পয়লা বৈশাখ গল্পের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞান ও অনুধাবন মূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। নববর্ষের মধ্যে কোন ধারণাটি প্রচ্ছন্ন থাকে?  

উত্তর : নববর্ষের মধ্যে নবজন্ম বা পুনর্জন্ম বা পুনরুজ্জীবনের ধারণা প্রচ্ছন্ন থাকে। 

প্রশ্ন ২। কে বাংলা নববর্ষকে এদেশের জনগণের ‘নওরােজ’ বলে অবিচ্ছেদ্য উল্লেখ করেছেন? 

উত্তর : ঐতিহাসিক আবুল ফজল বাংলা নববর্ষকে এদেশের জনগণের ‘নওরােজ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রশ্ন ৩। ঐতিহাসিক আবুল ফজল নববর্ষকে কী বলেছেন?

উত্তর : ঐতিহাসিক আবুল ফজল বাংলা নববর্ষকে এদেশের  জনগণের নওরােজ বলে উল্লেখ করেছেন।

প্রশ্ন ৪। বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব কোনটি?

উত্তর : বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব হলাে বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ।

প্রশ্ন ৫। ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থ কার লেখা? 

উত্তর : ‘আইন-ই-আকবরী গ্রন্থটি বিখ্যাত ঐতিহাসিক আবুল ফজলের লেখা।  

প্রশ্ন ৬। বাংলা নববর্ষকে এদেশের নওরােজ বলেছেন কে?

উত্তর : বাংলা নববর্ষকে এদেশের নওরােজ বলেছেন বিখ্যাত ঐতিহাসিক আবুল ফজল তাঁর ‘আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে।

প্রশ্ন ৭। ‘স্বাদেশিকতা’ শব্দটির অর্থ কী? 

উত্তর : ‘স্বাদেশিকতা’ শব্দটির অর্থ দেশপ্রেমিকতা ।

প্রশ্ন ৮। পয়লা বৈশাখ’ রচনায় সাম্রাজ্যবাদী বেনিয়াশক্তি বলা হয়েছে কাদের? 

উত্তর : পয়লা বৈশাখ রচনায় তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকদের সাম্রাজ্যবাদী বেনিয়া শক্তি বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ৯। ‘এসাে, এসাে, এসাে হে বৈশাখ’ গানটির রচয়িতা কে?

উত্তর : ‘এসাে, এসাে, এসাে হে বৈশাখ’ গানটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রশ্ন ১০। সব সংস্কৃতিতেই কোন উৎসব উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে?

উত্তর : সব সংস্কৃতিতেই নববর্ষ উৎসব উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে। 

প্রশ্ন ১১। সুদূর অতীতে কোন সমাজের সঙ্গে পয়লা বৈশাখের বলে অবিচ্ছেদ্য যােগসূত্র ছিল?

উত্তর : সুদূর অতীতে কৃষি সমাজের সঙ্গে পয়লা বৈশাখের এদেশের অবিচ্ছেদ্য যােগসূত্র ছিল।

প্রশ্ন ১২। কবীর চৌধুরী কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর : কবীর চৌধুরী ১৯২৩ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ১৩। কবীর চৌধুরী কবে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর : কবীর চৌধুরী ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

প্রশ্ন ১৪। প্রায় সব দেশে কী উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে?

উত্তর : প্রায় সব দেশে নববর্ষ উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে।

প্রশ্ন ১৫। বাঙালির জাতীয় উৎসব কী?

উত্তর : বাঙালির জাতীয় উৎসব হলাে নববর্ষ উৎসব।

প্রশ্ন ১৬। কত বছর পূর্বে ‘আইন-ই-আকবরী গ্রন্থ লেখা হয়?

উত্তর : প্রায় সাড়ে তিন শ বছর।

প্রশ্ন ১৭। বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনকে অবলম্বন করে কখন সাম্রাজ্যবাদবিরােধী চেতনা সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তর : বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে ।

প্রশ্ন ১৮। উপমহাদেশ বিভক্তির ফলে কোন দেশ সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তর : পাকিস্তান।

প্রশ্ন ১৯। কাদের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ দীর্ঘদিনের?

