তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। অবুঝ শিশু কোথায় হামাগুড়ি দিল?
উত্তর : অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতা-মাতার লাশের ওপর।
প্রশ্ন ২। থুথুড়ে বুড়াের চোখের নিচে কী ছিল?
উত্তর : থুথুড়ে বুড়োর চোখের নিচে ছিল অপরাহের দুর্বল আলাের ঝিলিক।
প্রশ্ন ৩। শামসুর রাহমানের কবিতায় সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে কী?
উত্তর : শামসুর রাহমানের কবিতায় মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের প্রত্যাশা, হতাশা, বিচ্ছিন্নতা, বৈরাগ্য ও সংগ্রাম সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
প্রশ্ন ৪। জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক কীভাবে এলাে?
উত্তর : জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক দানবের মতাে চিৎকার করতে করতে এলাে।
প্রশ্ন ৫। অধীর আগ্রহে সবাই বসে আছে কিসের প্রতীক্ষায়?
উত্তর : অধীর আগ্রহে সবাই বসে আছে স্বাধীনতার প্রতীক্ষায়।
- তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
- তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
- তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার মূলভাব ও ব্যাখ্যা
প্রশ্ন ৬। জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লােক কে?
উত্তর : জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লােক কেষ্ট দাস।
প্রশ্ন ৭। দানবের মতাে চিৎকার করতে করতে কী এসেছিল?
উত্তর : দানবের মতাে চিৎকার করতে করতে জলপাই রঙের ট্যাঙ্ক এসেছিল।
প্রশ্ন ৮। কার সিথির সিঁদুর মুছে গেল?
উত্তর : হরিদাসীর সিথির সিঁদুর মুছে গেল।
প্রশ্ন ৯। কার ফুসফুস এখন পােকার দখলে?
উত্তর : ঢাকার রিকশাওয়ালা রুস্তম শেখের ফুসফুস এখন পােকার দখলে।
প্রশ্ন ১০। স্বাধীনতার জন্য কার কপাল ডাঙল?
উত্তর :বাধীনতার জন্য সাকিনা বিবির কপাল ভাঙল।
প্রশ্ন ১১। ‘যত্রতত্র’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : যত্রতত্র’ শব্দের অর্থ যেখানে সেখানে।
প্রশ্ন ১২। তেজি তরুণের পদভারে কী হতে চলেছে?
উত্তর : তেজি তরুণের পদভারে একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে।
প্রশ্ন ১৩। কবি শামসুর রাহমানের গ্রামের নাম কী?
উত্তর :কবি শামসুর রাহমানের গ্রামের নাম পাড়াতলী,।
প্রশ্ন ১৪। স্বাধীনতা আসবে বলে আর্তনাদ করল কে?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে প্রভুর বাস্তুভিটার ভগ্নস্ফূপে দাঁড়িয়ে একটা কুকুর আর্তনাদ করল।
প্রশ্ন ১৫। ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কবি কে?
উত্তর : ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কবি শামসুর রাহমান।
প্রশ্ন ১৬। কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যু তারিখ কত?
উত্তর :কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যু তারিখ ১৭ আগস্ট।
প্রশ্ন ১৭। ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর : ‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতাটি ‘শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ১৮ হরিদাসীর কী মুছে গিয়েছিল?
উত্তর : হরিদাসীর সিঁথির সিঁদুর মুছে গিয়েছিল।
প্রশ্ন ১৯। ঢাকার রিকশাওয়ালার নাম কী?
উত্তর : ঢাকার রিকশাওয়ালার নাম রুস্তম শেখ।
প্রশ্ন ২০। শামসুর রাহমান কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : শামসুর রাহমান ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ২১। দামামা’ কী?
উত্তর : ‘দামামা’ হলাে জোরালাে শব্দ সৃষ্টিকারী এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র।
প্রশ্ন ২২। শহরের বুকে কী এলাে?
উত্তর : শহরের বুকে ট্যাঙ্ক এলাে।
প্রশ্ন ২৩। ছাত্রাবাস আর বস্তি কেন উজাড় হলাে?
উত্তর : স্বাধীনতা আসবে বলে ছাত্রাবাস আর বস্তি উজাড় হলাে।
প্রশ্ন ২৪। বাস্তুভিটা’ অর্থ কী?
উত্তর : যে ভূমির উপর পুরুষানুক্রমে বাসগৃহ নির্মিত বা প্রতিষ্ঠিত।
প্রশ্ন ২৫। স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য আমরা কোথায় ভেসেছি?
উত্তর : স্বাধীনতাকে পাওয়ার জন্য আমরা রক্তগঙ্গায় ভেসেছি।
প্রশ্ন ২৬। মােল্লাবাড়ির বিধবা কী ধরে দাঁড়িয়ে আছে?
উত্তর : মােল্লাবাড়ির বিধবা দগ্ধ ঘরের খুঁটি ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
প্রশ্ন ২৭। কিশােরীর হাতে কী?
