নবম দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অধ্যায়ের ৪র্থ অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবন মূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 

বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন ১। জলবায়ু কী?

উত্তর : একটি বৃহৎ অঞ্চলব্যাপী আবহাওয়ার উপাদানগুলাের দৈনন্দিন অবস্থার দীর্ঘদিনের গড় অবস্থাকে ভালবায়ু বলে।

প্রশ্ন ২। গ্লাইস্টোসিন কাল কী?

উত্তর : আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিন কাল বলে।

প্রশ্ন ৩। ভূমিকম্পের কেন্দ্র কাকে বলে?

উত্তর : ভূঅভ্যন্তরের যে স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে।

প্রশ্ন ৪। কালবৈশাখীর ঝড় কাকে বলে?

উত্তর : গ্রীষ্মকালে সূর্য উত্তর গােলার্ধের কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটবর্তী হওয়ায় বায়ুর চাপের পরিবর্তন হয় এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে। একই সময়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুষ্ক ও শীতল বায়ু প্রভাবিত হয়। এ ঝড়কে কালবৈশাখী ঝড় বলে।

প্রশ্ন ৫। উপকেন্দ্র কী?

উত্তর : ভূকম্প বিজ্ঞানের পরিভাষায় উপকেন্দ্র হচ্ছে অবকেন্দ্র বা ফোকাসের সরাসরি উপরে অবস্থিত ভূপৃষ্ঠের উপরিতলের একটি বিন্দু, যেখানে ভূমিকম্প বা ভূগর্ভস্থ বিস্ফোরণ উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ৬। টেকটনিক প্লেট কী?

উত্তর : টেকটনিক প্লেট হলাে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব যার ভূত্বক বা পৃথিবীর উপরিতলের বর্ণনা দেওয়া হয় এবং এটি বিজ্ঞানসম্মত অনুঘটক যা ভূমিকম্পের জন্য দায়ী।

প্রশ্ন ৭। টিলা কাকে বলে?

উত্তর : ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরের পাহাড়গুলােকে স্থানীয়ভাবে টিলা বলে।

প্রশ্ন ৮। প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?

উত্তর: প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।

প্রশ্ন ৯। লালমাই পাহাড় বাংলাদেশের কোন ভূমিরূপের অন্তর্গত?

উত্তর : লালমাই পাহাড় বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সােপানসমূহ বা চত্বর ভূমিরূপের অন্তর্গত।

প্রশ্ন ১০। ভারত কোন জলবায়ু অঞলে অবস্থিত?

উত্তর : ভারত মৌসুমি জলবায়ু অঞলে অবস্থিত।



প্রশ্ন ১১। পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ কোনটি?

উত্তর : পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ হলাে বাংলাদেশ।

প্রশ্ন ১২। লালমাই পাহাড়ের গড় উচ্চতা কত মিটার?

উত্তর : লালমাই পাহাড়ের গড় উচ্চতা ২১ মিটার।

প্রশ্ন ১৩। নেপালের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত কত? 

উত্তর : নেপালের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৪৫ সে.মি.।

প্রশ্ন ১৪। মিয়ানমারের জলবায়ু কোন ধরনের?

উত্তর : মিয়ানমারের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি ধরনের।

প্রশ্ন ১৫। বাংলাদেশের মােট ক্ষেত্রের পরিমাণ কত বর্গমাইল?

উত্তর : বাংলাদেশের মােট ক্ষেত্রের পরিমাণ ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।

প্রশ্ন ১৬। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত একর ছিল?

উত্তর : ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ০.২৮ একর ছিল।

প্রশ্ন ১৭। লালমাই পাহাড়ের আয়তন কত?

উত্তর : লালমাই পাহাড়ের আয়তন ৩৪ বর্গকিলােমিটার।

প্রশ্ন ১৮। জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান কততম?

উত্তর : জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নবম।

প্রশ্ন ১৯। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী? 

