প্রশ্ন-১। বীজ কী?
উত্তর: বীজ হলাে উদ্ভিদের বংশবিস্তারের জন্য ব্যবহৃত অংশ।
প্রশ্ন-২। অঙ্গজ বীজ কাকে বলে?
উত্তর: উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, শিকড় ইত্যাদি যে সকল অংশ বংশ বিস্তারের উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাদেরকে অঙ্গজ বীজ বলে।
প্রশ্ন-৩। কৃষিতাত্ত্বিক বীজ কী?
উত্তর: উদ্ভিদের যেকোনাে অংশ (মূল, পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, শাখা) যা উপযুক্ত পরিবেশে একই জাতের নতুন উদ্ভিদের জন্ম দিতে পারে, তাই কৃষিতাত্ত্বিক বীজ।
প্রশ্ন-৪। উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজ কী?
উত্তর: উদ্ভিদতত্ত্ব অনুসারে নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বক হলাে উদ্ভিদতাত্ত্বিক।
প্রশ্ন-৫। রােগিং কী?
উত্তর: বীজ বপনের পরে চারা গজালে কাঙ্ক্ষিত চারা রেখে অন্য জাতের চারা বা আগাছা তুলে ফেলাই হলাে রােগিং।
প্রশ্ন-৬। টিস্যু কালচার কাকে বলে?
উত্তর: একটি টিস্যুকে জীবাণুমুক্ত পুষ্টিবর্ধক কোনাে মিডিয়ামে বর্ধিতকরণ প্রক্রিয়াকে টিস্যু কালচার বলে। বীজ।
প্রশ্ন-৭। চারার হার্ডেনিং কী?
উত্তর: প্রতিকূল পরিবেশে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য চারা জমিতে রােপণের পূর্বে কিছু সময় রােদে ও ঠাণ্ডায় রেখে উপযােগী করাই হলাে চারার থার্ডেনিং।
প্রশ্ন-৮। বীজ জমি পৃথকীকরণের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: বীজ জমি পৃথকীকরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত শস্য বীজের সাথে যেন অন্য জাতের বীজের সংমিশ্রণ না ঘটে।
প্রশ্ন-৯। হাম পুলিং কী?
উত্তর: মাটির উপরে গাছের সম্পূর্ণ অংশকে উপড়ে ফেলাই হলাে হাম পুলিং।
প্রশ্ন-১০। আলুর জমিতে শেষ চাষের পূর্বে কোন ঔষধ মাটিতে মিশিয়ে
উত্তর: স্টেবল ব্লিচিং পাউডার।
প্রশ্ন-১১। নেকটন কী?
উত্তর: নেকটন বা সাঁতারু হলাে যারা পানিতে মুক্তভাবে সাঁতার কাটতে পারে, সমস্ত পানিতে চড়ে বেড়ায় এবং খাদ্য খুঁজে খায়।
প্রশ্ন-১২। মজুদ পুকুর কাকে বলে?
উত্তর: যে পুকুরে আঙ্গুলে পােনা ছেড়ে বড় মাছে পরিণত করা হয় তাকে মজুদ পুকুর বলে।
প্রশ্ন-১৩। লতানাে উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তর: যে সকল উদ্ভিদের শিকড় পুকুরের পাড়ে আটকানাে থাকে এবং কাণ্ড, পাতা পানিতে ছড়িয়ে থাকে তাকে লতানাে উদ্ভিদ বলে।
প্রশ্ন-১৪। রুই মাছের বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা কত?
উত্তর: রুই মাছের বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা ২৫-৩০° সে।
প্রশ্ন-১৫। মাছের চাষের জন্য পুকুরের পানিতে প্রতি লিটারে কী পরিমাণ দ্রবীভূত অক্সিজেনের প্রয়ােজন?
উত্তর: মাছ চাষের জন্য পুকুরের পানিতে প্রতি লিটারে কমপক্ষে ৫ মিলিগ্রাম দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকা প্রয়ােজন।
প্রশ্ন-১৬। পানির পিএইচ কী?