উত্তর : কিশােরীর হাতে শূন্য থালা।
২৮। অনাথ শারী কোথায় বসে আছে?
উত্তর : অনাথ কিশােরী পথের ধারে বসে আছে।
প্রশ্ন ২৯। কেন্ট দাস কে?
উত্তর : জেলেপাড়ার সবচেয়ে সাহসী লােক।
প্রশ্ন ৩০। মতলব মিয়া কখন গাজী গাজী বলে নৌকা চালায়?
উত্তর :উদ্দাম ঝড়ের সময়।
তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। অনাথ কিশােরী শূন্য থালা হাতে বসে আছে কেন?
উত্তর : অনাথ কিশােরী শূন্য থালা হাতে অপেক্ষায় বসে আছে তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য। সেখানে সে ক্ষুধার অন্নের অধিকার ফিরে পাবে।
স্বাধীনতার জন্য কত বাবা-মা হারিয়েছেন তাদের প্রিয় সন্তান, একইভাবে কত সন্তান হারিয়েছে তাদের বাবা-মা। অসহায় এসব শিশু-কিশাের দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত, হাড্ডিসার। তারা অন্নের অধিকার থেকে বঞ্চিত। সামান্য আহারের জন্য তারা পথের ধারে অপেক্ষা করে তাদের অন্নের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য, স্বাধীনতার জন্য। কারণ আহারের পাত্র শূন্য এবং সে ক্ষুধায় ক্লান্ত। এখানে মূলত শাসকদের শাসন-শােষণে বাংলার মানুষের অসহায় অবস্থাটি তুলে ধরা হয়েছে।
প্রশ্ন ২। খাণ্ডবদাহন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর : ‘খাণ্ডবদাহন বলতে কবি বিদেশি শত্রুদের দ্বারা এ দেশ ও জাতি বারবার আক্রান্ত হওয়ার দিকটিকে বুঝিয়েছেন।
“তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি এদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে আত্মত্যাগের দিকটি নির্দেশ করেছেন। বাংলাদেশ এক দিনে স্বাধীন হয়নি। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়। তারপর বাঙালিকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়। এদেশের স্বাধীনতার জন্য বাঙালি জাতিকে অনেকবার রক্ত দিতে হয়েছে। বায়ান্ন, বাষট্টি, ঊনসত্তর, একাত্তরে বাংলার মানুষ রক্ত দিয়েছে। জ্বলেছে মানুষের আশ্রয়ও। তাই কবি মহাভারতে বর্ণিত ‘খাণ্ডব’ বন যা ভীষণ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল সেই উপমায় এ দেশের মানুষের দুর্দশার কথা বলেছেন। কারণ শত্রুরা এদেশের মানুষের ঘর-বাড়ি, আশ্রয় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বারবার। তাই তিনিমপ্রশ্ন করেছেন, স্বাধীনতার জন্য আর কত ত্যাগ স্বীকার করতে হবে বাঙালিকে?
প্রশ্ন ৩। তােমার পঠিত কবিতায় মতলব মিয়ার বর্ণনা কীরূপ ছিল?
উত্তর : আমার পঠিত কবিতায় মতলব মিয়াকে মেঘনার একজন দক্ষ মাঝি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
“তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ও আত্মত্যাগের মহিমা তুলে ধরেছেন। এখানে কবি এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন, যারা ঐ পেশার সমস্ত মানুষের প্রতিনিধি। তিনি নদীমাতৃক বাংলাদেশের মাঝি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসেবে মতল মিয়ার কথা বলেছেন। মতলব মিয়া মেঘনা নদীর একজন দক্ষ মাঝি। তিনি প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যেও গাজি গাজি বলতে বলতে নৌকা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান। এদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার মতাে হাজারাে মাঝির অবদানকে তুলে ধরতে কবি মতলব মিয়াকে স্মরণ করেছেন।
প্রশ্ন ৪। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রক্তগণায় ভেসেছিল কারা? ব্যাখ্যা কর
উত্তর : স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রক্তগঙ্গায় ভেসেছিল এদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ।
‘তােমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতায় কবি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে সর্বস্তরের বাঙালির সংগ্রামী চেতনা এবং তাদের মহান আত্মত্যাগের মহিমা তুলে ধরেছেন। এখানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম অত্যাচারের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। এ দেশের নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে হানাদাররা গণহত্যা চালায়। কবিতায় কবি রক্তগঙ্গা’ বলতে বাঙালির রক্তের ধারাকে বুঝিয়েছেন। পাকিস্তানি হানাদাররা এদেশের বুকে এই রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছিল। দেশপ্রেমিক মানুষের রক্তের সেই ধারায় ভেসে এসেছে এদেশের স্বাধীনতা।
প্রশ্ন ৫। “আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?’ কবির এমন প্রশ্নের কারণ কী?
