প্রশ্ন ১। ব্রহ্মর শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর : ‘ব্ৰহ্মর’ শব্দের অর্থ তালুর কেন্দ্রবর্তী ছিদ্র।
প্রশ্ন ২। চিনেমাটির ডাবরে কী ভেসে উঠেছে?
উত্তর : চিনেমাটির ডাবরে দুটো পান্তুয়া ভেসে উঠেছে।
প্রশ্ন ৩। সৈয়দ মুজতবা আলীর পিতার নাম কী?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলীর পিতার নাম সিকান্দর আলী।
প্রশ্ন ৪। সৈয়দ মুজতবা আলী কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ৫। সৈয়দ মুজতবার পিতার নাম কী?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবার পিতার নাম সিকান্দর আলী।
প্রশ্ন ৬। কোন কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর কর্মজীবন শুরু হয়?
উত্তর : কাবুলের কৃষি বিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়।
প্রশ্ন ৭ সৈয়দ মুজতবা আলী কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী ১৯৭৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন ৮। খাজামোল্লা গ্রাম কাবুল থেকে কত মাইল দূরে?
উত্তর : খাজামােল্লা গ্রাম কাবুল থেকে আড়াই মাইল দূরে।
প্রশ্ন ৯। লেখকের কাজের লােকের নাম কী?
উত্তর : লেখকের কাজের লােকের নাম আবদুর রহমান।
প্রশ্ন ১০। মন্ত্রীর দফতরে ঝগড়া-বচসা করেন কে?
উত্তর : অধ্যক্ষ জিরার মন্ত্রীর দফতরে ঝগড়া-বচসা করেন।
প্রশ্ন ১১। কাবুল শহরে লেখক কয়টি নরদানব দেখেছেন?
উত্তর : কাবুল শহরে লেখক দুটি নরদানব দেখেছেন।
প্রশ্ন ১২। আবদুর রহমানকে লেখক কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর : আবদুর রহমানকে লেখক নরদানবের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন ১৩। আবদুর রহমানের উচ্চতা কত?
উত্তর : আবদুর রহমানের উচ্চতা ছয় ফুট চার ইঞ্চি।
প্রশ্ন ১৪। আবদুর রহমানের পায়ের আকৃতি কেমন?
উত্তর : আবদুর রহমানের পায়ের আকৃতি ডিঙি নৌকার মতাে।
প্রশ্ন ১৫। কার নাক এবড়াে-থেবড়াে?
উত্তর : আবদুর রহমানের নাক এবড়াে-থেবড়াে।
প্রশ্ন ১৬। লেখক আবদুর রহমানের চামড়া ফাটা চেহারার সঙ্গে কিসের তুলনা করেছেন?
উত্তর : আবদুর রহমানের চামড়া ফাটা চেহারার সঙ্গে আফগানিস্তানের রিলিফ ম্যাপের তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন ১৭। কে ভীমসেনের মতাে রান্না করবে?
উত্তর : আবদুর রহমান ভীমসেনের মতাে রান্না করবে।
প্রশ্ন ১৮। আবদুর রহমান আগে কোথায় কাজ করেছে?
উত্তর : আবদুর রহমান আগে পল্টন মেসে কাজ করেছে।
প্রয় ১৯। বরফ কোন পাহাড় থেকে আসে?
উত্তর : বরফ পাগমানের পাহাড় থেকে আসে।
প্রশ্ন ২০। পর্বতপ্রমাণ বােঝা বয়ে কে ফিরে আসছে?
উত্তর : পর্বতপ্রমাণ বোঝা বয়ে আবদুর রহমান ফিরে আসছে।
প্রশ্ন ২১। আবদুর রহমান লেখককে রাতে কোথায় খেতে বলল?
উত্তর : আবদুর রহমান লেখককে রাতে বাড়িতে খেতে বলল।
প্রশ্ন ২২। টাঙা হাঁকিয়ে বাড়ি ফিরছেন কে?
উত্তর : টাঙা হাঁকিয়ে বাড়ি ফিরছেন অধ্যক্ষ জিরার।
প্রশ্ন ২৩। কাবুল শহরে নিশাচর হতে হলে কিসের প্রয়ােজন?