উত্তর: পানির পিএইচ হলাে পানির অম্ল বা ক্ষার বা নিরপেক্ষ অবস্থা।
প্রশ্ন-১৭। জু-প্লাংকটন কী?
উত্তর: জু-প্লাংকটন হচ্ছে পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান আণুবীক্ষণিক প্রাণীকণা।
প্রশ্ন-১৮। পুকুর কী?
উত্তর: পুকুর হচ্ছে ছােট ও অগভীর জলাশয় যেখানে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে মাছ চাষ করা হয় এবং প্রয়ােজনে একে শুকিয়ে ফেলা যায়।
প্রশ্ন-১৯। রুই মাছ কোন স্তরের খাবার খায়?
উত্তর: রুই মাছ মধ্যস্তরের খাবার খায়।
প্রশ্ন-২০। প্লাংকটন কী?
উত্তর: প্লাংকটন হলাে পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান অণুবীক্ষণিক জীব।
প্রশ্ন-২১। ডিম পােনা কাকে বলে?
উত্তর: ডিম ফুটার পরের অবস্থাকে ডিম পােনা বলে।
প্রশ্ন-২২। স্থায়ী পুকুর কাকে বলে?
উত্তর: যে পুকুরে সারা বছর পানি থাকে, অধিক গভীর হয় এবং এটেল ও দোআঁশ মাটি দ্বারা গঠিত তাকে স্থায়ী পুকুর বলে।
প্রশ্ন-২৩। ধানী পােনা কাকে বলে?
উত্তর: রেণু পােনা বড় হয়ে ধানের মতাে আকার হলে তাকে ধানী পােনা বলে।
প্রশ্ন২৪। চারা পােনা কাকে বলে?
উত্তর: রেণু পােনা বড় হয়ে আঙ্গুলের মতাে হলে অর্থাৎ ৭ সেমি এর উপরে হলে একে আজলী পােনা বা চারা পােনা বলে।
প্রশ্ন-২৫। বেনথােসকী?
উত্তর: তলবাসী বা বেনথােস হলাে পুকুরের তলদেশে কাদার উপরে বা ভিতরে বসবাসকারী জীব।
প্রশ্ন-২৬. মিনি পুকুর কাকে বলে?
উত্তর: যে পুকুরের আয়তন ১-৫ শতকের মধ্যে হয় তাকে মিনি পুকুর বা ছােট পুকুর বলে।
প্রশ্ন-২৭. আদর্শ পুকুর কী?
উত্তর: যে পুকুরে মাছ চাষের জন্য সব ধরনের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকে তাই আদর্শ পুকুর।
প্রশ্ন-২৮। রেণু পােনা কাকে বলে?
উত্তর: ডিম পােনার কুসুম থলি শেষ হয়ে যাওয়ার পরবর্তী অবস্থাকে রেণু পােনা বলে।
প্রশ্ন-২৯। লালন পুকুর কাকে বলে?
উত্তর: যে পুকুরে ধানী পােনা ছেড়ে চারা বা আজগুলে পােনা পর্যন্ত বড় করা হয় তাকে লালন পুকুর বলে।
প্রশ্ন-৩০। নির্গমনশীল উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব উদ্ভিদের শিকড় পানির নিচে মাটিতে থাকে কিন্তু পাতা ও কাণ্ডের উপরের অংশ বা শুধু পাতা পানির উপর দাঁড়িয়ে থাকে বা ভেসে থাকে তাদেরকে নির্গমনশীল উদ্ভিদ বলে।
প্রশ্ন-৩১. নার্সারি বা আঁতুড় পুকুর কী?
উত্তর: যে পুকুরে রেণু পােনা ছেড়ে ধানী পােনা পর্যন্ত বড় করা হয় সেটিই নার্সারি পুকুর।
প্রশ্ন-৩২। মৌসুমি পুকুর কাকে বলে?
