নবম দশম শ্রেণির “জীবন পাঠ” অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। দ্বিপদ নামকরণ কী? [ঢ. বাে, ১৭]

উত্তর : ICBN এর নীতিমালা অনুসারে কোনাে গণ নামের শেষে একটি প্রজাতিক নাম যুক্ত করে দুটি পদের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য একটিনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করাকে বলা হয় দ্বিপদ নামকরণ ।

প্রশ্ন ২। প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা কী? [রা. বাে, ‘১৭]

উত্তর : প্রাগৈতিহাসিক জীবের বিবরণ এবং জীবাশ্ম সম্পর্কিত বিজ্ঞানই হলাে প্রত্নতত্ত্ববিদ্যা।

প্রশ্ন ৩। জীববিজ্ঞানের জনক কে? (য. বাে, ‘১৭)

উত্তর : গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল হলাে জীববিজ্ঞানের জনক।

প্রশ্ন ৪। দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম লিখ। (কু, বাে, ‘১৭)

উত্তর : দোয়েল পাখির বৈজ্ঞানিক নাম হলাে Copsychus saularis.

প্রশ্ন ৫। হিস্টোলজি কী? [চ. বাে, ‘১৭]

উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবদেহের বিভিন্ন টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি নিয়ে আলােচনা করা হয় তাই হিস্টোলজি।

প্রশ্ন ৬। শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য কী? (দি. বাে, ‘১৭)

উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের লক্ষ্য হচ্ছে এই বিশাল ও বৈচিত্র্যময় জীবজগৎকে সহজভাবে অল্প পরিশ্রমে এবং অল্প সময়ে সঠিকভাবে জানা।

প্রশ্ন ৭। জাতীয় ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম কী? (রা, বাে, ‘১৬)

উত্তর : জাতীয় ফুল হলাে শাপলা। শাপলার বৈজ্ঞানিক নাম Nymphaea nouchali.

প্রশ্ন ৮। শ্রেণিবিন্যাস কাকে বলে? (ব. বো. ১৩)

উত্তর : পারস্পরিক সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের ওপর ভিত্তি করে জীবকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করাকে শ্রেণিবিন্যাস বলে।

প্রশ্ন ৯। দেহকোষ কাকে বলে? (বি, বাে, ‘১৬)

উত্তর : জীবের দেহগঠনে অংশ গ্রহণকারী কোষকে দেহকোষ বলে।

প্রশ্ন ১০। ICBN এর পূর্ণরূপ লিখ। (দি, বাে, ‘১৩)

উত্তর : ICBN-এর পূর্ণরূপ হলাে— International Code of Botanical Nomenclature.

 

শীর্ষস্থানীয় স্কুলসমূহের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন ১১। শ্রেণিবিন্যাসের জনক কে? (জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ, জয়পুরহাট)

উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের জনক হলাে ক্যারােলাস লিনিয়াস।

প্রশ্ন ১২। ICZN এর পূর্ণ নাম কী? (সরকারি বিজ্ঞান কলেজ হাই স্কুল, ঢাকা)

উত্তর : ICZN-এর পূর্ণরূপ হলাে— International Code of Zoological Nomenclature.

প্রশ্ন ১৩। ডায়াটম কী? (ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, ঢাকা)

উত্তর : ডায়াটম হলাে প্রােটিস্টা রাজ্যের অন্তর্গত এককোষী শৈবাল।

প্রশ্ন ১৪। অ্যানাইসােগ্যামাস কী? [গতিঝিল মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা।]

উত্তর : যে যৌন জনন প্রক্রিয়ায় আকার, আকৃতি অথবা শারীরবৃত্তীয় পার্থক্য বিশিষ্ট ভিন্নধর্মী দুটি গ্যামিটের মিলনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তাই অ্যানাইসােগ্যামাস।

প্রশ্ন ১৫। আন্তঃঅসংসখান কাকে বলে? [পুলিশ লাইন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, যশাের]

উত্তর : দেহের অভ্যন্তরীণ বর্ণনার বিষয়কে আন্তঃঅঙ্গসংস্থান বলে।

প্রশ্ন ১৬। ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম লিখ। (চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম)

উত্তর : ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম হলাে Tenualosa ilisha.

