পল্লিজননী কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। স্বামীহারা আফরােজার একমাত্র সন্তান নীলা। যক্ষের ধনের মতাে আফরােজা সব সময় আগলে রাখে মেয়েকে। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পায় নীলা। সেই আঘাত ধীরে ধীরে তাকে মানসিক বৈকল্যের দিকে নিয়ে যায়। ডাক্তার কবিরাজ কোনােটা দেখাতে বাদ দেয়নি আফরােজা। তার নয়নের মণিকে সুস্থভাবে পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখতে আজও তার চেষ্টার অন্ত নেই। কারণ আফরােজা স্বপ্ন দেখে তার সন্তান একদিন সুস্থ হয়ে পৃথিবীকে আলােকিত করবে।

ক. রুগুণ ছেলের সুস্থতার জন্য পল্লিজননী’ কবিতার মা কী মানত করেছিল?

খ. “সম্মুখে তার ঘাের কুজ্বটি মহাকাল রাত পাতা”- বলতে কী বােঝ? 

গ. উদ্দীপকের সাথে পল্লিজননী’ কবিতার সাদৃশ্য অথবা বৈসাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি আলােচনা কর।

ঘ. “প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও ‘পল্লিজননী’ কবিতায় মা-এর শাশ্বত রূপটিই প্রতিফলিত”-বিশ্লেষণ কর।

২. খেকা এলি

ঝাপসা চোখে মা তাকায়।

উঠানে-উঠানে

যেখানে খােকার শব।

শুকুনিরা-ব্যবচ্ছেদ করে

এখন

মার চোখে চৈত্রের রােদে

পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের

এখন

মার চোখে শিশির ভাের,

স্নেহের রােদে ভিটে ভরেছে।

ক. ঘরের চালে কী ডাকে?

খ. শিয়রের কাছে নিবু নিবু দীপের সাথে বিরহী মায়ের পরান দোলে কেন?

গ. উদ্দীপকের খােকার সাথে পল্লিজননী’ কবিতার রুগণ ছেলের বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর।

ঘ. উদ্দীপক ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার বিষয়বস্তু একসূত্রে গাঁথা নয়- উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।

৩. না বাবাঠাকুর, ছোঁব কেন, ছোঁব না! কিন্তু দাও এবার আমাকে কাহন-দুই খড়। তােমার চার-চারটে গাদা সে দিন দেখে এসেছি– একটি দিলে তুমি টেরও পাবে আমরা না খেয়ে মরি ক্ষতি নেই, কিন্তু আমার অবলা জীব কথা বলতে পারে। শুধু চেয়ে থাকে, আর চোখ দিয়ে জল পড়ে।

ক. বিস্তর জোনাকি কোথায়?

খ. শঙ্কায় মার পরান ভরে উঠছে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘পল্লিজননী’ কবিতার কোন ভাববস্তুর সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপক ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার মূলভাব এক হলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন। মন্তব্যটির যথার্থতা মূল্যায়ন কর।

৫। বর মাগ মনােনীত যাহা চাহ দিবা

প্রণমিয়া পাটুনী কহিছে জোড় হাতে।

আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতো

তথাস্তু বলিয়া দেবী দিলা বরদান।

দুধে ভাতে থাকিবেক তােমার সন্তান।

ক. অসুস্থ ছেলেটি তার মাকে সাত-নরি সিকা ভরে কী রাখতে বলেছে?

খ. “আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল।”- বুঝিয়ে লেখ ।

গ. উদ্দীপকটির সঙ্গে ‘পল্লিজননী’ কবিতার কোন দিকটি বৈসাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. সন্তানের প্রতি অকৃত্রিম স্নেহ-মমতাই উদ্দীপক ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার মূল বিষয়বস্তু। মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর।

৬। সাভারের এক ইটভাটায় অনেক মানুষ কাজ করে। সেখানে দেখা গেল জনাদশেক মানুষ মাটির সঙ্গে পানি মিশিয়ে কাদা তৈরি করছে। কেউ কেউ চুল্লিতে আগুন দিচ্ছে। কেউ ইট মাথায় করে গুছিয়ে রাখছে আলাদা জায়গায়। এরই মধ্যে দেখা গেল চল্লিশাের্ধ এক মহিলা প্রচণ্ড রােদের মধ্যে হাতুড়ি দিয়ে ইট ভাঙছেন। মাঝে মাঝে  তার কপাল থেকে ঘাম ঝরে পড়ছে। সেই ঘাম তিনি আঁচল দিয়ে মুছে ফেলছেন। তাকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, বছর দশেক হলাে আমার স্বামী মারা গেছেন। একমাত্র সন্তানুটি অসুস্থ, ওর চিকিৎসার টাকার জন্যই তাকে এই কাজ করতে হচ্ছে।

ক. কবি জসীমউদদীনকে ডি.লিট প্রদান করে কোন প্রতিষ্ঠান?

খ. জননীর প্রাণ কাঁদে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের মায়ের সঙ্গে ‘পল্লিজননী’ কবিতায় মায়ের বৈসাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. “সন্তানের মঙ্গল কামনা মায়ের সবচেয়ে বড় প্রার্থনা”- মন্তব্যটি ‘পল্লিজননী’ কবিতা ও উদ্দীপকের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

৭। অর্ণব নবম শ্রেণির ছাত্র। স্কুল থেকে ফেরার পথে সে সাইকেল থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলাে। তার একটা পা ভেঙে গেলে হাসপাতাল থেকে পা ব্যান্ডেজ করে ওকে বাসায় আনা হলাে। এ দৃশ্য দেখে মা সারাক্ষণ কাঁদতে লাগল। খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে ছেলেকে ওষুধ খাওয়ানাে, ভাত খাওয়ানাে ও অন্যান্য সব সেবাই নিজের হাতে করতে লাগল। রাত জেগে ছেলের শিয়রে বসে থাকে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে তার ছেলে যেন সুস্থ হয়ে ওঠে। ছেলের পা ভালাে হবে না এমন আশঙ্কায় তার গা শিউরে ওঠে।

ক. কোথায় বসে হুতুম পাখি ডাকে?

