সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১। সৌম্য টেলিভিশনের একটি চ্যানেলে একটি অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান দেখছিল। সেখানে উপস্থাপক বিভিন্ন ধরনের ভিক্ষুকদের সাথে কথা বলে তাদের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরছিলেন। দেখা গেল প্রকৃত ভিক্ষুকের চেয়ে ছদ্মবেশী ও ব্যবসায়ী ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি। সৌম্য ইংল্যান্ডের একটি আইনের কথা শুনলাে যা ভিক্ষুকদেরকে কর্মীতে রূপান্তর করেছিল।

ক. ইংল্যান্ডে বসতি আইনটি কত সালে প্রণীত হয়?

খ. সামাজিক বিমা বলতে কী বােঝায়?

গ. সৌম্যের দেখা ভিক্ষুকদের জন্য ইংল্যান্ডের তৎকালীন যে আইনটি প্রযােজ্য তার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করাে।

ঘ. বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দরিদ্রদের জন্য এ ধরনের আইন প্রয়ােগের সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করাে।

১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক। ইংল্যান্ডে বসতি আইনটি ১৬৬২ সালে প্রণীত হয় ।

খ। সামাজিক বিমা হলাে বার্ধক্য, অক্ষমতা, উপার্জনকারীর মৃত্যু, পেশাগত দুর্ঘটনা বা অসুস্থতার মতাে ঝুঁকির বিপরীতে নাগরিকদের রক্ষায় সরকার বা সংস্থা পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মসূচি। এর উদাহরণ হলাে— চাকরিজীবীদের পেনশন, কল্যাণ তহবিল, যৌথ বিমা, শ্রমিক ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি। সামাজিক বিমার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা ধারণার সূচনা হয়।

গ। সৌম্যের দেখা ভিক্ষুকদের জন্য ইংল্যান্ডের ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি প্রযােজ্য।

প্রাক-শিল্প যুগে ইংল্যান্ড বিভিন্ন ধরনের আর্থ-সামাজিক সমস্যা ও দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল। ষােড়শ শতাব্দী পর্যন্ত এসব সমস্যা মােকাবিলায় গৃহীত সরকারি কার্যক্রমের বেশির ভাগ ছিল শাস্তি ও দমনমূলক। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং দরিদ্রদের সঠিক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি প্রণয়ন করা হয় ।

উদ্দীপকে সৌম্য টেলিভিশনে ভিক্ষুকদের ওপর প্রচারিত একটি অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠান দেখছিল। সেখানে সে দেখে প্রকৃত ভিক্ষুকের চেয়ে ছদ্মবেশী ও ব্যবসায়ী ভিক্ষুকের সংখ্যাই বেশি। এ অবস্থা মােকাবিলায় ইংল্যান্ডে প্রণীত ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি কার্যকরী হবে। কারণ উক্ত আইনে প্রকৃত ভিক্ষুকদের চিহ্নিত করে তাদের সাহায্যদান ও কর্মের ব্যবস্থা করা হতাে। ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনে দরিদ্রদের তিনভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা— সক্ষম দরিদ্র, অক্ষম দরিদ্র ও নির্ভরশীল শিশু। শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী তাদের কাজ ও সাহায্য দেওয়া হয়। পারিবারিক দায়িত্ব পালনে সক্ষম ব্যক্তিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের বিধান এ আইনে রাখা হয়। এ আইন অনুযায়ী দরিদ্রদের আত্মীয়-স্বজনরা তাদের সাহায্য করবে। দরিদ্রদের সচ্ছল কোনাে আত্মীয়-স্বজন না থাকলে তাদের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করতাে। সক্ষম দরিদ্রদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা হতাে। এ আইনে ভিক্ষাবৃত্তি মনােভাব কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। এ আইনের অধীনে দরিদ্রদের সাহায্যের জন্য বিভিন্ন করারােপের ব্যবস্থা করা হয়।

ঘ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দারিদ্র্য মােকাবিলায় এ ধরনের আইন অর্থাৎ ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি অত্যন্ত কার্যকরী হবে।

প্রাক-শিল্প যুগে ইংল্যান্ডে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত ছিল। এ সময় সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনের চেষ্টা করেও আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। অবশেষে পূর্বের বিভিন্ন আইনের অভিজ্ঞতার আলােকে ১৬০১ সালের দারিদ্র্য আইনটি প্রণীত হয় যা দারিদ্র্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

