প্রশ্ন ১। খালেক মিয়ার গরুর খামারটি লাভজনক না হওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ নেন। কর্মকর্তা খামারের গরুগুলােকে ইউরিয়া মােলাসেস খড় খাওয়ানাের পরামর্শ দেন। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করায় খামারটি পরবর্তীতে লাভজনক খামার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ক. হাম পুলিং কী?
খ.অ্যালজি একটি সম্ভাবনাময় পুষ্টিকর খাদ্য কেন?
গ. খালেক মিয়া কীভাবে ইউরিয়া মােলাসেস খড় তৈরি করেছেন? ব্যাখ্যা করাে।
ঘ.প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করাে।
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক। মাটির উপরে গাছের সম্পূর্ণ অংশ উপড়ে ফেলাকে হাম পুলিং বলে।
খ। অ্যালজি বিভিন্ন ধরনের আমিষ জাতীয় খাদ্য যেমন- খৈল, শুটকি মাছের গুঁড়া ইত্যাদির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হয়। শুষ্ক অ্যালজিতে শতকরা ৫০-৭০ ভাগ আমিষ, ২০-২২ ভাগ চর্বি এবং ৮-২৬ ভাগ শর্করা থাকে। এছাড়া অ্যালজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি থাকে। তাই অ্যালজিকে একটি সম্ভাবনাময়পুষ্টিকর খাদ্য বলা হয়।
গ। খালেক মিয়া তার খামারের গরুগুলাের জন্য ইউরিয়া মােলাসেস খড় তৈরি করেন। এটি তৈরিতে তিনি নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করেনউপকরণ: i খড় : ২০ কেজি; ii. ইউরিয়া :১ কেজি; iii. পানি : ২০ লিটার; iv. একটি মাঝারি আকারের পাত্র; v, বস্তা ও vi, মােটা পলিথিন।
তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে একটি বালতিতে ১ কেজি ইউরিয়া ২০ লিটার পানিতে মিশিয়ে নেন। ডােলের চারদিকে গােবর ও কাদা মিশিয়ে লেপে শুকিয়ে নেন। এবার ডােলের মধ্যে অল্প খড় দিয়ে ইউরিয়া মেশানাে পানি ছিটিয়ে দেন। সমস্ত খড় সম্পূর্ণ পানি দ্বারা মিশিয়ে ডােলের মুখ বস্তা ও মােটা পলিথিন দিয়ে বেঁধে ১০ দিন পর রােদে শুকানাের জন্য খড় বের করেন। উপরােক্তভাবে খালেক মিয়া ইউরিয়া মােলাসেস খড় তৈরি করে গরুকে খাওয়ান।
ঘ। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খালেক মিয়ার খামারের গরুগুলােকে ইউরিয়া মােলাসেস খড় খাওয়ানাের পরামর্শ দেন।
গবাদিপশুর খামারকে লাভজনক করতে হলে প্রচলিত পন্থার পাশাপাশি বিশেষ ধরনের কিছু যত্নেরও প্রয়ােজন হয়। যেমন- গবাদিপশুকে প্রচলিত খাবারের সাথে পুষ্টিকর বিশেষ খাদ্য সরবরাহ করতে হয়। এরকম বিশেষ খাদ্য হলাে ইউরিয়া মােলাসেস খড় বা ইউরিয়া মােলাসেস ব্লক। বিশেষ ধরনের এসব খাদ্য খাওয়ালে গবাদিপশুর দুত বৃদ্ধি ঘটে এবং পশু পরিপুষ্টি লাভ করে। এছাড়া দুধের উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। এতে করে খামারের উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে যায় এবং খামারি লাভবান হন। খালেক মিয়ার খামার লাভজনক না হওয়ায় পশুসম্পদ কর্মকর্তা ইউরিয়া মােলাসেস খড় খাওয়ানাের পরামর্শ দেন। তিনি তার খামারে অন্যান্য পরিচর্যাগুলাে সঠিকভাবে সম্পাদনের সাথে সাথে পশুসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করাতে তার খামারটি একটি লাভজনক খামার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুতরাং, পশুসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্ন ২। বাংলাদেশের অধিকাংশ মাটিই নরম, হালকা ও কর্ষণযােগ্য। মাটির গঠন ও প্রকৃতি অনুযায়ী ত্রিশটি কৃষি অঞ্চলকে পাঁচটি অঞ্চলে ভাগ করে ফসল উৎপাদন করা হয়। ভূমি কর্ষণ জমি তৈরির প্রথম ধাপ। এর ফলে অণুজীবের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জমি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে খনার বচনে উল্লেখ আছে, “যােল চাষে মুলা, তার অর্ধেক তুলা, তার অর্ধেক ধান, বিনা চাষে পান।”
ক. মাটি কাকে বলে?
