ্ধক্ষেত্র দিল্লির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
প্রশ্ন-৩৬। পানিপথে কয়টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
উত্তর: পানিপথে তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
প্রশ্ন-৩৭। ‘খানুয়ার প্রান্তর’ কী?
উত্তর: ‘খানুয়ার প্রান্তর আগ্রার পশ্চিমে অবস্থিত একটি রণক্ষেত্র।
প্রশ্ন-৩৮। মেবার রাজ্যের রাজধানীর নাম কী?
উত্তর: মেবার রাজ্যের রাজধানীর নাম চিতাের।
প্রশ্ন-৩৯। রাজপুত জাতির প্রাচীন শাখার নাম কী?
উত্তর: রাজপুত জাতির প্রাচীন শাখার নাম চৌহান।
প্রশ্ন-৪০। বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর: বাবুরের মহত্ব’ কবিতাটি লিখেছেন কালিদাস রায়।
প্রশ্ন-৪১। বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?
উত্তর: বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতাটি ‘পর্নপুট’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।
প্রশ্ন-৪২। বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় কার মহানুভবতা বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর: বাবুরের মহত্ব’ কবিতায় মুঘল সম্রাট বাবুরের মহানুভবতা বর্ণিত হয়েছে।
প্রশ্ন-৪৩। রাজপুত বীর তরুণ রণবীর চৌহান বাবুরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কোন রাজপথে ঘুরছিল?
উত্তর: রাজপুত বীর তরুণ রণবীর চৌহান বাবুরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দিল্লির রাজপথে ঘুরছিল।
প্রশ্ন-৪৪। বাবুর রাজপথে পড়ে থাকা মেথুর শিশুকে কীসের কবল থেকে উদ্ধার করেন?
উত্তর: বাবুর রাজপথে পড়ে থাকা মেথর শিশুকে মত্ত হাতির কবল থেকে উদ্ধার করেন।
প্রশ্ন-৪৫। বাবুরের মহত্ত্বে বিস্মিত হয় কে?
উত্তর: বাবুরের মহত্ত্বে বিস্মিত হয় রাজপুত যুবক।
প্রশ্ন-৪৬। রাজপুত যুবক কার পায়ে পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে?
উত্তর: রাজপুত যুবক বাবুরের পায়ে পড়ে নিজের অপরাধ স্বীকার করে।
প্রশ্ন-৪৭। কালিদাস রায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কালিদাস রায় পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৪৮। কালিদাস রায় কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: কালিদাস রায় ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-৪৯। কালিদাস রায় কোন পেশাকে আদর্শ পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: কালিদাস রায় বিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকে আদর্শ পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
প্রশ্ন-৫০। কালিদাস তাঁর কবিতায় কীসের সার্থক প্রয়ােগ ঘটিয়েছেন?
উত্তর: কালিদাস তার কবিতায় আরবি-ফারসি শব্দের সার্থক প্রয়ােগ ঘটিয়েছেন।
প্রশ্ন-৫১। কালিদাস রায় কবি হিসেবে কোন উপাধিতে ভূষিত হন?
উত্তর: কালিদাস রায় কবি হিসেবে কবিশেখর’ উপাধিতে ভূষিত হন।
প্রশ্ন-৫২। কোন বিশ্ববিদ্যালয় কালিদাসকে ডি.লিট উপাধি প্রদান করে?