উত্তর : কাবুল শহরে নিশাচর হতে হলে তাগদ ও হাতিয়ার প্রয়ােজন।
প্রশ্ন ২৪। তাগদ অর্থ কী?
উত্তর : তাগদ অর্থ শক্তি।
প্রশ্ন ২৫। দুম্বার মাংসে কিসের লুকোচুরি খেলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : দুম্বার মাংসে কিশমিশের লুকোচুরি খেলার কথা বলা হয়েছে।
প্রশ্ন ২৬। শামী কাবাব কী সাইজের ছিল?
উত্তর : শামী কাবাব ছিল বােম্বাই সাইজের।
প্রশ্ন ২৭। লেখকের মতে আবদুর রহমান কতজনের রান্না পরিবেশন করেছে?
উত্তর : লেখকের মতে আবদুর রহমান ছয়জনের রান্না পরিবেশন করেছে।
প্রশ্ন ২৮। অধিক শােকে মানুষ কী হয়?
উত্তর : অধিক শােকে মানুষ পাথর হয়।
প্রশ্ন ২৯। লেখক কী খেতে পছন্দ করেন না?
উত্তর : লেখক খেতে মিষ্টি পছন্দ করেন না।
প্রশ্ন ৩০। আফগানিস্তানে কোনটি মশহুর?
উত্তর : আফগানিস্তানে বাগেবালার বরফি আঙুর মশহুর।
প্রশ্ন ৩১। মেয়েরা আচারের জন্য কাগজি লেবু কোথায় ঘষে?
উত্তর : মেয়েরা আচারের জন্য কাগজি লেবু পাথরের শিলে ঘষে ।
প্রশ্ন ৩২। কাবুলিরা কয় পেয়ালা চা খায়?
উত্তর : কাবুলিরা ছয় পেয়ালা চা খায়।
প্রশ্ন ৩৩। কাবুলের হাওয়া কিসের মতাে?
উত্তর : কাবুলের হাওয়া আতশবাজির হল্কার মতাে।
প্রশ্ন ৩৪। কোথায় আস্ত দুম্বা খেয়ে পানি খেলে আবার ক্ষিধে লাগে?
উত্তর : পানশিরে আস্ত দুম্বা খেয়ে পানি খেলে আবার ক্ষিধে লাগে।
প্রশ্ন ৩৫। তাজি ঘােড়াকে হার মানিয়ে কী ছুটে চলে?
উত্তর : তাজি ঘােড়াকে হার মানিয়ে বরফের গুঁড়াে ছুটে চলে।
প্রশ্ন ৩৬। কোথায় বরফের পাজা কম্বলের মতাে ওম দেয়?
উত্তর : পানশিরে বরফের পাজা কম্বলের মতাে ওম দেয়।
প্রশ্ন ৩৭। কোথায় এক দম নিলে এক বছর আয়ু বাড়ে?
উত্তর : পানশিরে এক দম নিলে এক বছর আয়ু বাড়ে।
প্রশ্ন ৩৮। লেখক শীতকাল কোথায় কাটাবেন বলেছেন?
উত্তর : লেখক শীতকাল পানশিরে কাটাবেন বলেছেন।
প্রশ্ন ৩৯। ‘ও রভােয়া’ অর্থ কী?