উত্তর: যে পুকুরে বছরে একটি নির্দিষ্ট সময় (৩-৮ মাস) পানি থাকে তাকে মৌসুমী পুকুর বলে।
প্রশ্ন-৩৩। পুকুরের কোন স্তরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে?
উত্তর: পুকুরের উপরের স্তরে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।
প্রশ্ন-৩৪। বকচর কী?
উত্তর: মাছ চাষের পুকুরের উপরিতলের ধার ও পাড়ের মধ্যবর্তী যে স্থানটুকু ফাঁকা রাখা হয় তাই বকচর।
প্রশ্ন-৩৫। সেকিডিস্ক কী?
উত্তর: সেক্ৰিডিস্ক হলাে ২০ সেমি ব্যাসযুক্ত টিনের সাদা কালাে থালা যার সাহায্যে পুকুরে সার প্রয়ােগের প্রয়ােজনীয়তা নির্ণয় করা হয়।
প্রশ্ন-৩৬। রােটেনন কী?
উত্তর: রােটেনন হলাে রাক্ষুসে মাছ দূরীকরণের পানিতে ব্যবহৃত মাছ মারার বিষ।
প্রশ্ন-৩৭। মহুয়ার খৈল কী?
উত্তর: মহুয়ার খৈল বা রােটেনন এক প্রকার মাছ মারার বিষ । যা দিয়ে রাক্ষুসে ও অচাষযােগ্য মাছ দূরীকরণ করে পুকুরকে মাছ চাষের উপযােগী করা হয়।
প্রশ্ন-৩৮। কোন সময় পুকুরে খাবার প্রয়ােগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়?
উত্তর: পুকুর অত্যধিক সবুজ হয়ে গেলে খাবার প্রয়ােগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হয়।
প্রশ্ন-৩৯, রাক্ষুসে মাছ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব মাছ চাষের মাছকে খেয়ে ফেলে তাকে রাক্ষুসে মাছ বলে।
প্রশ্ন-৪০, জলজ আগাছা দমনে কি কি রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: জলজ আগাছা দমনে কপার সালফেট বা তুতে, সিমাজিন ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৪১, রাক্ষুসে ও অচাষযােগ্য মাছ মারার জন্য বিষ প্রয়ােগের মাত্রা কত?
উত্তর: রাক্ষুসে ও অচাষযােগ্য মাছ মারার জন্য পুকুরে শতক প্রতি ৩০৩৫ গ্রাম রােটেনন অথবা ৩ কেজি মহুয়ার খৈল ব্যবহার করতে হয়।
প্রশ্ন-৪২, ফসটক্সিন কী?
উত্তর: ফসটক্সিন হলাে এক ধরনের রাসায়নিক বিষ যা দ্বারা মাছ মারা হয়।
প্রশ্ন-৪৩, চরম বিপন্ন প্রজাতির মাছ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব প্রজাতির মাছ প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে অচিরেই বিলুপ্ত হবার ঝুঁকি মােকাবেলা করছে তাকে চরম বিপন্ন প্রজাতির মাছ বলে।
প্রশ্ন-৪৪, বিপন্ন প্রজাতির মাছ কাকে বলে?
উত্তর: যে প্রজাতির মাছ অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হবার ঝুঁকি মােকাবেলা করছে তাকে বিপন্ন প্রজাতির মাছ বলে।
প্রশ্ন-৪৫, ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির মাছ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব প্রজাতির মাছ বিপন্ন না হলেও মধ্যমেয়াদি ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হবার আশঙ্কা রয়েছে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির মাছ বলে।
প্রশ্ন-৪৬, বর্তমানে দেশে মােট কতটি মৎস্য অভয়াশ্রম আছে?
উত্তর: বর্তমানে দেশে মােট ৫০০টি মৎস্য অভয়াশ্রম রয়েছে।
প্রশ্ন-৪৭, মৎস্য অভয়াশ্রম কী?
