কৃষি ও জলবায়ু অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১. শীতকালে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা কত?

উত্তর: শীতকালে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ২৪° সে থেকে ২৮° সে।

প্রশ্ন-২. বারি ছােলা-৫ (পাবনাই) এর জীবনকাল কত দিন?

উত্তর: বারি ছােলা-৫ (পাবনাই) এর জীবনকাল ১২৮-১৩০ দিন।

প্রশ্ন-৩, বাজাইল কী?

উত্তর: বাজাইল’ হলাে লবণাক্ততা সহিষ্ণু স্থানীয় জাতের আমন ধান।

প্রশ্ন-৪, ব্রি ধান-৫৫, জাতটি কত সালে অনুমােদন লাভ করে?

উত্তর: ব্রি ধান-৫৫ জাতটি ২০১১ সালে অনুমােদন লাভ করে।

প্রশ্ন-৫, লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসল কাকে বলে?

উত্তর: যেসব ফসল বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে সেসব ফসলকে লবণাক্ত সহিষ্ণু ফসল বলে।

প্রশ্ন-৬, আবহাওয়া কাকে বলে?

উত্তর: কোনাে স্থানের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, সূর্যকিরণ, বায়ুর চাপ, কুয়াশা প্রভৃতির দৈনিক সামগ্রিক অবস্থাকে আবহাওয়া বলে।

প্রশ্ন-৭, জলবায়ু কী?

উত্তর: কোনাে স্থানের ৩০-৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় হলাে জলবায়ু।

প্রশ্ন-৮, বন্যা বা জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ফসল কাকে বলে?

উত্তর: যেসব ফসল বন্যা বা জলাবদ্ধতার প্রভাব সহ্য করে টিকে থাকতে পারে তাকে বন্যা বা জলাবদ্ধতা সহিষ্ণু ফসল বলে।

প্রশ্ন-৯, খরা সহনশীল ফসল কাকে বলে?

উত্তর: যেসব ফসল বিভিন্ন মাত্রায় খরার তীব্রতা সহ্য করতে পারে সেসব ফসলকে খরা সহনশীল ফসল বলে।

প্রশ্ন-১০, খরা কাকে বলে?

উত্তর: যখন কোনাে নির্দিষ্ট মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হয় বা দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত হয় না তখন মাটিতে রসের ঘাটতি দেখা দিলে এ অবস্থাকে খরা বলে।

প্রশ্ন-১১. প্রতিকূল পরিবেশ কাকে বলে?

উত্তর: পরিবেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর আচরণ যখন ফসল উৎপাদন ও পশুপাখি পালনের উপযােগী থাকে না তাকে প্রতিকূল পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন-১২. শৈত্য সহিষ্ণু ফসল কাকে বলে?

উত্তর: যেসব ফসল বিভিন্ন মাত্রার শৈত্য সহ্য করতে পারে’ সে সব ফসলকে শৈত্য সহিষ্ণু ফসল বলে।”

প্রশ্ন-১৩, লবণাক্ততা প্রিয় এমন একটি ধানের জাতের নাম লেখাে।

উত্তর : ব্রি ধান ৪৭ লবণাক্ততা প্রিয় ধানের জাত।

প্রশ্ন-১৪. খরা সহিষ্ণু গমের একটি জাতের নাম লেখাে।

উত্তর : খরা সহিষ্ণু গমের একটি জাতের নাম হলাে বারি গম ২০।

প্রশ্ন-১৫, বারি ছােলার হেক্টর প্রতি ফলন কত?

উত্তর : বারি ছােলার হেক্টর প্রতি ফলন ২.৪ টন।

প্রশ্ন-১৬, নারিকেল গাছ কোন ধরনের লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল?

উত্তর : নারিকেল গাছ উত্তম লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল।

প্রশ্ন-১৭, উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার প্রধান ফসল কী?

