নবম দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞানের গ্যাসীয় বিনিময় অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। শ্বাসকার্য কাকে বলে?

উত্তর : যে প্রক্রিয়ার দ্বারা অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশন করা হয় তাকে শ্বাসকার্য বলে।

প্রশ্ন ২। অ্যালভিওলাস কী?

উত্তর : মানবদেহের ফুসফুসে অসংখ্য বায়ুথলি বা বায়ুকোষ থাকে যাদেরকে অ্যালভিওলাস বলে।

প্রশ্ন ৩। অ্যাজমা কী?

উত্তর : অ্যাজমা এক ধরনের রােগ যা ভাইরাসজনিত কারণে অথবা বায়ুদূষণ বা ধূমপানের কারণে হয়।

প্রশ্ন ৪। আলাজিহ্বা কী?

উত্তর : গলবিলের পশ্চাৎভাগের উপরিতলে একটি ছােট জিহ্বার মতাে অংশ থাকে তাই আলাজিহ্বা।

প্রশ্ন ৫। ব্রংকাস কাকে বলে? 

উত্তর : শ্বাসনালির শেষ অংশ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যে শাখানালি গঠন করে, তাদেরকে ব্রংকাস বলে।

প্রশ্ন ৬। কিসের আক্রমণে নিউমােনিয়া হয়?

উত্তর : ‘Pneumococcus’ নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে নিউমােনিয়া হয়।

প্রশ্ন ৭। গ্যাসীয় বিনিময় কাকে বলে?

উত্তর : অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিনিময়কে।গ্যাসীয় বিনিময় বলে।

প্রশ্ন ৮। মধ্যচ্ছদা কাকে বলে?

উত্তর : মানবদেহের বক্ষ গহর ও উদর গহ্বর পৃথককারী পেশিবহুল পর্দাকে মধ্যচ্ছদা বলে।

প্রশ্ন ৯। যক্ষ্মা রােগের জীবাণুটির নাম কী?

উত্তর : যক্ষ্মা রােগের জীবাণুর নাম হলাে— Mycobacterium tuberculosis.

প্রশ্ন ১০। স্বররক্ষ্ম কী?

উত্তর : স্বরযন্ত্রের দুই ধারের দুই পেশিই হলাে ডােকালকর্ড স্বররঞ্জু।

প্রশ্ন ১১। ব্রংকিওল কী?

ও উত্তর : ফুসফুসে প্রবেশ করার পর ব্রংকাই দুটি অসংখ্য শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়। এগুলােই অনুক্রোমা শাখা বা ব্রংকিওল।

প্রশ্ন ১২। ট্রাকিয়া কী?

উত্তর : খাদ্যনালির সম্মুখে অবস্থিত একটি ফাপা নল রয়েছে। এ ফাপা নলটিই হলাে ট্রাকিয়া।

প্রশ্ন ১৩। লসিকা কী?

উত্তর : লসিকাবাহু ও লসিকাগ্রন্থির মধ্যে যে স্বচ্ছ, ঈষৎ হলুদ রঙেরক্ষারীয় তরল থাকে যা এক প্রকারের পরিবর্তিত কলারস, তাকে লসিকা বলে।

প্রশ্ন ১৪। প্লুরা কী?

উত্তর : ফুসফুসের চারদিকে একটি পাতলা, স্বচ্ছ, দ্বি-স্তরবিশিষ্ট আবরণ থাকে। এ আবরণটিই প্লুরা নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ১৫। শ্বাসকার্য কী?

উত্তর : অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড নিষ্কাশন করার প্রক্রিয়াই হলাে শ্বাসকার্য ।

প্রশ্ন ১৬। নাসাপথ কী?

উত্তর : সম্মুখে নাসিকা ছিদ্র ও পশ্চাদে গলবিল পর্যন্ত বিস্তৃত অংশই নাসাপথ নামে পরিচিত। একটি পাতলা পর্দা দ্বারা এটি দু’ভাগে বিভক্ত। সম্মুখভালােমাবৃত ও পশ্চাৎভাগ শ্লেম্মা প্রস্তুতকারী পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

 

প্রশ্ন ১। রাত্রিবেলা বড় গাছের নিচে ঘুমালে শ্বাস কষ্ট।দেখা দেয় কেন?

উত্তর : রাত্রিবেলা গাছে সালােকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে, ফলেঅক্সিজেন উৎপন্ন হয় না এবং CO2, গ্যাস শােষিত হয় না। কিন্তু রাত্রিবেলা গাছে শ্বসনের কার্যক্রম চলতে থাকে এবং বিপুল পরিমাণ CO2, গ্যাস উৎপন্ন হয়। ফলে বড় গাছের নিচে বাতাসে CO2, এর

ঘনমাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই অধিক CO2, যুক্ত বাতাসে রাত্রিবেলায় ঘুমালে শ্বাসকষ্ট হয়।

প্রশ্ন ২। মধ্যচ্ছদা বলতে কী বােঝায়?