উত্তর : বাঙালির ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ দীর্ঘদিনের।

প্রশ্ন ২০। স্বাধীন বাংলাদেশের কোন দিনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে?

উত্তর : স্বাধীন বাংলাদেশের নববর্ষের দিনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।

প্রশ্ন ২১। ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে কী শক্তি বলা হয়েছে?

উত্তর : ইংরেজু সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে বেনিয়া শক্তি বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২২। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে?

উত্তর : বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ।

প্রশ্ন ২৩। সংগ্রামীচেতনার দিক থেকে মীর মদন ও মােহন লাল আমাদের কী?

উত্তর : মীর মদন ও মােহন লাল আমাদের ঐতিহ্য।

প্রশ্ন ২৪। ধর্মের নামে কারা নৃশংসতা করেছিল?

উত্তর : ধর্মের নামে পাকিস্তানি শাসকরা নৃশংসতা করেছিল।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন ১। বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর মনােভাব কেমন ছিল?

উত্তর : বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগােষ্ঠীর মনােভাব ছিল অত্যন্ত নেতিবাচক ও ন্যক্কারজনক। তারা ক্ষীণদৃষ্টি ও ধর্মান্ধতার পরিচয় দিয়েছিল।

১৯৪৭-এ উপমহাদেশ বিভক্তির ফলে পাকিস্তানি সৃষ্টির পর সেদিনের পূর্ব পাকিস্তানে নববর্ষ উদ্যাপনকে সে সময়কার শাসকরা ইতিবাচক হিসেবে দেখেনি। তবুও বাঙালি তার নিজের উৎসবকে ছাড়েনি। পাকিস্তানি আমলে নববর্ষ আমাদের জাতীয়তাবােধের অন্যতম ধারণা হয়ে দাঁড়ায়। সে সময় পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি তার স্বাতন্ত্র ঘােষণা করে। ফলে এ অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে একটি প্রতিবাদী মনােভাব নিয়ে পরম উৎসাহভরে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে সংকল্পবদ্ধ হয়।

প্রশ্ন ২। পরাধীন অবস্থায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনে বাঙালির মনোভাবের পরিচয় দাও। 

উত্তর : পরাধীন অবস্থায় পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বাঙালির  মনােভাবটি ছিল- ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রতিবাদী। 

পয়লা বৈশাখ বাঙালির সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসব। কৃষিভিত্তিক  বাংলাদেশে প্রাচীনকাল থেকেই ফসল উৎপাদনের সঙ্গে সংগতি রেখে  বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলা নববর্ষ উৎসব উদযাপনকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে সাম্রাজ্যবাদবিরােধী চেতনা যুক্ত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ  বিভক্তির ফলে পাকিস্তান সৃষ্টির পর তৎকালীন শাসকবর্গ যে মনােভাব প্রদর্শন করে তা ছিল ন্যক্কারজনক। ফলে এ অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ । ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে একটি প্রতিবাদী মনােভাব নিয়ে পরম উৎসাহে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করত।

প্রশ্ন ৩। ‘তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূষুরে দাও উড়ায়ে’ এর অর্থ বুঝিয়ে  লেখ।

উত্তর : প্রশ্নোক্ত বাক্যটিতে পুরনাে, জীর্ণ অস্তিত্বকে বিদায় দিয়ে সতেজ সজীব-নবীন জীবনের মধ্যে প্রবেশ করার আহ্বান ধ্বনিত হয়েছে। 

তপস্যারত সাধকদের বাম্পহীন শুষ্ক নিশ্বাসের মতাে বৈশাখের হাওয়া,  তাকেই বলা হয়েছে তাপসনিশ্বাসবায়, যার আঘাতে সব জরাজীর্ণ শােক-দুঃখ উড়ে যাবে। নতুন বছরের আগমনে পৃথিবীর সব অশুভ, পাপ, জরা-জীর্ণতা ও গ্লানি পুড়িয়ে এ ধরা আবর্জনামুক্ত করে শুদ্ধ করে তুলবে।