প্রশ্ন ১৭। জীবভূগােল কী? [জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেঞ্জ, সিলেট]

উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় পৃথিবীর বিভিন্ন ভৌগােলিক সীমারেখায় জীবের বিস্তৃতি এবং অভিযােজন সম্পর্কে আলােচনা করা হয় তাই জীবভূগােল।

 

মাস্টার ট্রেইনার প্যানেল কর্তৃক প্রণীত প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন ১৮। জীববিজ্ঞান শিক্ষার মূল লক্ষ্য কী?

উত্তর : জীববিজ্ঞান শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জীবন ও তার পরিবেশ সম্পর্কে তাত্ত্বিক ও প্রায়ােগিক শিক্ষা গ্রহণ ।

প্রশ্ন ১৯। জীববিজ্ঞান কী?

উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের গঠন, জৈবনিক ক্রিয়া ও জীবনধারণ সম্পর্কে আলােচনা করা হয় তাই জীববিজ্ঞান

প্রশ্ন ২০। প্রাণ রসায়ন কী?

উত্তর : প্রাণ রসায়ন হলাে জীবের প্রাণ রাসায়নিক কার্যপ্রণালি, রােগ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞান।

প্রশ্ন ২১। কীটতত্ত কী?

উত্তর : কীটপতঙ্গের জীবন, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি, দমন ইত্যাদি সম্পর্কিত বিজ্ঞানই হলাে কীটতত্ত্ব।

প্রশ্ন ২২। ভূণবিদ্যার আলােচ্য বিষয় কী?

উত্তর : জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগােট থেকে ভুগের সৃষ্টি, গঠন, পরিস্ফুটন, বিকাশ প্রভৃতি ভ্রূণবিদ্যার আলােচ্য বিষয়।

প্রশ্ন ২৩। কোন বিজ্ঞানী হুইটেকারের শ্রেণিবিন্যাসের পরিবর্তিত ও বিস্তারিত রূপ দেন?

উত্তর : বিজ্ঞানী মারগুলিস ১৯৭৪ সালে হুইটেকারের শ্রেণিবিন্যাসের পরিবর্তিত ও বিস্তারিত রূপ দেন।

প্রশ্ন ২৪। প্রােক্যারিওটা শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : প্রােক্যারিওটা শব্দের অর্থ হলাে আদিকোষী।

প্রশ্ন ২৫। ইউক্যারিওটা শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : ইউক্যারিওটা শব্দের অর্থ হলাে প্রকৃত কোখী ।

প্রশ্ন ২৬। টমাস কেভলিয়ার স্মিথ কোন রাজ্যকে ব্যাকটেরিয়া রাজ্য হিসেবে পুনঃনামকরণ করেন?

উত্তর : টমাস কেওলিয়ার স্মিথ রাজ্য মনেরাকে ব্যাকটেরিয়া রাজ্য হিসেবে পুনঃনামকরণ করেন।

প্রশ্ন ২৭। আর্কিগােনিয়েট কী?

উত্তর : আর্কিগােনিয়েট হলে স্ত্রী জনন অঙ্গগবিশিষ্ট উদ্ভিদ।

প্রশ্ন ২৮। ট্যাবন কী?

উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের যেকোনাে একককে ট্যাক্সন বলা হয় । যেমন – বর্গ, গােত্র, প্রজাতি প্রত্যেকটি এক একটি ট্যাক্সন ।

প্রশ্ন ২৯। বাস্তুবিদ্যা কী?

উত্তর : প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক বিষয়ক বিজ্ঞানকে বাস্তুবিদ্যা বলে ।

প্রশ্ন ৩০। জীবজগতের সর্বোচ্চ একক কী?

উত্তর : জীবজগতের সর্বোচ্চ একক হলাে জগৎ (Kingdom)

প্রশ্ন ৩১। বিবর্তনবিদ্যা কী?

উত্তর : বিজ্ঞানের যে শাখায় পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্যসমূহ আলােচনা করা তাকে বিবর্তনবিদ্যা বলে ।

প্রশ্ন ৩২। মরফোলজি কাকে বলে?

উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ গঠন প্রকৃতি নিয়ে আলােচনা করা হয় তাকে মরফোলজি বা অঙ্গসংস্থানবিদ্যা বলে।

প্রশ্ন ৩৩। বংশগতিবিদ্যা কাকে বলে?

উত্তর : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জিন ও জীবের বংশগতিধারা সম্পর্কে আলােচনা করা যায় তাকে বংশগতিবিদ্যা বলে।

প্রশ্ন ৩৪। ভৌত জীববিজ্ঞান শাখার আলােচ্য বিষয় কী?

উত্তর : জীববিজ্ঞানের তত্ত্বীয় বিষয়গুলােই হলাে ভৌত জীববিজ্ঞানের আলােচ্য বিষয়।

 

কমন উপযােগী অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর।

 

এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। অ্যামিবা কোন রাজ্যের অন্তর্গত? কেন? [কু বাে, ‘১৭; য. বাে, ‘১৫||

উত্তর : প্রােটিস্টা রাজ্যের কিছু বৈশিষ্ট্য ধারণ করায় অ্যামিবা প্রােটিস্টা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত জীব । কারণ—

১. অ্যামিবা এককোষী, কিন্তু সুগঠিত নিউক্লিয়াসবিশিষ্ট।

২. খাদ্য গ্রহণ শােষণ, গ্রহণ বা ফটোসিনথেটিক পদ্ধতি ঘটে।

৩. কোনাে ভূণ গঠিত হয় না।

প্রশ্ন ২। ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা জগতে অন্তর্ভুক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর। [চ, বাে, ‘১৭]

উত্তর : ব্যাকটেরিয়াকে মনেরা জগতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কারণ, ব্যাকটেরিয়া এককোষী, প্রাককেন্দ্রিক অর্থাৎ এদের সুগঠিত নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দা নেই। ব্যাকটেরিয়া কোষে প্লাস্টিড, মাইটোকন্ড্রিয়া, ER ইত্যাদি নেই। তাছাড়া এদের কোষ বিভাজন দ্বি-বিভাজন প্রক্রিয়ায় হয়ে থাকে এবং কিছু সংখ্যক ব্যাকটেরিয়া কেমেসিনথেটিক প্রকৃতির।

প্রশ্ন ৩। দ্বিপদ নামকরণ বলতে কী বোেঝায়? [সি, বাে, ‘১৬; কু, বাে. ‘১৫]

উত্তর : গণ নামের শেষে একটি প্রজাতিক নাম যুক্ত করে দুটি পদের  মাধ্যমে ICBN এর নীতিমালা অনুসারে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করাকে বলা হয় দ্বিপদ নামকরণ। সুইডিশ প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারােলাস লিনিয়াসকে দ্বিপদ নামকরণের জনক বলা হয় ।

 

শীর্ষস্থানীয় স্কুলসমূহের টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন ৪। ইস্টকে ফানজাই রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন? [গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুল, রাজশাহী]

উত্তর : ইস্ট এর নিউক্লিয়াস সুগঠিত । কোষপ্রাচীর কাইটিন বস্তু দিয়ে গঠিত। খাদ্য গ্রহণ শােষণ পদ্ধতিতে ঘটে, ক্লোরােপ্লাস্ট অনুপস্থিত, হ্যাপ্লয়েড ম্পাের দিয়ে বংশবৃদ্ধি ঘটে, এরা মৃতজীবী।

প্রশ্ন ৬। ডায়াটমকে কোন রাজ্যে স্থান দেওয়া যাবে? ব্যাখ্যা কর। [সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সিলেট।

উত্তর : ডায়াটম এককোষী, একক, সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট, কোষে সকল ধরনের অংগাণু থাকে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে অযৌন প্রজনন ঘটে এবং কনজুগেশনের মাধ্যমে যৌন জনন ঘটে । কোনাে ভ্রুণ গঠিত হয় না। ডায়াটমের এ সকল বৈশিষ্ট্যের সাথে প্রাটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্যের মিল থাকায় একে প্রােটিণ্টা রাজ্যে স্থান দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ৭। শ্রেণিবিন্যাসের উদ্দেশ্যগুলাে লেখ। [কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া]

উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের প্রধান উদ্দেশ্য হলাে প্রতিটি জীবের দল ও উপদল সম্বন্ধে জ্ঞান আহরণ করা। জীবজগতের বিভিন্নতার প্রতি আলােকপাত করে আহরিত জ্ঞানকে সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা, পূর্ণাঙ্গ জ্ঞানকে সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করা এবং প্রতিটি জীবকে শনাক্ত করে তার নামকরণের ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি জীবজগৎ ও মানব কল্যাণে প্রয়ােজনীয় জীবসমূহকে শনাক্ত করে তাদের সংরক্ষণ অথবা প্রজাতিগত সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

প্রশ্ন ৮। দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির লক্ষ্য কী? ব্যাখ্যা কর। [বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল]

উত্তর : গণ নামের শেষে একটি প্রজাতিক নাম যুক্ত করে দুটি পদের মাধ্যমে ICBN এর নীতিমালা অনুসারে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক নাম প্রদান করাকে বলা হয় দ্বিপদ নামকরণ।

কোনাে বিশেষ জীব বা উদ্ভিদকুলকে সর্বজনস্বীকৃত একটি নির্দিষ্ট নামে শনাক্তকরণের জন্য জীবের নামকরণ করা হয়। একই জীব বিভিন্ন অঞলে বিভিন্ন আঞলিক নামে পরিচিত থাকে। ফলে জীব শনাক্তকরণে সমস্যা হয়। এ সমস্যা সমাধানই দ্বিপদ নামকরণের লক্ষ্য।

 

মাস্টার ট্রেইনার প্যানেল কর্তৃক প্রণীত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ৯। কনজুগেশন বলতে কী বুঝ?

উত্তর : জৈবনিকভাবে ভিন্ন কিন্তু গঠনগতভাবে এক, এইরূপ দুটি গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে যে যৌন প্রজনন ঘটে তাই কনজুগেশন। প্রােটিস্টা রাজ্যের জীবে এরকম প্রজনন ঘটে। এতে কোনাে ভুণ গঠিত হয় না ।

প্রশ্ন ১০।ছত্রাক খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীল কেন?

উত্তর : ছত্রাক এক ধরনের মৃতজীবী উদ্ভিদ। এর দেহে সালােকসংশ্লেষী বর্ণকণিকা অর্থাৎ ক্লোরােফিল থাকে না। এ কারণে ছত্রাক নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না। তাই খাদ্যের জন্য ছত্রাক অন্যের ওপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন ১১। মানুষ ম্যামালিয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করেন?

উত্তর : ম্যামালিয়া শ্রেণির প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করায় এবং এদের দেহে লােম/চুল আছে। আর এ বৈশিষ্ট্যগুলাে মানুষের মধ্যেও বিদ্যমান বলে মানুষ ম্যামালিয়া শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন ১২। প্রােটিস্টা রাজ্যের জীবদের গঠন বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : প্রােটিস্টা রাজ্যের জীবগুলাে এককোষী বা বহুকোষী একক বা কলােনিয়াল বা ফিলামেন্টাস এবং সুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট। কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে। কোষে সকল ধরনের অঙ্গাণু বিদ্যমান।

প্রশ্ন ১৩। প্লানটি রাজ্যের জীবদের গঠন বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : এরা প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত সালােকসংশ্লেষণকারী উদ্ভিদ। এদের দেহে উন্নত টিস্যুতন্ত্র বিদ্যমান। এদের ভূণ সৃষ্টি হয় এবং তা থেকে ডিপ্লয়েড পর্যায় শুরু হয়। এদের যৌনজনন আইসােগ্যামাস প্রকৃতির। এরা স্ত্রীজনন অঙ্গবিশিষ্ট সপুষ্পক উদ্ভিদ।

প্রশ্ন ১৪। লিনিয়াসকে আধুনিক ট্যাক্সোনমিক বােটানির জনক বলা হয় কেন?

