জীবন সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

জীবন সঙ্গীত কবিতার সৃজনশীল: ফুলবাড়ি গ্রামের তমাল ও তার কলেজপড়ুয়া বন্ধুরা মিলে ‘বন্ধু’ নামে এক ক্লাব প্রতিষ্ঠা করে। এলাকায় বিভিন্ন উৎসবে বিনােদনমূলক অনুষ্ঠান, খেলাধুলার আয়ােজন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ময়লা পুকুর পরিষ্কার করা, জঙ্গল সাফ করা, কিংবা ভাঙা রাস্তা সংস্কার করা এসব কাজেই তাদের সময় চলে যায়। কেউ কেউ তাদের অসংযমী, ভবঘুরে বলে গালি দেয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে দেশ ও জাতির উন্নয়নে এ রকম মানুষরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ।

ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা কোন কবিতার ভাবানুবাদ?

খ. ‘এ জীবন নিশার স্বপন’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “উদ্দীপকের তমাল ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি ‘জীবন-সঙ্গীত কবিতায় সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে”- বিশ্লেষণ করো।  

উত্তর

ক। জীবন-সঙ্গীত কবিতা ‘A Psalm of Life’ কবিতার ভাবানুবাদ।

খ। ‘এ জীবন নিশার স্বপন বলতে’ কবি জীবনকে রাতের স্বপ্নের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি এখানে বােঝাতে চেয়েছেন যে, জীবন স্বপ্নের মতাে অসার বা মিথ্যা নয়।

সাধারণভাবে মানুষ রাতে ঘুমিয়ে যে স্বপ্ন দেখে তাতে কোনাে সত্য থাকে না। তাই রাতের স্বপ্নের মতাে জীবনকে মিথ্যাজালে আবদ্ধ করে হতাশায় জড়িয়ে রাখা উচিত নয়। অথচ হতাশাবাদী মানুষের কাছে জীবন রাতের স্বপ্নের মতাে মিথ্যা ও অসার মনে হয়। বস্তুত জীবন নিছক কোনাে স্বপ্ন নয়, জীবনে করণীয় বহু কাজ আছে। কোনাে অবস্থাতেই হতাশ না হয়ে সবারই উচিত নিজ নিজ কর্তব্যকর্ম পালন করা । কারণ আমাদের জীবন শৈবালের শিশির বিন্দুর মতােই ক্ষণস্থায়ী। তাই সাহসী যােদ্ধার মতাে সংগ্রাম করে জীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে।

গ উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি হলাে মানুষের কল্যাণ ও উন্নতি সাধনের জন্য কাজ করা ।

জীবনকে অর্থহীন মনে করা উচিত নয়। কারণ মানুষের জীবন অনেক সম্ভাবনাময় । যত্ন করলে জীবনকে অর্থপূর্ণ করে গড়ে তােলা যায় । সমাজের মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করে পৃথিবীকে নতুনভাবে গড়ে তােলা যায়। আর তার মধ্য দিয়েই জীবন অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে। মহামানবেরা কল্যাণকর কাজ করেই জগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় পৃথিবীর কল্যাণের জন্য কাজ করার এ বিষয়টি চিত্রিত হয়েছে। জগতে মহান ব্যক্তিরা মানবকল্যাণ সাধনের জন্য অবিরাম কাজ করে গেছেন। তাঁরা সাহসী সৈনিকের মতাে সংসারের সব ঘাত-প্রতিঘাত মােকাবিলা করেছেন। তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই পৃথিবী বহুদূর এগিয়ে গেছে। উদ্দীপকের তমাল এবং তার বন্ধুদের কার্যক্রমও মানবকল্যাণের পর্যায়ভুক্ত। তারা এলাকার উন্নতির জন্য কাজ করে। তাদের এ কাজ অনেকের কাছে অপছন্দনীয় হলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের মতাে মানুষেরাই সমাজ পরিবর্তনের অগ্রপথিক। তারা দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়ােজিত করেছেন ।