উত্তর : বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের নাম তাজিওভং বা বিজয়।

প্রশ্ন ২০। বাংলাদেশের সমতল ভূমির আয়তন কত?

উত্তর : বাংলাদেশের সমতল ভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গ কিলােমিটার।



প্রশ্ন ২১। চিকনাগুল কী? 

উত্তর : বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি পাহাড় হলাে চিকনাগুল।

প্রশ্ন ২২। বাংলাদেশের শীতলতম মাস কোনটি?

উত্তর : বাংলাদেশের শীতলতম মাস হলাে জানুয়ারি।

প্রশ্ন ২৩। সিসমিক রিস্ক জোন কী?

উত্তর : কোনাে একটি এলাকায় ভূমিকম্পের সম্ভাব্য মাত্রা এবং ঝুঁকি চিহ্নিত করে যে বলয় চিহ্নিত করা হয় তাকে সিসমিক রিভ জোন বলে।

প্রশ্ন ২৪। বাংলাদেশ কত ডিগ্রি উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশ ২০°৩৪’ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ২৬°৩৮’ উত্তর অক্ষরেখার মধ্যে অবস্থিত।

প্রশ্ন ২৫। উত্তরের পাহাড়গুলাে স্থানীয়ভাবে কী নামে পরিচিত?

উত্তর : উত্তরের পাহাড়গুলাে স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ২৬। বাংলাদেশের জলবায়ু কী নামে পরিচিত?

উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু” নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ২৭। বরেন্দ্রভূমির আয়তন কত?

উত্তর : বরেন্দ্রভূমির আয়তন ৯,৩২০ বর্গ কিলােমিটার।

প্রশ্ন ২৮। কোথায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়?

উত্তর : প্রশান্ত মহাসাগরের বহিঃসীমানা বরাবর সবচয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়।

প্রশ্ন ২৯। বাংলাদেশের ভূখণ্ড কোন দিকে ঢালু?

উত্তর : বাংলাদেশের ভূখন্ড,উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে ক্রমশ ঢালু।

প্রশ্ন ৩০। বাংলাদেশের শীতকালের স্থায়িত্বকাল কী?

উত্তর : প্রতিবছর নভেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের শীতকালের স্থায়িত্বকাল।



প্রশ্ন ৩১। বাংলাদেশ কী ধরনের অঞ্চল?

উত্তর : বাংলদেশ পলল গঠিত একটি আর্ল অঞ্চল।

প্রশ্ন ৩২। বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়?

উত্তর : এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণে বাংলাদেশের অবস্থান।

প্রশ্ন ৩৩। বাংলাদেশের উত্তরে কোন দেশ অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম অবস্থিত।

প্রশ্ন ৩৪। বাংলাদেশের দক্ষিণে কী অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।

প্রশ্ন ৩৫। বাংলাদেশের পূর্বে কোন দেশ অবন্ধিত?

উত্তর : বাংলাদেশের পূর্বে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মিয়ানমার অবস্থিত।

প্রশ্ন ৩৬। বাংলাদেশের পশ্চিমে কোন দেশ অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।

প্রশ্ন ৩৭। বাংলাদেশের মােট আয়তন কত?

উত্তর : বাংলাদেশের মােট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কি.মি.।

প্রশ্ন ৩৮। বাংলাদেশের নদনদী কী কী?

উত্তর : বাংলাদেশের নদনদীগুলাে হলাে- পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলী ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩৯। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত?

উত্তর : ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১২.৯৩ কোটি।

প্রশ্ন ৪০। ২০০১ সালের হিসাব অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?

উত্তর : ২০০১ সালের হিসাব অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৭৬ জন।



প্রশ্ন ৪১। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত ছিল?

উত্তর : ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ছিল ২৮ একর।

প্রশ্ন ৪২। বর্তমানে মাথাপিছু জমির পরিমাণ কত?

উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ ২৫ একর।

প্রশ্ন ৪৩। বাংলাদেশের বিভিন্ন ঋতুতে জলবায়ুর তারতম্য ঘটে কেন?

উত্তর : মৌসুমি বায়ুর কারণে এদেশের বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঋতুতে জলবায়ুর কিছুটা তারতম্য ঘটে।

প্রশ্ন ৪৪। বাংলাদেশের জলবায়ু কী ধরনের?

উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু মােটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন।

প্রশ্ন ৪৫। এদেশের জলবায়ু কী নামে পরিচিত?

উত্তর : এদেশের জলবায়ু ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু’ নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ৪৬। বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ঋতুকে কত ভাগে ভাগ করা যায়?

উত্তর : বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের ঋতুকে ছয়টি ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রশ্ন ৪৭। বাংলাদেশে কখন গ্রীষ্মকাল হয়?

উত্তর : মার্চ হতে মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল।

প্রশ্ন ৪৮। বাংলাদেশে কখন বর্ষাকাল হয়?

উত্তর : বাংলাদেশে জুন হতে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল।

প্রশ্ন ৪৯। ভারত কোন জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত?

উত্তর : ভারত মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত।

প্রশ্ন ৫০। ভারতে কখন শীতকাল স্থায়ী হয়?

উত্তর : ডিসেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতে শীতকাল স্থায়ী হয়।



প্রশ্ন ৫১। ভারতে কখন গ্রীষ্মকাল?

উত্তর : মার্চ হতে মে মাস পর্যন্ত ভারতে গ্রীষ্মকাল।

প্রশ্ন ৫২। ভারতে কখন বর্ষাকাল থাকে?

উত্তর : জুন হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতে বর্ষাকাল থাকে।

প্রশ্ন ৫৩। ভারতে কখন শরৎ ও হেমন্তকাল?

উত্তর : অক্টোবর-নভেম্বর দুমাস ভারতে শরৎ ও হেমন্তকাল।

প্রশ্ন ৫৪। কখন মিয়ানমারে গ্রীষ্মকাল?

উত্তর : মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত মিয়ানমারে গ্রীষ্মকাল।

প্রশ্ন ৫৫। নেপালে কখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকে?

উত্তর : জুন হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নেপালে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকে।

প্রশ্ন ৫৬। ভূমিকম্প কী?

উত্তর : ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

প্রশ্ন ৫৭। সভ্যতার বহু ধ্বংসলীলার কারণ হিসেবে কাকে দায়ী করা হয়?

উত্তর : সভ্যতার বহু ধ্বংসলীলার কারণ হিসেবে ভূমিকম্পকে দায়ী করা হয়।

প্রশ্ন ৫৮। ভূমিকম্পের দিক থেকে বাংলাদেশ কী ধরনের অল?

উত্তর : ভূমিকম্পের দিক থেকে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।



বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন         

প্রশ্ন ২০। বাংলাদেশের বর্ষাকালীন জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু মােটামুটি উষ্ণ, আর্দ্র ও সমভাবাপন্ন।

বর্ষাকালে বায়ু বাংলাদেশের ওপর লম্বভাবে কিরণ দেওয়ায় এখানে অতিরিক্ত তাপ অনুভূত হওয়ার কথা থাকলেও এ ঋতুতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় তা হয় না। আবহাওয়া এ সময় সর্বদাই উষ্ণ থাকে। এ সময়ের গড় উষ্ণতা প্রায় ২৭ ডিগ্রি সে. বর্ষাকালের মধ্যে জুন ও সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি গরম পড়ে।