খ. FCR-এর মানের উপর মাছের খাদ্যের গুণগত মান নির্ভর করে ব্যাখ্যা করাে।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পাঁচটি অঞ্চলের নাম ও যেকোনাে একটি অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করাে।
ঘ. উপযুক্ত খনার বচনের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে ভূমি কর্ষণের গুরুত্ব মূল্যায়ন করাে।
২ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। যেখানে ফসল জন্মায়, বন সৃষ্টি হয় এবং গবাদিপশু বিচরণ করে তাকে মাটি বলে।
খ। FCR (Food Conversion Ratio) হলাে খাদ্য প্রয়ােগ ও খাদ্য গ্রহণের ফলে জীবের দৈহিক বৃদ্ধির অনুপাত। তবে প্রয়ােগকৃত খাদ্যের কী পরিমাণ মাছ ব্যবহার করতে পারছে তা FCR এর মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়। FCR এর মান সবসময় ১ এর চেয়ে বড় হয়। তবে ২ এর অধিক হলে উৎপাদন লাভজনক হয় না। কারণ খাদ্যের অপচয় হয় এবং পানির গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। যে খাদ্যের FCR যত কম সে খাদ্যের গুণগত মান তত ভালাে। অর্থাৎ কম খাদ্য ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন পাওয়া যায়। অতএব বলা যায়, FCR এর মানের উপর মাছের খাদ্যের গুণগত মান নির্ভর করে।
গ। উদ্দীপকে উল্লিখিত পাঁচ অঞ্চলের নাম হলাে- i. দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি অঞল, ii. কাদা মাটি অঞল, iii. বরেন্দ্র ও মধুপুর অঞ্চল, iv. পাহাড়ি ও পাদভূমি অঞ্চল, v. উপকূলীয় অঞ্চল। নিম্নে দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি অঞ্চলের বর্ণনা দেওয়া হলাে| এ অঞ্চলের ভূমির মাটি দোআঁশ থেকে পলি দোআঁশ প্রকৃতির। উঁচু ভূমি থেকে মাঝারি নিচু ভূমি এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। দোআঁশ অঞ্চলের মাটিতে জৈব পদার্থের মাত্রা অল্প থেকে মাঝারি। এর আত্মক ও ক্ষারত্মক মাত্রা ৫.২ হতে ৬.২ পর্যন্ত। পলি দোআঁশ অঞ্চলের মাটিতে জৈব পদার্থের মাত্রা খুবই সামান্য। আত্মক ও ক্ষারত্মক মাত্রা ৪.৯ হতে ৬.১ পর্যন্ত। উপরিউক্ত অঞ্চলে মাটিতে প্রায় সব ধরনের ফসল ফলানাে যায়।
ঘ। খনার বচনটি হলাে “ষােল চাষে মুলা, তার অর্ধেক তুলা, তার অর্ধেক ধান, বিনা চাষে পান” যা থেকে আমরা ভূমি কর্ষণের গুরুত্ব উপলদ্ধি করতে পারি।
যে প্রক্রিয়ায় মাটিকে ঝুরঝুরা করে বীজের অঙ্কুরােদগমের অবস্থায় আনা ও ফসল জন্মানাের উপযােগী করা হয় সেটাই ভূমি কর্ষণ। উপরের খনার বচন থেকে বলা যায় যে, ফসলভেদে ভূমি কর্ষণের সংখ্যার তারতম্য হতে পারে। অর্থাৎ, মুলা চাষের জন্য যােলটি চাষ দিতে হবে যতক্ষণ পর্যন্ত না মাটি ঝুরঝুরা বা আলগা হয়। তুলা চাষের জন্য আট চাষ দিতে হবে। আর ধান চাষের জন্য চারটি চাষই যথেষ্ট। অপরদিকে পান উৎপাদনে কোনাে চাষই লাগে না। ভূমি কর্ষণ হলাে জমি প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। ভূমি কর্ষণের ফলে বীজকে অঙ্কুরােদগমের জন্য উপযুক্ত স্থানে ও সঠিক গভীরতায় স্থাপন করা যায়। মাটিতে বায়ু চলাচলের সুবিধা সৃষ্টি করা যায়। ভূমি ভালােভাবে কর্ষণ করলে উঁচু-নিচু জমি সমতল ও আঁটসাঁট হয়। এর ফলে বৃষ্টি বা সেচের পানি গড়িয়ে অন্যত্র যেতে পারে না বলে পানির অপচয় ও ভূমিক্ষয় রােধ হয়। ভূমি কর্ষণের মাধ্যমে উপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি উপরে নিয়ে আসা যায়। ফলে ফসলের জন্য ক্ষতিকর পােকা যেমন: উই, উড়চুঙ্গা, পিপীলিকা প্রভৃতি চাষের সাথে মাটির উপরে উঠে আসে এবং পাখিরা এগুলাে খেয়ে দমন করে। তাছাড়া সূর্যালােকের তাপে সেগুলাে ধ্বংস হয়। এছাড়া ভূমি কর্ষণের ফলে মাটিতে অণুজীবের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়।
অতএব বলা যায়, ফসলভেদে ভূমি কর্ষণের সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। তাছাড়া মাটির গঠন উন্নত করে উর্বরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বীজ গজানাের অত্যন্ত উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ভূমি কর্ষণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ৩। সিয়াম পাঁচটি গর্ভবতী গাড়ি নিয়ে একটি খামার গড়ে তােলেন। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিয়ামকে খৈলের বিকল্প হিসেবে অ্যালজি খাওয়ানাের পরামর্শ দেন এবং এর উৎপাদন ও খাওয়ানাের কৌশল শিখিয়ে দেন।
ক. অ্যালজি কী?
খ. চিংড়িকে সন্ধ্যায় খাবার দিতে হয় কেন?