উদ্দীপকের সৌম্য টেলিভিশনে ভিক্ষুকদের নিয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক অনুষ্ঠান দেখছিল। এ সময় সে ইংল্যান্ডের একটি আইনের কথা শুনলে যা ভিক্ষুকদের কর্মীতে রূপান্তরিত করেছিল। এ আইনটি হলাে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন। আমাদের দেশেও দারিদ্র্য দিনে দিনে চরম আকার ধারণ করছে। এ সমস্যা সমাধানে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন প্রয়ােগ করা যায়। এই আইন অনুযায়ী আমাদের দেশেও দরিদ্রদের শ্রেণিবিভাগ করে সাহায্যদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। এক্ষেত্রে অক্ষম দরিদ্ররা সাহায্য পাবে। আর ছদ্মবেশী সক্ষম দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে। আমাদের দেশের সরকার দরিদ্রদের সাহায্য করার জন্য তাদের সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের বাধ্য করতে পারে। যেসব দরিদ্রদের সচ্ছল আত্মীয়-স্বজন থাকবে না তাদের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া আমাদের দেশের সরকারকে আইনের মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘােষণা এবং ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ কর্মসূচি আমাদের দেশের ভিক্ষাবৃত্তি দূর করতে সহায়ক হবে।

সার্বিক আলােচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, আমাদের দেশের দারিদ্র্যাবস্থা ও ভিক্ষাবৃত্তি দূর করার জন্য ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

প্রশ্ন ২। কদম আলী ঢাকা শহরের একটি ছােটখাটো ভিক্ষুক দলের সর্দার। তার ভিক্ষুক দলে রয়েছে শারীরিক এবং বাকপ্রতিবন্ধী চারজন সদস্য। এছাড়া রয়েছে দিপু নামের এক অনাথ শিশু। এরা সকলেই নানা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে পথচারীদের সহানুভূতিপূর্ণ দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভিক্ষা আদায় করে।

ক. COS কী?

খ. শিল্প দুর্ঘটনা বলতে কী বােঝায়?

গ. উদ্দীপকের দিপু ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন অনুযায়ী কোন শ্রেণির দরিদ্র বলে বিবেচিত? ব্যাখ্যা করাে।

ঘ. দিপু ছাড়াও উদ্দীপকে বর্ণিত অপর শ্রেণির মানুষের জন্য ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি যে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম তা বিশ্লেষণ করাে।

২নং প্রশ্নের উত্তর

ক। cos হচ্ছে ‘Charity Organization Society’ বা দান সংগঠন সমিতি।

খ। শিল্পকারখানায় কর্মরত অবস্থায় যে সব দুর্ঘটনা ঘটে সেগুলােই শিল্প দুর্ঘটনা।

শিল্পকারখানায় যান্ত্রিক উৎপাদন পদ্ধতিতে শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়ােজিত হতে হয়। এতে পেশাগত দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। পেশাগত দুর্ঘটনার কারণে অনেক সময় শ্রমিক শ্রেণি অকাল মৃত্যু, বিকলাঙ্গতা ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শিল্প-কারখানায় ঘটে যাওয়া এ সব পেশাগত দুর্ঘটনাই শিল্প দুর্ঘটনার অন্তর্ভুক্ত।

গ। উদ্দীপকের দীপু ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন অনুযায়ী নির্ভরশীল শিশু হিসেবে বিবেচিত।

১৬০১ সালের দরিদ্র আইনে দরিদ্রদের তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। এগুলাে হলাে— সক্ষম দরিদ্র, অক্ষম দরিদ্র ও নির্ভরশীল শিশু। এতিম, পরিত্যক্ত ও অক্ষম পিতা-মাতার সন্তানরা নির্ভরশীল শিশু শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত ছিল। এদেরকে কোনাে নাগরিকের কাছে বিনা খরচে দত্তক অথবা কম খরচে লালন-পালনের জন্য দেওয়া হতাে। এক্ষেত্রে ছেলেদের ২৪ বছর পর্যন্ত এবং মেয়েদেরকে ২১ বছর বা বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত মনিবের বাড়িতে থাকতে হতাে।

উদ্দীপকে উল্লেখিত দীপু অনাথ শিশু। কদম আলীর অধীনে সে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়ােজিত। অনাথ শিশু হওয়ার কারণে দীপু ১৬০১ সালের আইন অনুযায়ী নির্ভরশীল শিশু শ্রেণির দরিদ্র হিসেবে বিবেচিত হবে।