উত্তর : ‘ও রভােয়া’ অর্থ আবার দেখা হবে।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। ‘জুতাে বুরুশ থেকে খুন-খারাবি’ বলতে অধ্যক্ষ জিরার কী বােঝাতে চেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : ‘জুতাে বুরুশ থেকে খুন-খারাবি’ বলতে অধ্যক্ষ জিরার সাধারণ কাজ থেকে শুরু করে প্রাণঘাতী কাজ অর্থাৎ সর্বস্তরের সাহসের কাজকে বােঝাতে চেয়েছেন।
জুতো বুরুশ দ্বারা একেবারে সাধারণ কাজকে বােঝায়। কিন্তু সবকাজ সাধারণ নয়, যেমন একজনকে এক গ্লাস পানি দেওয়া আর একজনকে এক ব্যাগ রক্ত দেওয়া দুটি সম্পূর্ণ আলাদা মাপের কাজ। খুন-খারাবি দ্বারা সর্বোচ্চ ঝুঁকির কাজকে বােঝানাে হয়েছে। “জুতো বুরুশ থেকে খুন-খারাবি’ কথাটি দ্বারা জিরার সাহেব আবদুর রহমানের সব কাজ করার দক্ষতার বিষয়টিকে বােঝাতে চেয়েছেন।
প্রশ্ন ২। আফগানিস্তানে কোন ধরনের সংস্কার রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : গুরুজনদের দিকে চোখ তুলে তাকাতে নেই এমন ধরনের সংস্কার আফগানিস্তানে রয়েছে।
লেখকের বাবুর্চি আবদুর রহমানের বর্ণনায় লেখক বলেন, সে ছিল দানবের মতাে লম্বা। তার দর্শনে লেখক অনেকটা অবাক হয়ে যান। পরনে ছিল শিলওয়ার, কুর্তা আর ওয়াকিট। কিন্তু লেখক সেই বিশালদেহী আবদুর রহমানের চোখ দুটি দেখতে পাননি। লেখকের সামনে এসে আবদুর রহমান মাথা নিচু করে ছিল। তার নজর ছিল কার্পেটের দিকে। সে কখনাে লেখকের দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। লেখক এই দিকটি বােঝাতেই বলেছেন, গুরুজনদের দিকে তাকাতে নেই, আফগানিস্তানেও নাকি এই ধরনের একটা সংস্কার আছে।
প্রশ্ন ৩। আবদুর রহমান আমির হলে অনায়াসে আফগানিস্তানের ভার নিতে পারত – লেখকের এ ধারণার কারণ কী? বুঝিয়ে দাও।
উত্তর : আবদুর রহমান আমির হলে আফগানিস্তানের ভার নিতে পারত লেখকের এ ধারণার কারণ আবদুর রহমান বিশাল দেহের অধিকারী, সাহসী ও শক্তিশালী।
লেখক যে আকৃতির মানুষ দেখে অভ্যস্ত বা তিনি যে আকৃতির মানুষ তার চেয়ে অনেক বেশি বড় হলাে আবদুর রহমানের শরীর। হাঁটু পর্যন্ত দুখানা হাত, ডিঙি নৌকা সাইজের পা-জোড়া আর ছয় ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতা। তার সাহস ও শক্তির বিবেচনায় তাই লেখকের এমন ধারণা হয়েছিল যে, আবদুর রহমান যদি আমির হতাে, তবে আফগানিস্তানের ভার নিতে পারত।
প্রশ্ন ৪। আবদুর রহমানের চামড়াকে লেখক আফগানিস্তানের রিলিফ ম্যাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : প্রচণ্ড শীতে আবদুর রহমানের শরীরের চামড়া ফেটে যাওয়ায় যে অবস্থা হয়েছে তা দেখে লেখক তার চামড়াকে রাখা আফগানিস্তানের রিলিফ ম্যাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
আবদুর রহমান পানশিরের লােক। সেখানে খুব বরফ পড়ে। আর আফগানিস্তানে পানির সাধারণ উৎস খুব কম। তাই তারা বরফগলা পানি ব্যবহার করে। আবদুর রহমান নিয়মিত বরফগলা পানি ব্যবহারের কারণে তার শরীরের চামড়া ফেটে গিয়েছে। সেই ফাটা চামড়ার আকৃতিকে লেখক রিলিফ ম্যাপের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
প্রশ্ন ৫। “কার্পেটের অপরূপ রূপ থেকে তাকে বড় একটা চোখ ফেরাতে দেখিনি।” ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : “কার্পেটের অপরূপ রূপ থেকে তাকে বড় একটা চোখ ফেরাতে দেখিনি”– লাইনটি দ্বারা আবদুর রহমানের গুরুভক্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
লেখকের কাজের লোক আবদুর রহমান। তার আকৃতি দানবীয়। অসুরের মতাে শক্তি গায়ে। কিন্তু সে খুবই বিনয়ী। তাছাড়া গুরুজনের দিকে তাকাতে নেই বলে একটা সংস্কার আফগানিস্তানে প্রচলিত আছে। তাই আবদুর রহমানও লেখক তথা মনিবের দিকে তাকায় না। সারাক্ষণ কার্পেটের তথা নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। আলােচ্য লাইন দ্বারা এটিই বােঝানাে হয়েছে।
প্রশ্ন ৬। “এ যদি কোনােদিন বিগড়ে যায়? তবে?”- এখানে লেখক কী বােঝাতে চেয়েছেন?