উত্তর : বক্ষগহ্বর ও উদরগহ্বর পৃথককারী পেশিবহুল পর্দাকে মধ্যচ্ছদা বলে। এটি দেখতে অনেকটা প্রসারিত ছাতার মতাে। মধ্যচ্ছদা সংকুচিত হলে নিচের দিকে নামে, তখন বক্ষগহ্বরের আয়তন বৃদ্ধি পায়। এটি প্রসারিত হলে উপরের দিকে উঠে ও বক্ষ স্বাভাবিক.অবস্থায় ফিরে আসে। মধ্যচ্ছদা প্রশ্বাস গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ৩। গ্যাসীয় বিনিময় বলতে কী বুঝায়?

উত্তর : গ্যাসীয় বিনিময় বলতে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের বিনিময়কে বুঝায়। প্রাণীর ক্ষেত্রে এটি মূলত বায়ু ও ফুসফুসের রক্তনালির ভিতরে ঘটে। প্রাণী তার শারীরবৃত্তীয় কাজের জন্য অক্সিজেন শােষণ করে এবং CO2, ত্যাগ করে। অপরদিকে উদ্ভিদের পত্রের স্টোমাটা ও পরিণত কাণ্ডের লেন্টিসেল CO2, শোষণ করে এবং O2 ত্যাগ করে।

প্রশ্ন ৪। শ্বাসনালি ঝিল্লি ও ললামযুক্ত হয় কেন ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : শ্বাসনালির প্রাচীর কতগুলাে অসম্পূর্ণ বলয়াকার তরুণাস্থি ও পেশি দ্বারা গঠিত। এর অন্তর্গাত্র ঝিল্লি দ্বারা আবৃত। এ ঝিল্লিতে সূক্ষ্ম লােমযুক্ত কোষ থাকে। এর ভেতর দিয়ে বায়ু আসা-যাওয়া করে। শ্বাসনালির ভেতর দিয়ে কোনাে অপ্রয়ােজনীয় বস্তু প্রবেশ করলে সূক্ষ্ম ললামগুলাে ধূলিকণাকে শ্লেম্মার সাথে বাইরে বের করে দেয়। এজন্য শ্বাসনালি ঝিল্লি ও লােমযুক্ত হয়।

প্রশ্ন ৫। নিউমােনিয়া হয় কেন?

উত্তর : নিউমােনিয়া একটি ফুসফুসের

রােগ। নিউমোকক্কাস (Pneumococcus) নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ রােগ হয়। তবে অত্যধিক ঠাণ্ডা লাগলে এ রােগ হতে পারে। হাম ও ব্রঙ্কাইটিস রােগের পর ঠাণ্ডা লেগে নিউমােনিয়া হতে দেখা যায় ।

প্রশ্ন ৬। পৃথিবীতে সূর্যের আলাে না থাকলে কী হতাে?

উত্তর : পৃথিবীতে যদি সূর্যের আলাে না থাকত, তাহলে সালােকসংশ্লেষণ হতাে না। সালােকসংশ্লেষণ না হলে কোনাে প্রকার খাদ্য প্রস্তুত হতাে না। খাদ্য না হলে পৃথিবীতে কোনাে শক্তির আগমন ঘটত না। পৃথিবী হয়ে পড়ত নিশ্চল। সূর্যালােক না হলে কোনাে জীবের অস্তিত্ব থাকত না।

প্রশ্ন ৭। শ্বাসক্রিয়া চলাকালে ফুসফুসের সাথে বক্ষগাত্রের ঘর্ষণ হয় না কেন?

উত্তর : ফুসফুস একটি দুই ভাঁজবিশিষ্ট প্লুরা নামক পর্দা দ্বারা আবৃত। দুই ভঁজের মধ্যে এক প্রকার রস নির্গত হয়। এ রসের কারণে ফুসফুসের পর্দায় শিথিল থাকে তাই শ্বাসক্রিয়া চলাকালে ফুসফুসের সাথে বক্ষগাত্রের কোনাে ঘর্ষণ হয় না ।

প্রশ্ন ৮। নিঃশ্বাসের বায়ুতে চুনের পানি ঘােলা হয় কিন্তু প্রশ্বাসে বায়ুতে হয় না কেন?

উত্তর : নিঃশ্বাস বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইডের উপস্থিতির কারণে চুনের পানি ঘােলা হয়। অপরপক্ষে প্রশ্বাস বায়ুতে নিঃশ্বাস বায়ু অপেক্ষা কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ কম থাকায় চুনের পানির কোনাে পরিবর্তন ঘটে না। অর্থাৎ ঘােলা হয় না।

Leave a Comment