গ. সয়াম তার গাভির খাদ্য কীভাবে তৈরি করবেন তা ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দেওয়া পরামর্শের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করাে।
৩ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। অ্যালজি (Algae) হলাে এককোষী বা বহুকোষী উদ্ভিদ।
খ। চিংড়ি নিশাচর প্রাণী। চিংড়ি তার বেশিরভাগ স্বাভাবিক কার্যক্রম সাধারণত রাতের বেলায় সম্পন্ন করে থাকে। যেমন- খাদ্য গ্রহণ, খােলস পাল্টানাে, প্রজনন ক্রিয়া, ডিম পাড়া প্রভৃতি। এ কারণে চিংড়িকে রাতের বেলায় খাবার দিতে হয়।
গ। সিয়াম তার গাভির জন্য খৈলের বিকল্প খাদ্য হিসেবে অ্যালজি উৎপাদন করবেন। এর উৎপাদন পদ্ধতি নিম্নে বর্ণনা করা হলােসিয়ামকে প্রথমে সমতল ও ছায়াযুক্ত জায়গায় ৩ মিটার লম্বা, ১.২ মিটার চওড়া এবং ০.১৫ মিটার গভীরতাসম্পন্ন একটি কৃত্রিম জলাধার তৈরি করতে হবে। এরপর ১০০ গ্রাম মাসকলাই বা অন্য ডালের ভুসিকে ১ লিটার পানিতে সারারাত ভিজিয়ে কাপড় দিয়ে হেঁকে পানিটুকু সংগ্রহ করতে হবে। এবার কৃত্রিম পুকুরে ২০০ লিটার পরিমাণ পরিষ্কার পানি, ১৫-২০ লিটার পরিমাণ অ্যালজির বীজ এবং মাসকলাইয়ের ভুসি ভেজানাে পানি ভালাে করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ২-৩ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া পুকুরের পানিতে ভালােভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে তিনবার (সকাল, দুপুর ও বিকালে) অ্যালজির পানিকে নেড়ে দিতে হবে। পানির পরিমাণ কমে গেলে নতুন করে পরিমাণমতাে পরিষ্কার পানি পুকুরে যােগ করতে হবে। প্রতি ৩-৪ দিন পর পর পুকুরে ১-২গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া ছিটালে উৎপ, উল্লিখিত উপায়ে সিয়াম তার গাভির জন্য অ্যালজি উৎপাদন করবেন।
ঘ। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সিয়ামকে তার গর্ভবতী গাভিগুলােকে খৈলের বিকল্প খাদ্য হিসেবে অ্যালজি খাওয়ানাের পরামর্শ দেন।
অ্যালজি বা শেওলা এক ধরনের এককোষী বা বহুকোষী উদ্ভিদ যা গােখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অ্যালজি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ও পুষ্টিকর আমিষ জাতীয় খাদ্য। খৈল, শুটকি মাছের গুড়া ইত্যাদির বিকল্প হিসেবে গবাদিপশুকে অ্যালজি খাওয়ানাে হয়। শুষ্ক অ্যালজিতে ৫০-৭০ ভাগ আমিষ, ২০-২২ ভাগ চর্বি এবং ৮-২৬ ভাগ শর্করা থাকে। এছাড়াও অ্যালজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি এবং ভিটামিন-সি থাকে। অ্যালজির পানি ব্যবহার করে কম খরচে গরুর মাংস এবং দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। যেহেতু এটি খাওয়ালে পশু দুত পরিপুষ্টি লাভ করে, সেহেতু গর্ভকালীন অবস্থায় পশুস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং নবজাত বাছুরের সন্তোষজনক অবস্থার জন্য এ খাদ্য অত্যন্ত কার্যকর। গর্ভাবস্থায় বাছুরের শারীরিক বৃদ্ধি ভালােভাবে না হলে পরবর্তীতে উৎপাদনশীল গরু হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে না।
তাই বলা যায়, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পরামর্শটি অত্যন্ত যৌক্তিক।
প্রশ্ন ৪। গত রবি মৌসুমে কৃষক আছমত আলী তার দুই বিঘা জমিতে মাসকলাই চাষ করেন। এর মধ্যে এক বিঘা জমির মাসকলাই সবুজ অবস্থায় সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করেন, যাতে প্রতিকূল ও বিরূপ পরিবেশে তার গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা পূরণ করা যায়।
ক. দানাদার খাদ্য কাকে বলা হয়?
খ. পশুপাখির খাদ্য সংরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্যটি ব্যাখ্যা করাে।
গ. আছমত আলীর পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করাে।
ঘ. আছমত আলীর পরিকল্পনাটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ করো।
৪ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। যে খাদ্যে কম পরিমাণে আঁশ এবং বেশি পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায় তাকে দানাদার খাদ্য বলা হয়।
খ। কোনাে খাদ্যের গুণাগুণ ও পুষ্টিমান ঠিক রেখে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ক্রিয়াজাত করে রেখে দেওয়াকে খাদ্য সংরক্ষণ বলে।
খাদ্য সংরক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে খাদ্যকে রােগজীবাণু ও পচনের হাত থেকে রক্ষা করা। খােলা অবস্থায় রাখলে সূর্যালােকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে খাদ্যের ভিটামিন নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় খাদ্যের পুষ্টিমান নষ্ট হয় এবং পােকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি ঘটে। খাদ্যের এবং বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হলে এতে ছত্রাক জন্মায়। ছত্রাক জন্মাননা খাদ্য পশুপাখিতে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এজন্য পশুপাখির খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়।
গ। আছমত আলী তার এক বিঘা জমিতে চাষকৃত মাসকলাই সবুজ অবস্থায় সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা করেন।
আছমত আলী হে তৈরির মাধ্যমে মাসকলাই সবুজ অবস্থায় সংরক্ষণ করবেন কেননা হে তৈরির জন্য মাসকলাই খুবই উপযােগী। এজন্য তিনি ফুল আসার সময় মাসলাই গাছ কাটবেন এবং সঠিকভাবে শুকাবেন যাতে করে মােন্ড ও অতিরিক্ত তাপমুক্ত অবস্থায় সংরক্ষণ করা যায়। তিনি গাছগুলােকে দ্রুত শুকাবেন কিন্তু অতিরিক্ত সূর্যের আলাে পরিহার করবেন যাতে করে ভালাে মানের ‘হে’ এর বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে। গাছ কেটে রােদে উলটপালট করে এমনভাবে নেড়ে দিবেন যাতে করে অতিমাত্রায় পাতা ঝরে না যায়। রােদে শুকানাের সময় তিনি খেয়াল রাখবেন যাতে বৃষ্টির পানিতে ভিজে না যায়। সবুজ ঘাসে সাধারণত ৭৫-৮০ ভাগ আর্দ্রতা থাকে। সেখানে ভালাে মানের হে তে সর্বোচ্চ ২০-২৫ ভাগ আর্দ্রতা থাকে। তাই তিনি ঘাস শুকিয়ে আদ্রর্তা ২০-২৫ ভাগে নামিয়ে এনে মাচার উপর পাকারে বা চালাযুক্ত ঘরে সংরক্ষণ করবেন। উল্লিখিত পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে আছমত আলী সবুজ অবস্থায় মাসকলাই সংরক্ষণ করবেন।
ঘ। আছমত আলী প্রতিকূল ও বিরূপ পরিবেশে তার গবাদিপশুর খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য সবুজ অবস্থায় মাসকলাই সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
সবুজ অবস্থায় ঘাসকে শুকিয়ে এর আর্দ্রতা ২০% বা তার নিচে নামিয়ে এনে হে প্রস্তুত করা হয়। হে গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত খাদ্য যা সারাবছর গবাদিপশুকে সরবরাহ করা যায়। বাংলাদেশে প্রাপ্ত গবাদিপশুর খাদ্যের বেশিরভাগ কৃষি শস্যের উপজাত। বর্ষা মৌসুমে অনেক ঘাস উৎপাদিত হওয়ায় তা গবাদিপশুকে খাওয়ানাের পরও অতিরিক্ত থেকে যায়। আবার শীতকালেও অতিরিক্ত শিম গােত্রীয় ঘাসের উৎপাদন হয়। তাই এই অতিরিক্ত ঘাস সংরক্ষণের প্রয়ােজন হয়। যখন কাঁচা ঘাসের অভাব হয় তখন এই সংরক্ষিত ঘাস গবাদিপশুকে সরবরাহ করা হয়। এতে করে গবাদিপশুর সারাবছরের প্রােটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের চাহিদা মেটানাে সম্ভব হয়। ফলে গবাদিপশুর মাংস ও দুধের উৎপাদন ব্যাহত হয় না। আছমত আলীর মতাে অন্যরাও যদি বর্ষা মৌসুমে উৎপাদিত অতিরিক্ত ঘাস হে তৈরির মাধ্যমে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন তাহলে গবাদিপশুর সারা বছরের খাদ্য চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
অর্থাৎ আছমত আলীর পরিকল্পনাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ৫। মানিক মিয়া সচেতন ও দক্ষ কৃষক হওয়ায় ধান চাষ করার পর সঠিকভাবে শুকিয়ে চটের বস্তা ও মটকায় সংরক্ষণ করেন।
ক. নেকটন কী?