প্রশ্ন ২১। ভূমিকম্পের যেকোনাে একটি কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : ভূমিকম্পের কারণ অনুসন্ধানকালে বিজ্ঞানীরা লক্ষ করেন, পৃথিবীর বিশেষ কিছু এলাকায় ভূমিকম্পন বেশি হয়। এ সমস্ত এলাকায় নবীন পর্বতমালা অবস্থিত। তাদের মতে, ভিত্তিশিলা চ্যুতি বা ফাটল বরাবর আকস্মিক ভূআলােড়ন হলে ভূমিকম্প হয়।

প্রশ্ন ২২। কালবৈশাখীর ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : কালবৈশাখী এক প্রকার ঝড়। গ্রীষ্মকালে সূর্য উত্তর গােলার্ধের কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটবর্তী হওয়ায় বায়ুর চাপের পরিবর্তন হয় এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে। একই সময়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক হতে শুষ্ক ও শীতল বায়ু প্রবাহিত হয়ে যে ঝড়ের সৃষ্টি করে সে ঝড়কেই কালবৈশাখী ঝড় বলা হয়।

প্রশ্ন ২৩। ভারতের জলবায়ু কেন মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের ওপর নির্ভরশীল?

উত্তর : বিশাল আয়তনের দেশ হওয়ায় ভারতের জলবায়ু বিচিত্র।

অক্ষাংশ, সমুদ্র হতে দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতির ভিন্নতার কারণেই এর জলবায়ুও ভিন্ন। ভারত মৌসুমি অঞ্চলে অবস্থিত, ফলে এ দেশের উষ্ণতা, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা ইত্যাদি মৌসুমি বায়ুপ্রবাহের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে ভারতের ঋতুগুলাে হলাে : শীতকাল, গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল এবং শরৎ ও হেমন্তকাল।

প্রশ্ন ২৪। বাংলাদেশে মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়টি ব্যাখ্যা কর। 

উত্তর : বাংলাদেশের মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর প্রভাব বিস্তারকারী বিষয়টি হলাে জলবায়ু। বাংলাদেশের ভৌগােলিক অবস্থান এবং জলবায়ুজনিত কারণে এদেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা অধিক মাত্রায় প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মানুষের জীবন-জীবিকার নানা পরিবর্তন ঘটেছে। জলবায়ুজনিত ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, নদনদীর ভাঙন মানুষের জীবন-জীবিকার পরিবর্তন আনে। তাই বলা যায়, বাংলাদেশের জীবন-জীবিকার ওপর জলবায়ুর প্রভাব রয়েছে।



প্রশ্ন ২৬। প্লাবন সমভূমি’ বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : সমতল ভূমির ওপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্ষাকালে বাংলাদেশ বন্যার সৃষ্টি হয়। বছরের পর বছর এভাবে বন্যার সঙ্গে পরিবাহিত পলিমাটি সঞ্ছিত হয়ে যে সমভূমি গঠিত হয় সেটাই প্লাবন সমভূমি। বাংলাদেশে প্লাবন সমভূমির আয়তন ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলােমিটার। সমগ্র সমভূমির মাটির স্তর খুব গভীর এবং ভূমি খুব উর্বর। প্লাবন সমভূমি খুবই উর্বর বলে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ২৭। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের বর্ণনা দাও।

উত্তর : ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণের পাহাড়সমূহ নিয়ে বাংলাদেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞলের পাহাড়সমূহ গঠিত।

পাহাড়গুলাের উচ্চতা ২৪৪ মিটারের বেশি নয়। স্থানীয়ভাবে এসব পাহাড় টিলা নামে পরিচিত, যার গড় উচ্চতা ৩০-৯০ মিটার।

প্রশ্ন ২৮। বাংলাদেশে বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত কেন হয়?

উত্তর : বাংলাদেশে জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বর্ষাকাল। জুন মাসের শেষদিকে মৌসুমি বায়ুর আগমনের সাথে.বর্ষাকাল শুরু হয়।

এসময় সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেওয়ায় অতিরিক্ত তাপ অনুভব হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাপ স্থায়ী হতে পারে না। তবে আবহাওয়া উষ্ণ থাকায় দক্ষিণা বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। বাংলাদেশের মােট বৃষ্টিপাতের পাঁচ ভাগের চার ভাগ বর্ষাকালে হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ২১। ভূপ্রকৃতির গঠন কীভাবে জনসংখ্যার সঙ্গে সম্পর্কিত?