উত্তর: কোনাে জলাশয় বা এর নির্দিষ্ট অংশ যেমন— হাওর, বিল বা নদীর অংশ যেখানে বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বা সারাবছর বা দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ীভাবে মাছ ধরা নিষেধ করে মাছের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রজননের ব্যবস্থা করা হয় তাই মৎস্য অভয়াশ্রম।
প্রশ্ন-৪৮, কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির মাছের উদাহরণ দাও।
উত্তর: ফলি, গুলশা, কাজলি, মেনি ইত্যাদি ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির মাছ।
প্রশ্ন-৪৯, বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের আয়তন কত?
উত্তর: বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের আয়তন প্রায় ৪৭ লক্ষ হেক্টর।
প্রশ্ন-৫০, বাংলাদেশে স্বাদু পানিতে কত প্রজাতির মাছ রয়েছে?
উত্তর: বাংলাদেশে স্বাদু পানিতে ২৬০ প্রজাতির মাছ রয়েছে।
প্রশ্ন-৫১, কারেন্ট জাল ফাস আল কী?
উত্তর: কারেন্ট জাল বা ফাস জাল হলাে ৪৫ সেমি বা তার কম ব্যাস বা দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট জাল।
প্রশ্ন-৫২, জাটকা কী?
উত্তর: যেসব ইলিশের আকৃতি ২৩ সেন্টিমিটারের কম সেগুলােই হলাে জাটকা।
প্রশ্ন-৫৩, মৎস্য সংরক্ষণ আইন কত সালে প্রণয়ন করা হয়?
উত্তর: মৎস্য সংরক্ষণ আইন ১৯৫৩ সালে প্রণয়ন করা হয়।
প্রশ্ন-৫৪, ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রগুলােতে কোন সময়ে মাছ ধরা নিষেধ?
উত্তর: ইলিশ প্রজনন ক্ষেত্রগুলােতে ১৫ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরা নিষেধ।
প্রশ্ন-৫৫, ব্রুভার ঘর কাকে বলে?
উত্তর: যে ঘরে সদ্য ফোটা বাচ্চাদের জন্ম থেকে ৪ বা ৬ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত কৃত্রিমভাবে তাপ প্রদান, টিকা, লিটার, খাদ্য ও পানির ব্যবস্থা করতে হয় তাকে ব্রুডার ঘর বলে।
প্রশ্ন-৫৬. হ্যাচারি ঘর কী?
উত্তর: হাঁস-মুরগির হ্যাচারি খামারের অন্তর্গত যে ঘরে বাচ্চা ফোটে তাকে হ্যাচারি ঘর বলে।
প্রশ্ন-৫৭, বোয়াড় কাকে বলে?
উত্তর: পারিবারিকভাবে ১০-১৫টি হাঁস-মুরগি পালনের জন্য লক্ষ্যে রাতে আশ্রয়ের জন্য ছােট ঘরকে খেয়াড় বলে।
প্রশ্ন-৫৮, ব্রয়লার ঘর কাকে বলে?
উত্তর: যে খামারে মাংস উৎপাদনকারী ব্রয়লার মুরগি পালন করা হয় তাকে ব্রয়লার খামার বলে এবং যে ঘরে পালন করা হয় তাকে ব্রয়লার ঘর বলে।
প্রশ্ন-৫৯. উন্নতজাতের হাঁস-মুরগি বছরে কতটির মতাে ডিম দেয়?
উত্তর: উন্নত জাতের হাঁস-মুরগি বছরে ২৫০ টির মতাে ডিম দেয়।
প্রশ্ন-৬০, আধা-উন্মুক্ত ঘর কাকে বলে?
উত্তর: উন্মুক্ত ঘরের নির্দিষ্ট স্থানের এক কোনে কিছু জায়গা যখন হাদসহ তৈরি করা হয় তখন তাকে আধা উন্মুক্ত ঘর বলে ।
প্রশ্ন-৬১. গ্রোয়ার ঘর কী?
উত্তর: হাঁস-মুরগির খামারে ডিম উৎপাদনকারী হাঁস-মুরগির বাচ্চাকে ৫/৭ সপ্তাহ থেকে ২০ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত যে ঘরে পালন করা হয় তাই হলাে গ্রোয়ার ঘর।
প্রশ্ন-৬২. হাঁস-মুরগির ঘরের দরজা কোন দিকে থাকতে হবে?
