প্রশ্ন ১। অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর : দুই বা ততােধিক অস্থির সংযােগস্থলকে অস্থিসন্ধি বলে।
প্রশ্ন ২। টেনডন কী?
উত্তর : মাংসপেশির প্রান্তভাগ রজ্জ্বর মতাে শক্ত হয়ে অস্থিগাত্রের সাথে সংযুক্ত, এ শক্ত প্রান্তই হলাে টেনডন।
প্রশ্ন ৩। অস্টিওব্লাস্ট কী?
উত্তর : অস্থির মাতৃকা নামক আন্তঃকোষীয় পদার্থের মধ্যে অস্থিকোষগুলাে ছড়ানাে থাকে যাদেরকে অস্টিওব্লাস্ট বলে ।
প্রশ্ন ৪। অস্থি কী?
উত্তর : অস্থি যােজক কলার রূপান্তরিত রূপ। এটি দেহের সর্বাপেক্ষা দৃঢ় কলা।
প্রশ্ন ৫। অস্টিওপােরােসিস কী?
উত্তর : অস্টিওপােরােসিস হলাে ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত একটি রােগ।
প্রশ্ন ৬। লিগামেন্ট কী?
উত্তর : অস্থিসমূহ পরস্পরের সাথে পাতলা কাপড়ের মতাে কোমল অথচ দৃঢ়, স্থিতিস্থাপক যে বন্ধনী দ্বারা সংযুক্ত থাকে, তাই লিগামেন্ট।
প্রশ্ন ৭। অস্থি কীসের রূপ?
উত্তর : অস্থি যােজক কলার রূপান্তরিত রূপ।
প্রশ্ন ৮। সারকোলেমা কী?
উত্তরঃ পেশী আবরণী হচ্ছে সারকোলেমা।
প্রশ্ন ৯। ল্যাকিউনি কী?
উত্তর : জীবিত অবস্থায় তরুণাস্থি কোষে যে স্বচ্ছ প্রােটোপ্লাজম, গােলাকার নিউক্লিয়াস কন্ড্রিনের মাঝে যে গহ্বর দেখা যায় সেগুলােই হলো ক্যাপসুল বা ল্যাকিউনি।
প্রশ্ন ১০। কঙ্কাল কী?
উত্তর : অস্থি ও তরুণাস্থি নামক বিশেষ ধরনের যােজক কলা নির্মিত যে গঠনাংশ দেহের অবকাঠামােগত গঠনসহ নরম অংশসমূহ সংরক্ষণ করে তাই কঙ্কাল।
প্রশ্ন ১১। পেরিঅস্টিয়াম কী?
উত্তর : অস্থির আবরণী হলাে পেরিঅস্টিয়াম।
প্রশ্ন ১২। নিশ্চল অস্থি সন্ধি কি?
উত্তর : যেসব অস্থিসন্ধিগুলাে অনড় অর্থাৎ নাড়ানাে যায় না তাদের নিশ্চল অস্থিসন্ধি বলে।
প্রশ্ন ১৩। সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর : সাইনােভিয়াল গহ্বর সমন্বিত অস্থিসন্ধিকে সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে।
প্রশ্ন ১৪। কঙ্কাল প্রধানত কয়টি ভাগে বিভক্ত?
উত্তর : কঙ্কাল প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত। যথা- অন্তঃকঙ্কাল ও বহিঃকঙ্কাল ।
প্রশ্ন ১৫। কঙ্কালতন্ত্র কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : অস্থি ও তরুণাস্থির সমন্বয়ে কঙ্কালতন্ত্র গঠিত হয়।
প্রশ্ন ১৬। মানব কঙ্কাল কয়টি অস্থির সমন্বয়ে গঠিত?
উত্তর : মানব কঙ্কাল ২০৬টি অস্থির সমন্বয়ে গঠিত।
প্রশ্ন ১৭। বহিঃকঙ্কাল কাকে বলে?
উত্তর : কঙ্কালের যে অংশগুলাে দেহের বাইরের দিকে অবস্থান করে তাকে বহিঃকঙ্কাল বলে ।
প্রশ্ন ১৮। অস্থিসন্ধি কী?
