‘মাদককে না বল’ শিরােনামে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
অথবা, মনে কর, তুমি তুহিন। “দৈনিক সমকাল পত্রিকার রংপুর মহানগর প্রতিনিধি। মাদককে না বলুন’ শিরােনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।
অথবা, মনে কর, তুমি অনন্যা চৌধুরী, দৈনিক সমকাল পত্রিকার কুমিল্লা প্রতিনিধি। মাদকাসক্তির বিস্তার’ বিষয়ক একটি সংবাদ প্রতিবেদন তৈরি
অথবা, মনে কর, তােমার নাম তামিম। তুমি ‘দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপাের্টার। মাদককে না বলুন’ শিরােনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রণয়ন কর।
সম্পাদক
আমাদের সময়
১১৮-১২১, তেজগাঁও, ঢাকা।
জনাব
নিম্নোক্ত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনটি আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় প্রকাশ করার জন্য বিনীত অনুরােধ করছি।
মাদককে না বল
মাদকদ্রব্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এটা কেবল মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে না, মানসিক অবস্থারও দৈন্য ঘটায়। তাছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করে। কাজেই মাদকে ‘না’ বলা ছাড়া কোনাে উপায় নেই।
আমাদের সমাজে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করাকে সব সময়ই নিন্দার দৃষ্টিতে দেখা হতাে। আর যারা মদক গ্রহণ করত তারা ছিল সমাজের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। কিন্তু আজকের দিনে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। সমাজের প্রভাবশালী, অর্থগৃধু ও স্বার্থপর ব্যক্তিরা অপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞল পর্যন্ত মাদকদ্রব্যের বিস্তার ঘটিয়েছে। যুবসমাজকে স্বপ্নময় জগতের মােহে ফেলে মাদকের ভয়াবহ শিকারে পরিণত করেছে। কিশাের থেকে মধ্যবয়সী পর্যন্ত সমাজের একটা অংশ এখন শুধু মদ-গাজা নয়, ফেনসিডিল, হেরােইন, ইয়াবার ভয়ংকর থাবার অসহায় শিকার। মাদকের নেশায় তারা ছিনতাই, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, এমনকি খুনের মতাে জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। মাদকসেবীরা এখন ভয়ংকর জঙ্গী-সন্ত্রাসী ও দুবৃত্তদের হাতের পুতুল। অর্থ ও মাদকদ্রব্যের বিনিময়ে তারা কিশাের-যুবক-মধ্যবয়সীদের নানা জল্পী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে ব্যবহার করছে। কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা-ব্যবসায়ীরাও এখন দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম ভুলে-দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকদের ধ্বংসের মুখােমুখি দাঁড় করিয়েছে। যুবশক্তির মেধা-মননকে বিপথে চালিত করে নিজেদের সাময়িক ঘূণ্য স্বার্থকে বড় করে দেখছে। কাজেই দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের শুভবােধকে ফিরিয়ে আনার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তােলা এখন সময়ের দাবি। পরিবার-সমাজ তথা দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা-নিরাপত্তা সংহত রাখার স্বার্থে মাদক আমদানিকারক ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ও মাদক-অপরাধী ও মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষ এখন সােচ্চার হয়ে উঠছে। মাদককে ‘না’ বলার এখনই উপযুক্ত সময়। কিছু কিছু এনজিও; শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ইতােমধ্যে সেমিনার, মানববন্ধন ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদককে ‘না’ বলতে শুরু করেছে। আসুন সবাই মিলে মাদকের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি এবং মাদকের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে দৃঢ়কণ্ঠে মাদককে ‘না’ বলি।
প্রতিবেদক
আসহাবুর রহমান
গেণ্ডারিয়া, ঢাকা।