উত্তর: হাঁস-মুরগির ঘরের দরজা দক্ষিণ দিকে থাকতে হবে।
প্রশ্ন-৬৩, পশুর আবাসন কাকে বলে?
উত্তর: সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এবং অধিক উৎপাদনের জন্য অধিকতর আরামদায়ক পরিবেশে পশুকে আশ্রয় প্রদানকে গৃহপালিত পশুর আবাসন বলে।
প্রশ্ন-৬৪. মুরগি খামার পরিচালনায় কোন খাতে খরচ বেশি হয়?
উত্তর: মুরগি খামার পরিচালনায় মােট খরচের ৭০ ভাগই খরচ হয় খাদ্য ক্রয় করতে।
প্রশ্ন-৬৫. রেশন কী?
উত্তর: রেশন হচ্ছে ২৪ ঘণ্টায় কোনাে পশু বা পাখি দ্বারা গৃহীত খাদ্য।
প্রশ্ন-৬৬. সুষম খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: খাদ্যে সকল পুষ্টি উপাদান সমানুপাতিক হারে বিদ্যমান থাকলে তাকে সুষম খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-৬৭, রােগ কী?
উত্তর: জীবের স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের বিচ্যুতিই হলাে রােগ।
প্রশ্ন-৬৮, খাদ্য কী?
উত্তর: যা কিছু দেহে আহার্যরূপে গৃহীত হয় এবং পরিপাক, শােষণ ও বিপাকের মাধ্যমে দেহে ব্যবহৃত হয় বা শক্তি উৎপাদন করে তাই হলাে খাদ্য।
প্রশ্ন-৬৯, সুষম রেশন কাকে বলে?
উত্তর: যে রেশনে পাখির প্রয়ােজনীয় শর্করা, আমিষ, চর্বি, খনিজ লবণ ও ভিটামিন উপস্থিত থাকে তাকে সুষম রেশন বলে।
প্রশ্ন-৭০. কত সপ্তাহ বয়সে ব্রয়লার মুরগি পূর্ণ ওজনপ্রাপ্ত হয়?
উত্তর: ৪-৬ সপ্তাহ বয়সে ব্রয়লার মুরগি পূর্ণ ওজনপ্রাপ্ত হয়।
প্রশ্ন-৭১: হাঁসকে কত প্রকারের রেশন সরবরাহ করা হয়?
উত্তর: হাঁসকে বয়স ও উদ্দেশ্য অনুসারে ৩প্রকার রেশন সরবরাহ করা হয়।
প্রশ্ন-৭২, গাে-খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: গবাদিপশু যে সকল উপাদান খাদ্যরূপে গ্রহণ করে এবং পরিপাক, শশাষণ ও বিপাকের মাধ্যমে দেহে শক্তি উৎপাদন করে তাকে গাে-খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-৭৩, আঁশ জাতীয় খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: যেসব খাদ্যে প্রচুর পরিমাণ আঁশ থাকে এবং কম পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়, তাকে আঁশ জাতীয় খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-৭৪, দানাদার খাদ্য কাকে বলে?
উত্তর: যে খাদ্যে কম পরিমাণে আঁশ এবং বেশি পরিমাণে শক্তি পাওয়া যায়, তাকে দানাদার খাদ্য বলে।
প্রশ্ন-৭৫, হে কী?
উত্তর: হে হলাে সবুজ ঘাসকে শুকিয়ে এর আর্দ্রতা ২০% বা তার নিচে নামিয়ে এনে প্রস্তুত করা।
প্রশ্ন-৭৬, হে তৈরির জন্য কোন ধরনের ঘাস উপযােগী? উত্তর: হে তৈরির জন্য শিম গােত্রীয় ঘাস যেমন- সবুজ খেসারি, মাসকলাই বেশি উপযােগী।
প্রশ্ন-৭৭, লিগিউম কী?