প্রশ্ন ৪। জয় পয়লা বৈশাখ’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর : উক্তিটির মাধ্যমে পয়লা বৈশাখের চেতনার সাফল্য ও তাৎপর্য ঘােষিত হয়েছে।

পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ উৎসবকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতীয় খ্রিষ্টান চেতনার জাগরণ ঘটে। এই জাতীয়তাবােধের সিঁড়ি বেয়ে বিশ্বের বুকে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এদিন ধর্ম-বর্ণের সব বিভেদ ভুলে সবাই একত্রিত হয়, আনন্দ করে। এই অসাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবােধের চেতনাকে লেখক সাধুবাদ জানিয়েছেন। আলােচ্য উক্তিটি দ্বারা এই বিষয়টিকেই নির্দেশ করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৫। নববর্ষের পালাবদল বলতে কী বােঝ?

উত্তর : কালের যাত্রাপথে নববর্ষ উদ্যাপন রীতিতে নানা পালাবদল ঘটেছে।

সুদূর অতীতে নববর্ষের সঙ্গে কৃষি সমাজের যােগসূত্র ছিল অবিচ্ছেদ্য। প্রাচীন কৃষি সমাজে শীতকালীন নির্জীবতার পর নবজীবনের আবির্ভাবের ধারণার সঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের বিষয়টি সম্পর্কিত ছিল। এক সময় গ্রাম-নগর নির্বিশেষে বাংলার সব শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণের মানুষ বাংলা নববর্ষের উৎসবে সােৎসাহে যােগ দিত। অথচ আজ এ অনুষ্ঠান নগরসভ্যতার করতলগত, ফলে ভিন্ন রকম চিত্র  দেখা যায়। এভাবেই সময়ের পরিবর্তনে নববর্ষের পালাবদল ঘটেছে। 

প্রশ্ন ৬। বাংলা নববর্ষের মধ্যে নতুন মাত্রিকতা যােগ করা বলতে লেখক কী বোেঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর : বাংলা নববর্ষের মধ্যে নতুন মাত্রিকতা যােগ করা’ বলতে লেখক বাংলা নববর্ষকে অপসংস্কৃতির হাত থেকে উদ্ধার করে নতুনভাবে সাজানােকে বােঝাতে চেয়েছেন।

বাংলা নববর্ষ উৎসব প্রথমে ছিল গ্রামকেন্দ্রিক। নানা পেশার সব ধরনের লােকের সমাগম ঘটত এ উৎসবে। বর্তমানে এ উৎসব শহরকেন্দ্রিক হয়ে বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের প্রভাবে ঐতিহ্য ও চেতনা হারাতে বসেছে। তাই লেখক এ উৎসবকে বৃহত্তর জনজীবনের সঙ্গে বাঁধতে সচেতনভাবে নতুন মাত্রিকতা যােগ করার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ৭। বাংলা নববর্ষ কীভাবে বাংলার মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ  চেতনাকে তুলে ধরে?

উত্তর : বাংলা নববর্ষ ধর্মের ভেদাভেদহীনতার মধ্য দিয়ে বাংলা মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে তুলে ধরে।

বাঙালি নানা উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ পালন করে। এ উৎসব একার হিন্দুর বা মুসলমানের কিংবা বৌদ্ধখ্রিস্টানের নয়- এ উৎসব সমগ্র বাঙালির। বাংলা নববর্ষে ধর্মবর্ণের ভেদাভেদ বিবেচনা করা হয় না, সব ধর্মের মানুষ একত্রিত হয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এভাবেই বাংলা নববর্ষ বাঙালির তথা বাংলার মানুষের ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে তুলে ধরে।

প্রশ্ন ৮। “সব সংস্কৃতিতেই নববর্ষ উদ্যাপনের প্রথা প্রচলিত আছে।”- বুঝিয়ে দাও।

উত্তর : সব সংস্কৃতিতেই নববর্ষ উদযাপনের প্রথা প্রচলিত আছে। মানুষ অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নববর্ষ উদযাপন করা হয় ।