উত্তর : দুই বা ততােধিক অস্থির সংযােগস্থল হলাে অস্থিসন্ধি ।
প্রশ্ন ১৯। নিশ্চল অস্থিসন্ধি কাকে বলে?
উত্তর : যেসব অস্থিসন্ধিগুলাে অনড় অর্থাৎ নাড়ানাে যায় না তাদের নিশ্চল অস্থিসন্ধি বলে।
প্রশ্ন ২০। পেশি কোনটির সাহায্যে কঙ্কালের সাথে যুক্ত থাকে?
উত্তর : পেশি টেনডন দিয়ে কঙ্কালের সাথে যুক্ত থাকে।
প্রশ্ন ২১। মানুষের বক্ষ অস্থিচক্ৰ কত জোড়া অস্থি নিয়ে গঠিত?
উত্তর : মানুষের বক্ষ অস্থিচক্র ২ জোড়া অস্থি নিয়ে গঠিত।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। বয়স্ক মানুষের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ প্রয়ােজন কেন?
উত্তর : অস্থির গঠন ও দৃঢ়তার জন্য ক্যালসিয়াম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্থি ভঙ্গুর হয়ে বয়স্ক মানুষের অস্টিওপােরােসিস রােগ হয়। এজন্যই অস্থির গঠন ও দৃঢ়তার জন্য বয়স্ক মানুষের ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ প্রয়ােজন।
প্রশ্ন ২। তরুণাস্থি বলতে কী বােঝায়?
উত্তর : তরুণাস্থি এক ধরনের তন্তুময় যােজক কলা যা অপেক্ষাকৃত নরম ও স্থিতিস্থাপক। আর কোষগুলাে একক বা জোড়ায় জোড়ায় খুব ঘনভাবে স্থিতিস্থাপক মাতৃকাতে বিস্তৃত থাকে। জীবিত অবস্থায় তরুণাস্থি কোষের প্রােটোপ্লাজম খুব স্বচ্ছ থাকে। নিউক্লিয়াসটি গােলাকার এবং কন্ড্রিনের মাঝে গহ্বর দেখা যায়।
প্রশ্ন ৩। অস্থি বলতে কী বুঝায়?
উত্তর : অস্থি এক ধরনের রূপান্তরিত যাজক কলা। এটি দেহের সর্বাপেক্ষা দৃঢ় কলা। অস্থির মাতৃকা বা আন্তঃকোষীয় পদার্থ এক প্রকার জৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত। মাতৃকার মধ্যে অস্থিকোষগুলাে ছড়ানাে থাকে। অস্থিকোষকে অস্টিওব্লাস্ট বলা হয়। এসব কোষ শাখা-প্রশাখাযুক্ত, দেখতে অনেকটা মাকড়ার মতাে। অস্থিতে মূলত ৪০-৫০ ভাগ পানি থাকে।
প্রশ্ন ৪। বহিঃকঙ্কাল বলতে কি বুঝায়?
উত্তর : কঙ্কালের যে অংশগুলাে দেহের বাইরের দিকে অবস্থান করে তাকে। বহিঃকঙ্কাল বলে। যেমন- নখ, চুল, লােম ইত্যাদি বহিঃকঙ্কালের অন্তর্ভুক্ত।
প্রশ্ন ৫। হাতের কনুইকে কজিসন্ধি বলা হয় কেন?
উত্তর : কজা যেমন দরজার পাল্লাকে কাঠামাের সাথে আটকে রাখে তেমনি হাতের কনুই দুটি অস্থিকে সংযুক্ত রাখে। এজন্য হাতের কনুইকে কজি সন্ধি বলা হয় ।
প্রশ্ন ৬। স্বাভাবিক চলাফেরায় সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি কিভাবে সাহায্য করে?
উত্তর : যে অস্থিসন্ধি ক্যাপসুল বা অস্থিসন্ধি আবরণী, গহ্বর এবং সাইনােভিয়াল রস নামক এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থ নিয়ে গঠিত তাকে সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। অস্থিসন্ধিতে সাইনােভিয়াল রস ও তরুণাস্থি থাকাতে অস্থিতে অস্থিতে ঘর্ষণ ও তদজ্জনিত ক্ষয় হ্রাস পায় ও অস্থিসন্ধির নড়াচড়া করাতে কম শক্তি ব্যয় হয়।
প্রশ্ন ৭। আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধি কি ধরনের অস্থিসন্ধি ব্যাখ্যা কর?