উত্তর : উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার প্রধান ফসল হলাে ধান।

প্রশ্ন-১৮. লবণাক্ত সহিষ্ণু ১টি আখের জাতের নাম লিখ।

উত্তর: লবণাক্ত সহিষ্ণু ১টি আখের জাতের নাম হলাে ঈশ্বরদী ৪০।

প্রশ্ন-১৯, খরা সহিষ্ণু আখের জাতে উচ্চমাত্রায় কী থাকে?

উত্তর: খরা সহিষ্ণু আখের জাতে উচ্চমাত্রায় চিনি থাকে।

প্রশ্ন-২০. আমাদের দেশে শীতকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কখন হয়?

উত্তর: আমাদের দেশে শীতকালে জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়।

প্রশ্ন-২১, বিরূপ বা প্রতিকূল আবহাওয়া ফসল চাষের পূর্বশর্ত কী?

উত্তর: বিরূপ বা প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফসল চাষের পূর্বশর্ত হলাে উপযােগী ফসল বা ফসলের জাত নির্বাচন।

প্রশ্ন-২২. আখের ঈশ্বরদী ৩২ জাতটির হেক্টর প্রতি ফলন কত?

উত্তর: আখের ঈশ্বরদী ৩২ জাতটির হেক্টর প্রতি ফলন ১০৪ টন।

প্রশ্ন-২৩, ঈশ্বরদী ৪০ কী?

উত্তর: ঈশ্বরদী ৪০ হলাে আখের খরা সহিষ্ণু জাত।

প্রশ্ন-২৪. বন্যা সহিষ্ণু কয়েকটি ধানের জাতের নাম লেখাে।

উত্তর: বন্যা সহিষ্ণু কয়েকটি ধানের জাত হলাে বাজাইল, ফুলকড়ি, ব্রি ধান-৪৪, বি আর-২২, বি আর-২৩, ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-৪৫ প্রভৃতি।

প্রশ্ন-২৫. শৈত্য প্রবণ এলাকায় চাষাবাদের জন্য ধানের একটি জাতের নাম লেখাে।

উত্তর: শৈত্য প্রবণ এলাকায় চাষাবাদের জন্য ধানের একটি জাতের নাম হলাে— ব্রি ধান ৫৫।

প্রশ্ন-২৬. তীব্র খরা কাকে বলে?

উত্তর: যে খরার প্রভাবে ফলনের ৭০-৯০ ভাগ ঘাটতি হয় তাকে তীব্র খরা বলে।

প্রশ্ন-২৭, গ্রীন হাউস ইফেক্ট কী?

উত্তর: তাপ শােষণের মাধ্যমে গ্রীন হাউস গ্যাসগুলাের (কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি) বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করে তােলার প্রভাব হচ্ছে গ্রীন হাউস ইফেক্ট।

প্রশ্ন-২৮, মাঝারি খরা কাকে বলে?

উত্তর: যে খরার প্রভাবে ৪০-৭০ ভাগ ফসলের ফলন ঘাটতি হয় তাকে মাঝারি খরা বলে।

প্রশ্ন-২৯, দাপােগ বীজতলা কী?

উত্তর: প্রতিকূল পরিবেশে একটানা বৃষ্টিপাত হলে বীজতলায় চারা তৈরি সম্ভব না হলে উঠোন বা বারান্দা বা কোনাে চালার নিচে ইট, বাঁশ, তত্তা, পাইপ বা কলাগাছ চারপাশে দিয়ে তার উপর পলিথিন, ত্রিপল বা কলাপাতা বিছিয়ে চারা উৎপাদনের যে ব্যবস্থা করা হয়, সেটাই দাপােগ বীজতলা।

প্রশ্ন-৩০, IPCC কী?

tea: IPCC (Intergovernmental Panel on Climate Change) জাতিসংঘের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত একটি বৈজ্ঞানিক ও আন্তঃসরকারি সংস্থা যা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, এর প্রভাব এবং তা প্রতিরােধের বিকল্প কলাকৌশল গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন-৩১, IPCC এর অর্থ কী?