উত্তর : আধুনিক যুগ শুরু হয় সুইডেনের আপসাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারােলাস লিনিয়াস (১৭০৭ – ১৭৭৮) এর কর্মময় জীবনের মাধ্যমে তিনি অনেকগুলাে বই লিখিছেন। এর মধ্যে Species Plantarum (1753) বইটি উদ্ভিদবিজ্ঞানের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সূচিত করে কারণ এর প্রকাশনার মাধ্যমে তিনি দ্বিপদ নামকরণ পদ্ধতির প্রবর্তন করেন। এজন্য তাকে আধুনিক ট্যাক্সোনমিক বােটানির জনক বলা হয়।

প্রশ্ন ১৫। ফাইভ কিংডম প্রস্তাবনার পাঁচটি কিংডমের নাম লেখ।

উত্তর : ১৯৬৯ সালে Whittaker ফাইভ কিংডম প্রস্তাবনাটি প্রস্তাব করেন। কিংডম পাঁচটি হলাে১. মনেরা (Monera), ২. প্রােটিস্টা (Protista), ৩. ফানজাই (Fungi), ৪. প্লানটি (Plantae) ও ৫, অ্যানিম্যালিয়া (Animalia)।

প্রশ্ন ১৬। ফানজাই কিংডমের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখ।

উত্তর : ফানজাই কিংডম এর বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ

১. এককোষী বা বহুকোষী জীব । তবে অধিকাংশই বহুকোষী। 

২.এরা মৃতজীবী বা পরজীবী হিসেবে কাজ করে, অধিকাংশ স্থলজ ।

৩. এদের কোষপ্রাচীর ফাইটিন দিয়ে তৈরি এবং সঞ্চিত খাদ্য গ্লাইকোজেন।

৪. শােষণ পদ্ধতিতে খাদ্য গ্রহণ করে।

৫. দেহ সাধারণত শাখান্বিত, ফিলামেন্ট সিনােসাইটিক।

প্রশ্ন ১৭। গ্রেগর জোহান মেন্ডেলকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয় কেন?

উত্তর : গ্রেগর জোহান মেন্ডেল একজন ধর্মযাজক ছিলেন। তিনি তার গির্জার বাগানে মটরশুটি উদ্ভিদ নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করেন। এ গবেষণা থেকে তিনি বংশগতিবিদ্যার দুটি সূত্র প্রকাশ করেন। সূত্র দুটি এখনাে যথাযথ বলে সর্বজনস্বীকৃত। এ বিশেষ অবদানের কারণেই মেন্ডেলকে বংশগতিবিদ্যার জনক বলা হয় ।

প্রশ্ন ১৮। কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে জীবজগতকে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়?

উত্তর : নিম্নোক্ত বিষয়গুলাের উপর ভিত্তি করে জীবজগতকে পাঁচটি রাজ্যে ভাগ করা হয়।

১. কোষের DNA ও RNA-এর প্রকারভেদ,

২. জীবদেহে কোষের বৈশিষ্ট্য,

৩. কোষের সংখ্যা ও

৪. খাদ্যাভ্যাস।

প্রশ্ন ১৯। জীবজগতকে জানতে শ্রেণিবিন্যাসের ভূমিকা কী?

উত্তর : শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে একটি জীবরে গঠন, জনন, বাসস্থান, খাদ্য গ্রহণ, উৎপত্তি, বিবর্তন ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়।

একই ধরনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একটি জীবের মাধ্যমে ঐ প্রজাতির অসংখ্য জীব সম্পর্কে প্রায় পরিপূর্ণ সাধারণ ধারণা পাওয়া যায়। ফলে জীবজগতে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রজাতির সম্পর্ক সহজে ও অনায়াসে জানা যায়।

প্রশ্ন ২০। অ্যানিম্যালিয়া রাজ্যের ২টি বৈশিষ্ট্য লেখ।

উত্তর : অ্যানিম্যালিয়া রাজ্যের ২টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ

১. এরা সুকেন্দ্রিক ও বহুকোষী প্রাণী।

২. এদের কোষে কোনাে জড় কোষপ্রাচীর, প্লাস্টিড ও কোষগহ্বর নেই।

Leave a Comment