ঘ। “উদ্দীপকের তমাল ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।

মানবজীবন ক্ষণস্থায়ী। এ ক্ষণস্থায়ী জীবনকে সার্থক করে গড়ে তােলার জন্য কাজ করতে হয় । জীবন তাে মূল্যহীন নয়, বরং প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। মহৎ মানুষেরা এ সত্য উপলব্ধি করেই পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য অবিরাম কাজ করে গেছেন। তাঁদের ত্যাগ স্বীকারের কারণেই পৃথিবী আজ এত সুষমাময়।

‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় কবি ক্ষণস্থায়ী মানবজীবনকে সার্থক করে তােলার কথা বলেছেন। কবি এখানে জীবনকে হতাশায় না জড়িয়ে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বলেছেন। মহাজ্ঞানী ও মহান ব্যক্তিরা জীবনকে কেবল নিশার স্বপ্ন ভাবেননি। তারা জীবনকে মহামূল্য ও অর্থময় ভেবেছেন। তারা কর্মের মাধ্যমে জীবনকে ভরিয়ে তুলেছেন। মানবকল্যাণের জন্য কাজ করার মধ্য দিয়েই তাঁদের জীবন সার্থক হয়ে উঠেছে। উদ্দীপকের তমাল ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি জীবন-সঙ্গীত কবিতায় প্রতিফলিত মহৎ ব্যক্তিদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।

উদ্দীপকের তমাল এবং তার বন্ধুরা সত্যিকার অর্থেই কল্যাণকামী এবং মানবতার নিরলস কর্মী। তারা দেশের কল্যাণে নিজেদের নিয়ােজিত করেছে। এরাই একদিন সমগ্র পৃথিবীকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় এভাবেই বরণীয় হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ দিক থেকে উদ্দীপকের তমাল ও তার বন্ধুদের দৃষ্টিভঙ্গি ‘জীবন-সঙ্গীত কবিতায় সার্থকভাবে ফুটে উঠেছে।

 

জীবন সঙ্গীত গল্পের আরও সৃজনশীল

 

১। নানামুখী প্রতিকূলতার মধ্যে লেখাপড়া ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় হাসেম। গ্রামের একজন বিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে এবং অনেক কষ্টে আবার সে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকে। দৃঢ় মনােবল নিয়ে পড়াশুনা করে সে কৃতিত্বের সাথে স্নাতক পাস করে।

ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতা অনুসারে জগতে কোন বিষয়টি দুর্লভ?

খ. কবি জীবনকে শৈবালের নীরের সঙ্গে তুলনা করেছেন কেন?

গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ, “উদ্দীপকটি জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র দিক প্রতিফলিত করেনি।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

২। আসছে পথে আঁধার নেমে

তাই বলে কি রইবি থেমে?

তুই বারে বারে জ্বালবি বাতি

হয়তাে বাতি জ্বলবে না,

তাই বলে তাে ভীরুর মতাে

বসে থাকলে চলবে না।

ক. কী অনিত্য নয়?

খ.  সংসার সমরাঙ্গনে টিকে থাকতে হলে আমাদের কী করতে হবে? বুঝিয়ে  দাও।

গ. উদ্দীপকটি ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন অংশের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? 

ঘ. “উদ্দীপকের মূলভাব জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার একটি অংশকে নির্দেশ করে  মাত্র, পুরাে বিষয়বস্তুকে নয়।”- প্রমাণ কর ।

৩। i. মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে,

মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই।

এই সূর্যকরে এই পুস্পিত কাননে

জীবন্ত হৃদয়-মাঝে যদি স্থান পাই!

  1. সেই পথ লক্ষ্য করে

স্বীয় কীর্তি ধ্বজা ধরে

আমরাও হব বরণীয়

সমর-সাগর-তীরে, পদাঙ্ক অঙ্কিত করে

আমরাও হব হে অমর;

ক. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী?