উত্তর: IPCC-এর অর্থ বা পূর্ণরূপ হলাে— Intergovernmental Panel on Climate Change.

প্রশ্ন-৩২, তাপমাত্রার সাথে উফশী ধানের ফলনের সম্পর্ক কী?

উত্তর: তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে উফশী ধানের ফলন কমে যায়।

প্রশ্ন-৩৩, ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা কত ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে?

উত্তর: ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলের লবণাক্ততা ৩.৫% বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রশ্ন-৩৪. কোন মাসে খরা হলে জমি তৈরিতে অসুবিধা সৃষ্টি হয়?

উত্তর: মার্চ-এপ্রিল মাসে খরা হলে জমি তৈরিতে অসুবিধা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৩৫, তীব্র খরায় এ দেশে শতকরা কতভাগ ফসলের ঘটতি হতে পারে?

উত্তর: তীব্র খরার সময় এদেশে ৭০-৯০% ফসলের ঘাটতি হতে পারে।

প্রশ্ন-৩৬, বাংলাদেশে বর্তমানে লবণাক্ততায় আক্রান্ত জমির পরিমাণ কত?

উত্তর: বাংলাদেশে বর্তমানে লবণাক্ততায় আক্রান্ত জমির পরিমাণ ১০.৫৬ লাখ হেক্টর।

প্রশ্ন-৩৭, খরা কবলিত অবস্থা কাকে বলে?

উত্তর: অনাবৃষ্টি বা বৃষ্টিপাতের স্বল্পতার কারণে উদ্ভিদের দেহে প্রয়ােজনীয় পানির ঘাটতি দেখা দেয়। এ অবস্থাকে খরা কবলিত অবস্থা বলে।

প্রশ্ন-৩৮, হ্যালােফাইটস উদ্ভিদ কী?

উত্তর: যেসব উদ্ভিদ লবণাক্ত পরিবেশে অকুরিত হয়ে সেখানেই জীবনচক্র সম্পন্ন করতে পারে তারাই হ্যালােফাইটস জাতীয় উদ্ভিদ।

প্রশ্ন-৩৯, গ্লাইকোফাইটস কী?

উত্তর: যে সকল উদ্ভিদ লবণাক্ত মাটিতে অকুরােদগম করতে পারে না, এমনকি বেঁচে থাকতে পারে না, তারাই গ্লাইকোফাইটস।

প্রশ্ন-৪০, সুপ্তাবস্থা কাকে বলে?

উত্তর: বীজের জীবনীশক্তি থাকা সত্ত্বেও অনেক ক্ষেত্রে পরিবেশগত কারণে ফসলের বীজ পরিবেশগত কারণে ফসলের বীজ অঙ্কুরিত হয় এ অবস্থাকে ফসল বা বীজের সুপ্তাবস্থা বলে।

প্রশ্ন-৪১, খরা এড়ানাে কী?

উত্তর: বৃষ্টিপাত শুরু হওয়া ও খরা অবস্থা শুরু হওয়ার মধ্যবর্তী সময়ে জীবনচক্র শেষ করে খরা কবলিত না হওয়ার কৌশলই হলাে খরা এড়ানাে।

প্রশ্ন-৪২, প্রােলিন কী?

উত্তর: প্রােলিন হলাে এক ধরনের অ্যামাইনাে এসিড যা প্রােটিনের জৈব সংশ্লেষণে ব্যবহৃত হয় এবং উদ্ভিদকে খরা প্রতিরােধে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-৪৩, অভিযােজন কাকে বলে? 

উত্তর: প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ও জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনকে অভিযােজন বলে।

প্রশ্ন-৪৪, অভিযােজন কৌশল কী?

উত্তর: বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের শারীরবৃত্তীয় ও জৈব রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে খাপ খাইয়ে নেওয়াই অভিযােজন কৌশল।

প্রশ্ন-৪৫, খরা প্রতিরােধ কাকে বলে?