ঘ। দীপু ছাড়াও উদ্দীপকে বর্ণিত অপর শ্রেণির অর্থাৎ অক্ষম দরিদ্রের জন্য ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

ইংল্যান্ডের দরিদ্রদের কল্যাণে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন প্রণীত হয়েছিল। এই আইনের অধীনে দরিদ্রদের সাহায্য ও পুনর্বাসনে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করতাে। এক্ষেত্রে সাহায্যদানের সুবিধার্থে দরিদ্রদের বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছিল। যেমন- সক্ষম দরিদ্র, অক্ষম দরিদ্র ও নির্ভরশীল শিশু। এই আইনে শ্রেণি অনুযায়ী তাদের কাজের ব্যবস্থা করা, ত্রাণ সহায়তা প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার কথা উল্লেখ রয়েছে।

উদ্দীপকের কদম আলী ভিক্ষুক দলের সর্দার। তার ভিক্ষুক দলে চারজন সদস্য শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন অনুযায়ী এরা সবাই অক্ষম দরিদ্রের পর্যায়ভুক্ত। তাই এ আইন অনুযায়ী সরকার তাদের জন্য সক্ষমতা অনুসারে জীবিকা লাভের ব্যবস্থা করতে পারে।

প্রয়ােজন অনুযায়ী তাদেরকে ত্রাণ সাহায্য প্রদান করতে পারে। এসবের পাশাপাশি তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করতে পারে। এভাবে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন উদ্দীপকে উল্লিখিত অক্ষম দরিদ্রের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

উপরের আলােচনা থেকে তাই বলা যায়, দিপু ছাড়াও উদ্দীপকে বর্ণিত অপর শ্রেণি অর্থাৎ অক্ষম দরিদ্র শ্রেণির মানুষের জন্য ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রশ্ন ৩। ইসমাইল শেখ তারুণ্যদীপ্ত একজন টগবগে যুবক। দেশে নিজের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পেরে অবশেষে সে মালয়েশিয়াতে কাজের সন্ধানে পাড়ি জমালাে। প্রায় দশ বছর পর নিজ এলাকায় ফিরে ইসমাইল শেখ অবাক হয়ে গেলাে। কেননা অনেক ছােট-বড় কারখানা গড়ে উঠেছে এলাকায়। আরও গড়ে উঠেছে অসংখ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। কাজের সন্ধানে তাদের এখন অন্য এলাকায় যেতে হয় না।

ক. Virgin Queen’ নামে কাকে ডাকা হতাে?

খ. পেশা বলতে কী বােঝায়?

গ. মালয়েশিয়া ফেরত ইসমাইল শেখের এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পাঠ্যপুস্তকে যে ঐতিহাসিক ঘটনাটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করাে।

ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত ঘটনাটি মানবকল্যাণের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে। উদ্দীপক ও পাঠ্যপুস্তকের আলােকে বিশ্লেষণ করাে।

৩নং প্রশ্নের উত্তর

ক। রানী প্রথম এলিজাবেথকে ‘Virgin Queen’ নামে ডাকা হতাে।

খ। পেশা বলতে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, দক্ষতা, নৈপুণ্য, তত্ত্বনির্ভর, সুশৃঙ্খল জ্ঞান, মূল্যবােধ, নৈতিকতা এবং ব্যবহারিক জ্ঞানভিত্তিক জীবিকা নির্বাহের পন্থাকে বােঝায়।

প্রকৃত অর্থে পেশা হলাে এমন এক ধরনের বৃত্তি বা জীবিকা নির্বাহের উপায়, যেখানে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বা বিষয়ে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানার্জন করে যথাযথ দক্ষতা, নৈপুণ্য ও কৌশলের মাধ্যমে তা বাস্তবে প্রয়ােগ করতে হয়। এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার অর্জিত জ্ঞানকে স্বাধীনভাবে প্রয়ােগ করে জীবিকা অর্জন করতে পারে। যেমন- ডাক্তারি, শিক্ষকতা, ইত্যাদি। পেশা সাধারণত জনকল্যাণমুখী হয়ে থাকে এবং এর সুনির্দিষ্ট মূল্যবােধ ও সামাজিক স্বীকৃতি রয়েছে।