খ. খৈল পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হয় কেন?
গ. মানিক মিয়া কীভাবে তার ফসল সংরক্ষণ করেছেন? বর্ণনা কর।
ঘ. আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত কার্যক্রমের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
৫ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। নেকটন বা সাঁতারু হলাে যারা পানিতে মুক্তভাবে সাঁতার কাটতে পারে, সমস্ত পানিতে চড়ে বেড়ায় এবং খাদ্য খুঁজে খায়।
খ। খৈলে কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকে যা মাছের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু খৈল একদিন পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এই বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায় ও বিষাক্ত উপাদান পানির সাথে বের হয়ে যায়। এজন্য খৈল ১ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হয়।
গ। উদ্দীপকের মানিক মিয়া ধান উৎপাদন করে তার বীজ পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের জন্য চটের বস্তা ও মটকায় সংরক্ষণ করেন।
ধানের বীজ প্রখর রােদে শুকানাের পর কামড় দিলে যদি ‘কট’ করে আওয়াজ হয় তবে বুঝতে হবে তা চটের বস্তায় সংরক্ষণের উপযােগী হয়েছে। অতঃপর বস্তা গােলা ঘরে সংরক্ষণ করা হয়। বীজ পােকার আক্রমণ থেকে বীজকে রক্ষা করতে চটের বস্তায় নিমের পাতা, নিমের শিকড়, আপেল বীজের গুঁড়া, বিশকাটালি ইত্যাদি মিশানাে হয়।
অন্যদিকে মটকা মাটি নির্মিত একটি গােলাকার পাত্র। অনেক পুরুত্ব দিয়ে এটি তৈরি করা হয়, যাতে টোকা লেগে ভেঙে না যায়। বীজ সংরক্ষণের জন্য মটকার বাইরে মাটি বা আলকাতরার প্রলেপ দেওয়া হয়। গােলা ঘরের মাচার নির্দিষ্ট স্থানে মটকা রেখে এর ভিতর শুকনাে বীজ ভর্তি করা হয়। এরপর ঢাকনা দিয়ে বন্ধ করে বায়ুরােধ করা হয়। উল্লিখিতভাবে মানিক মিয়া চটের বস্তা ও মটকায় বীজ সংরক্ষণ করেন।
ঘ। উদ্দীপকে মানিক মিয়া বীজ সংরক্ষণের জন্য চটের বস্তা ও মটকা ব্যবহার করেন, যা আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত।
আমাদের দেশের কৃষকেরা একসাথে খুব বেশি পরিমাণে বীজ সংরক্ষণ করে না। তারা অল্প পরিমাণ বীজ ছােট বস্তা বা পাত্রে সহজেই সংরক্ষণ করতে পারে। পাটের দড়ি, মাটি, বেত, বাঁশ ইত্যাদি সহজলভ্য বলে এসব তৈরির খরচও কম। চটের বস্তা ও মটকা বীজকে পােকার আক্রমণ, ধুলাবালি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে বীজের জীবনীশক্তি বাড়ায়। এগুলাে বীজের আর্দ্রতা সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। চটের বস্তা পাটের আঁশ দিয়ে বানানাে হয়। চটের বস্তায় কম খরচে বীজ সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য গ্রামে এটি বহুল ব্যবহৃত হয়। মটকা মাটি দ্বারা নির্মিত গােলাকার পাত্র। মটকায় কম খরচে বীজ সংরক্ষণ করা যায়। বায়ুরুদ্ধ অবস্থায় থাকে বলে বীজের জীবনীশক্তিও বজায় থাকে।
অতএব বলা যায়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বীজ সংরক্ষণের জন্য উল্লিখিত উপকরণ দুইটি উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে।
প্রশ্ন ৬। উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষক হাতেম আলী তার জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করেন। উৎপাদিত ফসলের কিছু অংশ তিনি নিজে ব্যবহার করেন এবং বাকিটা বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াসহ অন্যান্য খরচ মিটান। গত বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলােচ্ছ্বাসে তার ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ক. কৃষকের ভাষায় মাটি কী?