উত্তর: খরাবলিত অবস্থায় ফসলের টিকে থাকার কৌশলকে খরা প্রতিরােধ বলে।

প্রশ্ন-৪৬, খরার ফলে উদ্ভিদে কোন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: খরার ফলে উদ্ভিদে ইথিলিন এনজাইমের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন-৪৭, পানি পছন্দকারী উদ্ভিদ কোনটি?

উত্তর: পানি পছন্দকারী উদ্ভিদ হলাে ধান।

প্রশ্ন-৪৮. একমাত্র কোন নদীতে প্রাকৃতিকভাবে রুই জাতীয় মাছ ডিম পাড়ে?

উত্তর: একমাত্র হালদা নদীতে প্রাকৃতিকভাবে রুই জাতীয় মাছ ডিম পাড়ে।

প্রশ্ন-৪১.সামুদ্রিক মাছের উৎকৃষ্ট আবাসস্থলের নাম কী?

উত্তর: সামুদ্রিক মাছের উৎকৃষ্ট আবাসস্থলের, নাম হলাে কোরাল রীফ বা প্রবাল।

প্রশ্ন-৫০, দেশীয় জাতের ছােট মাছের প্রজননকাল কোন মাস?

উত্তর: এপ্রিল-মে মাস হলাে দেশীয় জাতের ছােট মাছের প্রজননকাল।

প্রশ্ন-৫১, মৎস্য আহরণ ও মাছ চাষে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে কততম?

উত্তর: মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তৃতীয় এবং মাছ চাষে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে প্যম।

প্রশ্ন-৫২, মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

উত্তর: বিশ্বে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

প্রশ্ন-৫৩, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ কী?

উত্তর: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ হলে জলবায়ুর পরিবর্তন।

প্রশ্ন-৫৪, মৌসুমি পুকুরে চাষিরা কখন মাছ ছাড়ে?

উত্তর: এপ্রিল-মে মাসে মৌসুমি পুকুরে চাষিরা মাছ ছাড়ে।

প্রশ্ন-৫৫, সামুদ্রিক মৎস্য বিচরণ এলাকা কেন পরিবর্তিত হচ্ছে?

উত্তর: জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে সামুদ্রিক মৎস্য বিচরণ এলাকা পরিবর্তিত হচ্ছে।

প্রশ্ন-৫৬, অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে মৎস্য চাষে বাংলাদেশের অবস্থান কত?

উত্তর: অভ্যন্তরীণ জলাশয় থেকে মৎস্য চাষে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।

প্রশ্ন-৫৭, খরা সহনশীল জাতের একটি মাছের নাম লেখাে।

উত্তর : খরা সহনশীল জাতের একটি মাছের নাম হলাে তেলাপিয়া ।

প্রশ্ন-৫৮, তাপমাত্রা সহনশীল জাতের দুটি মাছের নাম লেখাে।

উত্তর: তাপমাত্রা সহনশীল জাতের দুটি মাছ হলাে মাগুর ও শিং মাছ।

প্রশ্ন-৫৯, কোন ধরনের এলাকায় খাঁচায় মাছ চাষ রা হয়?

উত্তর: বন্যাপ্রবণ এলাকায় খাঁচায় মাছ চাষ করা হয়।

প্রশ্ন-৬০, লবণাক্ততা সহনশীল জাতের দুটি মাছের নাম লেখাে।

উত্তর: লবণাক্ততা সহনশীল জাতের দুটি মাছের নাম হলাে ভেটকি ও বাটা।

প্রশ্ন-৬১, লবণাক্ততা ক্রমবর্ধমান এমন জলাশয়ে কী ধরনের চাষ রা উচিত?

উত্তর: লবণাক্ততা ক্রমবর্ধমান এমন জলাশয়ে চিংড়ি ও কাঁকড়া চাষ করা উচিত।

প্রশ্ন-৬২. একটি লবণাক্ততা সহনশীল মাছের নাম লেখাে।

উত্তর: ভেটকি হলাে লবণাক্ততা সহনশীল মাছ।

প্রশ্ন-৬৩, উপকূলীয় এলাকার প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ কী?

