প্রার্থনা কবিতার জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রার্থনা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন-১। কবি কাকে হৃদয়ে বল দিতে বলেছেন?

উত্তর: কবি সষ্টাকে হৃদয়ে বল দিতে বলেছেন।

প্রশ্ন-২৷ কবি প্রভুকে হৃদয়ে কী দিতে বলেছেন? 

উত্তর: কবি প্রভুকে হৃদয়ে বল দিতে বলেছেন।

প্রশ্ন-৩। ‘প্রার্থনা’ কবিতায় কবি কী করতে জানেন না?

উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় কবি ভক্তি বা সুতি করতে জানেন না।

প্রশ্ন-৪। কে নিঃসম্বল হয়ে প্রভুর দুয়ারে দাঁড়িয়েছেন?

উত্তর: কবি নিঃসম্বল হয়ে প্রভুর দুয়ারে দাঁড়িয়েছেন।

প্রশ্ন-৫। কবি কাকে এক মুহূর্তও ভােলেন না?

উত্তর: কবি স্রষ্টাকে এক মুহূর্তও ভােলেন না।



প্রশ্ন-৬। জীবনে-মরণে, শয়নে-স্বপনে কবির পথের সম্বল কে?

উত্তর: জীবনে-মরণে, শয়নে-স্বপনে কবির পথের সম্বল হলেন সষ্টা।

প্রশ্ন-৭। সষ্টার গুণগানে কারা সর্বদা আত্মহারা?

উত্তর: সষ্টার গুণগানে পাখিরা সর্বদা আত্মহারা।

প্রশ্ন-৮। কারা আনন্দে বিহ্বল?

উত্তর: পাখিরা আনন্দে বিহ্বল।

প্রশ্ন-৯। বসন্তের বায়ুকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: বসন্তের বায়ুকে কবি স্রষ্টার নিঃশ্বাসের সাথে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন-১০। প্রভুর গুণগানে আত্মহারা কে?

উত্তর: নানা জাতের পাখিরা প্রভুর গুণগানে আত্মহারা।



প্রশ্ন-১১। ‘প্রার্থনা কবিতায় সষ্টার নিঃশ্বাসকে কীসের সাথে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় স্রষ্টার নিঃশ্বাসকে বসন্তের বায়ুর সাথে তুলনা করা হয়েছে।  

প্রশ্ন-১২। একাগ্র হৃদয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কী নিভে যায়?

উত্তর: একাগ্র হৃদয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে শশাকের আগুন নিভে যায়।

প্রশ্ন-১৩। জগতের কোন জিনিস স্রষ্টার স্নেহ কণা?

উত্তর: জগতের আয়ু স্রষ্টার স্নেহ কণা।

প্রশ্ন-১৪। কবি স্রষ্টার কাছে কী সমর্পণ করতে চান?

উত্তর: কবি স্রষ্টার কাছে আঁখিজল সমর্পণ করতে চান।

প্রশ্ন-১৫। কার নাম স্মরণ করলে অশেষ মঙ্গল হয়?

উত্তর: স্রষ্টার নাম স্মরণ করলে অশেষ মাল হয়।



প্রশ্ন-১৬। একাগ্র হৃদয়ে স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কী নিভে যায়?

উত্তর: একাগ্র হৃদয়ে সষ্টাকে স্মরণ করলে শশাকের আগুন নিভে যায়।

প্রশ্ন-১৭। ‘বিভাে’ অর্থ কী?

উত্তর: ‘বিভাে’অর্থ- সষ্টা’।

প্রশ্ন-১৮। পেষণে’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘পেষণে’ শব্দের অর্থ অত্যাচারে।

প্রশ্ন-১৯। ক্রোড়’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ক্রোড়’ শব্দের অর্থ কোল।

প্রশ্ন-২০। ‘পল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘পল’ শব্দের অর্থ – মুহূর্তকাল।



প্রশ্ন-২১। ‘প্রসাদ’ অর্থ কী?

উত্তর: ‘প্রসাদ’ অর্থ অনুগ্রহ।

প্রশ্ন-২২। স্তুতি কথার অর্থ কী?

উত্তর: স্তুতি কথার অর্থ প্রশংসা।

প্রশ্ন-২৩। ‘আরতি’ শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: আরতি’ শব্দটির অর্থ প্রার্থনা’।

প্রশ্ন-২৪। ‘চারু’ মানে কী?

উত্তর: ‘চারু’ মানে ‘সুন্দর’।

প্রশ্ন-২৫। ‘শােকানল’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘শােকানল’ শব্দের অর্থ শোকরূপ অনল।



প্রশ্ন-২৬। প্রার্থনা’ কবিতার রচয়িতা কে?

উত্তর: ‘প্রার্থনা’ কবিতার রচয়িতা কায়কোবাদ।

প্রশ্ন-২৭। ‘প্রার্থনা’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে?

উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতাটি ‘অশ্রুমালা’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে।

প্রশ্ন-২৮। ‘প্রার্থনা কবিতায় কবি কার মহিমার কথা বর্ণনা করেছেন?

উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় কবি স্রষ্টার মহিমার কথা বর্ণনা করেছেন।

প্রশ্ন-২৯। ‘প্রার্থনা’ কবিতায় কবি কার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন?

উত্তর: ‘প্রার্থনা’ কবিতায় কবি স্রষ্টার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা জানিয়েছেন।

প্রশ্ন-৩০। ‘প্রার্থনা কবিতার কবি চোখের জলে নিজেকে কার কাছে নিবেদন করেন?

উত্তর: প্রার্থনা কবিতার কবি কেমন করে নিজেকে স্রষ্টার কাছে নিবেদন করেন।



প্রশ্ন-৩১. বিপদে-আপদে, সুখে-শান্তিতে কবি বিধাতার কাছ থেকে কী কামনা করেন?

উত্তর: বিপদে-আপদে, সুখে-শান্তিতে কবি বিধাতার কাছ থেকে শক্তি কামনা করেন।

প্রশ্ন-৩২। কার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে?

উত্তর: সষ্টার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে।

প্রশ্ন-৩৩। কায়কোবাদ কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: কায়কোবাদ ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৩৪। কায়কোবাদ কোন থানায় জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: কায়কোবাদ নবাবগঞ্জ থানায় জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন ৩৫। কায়কোবাদের আসল নাম কী?

উত্তর: কায়কোবাদের আসল নাম মুহম্মদ কাজেম আল কুরায়শী।



প্রশ্ন-৩৬। কবি কায়কোবাদ নিজ গ্রামে কোন দায়িত্ব পালন করেন?

উত্তর: কবি কায়কোবাদ নিজ গ্রামে পােস্টমাস্টারের দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশ্ন-৩৭। কায়কোবাদের কবিতা লেখার হাতেখড়ি কখন থেকে?

উত্তর: কায়কোবাদের কবিতা লেখার হাতেখড়ি ছেলেবেলা থেকে।

প্রশ্ন-৩৮। কবি কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্যের নাম কী?

উত্তর: কবি কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্যের নাম— মহাশ্মশান।

প্রশ্ন-৩৯। কবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশশান’ কী ধরনের গ্রন্থ?

উত্তর: কবি কায়কোবাদ রচিত ‘মহাশ্মশান’ হচ্ছে একটি বিখ্যাত মহাকাব্য।

প্রশ্ন-৪০। ‘শিবমন্দির’ কায়কোবাদের লেখা কোন ধরনের গ্রন্থ?

উত্তর: ‘শিবমন্দির’ কায়কোবাদের লেখা কাব্যগ্রন্থ।

প্রশ্ন-৪১।  কায়কোবাদ কত খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: কায়কোবাদ ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।



প্রার্থনা কবিতার  অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। ‘কি দিয়া করিব, তােমার আরতি’ চরণটি বুঝিয়ে লেখাে।

উত্তর: আলােস চরণে কবি স্রষ্টার কাছে নিজের অপারগতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

কবি একাগ্রচিত্তে স্রষ্টাকে স্মরণ করতে চান। স্রষ্টার স্তুতি বা বন্দনায় নিজেকে নিমগ্ন করতে চান। কিন্তু স্রষ্টাকে নিবেদন করার মতাে সুন্দর ও উপযােগী ভাষা তার জানা নেই। নিঃসম্বল কবি ভক্তি বা প্রশংসা করতে জানেন না তা স্বীকার করে আলােচ্য উক্তিটি করেছেন।

প্রশ্ন-২। দারিদ্র পেষণে, বিপদের ক্রোড়ে, অথবা সম্পদে, সুখের সাগরে কবি স্রষ্টাকে কেন ভুলে থাকেন না?

উত্তর: স্রষ্টার প্রতি অপরিসীম ভক্তি ও বিশ্বাসের কারণে দারিদ্র্যের অত্যাচার, বিপদের সময় অথবা সম্পদ-সুখের সাগরে কবি তাকে ভুলে থাকেন না।

কবি স্বষ্টার প্রতি খুবই অনুগত। এজন্য তিনি সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এবং অঢেল সম্পদের মাঝেও তাকে স্মরণ করেন। তার কাছেই ভক্তি ও প্রশংসা ডরে কবি প্রার্থনা জানান।

প্রশ্ন-৩। কবি বিধাতার কাছে নিজেকে চোখের জলে নিবেদন করেছেন কে?

উত্তর: হৃদয়ে শক্তি লাভের আশায় কবি সষ্টার কাছে চোখের জলে নিজেকে নিবেদন করেছেন।

কবি কায়কোবাদ শূন্য হাতে স্রষ্টার কাছে শক্তি প্রার্থনা করেন। কীভাবে স্রষ্টার ভক্তি-শ্রদ্ধা ও প্রশংসা করতে হবে তা কবির জানা নেই। তাই তিনি চোখের জল নিবেদন করে স্রষ্টার কাছে আবেদন করেন মনে শক্তি জোগানাের জন্য।

প্রশ্ন-৪। ‘তুমি মাের পথের সম্বল’ বলতে কী বোঝানাে হয়েছে?