উত্তরঃ যে জাতীয় ঘাসে অধিক পরিমাণ প্রােটিন, শক্তি, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে, তাই হলাে লিগিউম।
প্রশ্ন-৭৮, কাফ স্টার্টার কী?
উত্তর: কাফ স্টার্টার হলাে বাছুরের খাবার উপযােগী বিশেষ দানাদার খাদ্য মিশ্রণ যাতে ২০% এর অধিক পরিপাচ্য আমিষ ও ১০% এর কম আঁশযুক্ত খাদ্য থাকে।
প্রশ্ন-৭৯, সাইলেজ কাকে বলে?
উত্তর: রসালাে অবস্থায় ফুল আসার সময় সবুজ ও সতেজ ঘাসকে কেটে টুকরা করে সেগুলাে বায়ুরােধী অবস্থায় সংরক্ষণ করাকে সাইলে বলে।
প্রশ্ন-৮০, গবাদিপশুর খাদ্য কত প্রকার?
উত্তর: গবাদিপশুর খাদ্য ২ প্রকার।
প্রশ্ন-১। ফসল বীজের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: উদ্ভিদের নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বককে ফসল বীজ বলে।
ফসল বীজ ফসল উৎপাদনের মৌলিক উপকরণ। ফসল বীজ মানুষসহ পশুপাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশুদ্ধ ফসল বীজ রােগ, পােকামাকড় ও আগাছা বিস্তার রােধ করে। ফসল বীজের মাধ্যমে উন্নত জাতের ফসল উৎপাদন সম্ভব। ফসল বীজের মাধ্যমে উদ্ভিদের বংশধারা টিকে থাকে। ফসল বীজ ঔষধ ও শিল্পের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এ সকল কারণে ফসল বীজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন-২। আলুতে সুষম সার প্রয়ােগ প্রয়ােজন কেন?
উত্তর: সুষম সার প্রয়ােগ করলে আলুর উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদিত বীজ আলুর গুণগত মান ভালাে হয়। গাছে কোনাে খাদ্যোপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ সৃষ্টি হলে ভাইরাস রােগের উপস্থিতি নির্ণয় করা কঠিন হয়। এ জন্য আলুতে সুষম সার প্রয়ােগ করা প্রয়োজন।
প্রশ্ন-৩। উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজ হলাে ফসলের নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বক। উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ
i.নিষিক্ত ও পরিপক্ক ডিম্বক।
ii.সপুষ্পক উদ্ভিদ থেকে উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন-৪। কৃষিতাত্ত্বিক বীজ বলতে কী বােঝ?
উত্তর: উদ্ভিদের যে কোনাে অংশ, যেমন- পাতা, কাণ্ড, কুঁড়ি, শাখা যা উপযুক্ত পরিবেশে একই জাতের নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়, তাকে কৃষিতাত্ত্বিক বীজ বা অজ বীজ বলা হয়। যেমন- আমের কলম, আলুর কন্দ, মিষ্টি আলুর লতা, আখের কাণ্ড, পাথরকুচি গাছের পাতা, কাকরােলের মূল, গােলাপের ডাল ও কুঁড়ি, আনারসের মুকুট, কলাগাছের সাকার, আদা, হলুদ, রসুন, কচু ও সকল উদ্ভিদতাত্ত্বিক বীজ।
প্রশ্ন-৫। আলু ফসলের জমিতে আগাছা দমন করা প্রয়ােজন কেন?
উত্তর: ফসলের জমিতে কাঙ্ক্ষিত ফসলের সাথে অন্য যে কোনাে জাতের অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্ভিদই হলাে আগাহা।
আলু ফসলের জমিতে বীজ রােপণের পর থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত আগাছা পরিষ্কার করে রাখা হয়। এতে আলুর কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া বথুয়া জাতের আগাছা দমনের ফলে ফসলকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচানাে যায়। তাই আলু গাছ ছােট থাকা অবস্থায় যথাসম্ভব আগাহ দমন করে রাখতে হয়।
প্রশ্ন-৬। বংশবিস্তারক উপকরণ গুরুত্বপূর্ণ লে?