উত্তর: রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কালিদাসকে ডি.লিট উপাধি প্রদান করে।
প্রশ্ন-৫৩। ক্ষুদকুঁড়া’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর: ‘ক্ষুদকুঁড়া’ কাব্যগ্রন্থটি কালিদাস রায়ের লেখা।
প্রশ্ন-৫৪। কালিদাস রায় কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: কালিদাস রায় ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাবুরের মহত্ব কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন-১। বাবুর কীভাবে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: দিল্লির লােদি বংশের পতন ঘটিয়ে বাবুর ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
১৫২৬ সালে বাবুর লােদি বংশের শেষ শাসক ইব্রাহিম লােদিকে পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করেন এর ফলে ভারতে লােদি বংশের অবসান ঘটে এবং মুঘল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয়। বাবুর দিল্লি দখল করার পর দ্রুত আগ্রাও তার আয়ত্তাধীনে এনে নিজের আধিপত্য সুদৃঢ় করেন। এরপর বানুয়ার যুদ্ধে রাজপুত শক্তিকে খর্ব করে তিনি দিল্লিতে মুঘল আধিপত্য সুদৃঢ় করেন।
প্রশ্ন-২। ‘ভারত যাদের তাদেরি জিনিতে এখনাে রয়েছে নাকি’, বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তর: ‘ভারত যাদের তাদেরি জিনিতে এখনাে রয়েছে বাকি’ বলতে ভারতের জনসাধারণের হৃদয় জয় করা যে এখনাে বাকি রয়েছে তা বােঝানাে হয়েছে।
সম্রাট বাবুর ভারতবর্ষে মােগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। দেশ দখল করতে সক্ষম হলেও তিনি এখানকার অধিবাসীদের মনে শুরুতেই স্থান করে নিতে পারেননি। তাই সাম্রাজ্য জয় করেও মানসিক তৃপ্তি পাননি তিনি। এ কারণেই তিনি বলেছেন-ভারত জয় করলেও জনগণের মন জয় করা এখনাে বাকি রয়েছে।
প্রশ্ন-৩। ‘কবরে শায়িত কৃতঘ্ন দৌলত’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: প্রশ্নোত উক্তিটির মাধ্যমে বাবুরের নিকট বিশ্বাসঘাতক দৌলত খাঁ লােদির পরাজয়ের দিকটিকে বােঝানাে হয়েছে।
বাবুরের মহত্ত্ব’ কবিতায় বাবুর যখন আক্রমণ করে তখন দৌলত খা, লােদি পাঞ্জাবের শাসক ছিলেন। তিনি তার শত্রু ইব্রাহিম লােদির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বাবুরকে ভারত আক্রমণ করতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি বাবুরের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করেন। কিন্তু যুদ্ধে তিনি বাবুরের কাছে পরাজিত ও নিহত হন। এ বিষয়টি বােঝাতেই আলােচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৪। বাবুর প্রজারঞ্জনে মন দিয়েছিলেন কেন?
উত্তর: একজন আদর্শ শাসক হিসেবে নিজের দায়িত্ববােধ থেকেই সম্রাট বাবুর ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই প্রজারঞ্জনে মনােনিবেশ করেছিলেন।
“সম্রাট বাবুর ভারতবর্ষে মােগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। দেশ দখল করতে সক্ষম হলেও তিনি এখানকার অধিবাসীদের মনে শুরুতেই স্থান করে নিতে পারেননি। তাই সাম্রাজ্য জয় করেও মানসিক তৃপ্তি পাননি তিনি। এ কারণেই সাম্রাজ্য জয়ের পরপরই তিনি প্রজারঞ্জনে মন দেন।
প্রশ্ন-৫। রাজপুত বীর বাবুরকে হত্যা করতে চেয়েছিল কেন?
উত্তর: জাতীয়তাবােধে উজ্জীবিত বীর নিজ জাতির পরাজয়ের গ্লানি ঘােচানাের উদ্দেশ্যেই বাবুরকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
বাবুর খানুয়ার যুদ্ধে রাজপুতগণকে চরমভাবে পরাজিত করেন। রণবীর চৌহান এ পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারে না। সে এই অপমানের প্রতিশােধ নিতে সংকল্পবদ্ধ হয়। আর এজন্যই মূলত রাজপুত বীর বাবুরকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
প্রশ্ন-৬। বাদশাহ বাবুর পর্যটকের বেশে বের হয়েছিলেন কেন?