উত্তর : “এ যদি কোনােদিন বিগড়ে যায়? তবে?”- এ লাইনে লেখক অনাকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ দুর্ভাগ্যকে বােঝাতে চেয়েছেন।
আবদুর রহমান লেখকের ভৃত্য। সে লেখকের সকল কাজ করে দেবে বলেছেন অধ্যক্ষ জিরার। আবদুর রহমান লেখককে ভক্তি করে। লেখক বুঝতে পেরেছেন যে, বিপদে-আপদে আবদুর রহমান এগিয়ে আসবে, কিন্তু সে যদি কোনােদিন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়? তবে তাকে কে বাঁচাবে? কারণ আবদুর রহমানের দেহের আকৃতি দেখতে নরদানবের মতাে। প্রশ্নোক্ত বাক্যে লেখকের এ আশঙ্কাই প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন ৭। পাহাড়ের নিচে গর্ত খুঁড়ে বরফ জমিয়ে রাখা হয় কেন?
উত্তর : পাহাড়ের নিচে গর্ত খুঁড়ে বরফ জমিয়ে রাখা হয় পানির প্রয়ােজন ও অন্যান্য প্রয়ােজন মেটাতে।
আফগানিস্তানে নদী আছে একটি। এছাড়া সবখানে পুকুর বা গভীর নলকূপ নেই। ফলে পানির কিছু প্রয়ােজন তারা বরফ দিয়ে মেটায়। বরফ জমে পাহাড়ের চূড়ায়। সেখান থেকে আনা কষ্টকর। তাই তারা পাহাড়ের নিচে গর্ত খুঁড়ে শীতকালে বরফ জমিয়ে রাখে। তারপর প্রয়ােজনে সেখান থেকে সংগ্রহ করে।
প্রশ্ন ৮। “রাত দুটোর সময় খাবার জুটলেও জুটতে পারে”লেখক কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর : লেখকের প্রশ্নোক্ত কথাটি বলার কারণ হলাে আবদুর রহমানের রান্নার আয়ােজনের দীর্ঘ সময় ও উপাচারের বহর।
লেখক রাতে যখন শহর থেকে ফিরে এলেন, তখন আবদুর রহমানের রান্নার আয়ােজন চলছে। আর শহরে যাওয়ার সময় যে পরিমাণ জিনিস আবদুর রহমানকে আনতে দেখেছেন, তাতে অল্পেক রকমের খাবার রান্না হবে বুঝতে পেরেছেন। আর তা রান্না করতেও দেরি হবে। এসব বিষয়ে আন্দাজ করে লেখক আলােচ্য কথাটি বলেছেন ।
প্রশ্ন ৯। লেখক থ মেরে দাড়িয়ে রইলেন কেন?
উত্তর : লেখকের জন্য রাখা টেবিলে অতিরিক্ত খাবার দেখে লেখক থ-মেরে দাড়িয়ে রইলেন।
লেখকের গৃহকর্মী আবদুর রহমান। লেখক রাতে খাবারের টেবিলে এসে দেখলেন যে, সেখানে এত পরিমাণ খাদ্য পরিবেশন করা হয়েছে যে, সেই খাবার ছয়জনে খেয়েও শেষ করতে পারবে না। দুম্বার মাংস, কোপতা পােলাও, শামী কাবাব, মুরগির রােস্টসহ আরও অনেক খাবার সেখানে রাখা। তখন এসব দেখেই লেখক থ মেরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
প্রশ্ন ১০। আবদুর রহমানের হাতে ডাবর দেখে লেখক বােকা বনে গেলেন কেন?