খ. টমেটো চাষ উপযােগী মাটির বৈশিষ্ট্য লিখ।
গ.হাতেম আলীর এলাকায় চাষযােগ্য ফসলের বর্ণনা দাও।
ঘ. হাতেম আলীর এলাকাটি দেশের অন্যান্য মৃত্তিকাভিত্তিক অঞ্চলগুলাে থেকে আলাদা -উক্তিটি মূল্যায়ন করাে।
৬ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। কৃষকের ভাষায় ভূ-পৃষ্ঠের ১৫-১৮ সেমি গভীর স্তরকে মাটি বলা হয়।
খ। টমেটো যে কোনাে মাটিতে চাষ করা গেলেও বেলে ও কংকরময় মাটিতে এর চাষ করা যায় না। দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য আদর্শ মাটি। বেলে মাটিতে অধিক পরিমাণে জৈব সার প্রয়ােগ করলে টমেটো চাষ মােটামুটি করা যায়। মাটির অম্লমান মাত্রা, নিরপেক্ষ মাত্রার কাছাকাছি হলে টমেটোর ফলন বেশি ভালাে হয়।
গ। কৃষক হাতেম আলী উপকূলীয় এলাকায় ফসল চাষ করেন। নিম্নে তার এলাকায় চাষযােগ্য ফসলের বর্ণনা দেওয়া হলােঃ
উপকূলীয় অঞ্চলের মাটি দোআঁশ, বেলে ও পলি দোআঁশ প্রকৃতির হওয়ায় বৃষ্টি ও সেচ নির্ভর বিবিধ ফসল চাষ করা যায়। বৃষ্টিনির্ভর কৃষি ফসলের মধ্যে বােনা আউশ, রােপা আউশ, পাট, কাকরােল ইত্যাদি খরিপ-১ এ ও রােপা আমন খরিপ-২ এ চাষ করা হয়। আর রবি মৌসুমে চাষ করা হয় গম, সরিষা, মুগ, মরিচ, পিয়াজ, রসুন, মুলা, বেগুন, শিম, টমেটো, চিনাবাদাম, ভুট্টা ইত্যাদি। অন্যদিকে সেচ নির্ভর ফসলের মধ্যে খরিপ-১ এ রােপা আউশ ও খরিপ-২ তে রােপা আমন চাষ করা হয়। বােরাে ধান, টমেটো, আলু, সরিষা, তরমুজ, মুগ, মরিচ ইত্যাদি সেচ নির্ভর ফসল হিসেবে রবি মৌসুমে চাষ করা হয়।
অতএব, হাতেম আলীর এলাকায় উল্লিখিত ফসলসমূহ চাষ করা যায়।
ঘ। উদ্দীপকের হাতেম আলীর এলাকাটি হলাে উপকূলীয় অঞ্চল।
মাটির গঠন ও প্রকৃতি অনুযায়ী বাংলাদেশের ৩০টি কৃষি পরিবেশ অঞ্চলকে যে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে তার একটি হলাে উপকূলীয় অল যা অন্যান্য অঞ্চল থেকে বৈশিষ্ট্যগতভাবে আলাদা। দোআঁশ ও পলি দোআঁশ মাটি অঞ্চলের ভূমি উঁচু থেকে মাঝারি নিচু এবং মাটি দোআঁশ থেকে পলি দোআঁশ প্রকৃতির। দোআঁশ অঞ্চলের মাটিতে জৈব পদার্থের মাত্রা অল্প থেকে মাঝারি। এর pH মাত্রা ৫.২ হতে ৬.২ পর্যন্ত। পলি দোআঁশ অঞ্চলের মাটিতে জৈব পদার্থের মাত্রা খুবই সামান্য এবং pH মাত্রা ৪,৯ হতে ৬.১ পর্যন্ত। কাদা মাটি অঞ্চলের মাটি মাঝারি উঁচু থেকে মাঝারি নিচু এবং মাটি কর্দমবিশিষ্ট। তবে কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে পলি কাদাবিশিষ্ট মাটিও লক্ষ করা যায়। এই মাটিতে মাঝারি মাত্রায় জৈব পদার্থের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। ক্ষেত্র বিশেষে উচ্চমাত্রার জৈব পদার্থও আছে। পটাশজাত খনিজের মাত্রা মাঝারি পরিমাণে থাকে। উঁচু এবং মাঝারি উঁচু ভূমি বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রধান বৈশিষ্ট্য। মধুপুর অল সমতল ও উঁচু ভূমি বিশিষ্ট এবং মাটি দোআঁশ প্রকৃতির। মাটিতে নিম্নমাত্রার জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজ পদার্থ রয়েছে। এর pH মাত্রা ৫.৫-৬.৫। পাহাড়ি ও পাদভূমি অঞ্চলের। ৯০ শতাংশের বেশি ভূমি উঁচু এবং মাটি দোআঁশ প্রকৃতির। জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজের মাত্রা সামান্য। এখানকার মাটির pH মাত্রা ৫৫.৭। কিন্তু উপকূলীয় অঞ্চলে মাঝারি উঁচু ভূমির আধিক্য বেশি। এর মাটি দোআঁশ এবং বেলে ও পলি দোআঁশ প্রকৃতির। জৈব পদার্থ ও পটাশজাত খনিজের মাত্রা অল্প। এই অঞ্চলের মাটির pH মাত্রা ৭.০৮.৫ যা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় বেশি।
অতএব উপরের আলােচনা থেকে বলা যায়, উপকূলীয় এলাকাটি দেশের অন্যান্য মৃত্তিকাভিত্তিক অঞ্চলগুলাে থেকে আলাদা।
প্রশ্ন ৭। কৃষক রমিজ উদ্দীন ধান ফসল উৎপাদন করে তা থেকে কিছু বীজ ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে চটের বস্তা ও গােলায় সংরক্ষণ করেন। এর ফলে পরবর্তীতে বীজ বপনের সময় তার কোনাে সমস্যায় পড়তে হয় না।
ক. বীজ কি?
খ. বীজ সংরক্ষণ বলতে কী বুঝ?