খ. কবি কেন প্রাতঃস্মরণীয়দের পথ অনুসরণ করতে চান? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের i নং ও ii নং অনুচ্ছেদে কবিদের আকাঙ্ক্ষার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর। 

ঘ. “উদ্দীপকের i নং অনুচ্ছেদ জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার বিষয়বস্তুর এক  বিশেষ দিকের প্রতিকায়”- মূল্যায়ন কর।

৪। সংসার অনেক বড় যুদ্ধক্ষেত্র। প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার সঙ্গে যুদ্ধ করেই সমাজ-সংসারে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। যুদ্ধ মানেই যুদ্ধক্ষেত্রে মানুষের  প্রাণ বধ করা নয়। সংসারের প্রবল প্রতিবন্ধকতাকে মােকাবিলা করে আপনাকে  প্রতিষ্ঠা করাই বড় যুদ্ধ। মূলত জগত সংসারে যে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারে সেই মহিমা লাভ করে।

ক. ‘ধ্বজা’ শব্দের অর্থ কী?

খ. ‘জীবাত্মা অনিত্য নয়’– কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার যে সকল বিষয়ের মিল আছে সেগুলি চিহ্নিত করে মিলের কারণ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার কৌশলই উদ্দীপক ও ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার মৌলিক দিক।” – বিশ্লেষণ কর।

৫। বাধা বিঘ্ন জয় করে

সংসার সাগর পরে

ভাসাও জীবনের তরী

কর্তব্য কর্মের তরে

প্রাণ মন উজাড় করে

মহিমা তার উর্ধ্বে তুল ধরি।

নয় কো হতাশা

নয় মিছে আশা

সফলতা আসিবে সত্বর

কঠোর সংগ্রাম শেষে

জীবন হবেই হবে

মহত্তর সত্য ও সুন্দর।

ক. ‘বৃত্রসংহার’ কোন ধরনের সৃষ্টিকর্ম?

খ. কবি সংসারকে সমরাঙ্গন বলেছেন কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার ভাবগত সাদৃশ্য নিরূপণ কর।

ঘ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব প্রকাশ পেয়েছে কি?” তােমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬। মিঠুর এ পৃথিবীতে কেউ নেই। কয়েক বছর আগে এ সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা মা মান্য যান। এক বোন ছিলে, তারও বিয়ে হয়ে গেছে। মিঠুকে দেখলে তা বােঝার উপায় নেই। মি সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পর এলাকায় নিরক্ষর মানুষদের অক্ষর জ্ঞান দেওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে। সেখানে সান্ধ্যকাঙীন পড়াশুনা করা মিঠু। রাত দশটার দিকে বাড়ি ফিরে খেয়ে-দেয়ে আবার নিজের জন্য পড়াশুনা করে সে। একদিন মিঠুর বন্ধু প্রমাণ মিঠুকে জিজ্ঞেস করল, তােমার কেউ নেই, তবু তুমি এত পরিশ্রম কর কেন? উত্তরে মিঠ বলল, যেভাবেই হােক, আমাকে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতেই হবে।

ক. ‘ধীরবাহু’ কী ধরনের রচনা?

খ. আয়ুকে শৈবালের নীর বলা হয়েছে কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার বাস্তবতা উদ্দীপকের কোন চরিত্রের মধ্যে ফুটে উঠেছে তা দেখাও।

ঘ. জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে জীবন-সঙ্গীত কবিতার শিক্ষা বাস্তবায়িত হয়েছে উদ্দীপকে মিঠু চরিত্রে  মূল্যায়ন কর।

৭। রাতে যদি সূর্যশশাকে ঝরে অশু ধারা

সূর্য নাহি ফেরে কভু ব্যর্থ হয় তারা।

সময়ের মূল্য বুঝে করে যারা কাজ

তারা আজ স্মরণীয় জগতের মাঝ ।

ক. কবি জীবকে কী করতে বলেছেন?