উত্তর: উপকূলীয় এলাকার প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলাে জলােচ্ছ্বাস।

প্রশ্ন-৬৪, কী কারণে পশুর বহিঃদেশের পরজীবীর উপদ্রব বৃদ্ধি পায়?

উত্তর : খরার কারণে পশুর বহিঃদেশের পরজীবীর উপদ্রব বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন-৬৫. কোন সময় গবাদিপশুর কৃমির আক্রমণ বৃদ্ধি পায়?

উত্তর: বন্যার সময় গবাদিপশুর কৃমির আক্রমণ বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন-৬৬. ঘাসে বিষক্রিয়া হয় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে?

উত্তর: বন্যায় ঘাসে বিষক্রিয়া হয়।

প্রশ্ন-৬৭. বন্যার সময় কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে গবাদিপশুকে কী খাওয়াতে হবে?

উত্তর: বন্যার সময় কাঁচা ঘাসের বিকল্প হিসেবে গবাদিপশুকে হে ও সাইলে খাওয়াতে হবে।

প্রশ্ন-৬৮, কাচা ঘাসের সম্পূরক খাদ্য কী?

উত্তর: কাঁচা ঘাসের সম্পূরক খাদ্য হলাে সবুজ অ্যালজি।

 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১, ব্রি-ধান-৩৬ এর দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।

উত্তর: বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট দেশের ঠাণ্ডাপ্রবণ এলাকার জন্য ব্রিধান ৩৬ জাতটি অনুমােদন দেয়। এর ২টি বৈশিষ্ট্য হলাে

১. ব্রি ধান ৩৬ শৈত্য সহিষ্ণু অর্থাৎ বীজ বপনের সময় যে সব এলাকায় তাপমাত্রা ১৫° সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় সেসব এলাকার জন্য উপযােগী।

২. ব্রি ধান ৩৬ জাতটি বােরাে মৌসুমে আগাম চাষ করা যায়।

প্রশ্ন-২, ব্রি ধান-৪৭ এর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: ব্রি ধান ৪৭ হলাে উপকূলীয় এলাকায় চাষ উপযােগী বােরাে মৌসুমের লণাক্ততা সহিষ্ণু একটি জাত। এ জাত চারা অবস্থায় বেশি লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে এবং বয়স্ক অবস্থায় নিম্ন হতে মধ্যম মাত্রার লবণান্ততা সহ্য করতে পারে। জাতটির গাছের উচ্চতা ১০৫ সেমি এবং জীবনকাল ১৫২ দিন। লবণাক্ত পরিবেশে ব্রি ধান ৪৭ হেক্টর প্রতি ৬ টন ফলন দিতে সক্ষম।

প্রশ্ন-৩, গভীর পানির আমন কীভাবে বন্যা মােকাবেলা করে ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর : গভীর পানির আমন জাতের ধান গাছের পর্ব মধ্যে এক ধরনের ডাজক কলা থাকে যা বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে দ্রুত বিভাজিত হয়ে গাছের দৈহিক বৃদ্দি ঘটিয়ে বন্যা মােকাবেলা করে।

প্রশ্ন-৪, ব্রি ধান ৫৫ কোন কোন পরিস্থিতিতে চাষযােগ্য?

উত্তর: ব্রি ধান ৫৫ জাতটি বিভিন্ন বিরূপ পরিস্থিতি মােকাবেলা করতে পারে।

বােরা মৌসুমে এ জাতটি মাঝারি শৈত্য সহ্য করতে পারে বলে দেশের শৈত্য প্রবণ এলাকায় চাষ করা যায়। এছাড়া জাতটি মাঝারি লবণাক্ততা এবং খরাও সহ্য করতে পারে। তাই এসব প্রতিকূল অবস্থায় ব্রি ধান ৫৫ জাতটি চাষযােগ্য।

প্রশ্ন-৫, লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল বলতে কী বােঝ?