পৃথিবীর সব দেশেই তারিখ-মাস-বছর গণনা করা হয়। গণনার মাধ্যমে প্রতিটি দেশেই বছর অতিক্রান্ত হয়। আর বছর মানেই তার শুরু ও শেষ আছে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মানুষই তাদের নববর্ষকে উদযাপন করে। কারণ ‘নববর্ষ’ মানেই নতুনের আগমন। এ নতুনের আগমনে পুরনাে ব্যথা ভুলে সামনে চলার প্রেরণা পায় মানুষ। এ কারণে সব দেশেই নববর্ষকে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বরণ করা হয়। আলােচ্য লাইনে এই বিষয়টিই বােঝানাে হয়েছে।

প্রশ্ন ৯। এক সময় গ্রাম-নগর নির্বিশেষে বাংলার মানুষ নববর্ষের অনুষ্ঠানে যােগ দিত কেন?

উত্তর : নববর্ষ উদযাপন ধর্ম ও অন্যান্য বৈষম্যের উর্ধ্বে ছিল বলে গ্রাম-নগর নির্বিশেষে বাংলার মানুষ নববর্ষের অনুষ্ঠানে যােগ দিত।

এক সময় বাংলার সমাজ ছিল তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ । ধর্মবৈষম্য অন্যান্য অনুষ্ঠানে স্বাতন্ত্র ও পার্থক্য সৃষ্টি করলেও নববর্ষের অনুষ্ঠানে কোনাে বৈষম্য ছিল না। ফলে মানুষ এ দিনটিতে একই আনন্দে উজ্জীবিত হতে পারত। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান— সবাই একসঙ্গে আনন্দ উপভােগ করত। বস্তুত কোনাে বৈষম্য থাকার কারণেই মানুষের এ মিলনমেলা সৃষ্টি হতাে।

প্রশ্ন ১০। বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি স্বতন্ত্র কেন?

উত্তর : বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি মানুষকে বৈষম্যহীনভাবে এক করতে পারে বলে এ দিনটি স্বতন্ত্র ।

বাংলা নববর্ষ অনুষ্ঠানে বাঙালির প্রাণে আনন্দের ঢল নামে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভুলে মানুষ একত্র হয়। পুরনােকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরণ করার মধ্যে বেঁচে থাকার নবপ্রেরণা সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন প্রকার মেলা, গান, নাচ প্রভৃতি অনুষ্ঠানের প্য দিয়ে সারাদেশে একটা সাড়া পড়ে যায়। এ কারণেই বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনটি স্বতন্ত্র ।

প্রশ্ন ১১। বাংলার মানুষের চিত্তে জাতীয়তাবাদের প্রতিফলন ঘটেছিল কীভাবে?

উত্তর : উনিশ শতকের শেষের দিকে ব্রিটিশ শাসনের যন্ত্রণায় এবং নববর্ষ উদ্যাপনের প্রেরণার মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষের চিত্তে জাতীয়তাবাদের প্রতিফলন ঘটেছিল।

উনিশ শতকের শেষ দিকে ব্রিটিশ শাসন অত্যন্ত রুক্ষ হয়ে ওঠে, যা বাঙালির মধ্যে এক ধরনের বােধ সৃষ্টি করে। নববর্ষ অনুষ্ঠান বাঙালির নিজস্ব অনুষ্ঠান, প্রাণের অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাঙালি নিজস্বতা খুঁজে পায়। এই নিজস্ব সংস্কৃতিবােধ ও জাতি হিসেবে পরাধীনতা তাদের মধ্যে ধীরে ধীরে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটায়।

প্রশ্ন ১২। রাজধানী ঢাকাকে পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র বলা হয় কেন?

উত্তর : পয়লা বৈশাখে রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি লােকসমাগম ঘটে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালিত হয় বলে ঢাকাকে পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র বলা হয়।

ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। প্রায় দুই কোটি লােক এ শহরে বাস করে, যা বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যার এক-অষ্টমাংশ। এছাড়া পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়ােজন ও পালন করা হয়। ঢাকার রমনা পার্কে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানের আয়ােজন করা হয় । তখন ঢাকা হয়ে ওঠে পয়লা বৈশাখের আনন্দানুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র।  

Leave a Comment