উত্তর : বিভিন্ন প্রকারের অনেক খাবার পরিবেশনের পরেও আবদুর রহমান যখন নতুন পদ হিসেবে হাতে ডাবর নিয়ে হাজির হলাে সেটা দেখে লেখক বােকা বনে গেলেন।
লেখক আবদুর রহমানের শরীরের তুলনায় ক্ষুদ্র মানুষ। ফলে তার পক্ষে কম খাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আবদুর রহমান সে বিবেচনা করে কমপক্ষে ছয়জনের খাবার পরিবেশন করেছে শুধু লেখকের জন্য। এত খাবারের পরও আবার ডাবর নিয়ে হাজির হলাে। এ কারণে লেখক বােকা বনে গেলেন।
প্রশ্ন ১১। “আমার রান্না হুজুরের পছন্দ হয়নি?”- আবদুর রহমান পানশিরের এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর : খাবার পরিবেশনের তুলনায় লেখক অনেক কম খেয়েছেন।
তাদের বলেই আবদুর রহমান প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে। লেখক আবদুর রহমানের তুলনায় অনেক ছােট শরীরের অধিকারী। আবদুর রহমান যে খাবার রান্না করেছে সেই তুলনায় লেখক অনেক কম খাবার খেয়েছে। যদিও সেই খাবার একজন বাঙালির তুলনায় কম নয়। তাই আবদুর রহমান ভেবেছে যে, তার রান্না খারাপ হয়েছে। এ কারণেই বিনীতভাবে বলেছে- “আমার রান্না হুজুরের পছন্দ হয়নি?”
প্রশ্ন ১২। “পানশিরের মানুষ তাে পায়ে হেঁটে চলে না, বাতাসের উপর ভর করে উড়ে বেড়ায়”- ব্যাখা কর।
উত্তর : “পানশিরের মানুষ তাে পায়ে হেঁটে চলে , বাতাসের উপর ভর করে উড়ে বেড়ায়”– লাইনটি দ্বারা পানশিরের মানুষের সুস্থ ও সবল থাকার বিষয়টি বােঝানাে হয়েছে।
পানশিরের আবহাওয়া খুব ভালাে, ফলে সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যও ভালাে। তাদের ক্ষুধা যেমন, খাবারও তেমন। তারা প্রচুর খেতে পারে। তাদের শারীরিক শক্তিও বেশি। পানশিরের মানুষ এ কারণে খুব জোরে হেঁটে বেড়ায়। তারা কাজে দক্ষ ও গতিশীল এটি বোঝতেই প্রশ্নোক্ত লাইনে তাদের গতিকে উড়ে বেড়ানাের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
প্রশ্ন ১৩। “আবদুর রহমানের গর্দান তাে রয়েছে”- আবদুর রহমানের এ কথা বলার কারণ লেখ।
উত্তর : আবদুর রহমান তার বক্তব্যকে বিশ্বাসযােগ্য করে তুলতেই বলেছে- “আবদুর রহমানের গর্দান তাে রয়েছে।”
আবদুর রহমান খুব আবেগী ভাষায় তার মাতৃভূমি অর্থাৎ পানশিরের শীতকালের বর্ণনা দিয়েছে। শীতকালে সেখানে অনেক বরফ পড়ে। বিভিন্ন আকৃতির আর বিভিন্ন গতির সেই বরফের সৌন্দর্য একটানা সাত দিন জানালার ধারে বসে দেখলেও মনের সাধ মিটবে না। লেখক কথাটি শুনে আশ্চর্য ভাব প্রকাশ করায় আবদুর রহমান আলােচ্য কথাটি বলেছে, যাতে লেখক তার বক্তব্য বিশ্বাস করেন।
আরও,
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ সুভা
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ বই পড়া
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ অভাগীর স্বর্গ
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ পল্লিসাহিত্য
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ আম আঁটির ভেঁপু
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ প্রবাস বন্ধু
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ মমতাদি
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ পয়লা বৈশাখ
▶জ্ঞান ও অনুধাবন মূলকঃ একাত্তরের দিনগুলো