উত্তর : বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি সমতল হওয়াতে মােটামুটি সব জায়গায় জনবসতি রয়েছে। পার্বত্য এলাকা এবং সুন্দরবন অঞলে জীবিকা সংস্থান কষ্টসাধ্য হওয়ায় এ দুটি অঞ্চলে জনবসতির ঘনত্ব খুবই কম। সমতল নদী অববাহিকা অঞল উর্বর পলিমাটি দ্বারা সৃষ্ট। এ অঞ্চলে কৃষি আবাদ অনেকটা সহজসাধ্য। ফলে এসব অঞলে দ্রুত জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের যেসব অঞ্চলে খনিজ সম্পদ, কৃষিজ সম্পদ ও বনজ সম্পদ রয়েছে সেসব অঞলে জীবিকার সন্ধানে বহু শ্রমিক ও কর্মচারী জড়াে হয়ে এলাকাটিকে ঘনবসতিপূর্ণ করে তুলেছে। এভাবে ভূপ্রকৃতির গঠন জনসংখ্যার সাথে সম্পর্কিত।

প্রশ্ন ৩০। ভূমিকম্প-প্রধান অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশের পরিচয় দাও।

উত্তর : প্রশান্ত মহাসাগরের বহিঃসীমানা বরাবর সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প হয়। এ অংশের জাপান, ফিলিপাইন, চিলি, অ্যালিসিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, আলাস্কা সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।



প্রশ্ন ৩১। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার পূর্বাংশ এ অঞ্চলে অন্তর্গত। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলাের গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাজিওডং (বিজয়), যার উচ্চতা ১,২৩১ মিটার। এটি বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হচ্ছে কিওক্রাডং, যার উচ্চতা ১,২৩০ মিটার। এছাড়া এ অঞ্জলের আরও দুটি উচ্চতর পাহাড়চূড়া হচ্ছে মােদকমুয়াল (১,০০০ মিটার) এবং পিরামিড (৯১৫ মিটার)। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলাে বেলে পাথর, কর্দম ও শেল পাথর দ্বারা গঠিত।

প্রশ্ন ৩২। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞলের পাহাড়সমূহের বর্ণনা দাও।

উত্তর : ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিণের পাহাড়গুলাে নিয়ে এ অঞল গঠিত। পাহাড়গুলাের উচ্চতা ২৪৪ মিটারের বেশি নয়। উত্তরের পাহাড়গুলাে স্থানীয়ভাবে টিলা নামে পরিচিত। এগুলাের উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার। এ অঞ্চলের পাহাড়গুলাের মধ্যে চিকনাগুল, খাসিয়া ও জয়ন্তিয়া প্রধান। 

প্রশ্ন ৩৩। বাংলাদেশের প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ সম্পর্কে ধারণা দাও।

উত্তর : বাংলাদেশের মােট ভূমির প্রায় ৮% এলাকা নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়। এ সময়ের আন্তবরফগলা পানিতে প্লাবনের সৃষ্টি হয়ে এসব চত্বরভূমি গঠিত হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। প্লাইস্টোসিন কালের সােপানসমূহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা– বরেন্দ্রভূমি, মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এরং লালমাই পাহাড়। নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট, রংপুর, দিনাজপুর জেলার অংশবিশেষ নিয়ে বরেন্দ্রভূমি গঠিত। এর আয়তন ৯,৩২০ বর্গকিলােমিটার।

প্রশ্ন ৩৪। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কেমন তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : জনসংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে বাংলাদেশের স্থান নবম।