গ. রমিজ উদ্দিন কীভাবে বীজ সংরক্ষণ করেছিলেন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কৃষক রমিজ উদ্দীনের গৃহীত পদক্ষেপটি বিশ্লেষণ কর।
৭ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য যে অংশ ব্যবহার করা হয় তাকে বীজ বলে।
খ। বীজকে রােগ, পােকা ও অন্যান্য ক্ষতিকারক অবস্থা থেকে রক্ষার জন্য যে প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণ করা হয় তাকে বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বলে।
বীজ আহরণ থেকে রােপণের পূর্ব পর্যন্ত সঠিক প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণ করতে হয়। সঠিক প্রক্রিয়াতে সংরক্ষণের মাধ্যমে বীজকে পােকামাকড়, ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করা যায়। বীজের গুণগত মান রক্ষা করা ও অঙ্কুরােদগম ক্ষমতা বজায় রাখা যায়। ভালাে উদ্ভিদ পাওয়ার জন্য ভালাে মানের বীজ প্রয়ােজন। তাই বীজ সংরক্ষণ প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ।
গ। উদ্দীপকে রমিজ উদ্দীন ফসল উৎপাদন করে তার বীজ পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহারের জন্য চটের বস্তা ও গােলায় সংরক্ষণ করেন। তিনি বীজ সংরক্ষণ করতে চটের বস্তা ও গােলা ব্যবহার করেন।
বাংলাদেশে বীজ সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। দানাজাতীয় শস্যের বীজ সংরক্ষণের জন্য চটের বস্তা, গােলা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ফসলের বীজ প্রখর রােদে শুকানাের পর কামড় দিলে যদি কট করে আওয়াজ হয় তবে বুঝতে হবে তা চটের বস্তায় সংরক্ষণের উপযােগী হয়েছে। অতঃপর বস্তা গােলা ঘরে সংরক্ষণ করা হয়। বীজ পােকার আক্রমণ থেকে বীজকে রক্ষা করতে চটের বস্তায় নিমের পাতা, নিমের শিকড়, আপেল বীজের গুঁড়া, বিশকাটালি ইত্যাদি মিশানাে হয়। আবার গােলায় বীজ সংরক্ষণের জন্য গােলার ভিতরে ও বাইরে গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিতে হয়। বীজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে গােলার আয়তন নির্ধারণ করা হয়। গােলাতে বীজ এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হয় যেন এর ভিতরে কোনাে বাতাস না থাকে। বীজ রাখার পর গােলার মুখ বন্ধ করে এর উপর গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দেওয়া হয়।
উল্লিখিতভাবে রমিজ উদ্দীন চটের বস্তা ও গােলায় বীজ সংরক্ষণ করেন।
ঘ. উদ্দীপকে রমিজ উদ্দীন বীজ সংরক্ষণের জন্য চটের বস্তা ও গােলাব্যবহার করেন, যা আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত।
গ্রাম বাংলার দরিদ্র মানুষেরা সহজ উপায়ে কম খরচে বীজ সংরক্ষণ করতে সাধারণত চটের বস্তা ও গােলা ব্যবহার করে। চটের বস্তা পাটের আঁশ দিয়ে বানানাে হয়। চটের বস্তায় কম খরচে বীজ সংরক্ষণ করা যায়। এজন্য গ্রামে এটি বহুল ব্যবহৃত হয়। আবার গােলা বাঁশ বা বেত দ্বারা সহজে নির্মাণ করা সম্ভব। গােলায় কম খরচে বীজ সংরক্ষণ করা সম্ভব। এভাবে বীজ সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ভালাে রাখা যায়। আমাদের দেশের কৃষকেরা একসাথে খুব বেশি পরিমাণে বীজ সংরক্ষণ করেন না। তারা অল্প পরিমাণ বীজ এরূপ ছােট বস্তা বা পাত্রে সহজেই সংরক্ষণ করতে পারেন। পাটের দড়ি, মাটি, বেত, বাঁশ ইত্যাদি সহজলভ্য বলে এসব তৈরির খরচও কম। চটের বস্তা ও গােলা বীজকে পােকার আক্রমণ, ধুলাবালি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে বীজের জীবনীশক্তি বাড়ায়।
অতএব বলা যায়, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বীজ সংরক্ষণের জন্য উল্লিখিত উপকরণ দুইটি উল্লেখযােগ্য ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ রমিজ উদ্দীনের বীজ সংরক্ষণে গৃহীত পদক্ষেপটি যুক্তিযুক্ত।
প্রশ্ন ৮। বীজ সংরক্ষণে আদ্রর্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একথা বলে কৃষি কর্মকর্তা জারিফ সাহেব ২৫০ গ্রাম গম বীজের নমুনা সংগ্রহ করলেন। ওভেনে শুকানাের পর এর ওজন পাওয়া গেল ২০০ গ্রাম। এরপর তিনি সূত্র ব্যবহার করে উক্ত বীজের আর্দ্রতার শতকরা হার নির্ণয় করলেন।
ক. বীজ সংরক্ষণ কাকে বলে?