উত্তর: বাদশাহ বাবুর প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা নিজ চোখে দেখার জন্য পর্যটকের বেশে বের হয়েছিলেন।
বাদশাহ বাবুর ছিলেন অত্যন্ত প্রজাবৎসল একজন সম্রাট। রাজ্যজয়ের পর তিনি চেয়েছিলেন সাধারণ প্রজাদের মন জয় করতে। প্রজাদের দুঃখ-দুর্দশা তিনি নিজ চোখে অবলােকন করতে চেয়েছিলেন। এ কারণে তিনি পর্যটকের বেশে রাস্তায় বের হয়েছিলেন।
প্রশ্ন-৬। শশাণিতে তাহার ক্ষালিত করিবে চিতােরের অপমান’- ব্যাখ্যা করে।
উত্তর: বাবুরের নিকট পরাজিত হয়ে রাজপুতগণ বাবুরকে হত্যা করে প্রতিশােধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
খানুয়ার যুদ্ধে সংগ্রাম সিংয়ের নেতৃত্বে রাজপুতগণ বাবুরের মুখােমুখি হয়। যুদ্ধে রাজপুত বাহিনী মুঘল বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়। রাজপুতগণ এ পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারে না। তারা বাবুরকে হত্যা করে তাদের প্রিয় আবাসভূমি চিতােরের অপমানের প্রতিশােধ নিতে বদ্ধপরিকর হয়। এ প্রসঙ্গেই আলােচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
প্রশ্ন-৭। ‘কর কী কর কী’ বলে জনতা চিকার করে ওঠে কেন?
উত্তর: বাবুরকে মত্ত হাতির সামনে ছুটে যেতে দেখে জনতা কর কী কর কী’ বলে চিৎকার করে ওঠে।
দিল্লির রাজপথে হঠাৎ করে এক মত্ত হাতি ছুটে আসে। প্রাণভয়ে সবাই পালিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু রাজপথে পড়ে থাকা মেথর শিশুকে বাঁচাতে বাবুর মত্ত হাতির পানেই ছুটে যেতে থাকে। হাতির পদতলে পিষ্ট হয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে তার এগিয়ে যাওয়া দেখে জনতা চিৎকার করে উঠেছিল।
প্রশ্ন-৮। “ফেলে দিয়ে ওরে এখন করগে স্নান”– উক্তিটি কেন করা হয়েছে।
উত্তর: মেথরের সন্তানের প্রতি ঘৃণা প্রকাশে আলােচ্য উক্তিটি করা হয়েছে।
মুঘল সম্রাট বাবুর রাজ্য বিজয়ের পর প্রজা সাধারণের হৃদয় জয়ে মনােযােগী হলেন। তিনি প্রজাদের দুঃখ-কষ্ট স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করার জন্য পর্যটকের বেশ ধারণ করে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ঘােরেন। ঘুরতে ঘুরতে একসময় বাবুর নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মত্ত হাতির কবল থেকে রাজপথে পড়ে থাকা একটি মেথর শিশুকে উদ্ধার করেন। তখন উপস্থিত জনতা মেথরের সন্তানকে স্পর্শ করায় বাবুরকে পবিত্র হওয়ার জন্য স্নান করতে বলে। মূলত এখানে নিচু জাতের মানুষের প্রতি অবজ্ঞা ও ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন-৯। ইহার জন্য বে-আকুব তুমি তাজা প্রাণ দিতে গেলে?’—উক্তিটি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: আলােচ্য পক্তিতে জনতার মাঝে মেথর শিশুর জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করার মানসিকতা ফুটে উঠেছে।
বাবুর রাজপথে পড়ে থাকা মেথর শিশুকে মৃত হাতির কবল থেকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নেন। এক মেথর শিশুর জন্য জীবনের ঝুঁকি নেওয়ায় বাবুরকে বেকুব তথা বুদ্ধিহীন বলে সম্বােধন করে। মেথর সম্প্রদায় সমাজে নিচু’ সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত বলে মেথর শিশুর জীবনকে তুচ্ছ মনে করেছে তারা। আলােচ্য উক্তিটির মধ্য দিয়ে জনতার চরম সাম্প্রদায়িক মনােভাব প্রকাশিত হয়েছে।