উত্তর: যেসব ফসল বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে সেসব ফসলকে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল বলে। নারিকেল, সুপারি, তাল ইত্যাদি ফসল উত্তম লবণাক্ততা সহিষ্ণু। মরিচ,মমুগ, খেসারি ইত্যাদি মধ্যম লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসল। লবণাক্ততা সহিষ্ণু ফসলের পাতায় এক ধরনের জালিকা থাকে যার মাধ্যমে অতিরিক্ত (k, Na ইত্যাদি) আয়ন বের করে দিয়ে অথবা আয়ন জমিয়ে রেখে পরিবেশে টিকে থাকে।

প্রশ্ন-৬, উপকূলীয় এলাকায় যেকোনাে ফসল চাষ করা যায় না কেন?

উত্তর: উপকূলীয় এলাকার মাটিতে লবণের মাত্রা বেশি থাকে। ফলে মাটি থেকে ফসলের পানি সংগ্রহ করতে অসুবিধা হয়। মাত্রা বেশি হলে ফসল জন্মাতে পারে না। আবার শুষ্ক মৌসুমে পানির বাষ্পীভবনের মাধ্যমে মাটির নিচের লবণ উপরে উঠে আসে। ফলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। এসকল কারণে উপকূলীয় এলাকায় যেকোনাে ফসল চাষ করা যায় না।

প্রশ্ন-৭, বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর : উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন- নগরায়ন, যান্ত্রিক সভ্যতা, কলকারখানার প্রসার, জ্বালানি তেল ও কয়লার যথেচ্ছ ব্যবহার, বৃক্ষনিধন ইত্যাদির কারণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ক্রমশ গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বাড়ছে।

প্রশ্ন-৮, জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন রিপাের্ট, (২০০৭-০৮) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে কী ধরনের পূর্বাভাস দেয়?

উত্তর : জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন রিপাের্ট (২০০৭-০৮) অনুসারে বাংলাদেশ আগে থেকেই পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ। বর্তমানে জলবায়ুর পরিবর্তন এ দুর্যোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বাংলাদেশে প্রায় ৭ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

প্রশ্ন-৯. নিম্ন তাপমাত্রা ধান গাছের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে?

উত্তর : নিম্ন তাপমাত্রার কারণে ধানগাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, ধান গাছ হলদে বর্ণ ধারণ করে, ধানের চারা দুর্বল হয় এবং ফসলের জীবনকাল-বেড়ে যায়। আমন ধানের ফুল আসা ও পরাগায়ণের সময় তাপমাত্রা হ্রাস পেলে ফলন কমে যায়। ফলে ধানে চিটা হয়।

প্রশ্ন-১০, নাবী জাতের আমন ধান কেন চাষ করা হয়?

উত্তরঃ নাবী জাতের আমন ধানের উৎপাদনের হার বেশি। ফলে এ ধানে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়। এ ধান জলাবদ্ধ জায়গায় এমনকি উঁচু জোয়ারেও বেঁচে থাকে। এসব সুবিধার কারণেই নাবী জাতের আমন ধান চাষ করা হয়।

প্রশ্ন-১১, IPCC কী ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: IPCC এর পূর্ণরূপ হলাে- Intergovernmental Panel on Climate Change.

এটি জাতিসংঘের সহায়তায় এর সদস্য দেশগুলাের অনুরােধে প্রতিষ্ঠিত একটি বৈজ্ঞানিক ও আন্তঃসরকারি সংস্থা। এই সংস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি, এর প্রভাব অভিযােজন এবং বিকল্প কলাকৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন-১২. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট একটি বিরূপ অবস্থা ব্যাখ্যা করাে। 

উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট একটি বিরূপ অবস্থা হলাে লবণাক্ততা।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এবং ঝড়, জলােচ্ছ্বাস ও প্রবল জোয়ারের ফলে সৃষ্ট বন্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জমি পানিতে প্লাবিত হয়। ফলে মাটিতে লবণের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়। ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।

Leave a Comment