খ. সংসারকে সমরাঙ্গন বলার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন ভাবটি প্রকাশ পেয়েছে আলােচনা কর। 

ঘ. জগতের মাঝে স্মরণীয় হতে হলে প্রাতঃস্মরণীয়দের অনুসরণ করতে হবে, অনুকরণ নয়- উক্তিটির সপক্ষে যুক্তি দাও উদ্দীপক ও ‘জীবনসঙ্গীত’ কবিতার ভিত্তিতে।

৮। যে জাতি বা মানুষ শ্রমশীল, যাহারা জ্ঞান সাধনায় আনন্দ অনুভব করে, তাহারাই জগতে শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে। কর্তব্যজ্ঞানহীন, নীতিজ্ঞানহীন অলস মানুষের।স্থান জগতে সকলের নিচে থাকে। তাহারা জগতে অবজ্ঞার ভার, অসম্মানের অগৌরব নিয়ে বেঁচে থাকে। জগতের ধনসম্পদ জয় করতে হলে, জীবনের কল্যাণ লাভ করতে হলে পরিশ্রম ও সাধনা চাই ।

ক. হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় আয়ুকে কিসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

খ. কবি বাহ্যদৃশ্যে ভুলতে নিষেধ করেছেন কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে জীবন-সঙ্গীত কবিতা কতটুকু সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের আলস্যের পতন আর শ্রমের জয়গান যেন ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার মূলভাবেরই প্রতিচ্ছবি – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

৯। মানব সেবার ইতিহাসে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল এক অনন্য নাম। ব্যক্তিগত সুখস্বাচ্ছন্দ্যের কথা না ভেবে সারাজীবন তিনি অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করে ‘Lady with the lamp’ নামে পরিচিত হন। তাঁর নিঃস্বার্থ সেবাব্রতী ভূমিকা তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছেন।   

ক. ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতায় মানবজীবনকে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে? 

খ. কবি সংসারকে সমরাঙ্গান বলেছেন কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের নাইটিঙ্গেল কবিতায় উল্লিখিত কাদের প্রতিরূপ?

ঘ. কবিতার শিক্ষণীয় দিকটি কি উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে? আলােচনা কর।

১০। “কার্যক্ষেত্র ঐ প্রশস্ত পড়িয়া,

স্মরণীয় করে রেখেছে।

যাও বীর বেশে, কর গিয়া রণ,

যে জিনিবে সুখ লভিবে সেই।”

ক. তুমি কার কে তােমার’ বলে কবি কী করতে মানা করেছেন?

খ. জগতে মহিমা দুর্লভ কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার ভাবগত নৈকট্য নিরূপণ কর। 

ঘ. “জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার সমগ্র ভাব উদ্দীপকে প্রকাশ পায়নি”- উক্তিটি মূল্যায়ন কর।

১১। মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় সফলতা হলাে সুখ। জগতের প্রত্যেক মানুষই সুখের অনুসন্ধানী। এ পৃথিবী কর্মযজ্ঞে সদা ব্যস্ত। মানুষ যে কাজ করুক, যেভাবেই করুক বা যে উদ্দেশ্যেই করুক না কেন, সবই সুখের জন্যই নিবেদিত । মূলত এত কিছুর পরেও সুখ অনেকেই আহরণ করতে জানে না। কারণ তারা আকাঙ্ক্ষাকে ক্ষমতার চেয়ে বেশি বড় করে তােলে। আর ফলাফল আসে কর্ম অনুযায়ী, আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নয়। যার অনিবার্য ফলাফল হলাে দুঃখ। মূলত কর্মের চেয়ে আকাঙ্ক্ষাকে ছােট করতে পারলেই সুখের দেখা পাওয়া যাবে।

ক. কিসে নির্ভর করা উচিত নয়?

খ. ‘সময় কাহারাে নয়’- কেন? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কোন ভাবের সাদৃশ্য রয়েছে? 

ঘ. উদ্দীপকের লেখক ও  ‘জীবন-সঙ্গীত’ কবিতার কবি একই মানসিকতার অধিকারী।” – আলােচনা কর।

Leave a Comment