কপোতাক্ষ নদ কবিতার জ্ঞানমূলক ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

কপোতাক্ষ নদ কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন? 

উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। 

প্রশ্ন ২। মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন কত সালে?

উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন ১৮৪৩ সালে ।

প্রশ্ন ৩। মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তির নাম কী? 

উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্তের অমর কীর্তির নাম ‘মেঘনাদবধ  কাব্য।’

প্রশ্ন ৪। মাইকেল মধুসূদন দত্ত কত সালে পরলােকগমন করেন?

উত্তর : মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালে পরলােকগমন করেন।

প্রশ্ন ৫। বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তন করেন কে?

উত্তর : বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। 

প্রশ্ন ৬। বাংলা সাহিত্যে সনেট প্রবর্তন করেন কে?

উত্তর : বাংলা সাহিত্যে সনেট প্রবর্তন করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

প্রশ্ন ৭। কপােতাক্ষ নদকে কবি কী বলে সম্বােধন করেছেন?

উত্তর : কপােতাক্ষ নদকে কবি ‘সখা’ বলে সম্বােধন করেছেন।

প্রশ্ন ৮। কপােতাক্ষ নদ কোন ধরনের কবিতা? 

উত্তর : ‘কপােতাক্ষ নদ’ একটি চতুর্দশপদী কবিতা।

প্রশ্ন ৯। অষ্টকের গঠন বিন্যাস কী

উত্তর : অস্টকের গঠন বিন্যাস হলাে কখখক কখখক অথবা কখখগ কখখগ।

প্রশ্ন ১০। চতুর্দশপদী কবিতা কী? 

উত্তর : চৌদ্দ-চরণ-সমন্বিত ভাবসংহত সুনির্দিষ্ট কবিতাকে চতুর্দশপদী কবিতা বলে।

প্রশ্ন ১১। ‘শর্মিষ্ঠা’ কোন ধরনের রচনা?

উত্তর : শর্মিষ্ঠা মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত নাটক।

প্রশ্ন ১২। ‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতায় কবি বিরলে কার কথা ভাবেন?

উত্তর : কবি বিরলে কপােতাক্ষ নদের কথা ভাবেন।

প্রশ্ন ১৩। মধুসূদন বাংলা কাব্যে কোন ছন্দের প্রবর্তন করেন?

উত্তর : মধুসূদন বাংলা কাব্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করেন।

প্রশ্ন ১৪। বহু দেশে কবি কী দেখেছেন?

উত্তর : বহু দেশে কবি বহু নদ-নদী বয়ে যেতে দেখেছেন।

প্রশ্ন ১৫। ‘কপােতাক্ষ নদ’ কোন জাতীয় কবিতা?

উত্তর : ‘কপােতাক্ষ নদ’ চতুর্দশপদী বা সনেট জাতীয় কবিতা ।

প্রশ্ন ১৬। কপােতাক্ষ নদ কোথায় অবস্থিত?

উত্তর : বাংলাদেশের যশাের জেলায় কপােতাক্ষ নদ অবস্থিত।

প্রশ্ন ১৭। “সতত তােমার কথা ভাবি এ বিরলে”- কবি কার কথা ভাবেন?

উত্তর : সতত অর্থাৎ সর্বদাই কবি কপােতাক্ষ নদের কথা ভাবেন।

প্রশ্ন ১৮। নদী কাকে প্রজারূপে বারি-রূপ কর দান করে?

উত্তর : নদী প্রজারূপে সাগরকে বারি-রূপ কর দান করে।

প্রশ্ন ১৯। ‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতাটির উৎস কী?

উত্তর : ‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’ থেকে গৃহীত হয়েছে।

কপোতাক্ষ নদ কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। কপােতাক্ষ নদের জলরাশিকে ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলার কারণ কী?