উত্তর:সষ্টাকে কবি তার পথের সম্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

পথের সম্বল বলতে বােঝায় পথ চলার অবলম্বন। স্রষ্টাকে কবি তার জীবনের পথ চলার বড় সহায় বা অবলম্বন মনে করেন। কারণ যষ্টা সর্বশক্তিমান। তাঁর করুণায় জগৎ গতিশীল। ফলে তাঁর সহায়তা ছাড়া কেউ সফল হতে পারে না। জীবনে বন্ধুর পথ সফলভাবে পাড়ি দিতে হলে স্রষ্টাকে স্মরণ করতে হয়। এ বিশ্বাস থেকেই কবি যটাকে তার পথের সম্বল বলে অভিহিত করেছেন।



প্রশ্ন-৫। ‘সদা আত্মহারা তব গুণগানে’- কেন বলা হয়েছে?

উত্তরঃ ‘সদা আত্মহারা তব গুণগানে’- উক্তিটিতে মূলত পাখির গুঞানকে স্রষ্টার গুণগান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

কবি প্রকৃতির মাঝে স্রষ্টার উপস্থিতি তীব্রভাবে উপলব্ধি করেন। ফুলফল, তরু-লতা-জল যেন প্রভুর মূর্তিমান দানের প্রতীক হয়ে ওঠে তার কল্পনায়। তার কাছে মনে হয় সমগ্র সৃষ্টি যেন ষ্টার প্রার্থনায় নিমগ্ন। তাকে ভুলে থাকলে মনে অবসাদ তৈরি হয়। জগতে স্রষ্টার মহিমার কোনাে অন্ত নেই। তাই প্রকৃতি যেন স্রষ্টার গুণগানে আত্মহারা।

প্রশ্ন-৬। নানা জাতের পাখি আনন্দে বিহ্বল কেন?

উত্তর: নানা জাতের পাখি স্রষ্টার গুণগানে আনন্দে বিহ্বল।

কবির মতাে বাগানের পাখিরাও স্রষ্টার প্রশংসায় মুখর। বিভিন্ন জাতের পাখি সদা প্রভুর গুণগানে আত্মহারা। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে পাখিরা আনন্দে বিভোের।

প্রশ্ন-৭। ‘জগতের আয়ু’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর: ‘জগতের আয়ু বলতে পৃথিবীর স্থায়িত্ব যে প্রভুর দয়ার ওপর নির্ভরশীল তা বােঝানাে হয়েছে।

পৃথিবীর সকল কিছু স্রষ্টার নিয়ন্ত্রণে। মানুষ, প্রকৃতি ও পৃথিবী কোনাে কিছুই তার ক্ষমতার বাইরে নয়। আর তাই স্রষ্টার দয়া ও স্নেহের ওপরই নির্ভর করছে জগতের টিকে থাকা না থাকা।

প্রশ্ন-৮। ‘তব নামে অশেষ মাল।’—উক্তিটির তাৎপর্য কী?

উত্তর: ঘষ্টার মাম স্মরণ করলে মঙ্গল সাধিত হয় বলে কবি আলােচ্য উক্তিটি করেছেন।

স্রষ্টার অফুরন্ত দয়ায় জগতের সবকিছু চলছে। তার অপার করুণা লাভ করেই বিশ্ব সংসারের প্রতিটি জীব ও উদ্ভিদ প্রাণধারণ করে আছে। তাই সর্বদয়াময় স্রষ্টাকে স্মরণ করলে কষ্ট দূর হয়। তাঁর নাম জপলেই মঙ্গল সাধিত হয় সবার জীবনে। আলােচ্য পর্ভূক্তিতে এই দিকটিই বিবৃত হয়েছে।



প্রশ্ন-৯। কবি হৃদয়ের শক্তি প্রার্থনা করেছেন কেন?

উত্তর: কবি পার্থিব জগতের সকল প্রতিকূলতাকে জয় করার অভিপ্রায়ে হৃদয়ের শক্তি প্রার্থনা করেছেন।

পৃথিবীতে মানুষের জীবন কুসুমাস্তীর্ণ নয়, বরং কণ্টকাকীর্ণ। জীবনের বাঁকে বাঁকে থাকে নানা বিপদ বা প্রতিকূলতা। সেগুলাে জয় করতে হলে মানসিক শক্তি প্রয়ােজন। তাই তাে কবি জীবনসংগ্রাম জয় করতে হৃদয়ের শক্তি প্রার্থনা করেছেন।

প্রশ্ন-১০। ‘প্রার্থনা কবিতায় স্রষ্টার অবদান ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: প্রার্থনা’ কবিতায় সৃষ্টির প্রতি স্রষ্টার বিভিন্ন অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আলােচ্য কবিতায় কবি জগতের সবকিছু স্রষ্টার অফুরন্ত দয়ায় চলছে বলে উল্লেখ করেছেন। গাছের পাখি, তরুলতা, প্রতিটি উদ্ভিদ ও জীব প্রাণ ধারণ করে আছে প্রভুর কল্যাণেই। কবি আরও বলেছেন, বসন্তের বায়ু, পৃথিবীর স্থায়িত্ব প্রভুর অনুগ্রহেরই ফসল।           

Leave a Comment