উত্তর : ‘আর কতবার দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন’- কবির এমন প্রশ্নের কারণ, বহুবার বাঙালি জাতি বিদেশি শত্রুর আক্রমণের শিকার হয়েছে।
বাংলাদেশ এক দিনে স্বাধীন হয়নি। ১৭৫৭ সালে পলাশির প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার পর দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বাঙালিকে। বায়ান্ন, উনসত্তর, একাত্তরে অনেক রক্ত দিয়েছে বাংলার মানুষ। তারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে। এদেশের স্বাধীনতার জন্য বহুবার জ্বলতে হয়েছে মানুষকে। জ্বলেছে মানুষের আশ্রয়ও। তাই কবি মহাভারতে বর্ণিত ‘খাণ্ডব’ বন যা ভীষণ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছিল সেই উপমায় এ দেশের মানুষের দুর্দশার কথা বলেছেন। কবি আত্মক্ষোভে প্রশ্ন করেছেন, আর কত ত্যাগ স্বীকার করতে হবে বাঙালিকে?
প্রশ্ন ৬। সবাই অধীর প্রতীক্ষা করছে তােমার জন্যে’- কার জন্যে এবং কেন?
উত্তর : সবাই অধীর প্রত্নীক্ষা করে আছে স্বাধীনতার জন্য। কারণ পরাধীন দেশের মানুষের কাছে স্বাধীনতা পরম আকাক্ষিত।
স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার এবং অনেক আকাক্ষিত বস্তু। সব মানুষই পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বাঁচতে চায়। বাঙালি জাতিও পাকিস্তানি সেনাদের কাছে পরাধীন ছিল। তাদের দ্বারা নানাভাবে শােষিত, নির্যাতিত, অত্যাচারিত, অবহেলিত হতাে। তাই তারা স্বাধীনভাবে বাঁচার জন্য, স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াননার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এদেশের মানুষ দিন-রাত অপেক্ষা করতে থাকে স্বাধীনতার জন্য।
প্রশ্ন ৭। “সিঁথির সিঁদুর মুছে গেল হরিদাসীর”- এখানে ‘সিথির সিঁদুর’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর : সিঁথির সিঁদুর হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিবাহিত নারীদের স্বামীর জীবিতাবস্থাকে নির্দেশ করে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা বিয়ে করলে তার চিহ্ন হিসেবে সিথিতে সিদুর পরে। দাম্পত্য জীবন যতদিন স্থায়ী হয়, ততদিন এ সিদুরও স্থায়ী হয়। যদি স্বামী মারা যায়, তাহলে স্ত্রীকে সিথির সিদুর মুছে ফেলতে হয়। হরিদাসীর স্বামী যুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি শত্রুর হাতে প্রাণ দিয়েছেন। ফলে হরিদাসী হয়েছেন বিধবা। আলােচ্য লাইনে সিথির সিদুর বলতে স্বামী জীবিত থাকার কথা এবং সিথির সিঁদুর মুছে যাওয়া বলতে স্বামী হারানােকে বােঝানাে হয়েছে।
প্রশ্ন ৮। স্বাধীনতার জন্য সকলের অধীর প্রতীক্ষার কারণ কী?
উত্তর : স্বাধীনতার জন্য সকলের অধীর প্রতীক্ষার কারণ হলাে- পরাধীনতার নিগড়ে তাদের সবার জীবন অতিষ্ঠ ও যন্ত্রণাকাতর হয়ে উঠেছে।
দেশ ও জাতির জন্য পরাধীনতা সবচেয়ে বড় অভিশাপ। পৃথিবীতে জন্ম নিয়ে অন্যের শাসনের বেড়াজালে নিজের মৌলিক অধিকার গণ্ডিবদ্ধ হওয়ার নামই পরাধীনতা। এ পরাধীনতায় মানুষের জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়। জীবনের স্বপ্নিল আশাগুলাে শুকিয়ে যায়। এক কথায়, সকলের জীবন অর্থহীন হয়ে পড়ে। জীবনকে পরাধীনতার নাগপাশ’ থেকে মুক্ত করার অভিপ্রায় সবার। তাই তারা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সােচ্চার হয়ে স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষা করছে।
প্রশ্ন ৯। অবুঝ শিশু পিতামাতার লাশের ওপর হামাগুড়ি দিয়েছে কেন?
উত্তরঃ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য অবুঝ শিশু পিতামাতার লাশের ওপর হামাগুড়ি দিয়েছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালিদের ওপর ভয়ঙ্কর ও বীভৎস অত্যাচার চালায়। তারা এদেশে গণহত্যা চালিয়ে মানুষের বাস্তুভিটা ভগ্ন্যুপে পরিণত করে। হানাদারদের নিষ্ঠুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া অবুঝ শিশু পিতামাতার লাশের ওপর হামাগুড়ি দেয়।