তােমার বিদ্যালয়ে সম্প্রতি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরােধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সমাবেশের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবরে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
অথবা, মনে কর, তুমি শ্রাবণ। পাবনা জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। তােমার বিদ্যালয়ে সম্প্রতি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরােধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সমাবেশের বিবরণ দিয়ে প্রধান শিক্ষকের বরাবরে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
০৭.০১.২০২১
প্রধান শিক্ষক,
‘খ’ উচ্চ বিদ্যালয়
জনাব
আপনার পত্র নং ১১, তারিখ ০৩.০১.২০২১ মােতাবেক বিদ্যালয়ে ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস বিরােধী সমাবেশ’-এর সচিত্র প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য পেশ করছি।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস চাই না
আমাদের দেশের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণ ও সুখী জীবন-যাপন করে আসছে। তারা কোনাে ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে পরিচিত ছিল না। কিন্তু কয়েক বছর ধরে সারা দেশেই বিচ্ছিন্নভাবে জঙ্গি হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটছে। জঙ্গিরা অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র দিয়ে মানুষ হত্যা করছে, মানুষের মধ্যে ভীতির সঞার করছে। সেসব এলাকার মানুষ নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এসব করছে অল্পসংখ্যক জঙ্গি ও সন্ত্রাসী।
কিন্তু সরকারের ‘জিরাে টলারেন্স নীতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা ও সক্রিয়তার কারণে তা অনেকটা স্তিমিত হয়ে পড়েছে। তবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীরা একেবারে থেমে গেছে তা নয়। তাই জনসচেতনতার জন্য প্রয়ােজনীয় কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আমাদের স্কুলের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক মিলে সমাবেশের আয়ােজন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সবাই স্কুলের সমানের রাস্তায় দু’সারিতে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসবিরােধী মােগানসহ ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করে। তারপর রাস্তা অবরোধ করে হয় সমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মহােদয়। সভাপতিত্ব করেন আমীদের স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। সমাবেশের বক্তারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস যে দেশের উন্নয়ন ও শান্তির জন্য অন্তরায় সে সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সরকারের জিরাে টলারেন্সের প্রশংসা করে যেকোনাে মূল্যে এ এলাকাকে জঙ্গিমুক্ত ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখা হবে বলে ঘােষণা দেন। সভাপতি তাঁর ভাষণে অভিভাবক, ছাত্র ও শিক্ষকদের এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন থাকার অনুরােধ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘােষণা করেন।
মােস্তাফিজ রানা
প্রতিবেদক