ভূখণ্ডের তুলনায় এদেশের জনসংখ্যার ঘনত্বও খুব বেশি। তাছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারও বেশি। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১২.৯৩ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৪৮% এবং প্রতি বর্গ কিলােমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৮৭৬ জন। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৪.৯৭ কোটি, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১.৩৭% এবং প্রতি বর্গকিলােমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ১০১৫ জন (উৎস : আদমশুমারি-২০১১)।

প্রশ্ন ৩৫। বাংলাদেশের শীতকালের বর্ণনা দাও।

উত্তর : প্রতিবছর নভেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে শীতকাল। এসময় সূর্য-দক্ষিণ গােলার্ধে থাকায় বাংলাদেশে এর রশ্মি তির্যকভাবে পড়ে এবং উত্তাপের পরিমাণ যথেষ্ট কমে যায়।

শীতকালীন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পরিমাণ যথাক্রমে ২৯ ডিগ্রিnসে, ও ১১ডিগ্রি সে. | জানুয়ারি মাস বাংলাদেশের শীতলতম মাস। এ মাসের গড় তাপমাত্রা ১৭.৭ ডিগ্রি সে.। এ সময়ে দক্ষিণে সমুদ্র উপকূল হতে উত্তর দিকে তাপমাত্রা ক্রমশ কম হয়ে থাকে সমতাপ রেখাগুলাে অনেকটা সােজা হয়ে পূর্ব-পশ্চিমে অবস্থান করে।

প্রশ্ন ৩৬। বাংলাদেশের শ্রীষ্মকালের বর্ণনা দাও।

উত্তর : মার্চ হতে মে মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল। এটিই দেশের উষ্ণতম ঋতু। এ ঋতুতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সে, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সে. পর্যন্ত হয়ে থাকে। গড় হিসেবে উষ্ণতম মাস এপ্রিল। এ সময়ে সামুদ্রিক বায়ুর প্রভাবে দেশের দক্ষিণ হতে উত্তরদিকে তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেশি থাকে। যেমন- এপ্রিল মাসের গড় তাপমাত্রা কক্সবাজারে ২৭.৬৪ ডিগ্রি সে; নারায়ণগঞ্জে ২৮.৬৬ ডিগ্রি সে, এবং রাজশাহীতে প্রায় ৩০ ডিগ্রি সে, থাকে। গ্রীষ্মকালে সূর্য উত্তর গােলার্ধের কর্কটক্রান্তি রেখার নিকটবর্তী হওয়ায় বায়ুর চাপের পরিবর্তন হয় এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হতে থাকে।



প্রশ্ন ৩৭। ভারতের গ্রীষ্মকালের বর্ণনা দাও।

উত্তর : মার্চ হতে মে মাস পর্যন্ত ভারতে গ্রীষ্মকাল।.২১ মার্চ সূর্য দক্ষিণ গােলার্ধ হতে নিরক্ষরেখায় আসে এবং তারপর ক্রমশ উত্তরে কর্কটক্রান্তি রেখার দিক অগ্রসর হয়। সূর্যের এ উত্তরায়ণের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এসময় গঙ্গা নদীর উপত্যকায় গড়ে ২৭ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা পরিলক্ষিত হয়। যতই উত্তরে যাওয়া যায় ক্রমশ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং এসময় ভারতের উত্তর-পশ্চিমে মরু অঞ্চলের নিকট উত্তাপ ৪৮ ডিগ্রি সে পর্যন্ত ওঠে। মে মাসে কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সে, পর্যন্ত উঠলেও গ্রীষ্মকালীন গড় তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সে. এর বেশি হয় না।

প্রশ্ন ৩৮। ভারতের শরৎ ও হেমন্তকালের বর্ণনা দাও।

উত্তর : অক্টোবর-নভেম্বর দুই মাস ভারতে শরৎ ও হেমন্তকাল। এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দিক পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুতে পরিণত হতে থাকে বলে ভারতের কোনাে কোনাে স্থানে ঘূর্ণিঝড়ের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত হয়। এসময় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উড়িষ্যা ও মেদিনীপুর উপকূলে বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এ ঝড়কে আশ্বিনা ঝড় বলে। হেমন্তকালের শেষদিকে ভারতের সর্বত্র তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। 