খ. বীজের মান নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বুঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. কৃষি কর্মকর্তার সংগৃহীত বীজের আর্দ্রতার হার নির্ণয় কর।
ঘ. উক্ত পদ্ধতিটি বীজ সংরক্ষণের জন্য কতটুকু উপযােগী তা বিশ্লেষণ কর।
৮ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। বীজের উৎপাদন, শুকানাে, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, বিপণন ইত্যাদি যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাকেই বীজ সংরক্ষণ বলে।
খ। বীজের মান নিয়ন্ত্রণ বলতে কৃষিতাত্ত্বিক কলাকৌশল প্রয়ােগ করে বীজ উৎপাদন হয়েছে কিনা, সঠিকভাবে ফসল কর্তন, মাড়াই ও ঝাড়াই হয়েছে কিনা, সঠিকভাবে বীজ শুকিয়ে নির্দিষ্ট আদ্রর্তায় আনা হয়েছে কিনা তা বােঝায়। বীজের মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বীজের অঙ্কুরােদগম পরীক্ষা, বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা, বীজের জীবনীশক্তি পরীক্ষা ইত্যাদি কাজগুলাে করা জরুরি।
গ। বীজ থেকে আর্দ্রতা বের করে দিয়ে তাতে কতটুকু পরিমাণে আর্দ্রতা বাকি থাকে তা জানার পদ্ধতিই হচ্ছে আর্দ্রতা পরীক্ষা।
কৃষি কর্মকর্তা জারিফ সাহেবের সংগৃহীত গম বীজের ওজন ২৫০ গ্রাম। ওভেনে শুকানাের পর ওজন পাওয়া গেল ২০০ গ্রাম। সুতরাং,
বীজের আদ্রতার শতকরা হার ={ (নমুনা বীজের ওজন-নমুনা বীজ লুকানাের পর ওজন)÷নমুনা বীজের ওজন } × ১০০%
= {(২৫০ – ২০০)÷২৫০}x ১০০
= ২০
অতএব, কৃষি কর্মকর্তা জারিফ সাহেবের সংগৃহীত বীজের আর্দ্রতার হার হলাে ২০%।
ঘ। বীজের উৎপাদন, শুকানন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, মান নিয়ন্ত্রণ, বিপণন ইত্যাদি কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করাকে বীজ সংরক্ষণ বলে।
বীজ উৎপাদন করার পরপরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলাে সেই বীজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা। বীজ সংরক্ষণের পূর্বে বীজের বেশ কিছু গুণাগুণ নিশ্চিত করতে হয়। এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলাে বীজের আর্দ্রতা। ফসল সংগ্রহ করার সময় সাধারণত বীজের আর্দ্রতা থাকে ১৮%-৪০% পর্যন্ত। এ আদ্রর্তায় বীজের জীবনীশক্তি ও অঙ্কুরােদগম ক্ষমতা বেশিদিন ভালাে থাকে না। এ কারণেই বীজের আর্দ্রতা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নামিয়ে আনা অনেক জরুরি। সাধারণত বীজ সংরক্ষণের পূর্বে বীজের আর্দ্রতা ১২% বা তার নিচে নামিয়ে আনা প্রয়ােজন। এ উদ্দেশ্যে ফসল অনুযায়ী বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে বীজের আর্দ্রতা কমানাে হয়। তবে বীজের আর্দ্রতা কমানাের পর তা সঠিক মাত্রায় নেমে এসেছে কি-না তা পরীক্ষা না করে বীজ সংরক্ষণ করা উচিত নয়। কেননা, বীজের আর্দ্রতা যদি নির্দিষ্ট মাত্রার সামান্য পরিমাণ ওপরে বা নিচে থাকে তাহলে তা সংরক্ষিত বীজের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দেয়। এতে যেমন পরবর্তী বছরে ফসলের আবাদ হ্রাস পাবে তেমনিভাবে বীজের ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু এ সহজ সূত্রটি দ্বারা আমরা অনায়াসেই বীজের আদ্রর্তা পরিমাপ করে সঠিক মাত্রায় আর্দ্রতা আছে কিনা তা নির্ণয় করতে পারি।
তাই বীজ সংরক্ষণে এ পদ্ধতিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
প্রশ্ন ৯। একটি পুকুরে ১০০০ টি কার্প জাতীয় মাছের পােনা ছাড়া হলাে যার ওজন ১০ কেজি। নিয়মিত খাদ্য প্রয়ােগ করে ১ বছর পর আহরণের সময় মােট ৮০০ কেজি মাছ পাওয়া গেল। এ ১ বছরে মােট ১২০০ কেজি খাদ্য প্রয়ােগ করা হলাে।
ক. মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানিতে প্রতি লিটারে কি পরিমাণ দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকা প্রয়ােজন?
খ. চুন পুকুরের পানির গুণাগুণ বৃদ্ধি করে ব্যাখ্যা কর।
গ. উপরােক্ত খাদ্যের FCR কত তা নির্ণয় কর।
ঘ. পােনা ছাড়ার দুই মাস পর পুকুরে বিদ্যমান মাছের ওজন কীভাবে নির্ণয় করা যাবে তা বিশ্লেষণ কর।
৯ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানিতে প্রতি লিটারে কমপক্ষে ৫ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকা প্রয়ােজন।
খ। পানির পিএইচ কমে গেলে পুকুরে চুন প্রয়ােগ করে পানির পিএইচ ঠিক করা হয়।
চুন পানির ঘােলাত্ব দূর করে পানি পরিষ্কার করে। সার প্রয়ােগের আগে চুন প্রয়ােগের মাধ্যমে সারের কার্যকারিতা বাড়ানাে যায়। চুন পানির উর্বরতা বাড়িয়ে পানির গুণগত মান বৃদ্ধি করে।
গ। উদ্দীপকে একটি পুকুরে কার্প জাতীয় মাছের ১০০০টি পােনা ছাড়া হয়েছিল।
আমরা জানি, FCR = (মাছকে প্রদানকৃত খাদ্য÷দৈহিক বৃদ্ধি)
আবার, দৈহিক বৃদ্ধি = (আহরণকালীন মােট ওজন-মজুদকালীন মােট ওজন)
= (৮০০ – ১০) কেজি
= ৭৯০ কেজি
সুতরাং, FCR =(১২০০÷৭৯০) =১.৫২
অতএব, পুকুরে প্রয়ােগকৃত সম্পূরক খাদ্যের FCR হলাে ১.৫২।
ঘ। মাছের আহরণকালীন মােট ওজন থেকে মজুদকালীন মােট ওজন বিয়ােগ করে মাছের দৈহিক বৃদ্ধি নির্ণয় করা হয়। প্রাপ্ত দৈহিক বৃদ্ধির সাথে মজুদকালীন ওজন যােগ করে মাছের ওজন নির্ণয় করা যায়।
পােনা ছাড়ার পর পুকুরে বিদ্যমান মাছের ওজন নিম্নোক্ত উপায়ে নির্ণয় করা যেতে পারে –
পােনা পুকুরে ছাড়ার পূর্বে নির্দিষ্ট সংখ্যক (যেমন – ৫০টি) মাছের মােট ওজন নির্ণয় করে তার গড় বের করে নিতে হবে। দুই মাস পর জাল টেনে ৫০টি মাছ ধরে পুনরায় ওজন নিয়ে গড় বের করে নিতে হবে। এই দুই ওজনের পার্থক্য থেকে মাছের দৈহিক বৃদ্ধি পাওয়া যাবে। প্রাপ্ত দৈহিক বৃদ্ধির সাথে মজুদকালীন গড় ওজন যােগ করলে একটি মাছের ওজন পাওয়া যাবে। এই ওজনের সাথে পুকুরে বিদ্যমান বা মজুদকৃত মাছের সংখ্যা গুণ করে (যদি কোনাে মাছ মারা যায় তবে মৃত মাছের সংখ্যা মােট মজুদকৃত মাছ থেকে বিয়ােগ করে নিতে হবে) পুকুরে বিদ্যমান মাছের ওজন নির্ণয় করা যাবে।
অতএব, উল্লিখিত উপায়ে সহজেই পােনা ছাড়ার দুই মাস পর পুকুরে বিদ্যমান মাছের ওজন নির্ণয় করা যাবে।
প্রশ্ন ১০। বীজ ভীষণ অনুভূতিপ্রবণ। একটু অসতর্কতার জন্য বিপুল পরিমাণে বীজ নষ্ট হয়। কৃষকেরা তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বীজ সংরক্ষণ করেন। একটাই উদ্দেশ্য সামনের মৌসুমে যাতে সুস্থসবল বীজ বাজারে বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু তবুও বীজের জীবনীশক্তি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই বীজ সংরক্ষণের পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে।
ক. মাটি কাকে বলে?