উত্তর : কপােতাক্ষের প্রতি কবির গভীর অনুরাগের কারণে তিনি কপােতাক্ষ নদের জলরাশিকে ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলেছেন।

স্বদেশ থেকে বহু দূরে ফ্রান্সে বসবাস করার সময় কবি জন্মভূমির প্রতি গভীর টান অনুভব করেন। জন্মভূমির শৈশব-কৈশােরের কপােতাক্ষ নদের স্মৃতি কবিকে কাতর করে। প্রবাসে থেকেও কপােতাক্ষ নদের জলধারার কলকল ধ্বনি শুনতে পান। কপােতাক্ষের বুকে যে জলধারা প্রবাহিত হয় তা কবি পৃথিবীর আর কোনাে নদ-নদীতে খুঁজে পান না। তাই কবির মধ্যে সেই স্নেহ পাওয়ার তৃষ্ণা থেকে যায়। একমাত্র কপােতাক্ষের জলই কবির তৃষ্ণা নিবারণ করতে পারে বলেই কপােতাক্ষ নদের জলরাশিকে ‘স্নেহের তৃষ্ণা’ বলা হয়েছে।

প্রশ্ন ২। ‘প্রজারূপে রাজরূপ’ — কথাটি বুঝিয়ে দাও।

উত্তর : ‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতায় প্রজা বলতে কপােতাক্ষ নদকে এবং রাজা বলতে সাগরকে বােঝানাে হয়েছে।

প্রজা যেমন রাজাকে কর হিসেবে টাকা দেয়, তেমনি প্রজা কপােতাক্ষ নদও রাজা সাগরকে কর দেয়। তার এ কর হচ্ছে স্রোতধারা বা জলরাশি। কপােতাক্ষ নদ সাগরকে সেই কর দিয়ে যায় ।

প্রশ্ন ৩। “সনেটের গঠন-প্রকৃতি ও চরণের মিল সুনির্দিষ্ট।” ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : সনেটের গঠন-প্রকৃতি ও চরণের মিল সুনির্দিষ্ট নিয়মের অধীন।

ইংরেজি সনেটের বাংলা নাম চতুর্দশপদী কবিতা, এটি চৌদ্দ-চরণসমন্বিত ভাবসংহত বিশেষ ধরনের কবিতা, যার প্রথম আট চরণের স্তবকের নাম অষ্টক ও পরবর্তী ছয় চরণের নাম ষটক। অষ্টকে থাকে মূলভাবের প্রবর্তনা ও ষটকে থাকে ভাবের পরিণতি। সনেটের জন্য কয়েক প্রকার মিলবিন্যাস নির্দিষ্ট করা আছে। যেমন- প্রথম আট চরণ : কখখক; কখখক। শেষ ছয় চরণ : ঘঙচ ঘঙচ। ‘কপােতাক্ষ নদ’ কবিতার মিলবিন্যাস কখকখকখখক গঘগঘগঘ। কাজেই সনেটের গঠনপ্রকৃতি ও চরণের মিল সুনির্দিষ্ট।

প্রশ্ন ৪।  কবি কপােতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেন না কেন?

উত্তর : শিশুকাল থেকে কপােতাক্ষ নদের সঙ্গে কবির সখ্য বলে তিনি কপােতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেন না।

যশাের জেলার কপােতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামে কবি মধুসূদনের জন্ম। শৈশবে মধুসূদন এ নদের তীরে বড় হয়েছেন। দূর প্রবাসে বসেও তিনি শৈশব-কৈশােরের স্মৃতিবিজড়িত কপােতাক্ষ নদের কলকল ধ্বনি শুনতে পেয়েছেন। কেননা জন্মভূমির এ নদ কবিকে যেন মায়ের স্নেহভােরে বেঁধেছে। এ নদ পরম স্নেহে কবির তৃষ্ণা নিবারণ করেছে। এ কারণেই বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন নদ-নদী দেখেও তিনি এ নদকে ভুলে থাকতে পারেন না। এ নদের সঙ্গে শিশুকাল থেকে তাঁর গভীর মিতালি। এসব কারণে তিনি কপােতাক্ষ নদকে ভুলতে পারেন না।

Leave a Comment