প্রশ্ন ৩৯। মিয়ানমারের গ্রীষ্মকালের বর্ণনা দাও।

উত্তর : মার্চ মাস থেকে মে মাস পর্যন্ত মিয়ানমারে গ্রীষ্মকাল। এ সময়ের এদেশের অধিকাংশ স্থান অত্যন্ত উত্তপ্ত এবং গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৯ ডিগ্রি সে, এর কাছাকাছি পৌঁছে। এসময় সূর্য উত্তর গােলার্ধে অবস্থান করে বিধায় মধ্য এশিয়ায় বিরাট নিম্নচাপের সৃষ্টি হয় এবং এ অঞলে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু হয়। এ সময়ে আমােতে ১৯ ডিগ্রি সে, মান্দালয়ে ৩২ ডিগ্রি সে, এবং রেগুনে প্রায় ২৭ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রা বিরাজ করে।

প্রশ্ন ৪০। মিয়ানমারের বর্ষাকালের বর্ণনা দাও।

উত্তর : মে থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত মিয়ানমারে বর্ষাকাল। এ সময়ে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ অঞলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে রেনে বৃষ্টিপাত শুরু হয় এবং মাসের শেষদিকে এটি সারা দেশে বিস্তার লাভ করে এবং অক্টোবর মাস পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত চলতে থাকে। মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় এ বৃষ্টিপাতের পরিমাণে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আরাকান ও টেনাসেরিম উপকূলে প্রচুর পরিমাণ দক্ষিণ-পশ্চিমে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ২০০ সে. মি. পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে যখন দেশের সর্ব উত্তরের পাহাড়িয়া অঞ্চলে মাত্র ৮০ সে.মি. পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়।

প্রশ্ন.৪১। নেপালের জলবায়ুর বর্ণনা দাও।

উত্তর : নেপালের জলবায়ুতে তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের তারতম্য বিবেচনায় স্পষ্টত দুটি ঋতু পরিলক্ষিত হয়। জুন হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অঞলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এজন্য এ সময়কালকে বর্ষাকাল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। জুলাই মাসে কাঠমান্ডুর তাপমাত্রা থাকে ২৪.৪ ডিগ্রি সে.। অন্যদিকে, নেপালে নভেম্বর হতে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় অত্যন্ত শুষ্ক ও বৃষ্টিহীন থাকে। এ সময় তাপমাত্রাও বেশ কম থাকে বলে একে শীতকাল হিসেবে বিবেচনা করা যায়। জানুয়ারিতে কাঠমান্ডুর তাপমাত্রা থাকে প্রায় ১০ ডিগ্রি সে.। উঁচু পার্বত্য এলাকা হওয়ায় নেপালের কোনাে অংশের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায় না এবং শীত-গ্রীষ্মের তাপমাত্রার পার্থক্যও খুব বেশি হয় না। নেপালের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ১৪৫ সে.মি, যার প্রায় পুরােটাই সংঘটিত হয় জুন হতে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে।

প্রশ্ন ৪২। বাংলাদেশের ভূমিকম্পের কারণ বর্ণনা কর।

উত্তর : ভৌগােলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান ও ইউরােপিয়ান প্লেটের সীমানার কাছে অবস্থিত। এ কারণে বাংলাদেশ, ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। ভূমিরূপ ও ভূঅভ্যন্তরীণ কাঠামােগত কারণে বাংলাদেশে ভূআলােড়নজনিত শক্তি কার্যকর এবং এর ফলে এখানে ভূমিকম্প হয়। আবার পাহাড় কাটাসহ মানবীয় বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।                    

Leave a Comment