খ. ‘মােসলমানের আড়ঙ দেখিতে নাই’- মা এ কথাটি বলেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর। 

গ. উদ্দীপকটি পল্লিজননী’ কবিতার বৈসাদৃশ্যের আভাস দেয়- ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. উদ্দীপক ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার পটভূমি এক না হলেও দুই মাতৃসত্তাকে একই সমতলে দাড় করিয়েছে। বিশ্লেষণ কর।

৮। পত্রিকা, গণমাধ্যম আর সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে আমি ক্যাসপারের কথা জেনেছি। মা-বাবার বুকের মানিক সবার সব চেষ্টা আর প্রার্থনা ব্যর্থ করে যেদিন চলে গেল, সেদিন ওর বাবা চিৎকার করে বলেছিল, “ও এগারাে দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এক ফোটা পানির জন্য ছটফট করেছিল। দিতে পারিনি। এখন আমি কেমন করে পানি খাব?”

ক. রহিম চাচার কাজ কী?

খ. ‘আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল’- উক্তিতে কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের ক্যাসপারের বাবার মধ্যে পল্লিজননী’ কবিতার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে- ব্যাখ্যা কর।

ঘ. পিতা-মাতার মেহ অমূল্য’– উদ্দীপক ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার আলােকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

৯। আসমানীদের দেখতে যদি তােমরা সবে চাও

রহিমুদ্দির ছােট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।

বাড়ি তাে নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি

একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।

একটুখানি হাওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে

তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ধরে ।

ক. ছেলের কোচে ঝামুর মুর কী বাজে?

খ. উত্তর দিতে দুখিনী মায়ের দ্বিগুণ বাড়িল জ্বালা’- কেন? বুঝিয়ে লেখ।

গ. উদ্দীপকটি পল্লিজননী’ কবিতার কোন কোন চরণকে সমর্থন করে উল্লেখপূর্বক বিচার কর।

ঘ. উদ্দীপকের আসমানীদের অবস্থা যেন ‘পল্লিজননী’ কবিতার পল্লিজননীর দারিদ্র্যকেই প্রকাশ করছে আলােচনা কর।

১০। ফাহিম হােস্টেলে থাকে। নবম শ্রেণির ছাত্র সে। স্কুল ছুটি হলে গ্রামে বেড়াতে যায়। আবার স্কুল খুললেই চলে আসে। হােস্টেলে থাকতে তার যে খুব কষ্ট হয়, তা নয়, তবে মায়ের অভাব অনুভব করে। এখন স্কুল খােলা। গত দুদিন থেকে তার খুব জ্বর। ফলে সারাদিন সে একা থাকে হােস্টেলে। স্কুলে যেতে পারে না। স্কুলের মাঠে খেলতে পারে না। তার বন্ধুরা সবাই খেলা করে। ফাহিম সারাদিন একা শুয়ে যন্ত্রণা অনুভব করে। এখানে তার সেবা করার কেউ নেই।

ক. বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে কবি জসীমউদ্দীন তার কোন বিখ্যাত কবিতাটি রচনা করেন?

খ. করুণ চাহনি ঘুম ঘুম যেন ঢুলিছে চোখের পাতা’- লাইনটির ব্যাখ্যা দাও। 

গ. উদ্দীপকের ফাহিমের ‘পল্লিজননী’ কবিতার কার সাথে সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর। 

ঘ, “উদ্দীপকের ফাহিম যদি মায়ের কাছে থাকত, তবে ‘পল্লিজননী’ কবিতার রুণ ছেলের মতাে মায়ের সেবা পেত।”– উক্তিটির যৌক্তিকতা বিচার কর। 

১১। হামিদা বেগম প্রায় পাগল হয়ে যাচ্ছেন। তার একমাত্র মেয়ে জামিলা অসুখ। জামিলার বয়স দশ বছর। বাবা নেই, ভাই-বােন নেই। ফলে মা ছাড়া জামিলার যেমন কেউ নেই, জামিলা ছাড়া হামিদা বেগমেরও কেউ নেই। হামিদা বেগম খুব গরিব, মেয়ের জন্য ওষুধ কেনার টাকা নেই। ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনেক অনুনয় করেছিল। কিন্তু ডাস্তার টাকা ছাড়া ওষুধ দেয়নি। অসহায় হামিদা বেগম রােগীর অবস্থা অবলােকনের জন্য সারারাত জামিলার কাছে জেগে বসে থাকে। কোনাে শব্দ বা খারাপ কিছু মনে আসতেই ভয়ে কেঁপে ওঠে।

ক. পল্লিজননী’ কবিতার বর্ণনানুযায়ী বুনােপথে জোনাকি মেয়েরা কী করে?

খ. বালাই বালাই, ভালাে হবে যাদু মনে মনে ভাল বােনে– কথাটির মানে বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘পল্লিজননী’ কবিতার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের হামিদা বেগম ও ‘পল্লিজননী’ কবিতার মা সন্তানের প্রতি সমান দরদি।”- উক্তিটির বিয়েষণ কর।

Leave a Comment