খ. বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষার সূত্রটি ব্যাখ্যা কর।
গ. বীজের জীবনীশক্তি বজায় রাখার পদ্ধতি উদ্দীপকের আলােকে বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়বস্তুর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।
১০ নং প্রশ্নের উত্তর
ক। ভূ-পৃষ্ঠের নরম স্তর যেখানে ফসল জন্মায়, বন সৃষ্টি হয়, গবাদিপশু বিচরণ করে তাকে মাটি বলে।
খ। বীজ থেকে আর্দ্রতা বের করে দিয়ে তাতে কতটুকু আদ্রর্তা আছে তা নির্ণয় করার পদ্ধতিকে বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষা বলা হয়। বীজের আর্দ্রতা পরীক্ষার সূত্রটি হলাে,
আর্দ্রতার শতকরা হার = ={ (নমুনা বীজের ওজন-নমুনা বীজ লুকানাের পর ওজন)÷নমুনা বীজের ওজন } × ১০০%
প্রথমে বীজ সংগ্রহ করে বীজের ওজন নেওয়া হয় ওজন। এরপর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বীজ শুকানাে হয় এবং পুনরায় ওজন করা হয়। এরপর নমুনা বীজের ওজন থেকে বীজ শুকানাের পরে নমুনা বীজের ওজনকে বাদ দিয়ে নমুনা বীজের মূল ওজন দ্বারা ভাগ করা হয়। আর্দ্রতাকে শতকরায় প্রকাশ করা হয় বিধায় ১০০ দ্বারা গুণ করা হয়।
গ। বীজের জীবনীশক্তি বজায় রাখার জন্য উদ্দীপকে বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে।
বীজ সংরক্ষণের জন্য সর্বপ্রথম আর্দ্রতার মাত্রা কমিয়ে ১২-১৩% রাখতে হয়। কেননা বীজের আদ্রতা যদি নির্দিষ্ট মাত্রার সামান্য পরিমাণ ওপরে বা নিচে থাকে তাহলে তা সংরক্ষিত বীজের জীবনীশক্তি নষ্ট করে দেয়।
বাংলাদেশে বীজ সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। দানাজাতীয় শস্যের বীজ সংরক্ষণের জন্য চটের বস্তা, গােলা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। বীজ পােকার আক্রমণ থেকে বীজকে রক্ষা করতে চটের বস্তায় নিমের পাতা, নিমের শিকড়, আপেল বীজের গুঁড়া, বিশকাটালি ইত্যাদি মিশানাে হয়। আবার গােলায় বীজ সংরক্ষণের জন্য গােলার ভিতরে ও বাইরে গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দিতে হয়। বীজের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে গােলার আয়তন নির্ধারণ করা হয়। গােলাতে বীজ এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হয় যেন এর ভিতরে কোনাে বাতাস না থাকে। বীজ রাখার পর গােলার মুখ বন্ধ করে এর উপর গােবর ও মাটির মিশ্রণের প্রলেপ দেওয়া হয় ।
বীজের জীবনীশক্তি বজায় রাখতে উল্লিখিতভাবে বীজ সংরক্ষণ করতে হয়।
ঘ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুটি হলাে ফসলের জন্য বীজ সংরক্ষণ।
বীজ উৎপাদন করার পরপরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলে সেই বীজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা। কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন করতে হলে বীজ সংরক্ষণ করতে হয়। বীজ খুবই অনুভূতিপ্রবণ হওয়ায় সামান্য অসতর্কতার জন্য বিপুল পরিমাণে বীজ নষ্ট হয়ে যায়। বীজের জীবনীশক্তি বজায় রাখতে বীজ সংরক্ষণ করা হয়। ফসল বাছাই, মাড়াই, পরিবহনকালে বীজ নষ্ট হয়। তাছাড়া ইদুর, ছত্রাক, পাখি, উচ্চ আর্দ্রতা ইত্যাদির কারণে দেশের উৎপাদিত ফসল বীজের শতকরা দশ ভাগ নষ্ট হয়ে যায়। তাই এসব থেকে রক্ষা করতে বীজ সংরক্ষণ খুবই দরকারি। বীজের অঙ্কুরােদগম ক্ষমতা বাড়াতে সংরক্ষণের কোনাে বিকল্প নেই। সঠিকভাবে বীজ সংরক্ষণ করলে দেখতে আকর্ষণীয় হয়, বিশুদ্ধতা বৃদ্ধি পায় ও গুণগতমান বাড়ে। সর্বোপরি বীজের ব্যবসায় আর্থিক লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। যেসব বিষয় বীজকে ক্ষতি করতে পারে সেগুলাে সম্পর্কে সতর্ক হওয়া, প্রতিরােধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং সর্বোচ্চ মানের বীজ পেতে বীজ সংরক্ষণ ফসলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।