উত্তর : আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধি একটি অনড় অস্থিসন্ধি বা নিশ্চল মধ্যবর্তী আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধিও এ ধরনের অস্থিসন্ধিগুলাে অনড় অর্থাৎ নাড়ানাে যায় না সেসব অস্থিসন্ধিগুলােকে নিশ্চল বা অনড় অস্থিসন্ধি বলে। দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী আন্তঃকশেরুকীয় অস্থিসন্ধিও এ ধরণের অস্থিসন্ধি।
প্রশ্ন ৮। অস্থি সন্ধিস্থল থেকে বিচ্যুত না হওয়ার কারণ লেখ।
উত্তর : দুই বা ততােধিক অস্থির সংযােগস্থলকে অস্থি সন্ধি বলে। প্রতিটি অস্থিসন্ধির অস্থিসমূহ একরকম স্থিতিস্থাপক রজ্জুর মতাে বন্ধনী দিয়ে দৃঢ়ভাবে আটকানাে থাকে, ফলে অস্থিগুলাে সহজে সন্ধিস্থল থেকে বিচ্যুত হতে পারে না। সন্ধিস্থল বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞলনে সহায়তা করে।
প্রশ্ন ৯। সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি বলতে কী বুঝ?
উত্তর : যে অস্থিসন্ধি ক্যাপসুল বা অস্থিসন্ধি আবরণী এবং সাইনােভিয়াল রস নামক এক ধরনের তৈলাক্ত পদার্থসহ অস্থিসন্ধি গহ্বর নিয়ে গঠিত হয় তাকে সাইনােভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। এ ধরনের অস্থিসন্ধি অস্থিতে অস্থিতে ঘর্ষণ ও তজ্জনিত ক্ষয় হ্রাস করে। ফলে অস্থিসন্ধির নড়াচড়া করাতে কম শক্তি ব্যয় হয়।
প্রশ্ন ১০। কীভাবে চলন সংঘটিত হয়?
উত্তর : পেশিসমূহ বিভিন্ন অস্থির সাথে যুক্ত থাকে। ফলে পেশির সংকোচন প্রসারণ সম্ভব হয়। আর পেশি সংকোচন প্রসারণের ফলেই
অস্থি চালিত হয়ে চলন সংঘটিত হয় ।
প্রশ্ন ১১। মানবদেহে কঙ্কালতন্ত্র না থাকলে কী হতাে?
উত্তর : কঙ্কালতন্ত্র মানবদেহের কাঠামাে গঠন করে দৈহিক আকৃতি প্রদান করে। কঙ্কালতন্ত্র না থাকলে দেহের কাঠামাে গঠন হবে না, ফলে অন্য কোনাে অঙ্গ অবস্থান করতে পারবে না।
প্রশ্ন ১২। লিগামেন্ট তন্তুগুলাে কীভাবে গঠিত হয়?
উত্তর : লিগামেন্ট তন্তুগুলাে গুচ্ছাকারে না থেকে আলাদাভাবে অবস্থান করে। এদের স্থিতিস্থাপকতা আছে। তন্তুগুলাে ইলাস্টিক নামক আমিষ দ্বারা তৈরি। তন্তুগুলাের মাঝে ফাইব্রোব্লাস্ট কোষ থাকে।
প্রশ্ন ১৩। অস্টিওপােররাসিস রােগের লক্ষণগুলাে কী কী?
উত্তর : অস্টিওপােরােসিস রােগের লক্ষণগুলাে নিম্নরূপঃ
১. অস্থি ভঙ্গুর হয়ে যায়, পুরুত্ব কমতে থাকে।
২. পেশির শক্তি কমতে থাকে।
৩. পিঠের পেছন দিকে ব্যথা অনুভব হয়।
৪. অস্থিতে ব্যথা অনুভব হয়।