উত্তর: অনেক ফসলের বংশবিস্তার বীজ দ্বারা সম্ভব হয় না বা সম্ভব হলেও দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ফলন পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের মতাে জনবহুল দেশে ফসল দুত পাওয়ার জন্য বংশবিস্তারক উপকরণ তথা কৃষিতাত্ত্বিক বীজের বিকল্প নাই। উদ্ভিদের মূল, কাণ্ড, শাখা, পাতা, শিকড়, কুঁড়ি ইত্যাদি ব্যবহার করে ফসল উৎপাদন করলে মাতৃ গুণাগুণ বজায় থাকে। অল্প সময়ে ও কম খরচে সহজে ফুল ও ফল পাওয়া যায়। কাজেই এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন-৭। বীজ উৎপাদনের জমি পৃথকীকরণ করা হয় কেন?
উত্তর: বীজ জমি পৃথকীকরণের উদ্দেশ্য বীজের জন্য উৎপাদিত শস্যের সাথে অন্য বীজের সংমিশ্রণ রােধ করা।
বীজ ফসলের পাশেই একই ফসলের জমি থাকলে বীজ ফসলের বীজের সাথে যেকোনাে মাধ্যমে সংমিশ্রণ হবার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি , পরাগায়নের মাধ্যমে জাতের বিশুদ্ধতা নষ্ট হতে পারে। এ কারণে বীজ
জমি পৃথক রাখতে হয়।
প্রশ্ন-৮। আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য লেখাে।
উত্তর: যে পুকুরে মাছ চাষের জন্য সব ধরনের অনুকূল পরিবেশ থাকে তাকে আদর্শ পুকুর বলে।
নিচে আদর্শ পুকুরের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলাে—
১. পুকুরের মাটি দোআঁশ ও পলি দোআঁশ বা এটেল-দোআঁশ হবে।
২. পুকুরের পানির গভীরতা ০.৭৫-২ মিটার সুবিধাজনক।
৩. সারা বছর পানি থাকে এমন পুকুর নির্বাচন করতে হবে।
৪. পুকুরের আয়তন ২০-২৫ শতক হলে ভালাে হয়।
৫. পুকুরের পাড় ১:২ হলে সবচেয়ে ভালাে।
প্রশ্ন-৯। জু-প্লাংকটন ও ফাইটোপ্লাংকটন কী? উদাহরণ দাও।
উত্তর: পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান অণুবীক্ষণিক প্রাণীকণাকে জু-প্লাংকটন বলে। যেমন- ড্যাফনিয়া, কপিপােড, রটিফার। পানিতে মুক্তভাবে ভাসমান এককোষী শেওলা বা অণুবীক্ষণিক উদ্ভিদকণাকে ফাইটোপ্লাংকটন বলে। যেমন- ক্লোরেলা, এনাবেনা, মাইক্রোসিস্টিস।
পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটন উপস্থিত থাকলে পানির রং সবুজ বা সবুজাভ হয়। আর পানির রং বাদামি সবুজ, লালচে সবুজ বা হলদেটে সবুজ থাকলে বােঝা যায় ফাইটোপ্লাংটনের পাশাপাশি জু-প্লাংকটনও উপস্থিত।
প্রশ্ন-১০। পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটন কম থাকার একটি কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: ফাইটোপ্লাংকটন হচ্ছে সবুজ উদ্ভিদকণা যা মাছ পুকুরের উপরিস্তর হতে খাবার হিসেবে গ্রহণ করে।
পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটন কমে যাবার একটি কারণ হলাে পানির ঘোলাত্ব কাদা কণার কারণে পুকুরের পানি ঘােলা হলে সেখানে সূর্যালােক প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে সালােকসংশ্লেষণ তৈরিতে বিঘ্ন ঘটে। ফলশ্রুতিতে পুকুরে ফাইটোপ্লাংকটনের উৎপাদন হ্রাস পায়।