প্রশ্ন-১০। ‘বীরভােগ্যা এ বসুধা একথা সবাই কয়’— বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত উক্তিটি দ্বারা বােঝানাে হয়েছে- এ পৃথিবী শাসন করার অধিকার কেবল বীরের এবং পৃথিবীতে বীরের এ অধিকারই সর্বজন স্বীকৃত।
সম্রাট বাবুর ভারতবর্ষ জয়ের পর প্রজাসাধারণের হৃদয়জয়ে মনোেযােগী হলেন। কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত রাজপুতগণ কিছুতেই তাকে মেনে নিতে পারছিল না। চিতােরের রাজপুত রণবীর চৌহান প্রতিশােধস্পৃহায় অন্ধ হয়ে বাবুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে দিল্লীর রাজপথে ঘুরছিলেন। কিন্তু সম্রাট বাবুরের মহত্ত্বে বিস্মিত হয়ে তার প্রতিহিংসাপূর্ণ মনােভাবে পরিবর্তন ঘটে। তিনি বুঝতে পারেন বাবুরের মতাে বীরেরই ভারতের সিংহাসনে বসার অধিকার রয়েছে। সেই প্রকৃত যােগ্য এই সিংহাসনের।
প্রশ্ন-১১। রাজপুত যােদ্ধ কেন বাবুরের নিকট আত্মসমর্পণ করেন?
উত্তর: বাবুরের মহত্তে মুগ্ধ হয়ে রাজপুত যােদ্ধা বাবুরের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
নিজ জাতির পরাজয়ের প্রতিশােধ নেওয়ার জন্য রাজপুত যােদ্ধা বাবুরকে হত্যা করতে চান। তিনি বাবুরের সন্ধানে দিল্লির রাজপথে ঘুরতে থাকেন। একসময় দেখেন যে, পর্যটকবেশী বাবুর নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে মত্ত হাতির কবল থেকে রাজপথে পড়ে থাকা একটি মেথর শিশুকে উদ্ধার করেন। রাজপুত যুবক বাবুরের এই মহত্ত্বে বিস্মিত হয়। তখন তিনি বাবুরের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
প্রশ্ন-১১। ‘প্রাণ-রক্ষকই হইলে আমার, প্রাণের ঘাতক নও’- ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: ঘাতক রাজপুত্র রণবীর চৌহানকে ক্ষমা করে মহৎপ্রাণ বাবুর তাকে তাঁর দেহরক্ষী হিসেবে নিয়ােগ করেন। উক্তিটিতে বাবুরের এই ঔদার্যই প্রকাশ পেয়েছে।
ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবুর। রাজ্য জয়ের পরেই তিনি মন দেন প্রজাদের হৃদয় জয়ের দিকে। কিন্তু যুদ্ধে পরাজিত রাজপুতগণ তাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। রাজপুত বীর তরুণ রণবীর চৌহান বাবুরকে হত্যা করার জন্য দিল্লির রাজপথে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এমন সময় বাবুর নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে হাতির কবল থেকে এক মেথর শিশুকে উদ্ধার করেন। যুবক রণবীর বাবুরের এই মহত্বে বিস্মিত হয়ে তাঁর কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে। মহৎপ্রাণ বাবুর তাকে ক্ষমা করে দেন এবং নিজের দেহরক্ষী নিয়ােগ করেন। কারণ বাবুর বিশ্বাস করতেন যে জীবন নেওয়ার চেয়ে জীবন দেওয়া অনেক কঠিন। তাই প্রাণের ঘাতককেই তিনি তার প্রাণের রক্ষক হিসেবে নিয়ােগ করলেন। এতে করে বাবুরের মহৎ আদর্শ ও মানবিক মূল্যবােধ প্রকাশ পেয়েছে।