গ। মালয়েশিয়া ফেরত ইসমাইল শেখের এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের ঐতিহাসিক ঘটনা ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

শিল্পবিপ্লব হচ্ছে কৃষিভিত্তিক হস্তশিল্পনির্ভর ক্ষুদ্রায়তন উৎপাদন ও অর্থনীতি থেকে শিল্প ও যন্ত্রচালিত বৃহদায়তন উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের একটি প্রক্রিয়া। এটি অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে শুরু হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে বিশ্বের অন্যান্য অংশে বিস্তার লাভ করে। শিল্পবিপ্লব উৎপাদন পদ্ধতিতে আমূল পরিবর্তন আনে। এতে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক হারে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়। কুটির শিল্পভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে শক্তি ও প্রযুক্তিচালিত যান্ত্রিক উৎপাদন পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়। এর ফলে ব্যাপকহারে কলকারখানা গড়ে ওঠে। এ সব কলকারখানায় নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযােগ সৃষ্টি হয়। যার কারণে মানুষকে কাজের জন্য অন্য দেশে যেতে হয় না। ফলে উৎপাদন ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। বৃহদায়তন শিল্পের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ইত্যাদি গড়ে ওঠে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত ইসমাইল শেখ কাজের সন্ধানে মালয়েশিয়ায় যায় । প্রায় দশ বছর পর সে নিজ এলাকায় এসে অবাক হয়ে যায়। কারণ তার এলাকায় এখন ছােট-বড় অনেক কারখানা ও অসংখ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কাজের সন্ধানে তার এলাকার লােকদের এখন আর অন্যত্র যেতে হয় না। সুতরাং ইসমাইলের এলাকায় ঘটে যাওয়া বিষয়টি শিল্পবিপ্লবকেই নির্দেশ করে যার বৈশিষ্ট্য উপরে বর্ণিত হয়েছে।

ঘ। উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত শিল্পবিপ্লব মানবকল্যাণের দিগন্তকে প্রসারিত করেছে।

শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক হারে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হওয়ায় উৎপাদন বহুগুণে বেড়ে যায়। শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বে অসংখ্য শিল্পকারখানা গড়ে ওঠে। এতে কর্মসংস্থানের বহু সুযােগ সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে সনাতন যােগাযােগ ব্যবস্থার পরিবর্তে যান্ত্রিক যােগাযােগ পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়। ফলে ভৌগােলিক দূরত্ব হ্রাস পায়, জনজীবন সহজ, গতিশীল ও আরামপ্রদ হয়। শিল্পবিপ্লবের প্রত্যক্ষ ফল হলাে শিল্পায়ন ও শহরায়ন যা সমাজজীবনকে পর্যায়ক্রমে উন্নতি ও প্রগতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। শিল্পবিপ্লব শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন উৎস থেকে জ্ঞানার্জনের সুযােগ পাচ্ছে। এতে মানুষের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকশিত হচ্ছে, পাশাপাশি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটেছে। শিল্পবিপ্লবের প্রভাবে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হচ্ছে। এ কারণে সমাজের উন্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণের হার বাড়ছে। মানুষ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস ও মূল্যবােধের ভিত্তিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। শিল্পবিপ্লবের প্রভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অকল্পনীয় সাফল্য এসেছে।

উদ্দীপকের ইসমাইল নিজ দেশে কর্মসংস্থান করতে না পেরে মালয়েশিয়ায় যায়। সে দশ বছর পর দেশে ফিরে দেখে তার এলাকায় ছােট-বড় কলকারখানাসহ অসংখ্য সেবা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যা শিল্পবিপ্লবকে ইঙ্গিত করছে। এর ফলে মানুষের আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটার পাশাপাশি চিন্তাধারায়ও আমূল পরিবর্তন এসেছে।

উপরের আলােচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত শিল্প বিপ্লব মানবকল্যাণকে প্রসারিত করেছে।

প্রশ্ন ৪। মি, ‘x’ একজন সমাজকর্মী। তাকে তার গ্রামের সমস্যা চিহ্নিতকরণের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি গ্রামের সকল শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিদের সাথে আলােচনা করে কর্তৃপক্ষের নিকট একটি রিপোের্ট জমা দেন। রিপাের্টে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টিকারী পাঁচটি প্রতিবন্ধকতার নাম উল্লেখ করেন।

ক. আধুনিক সমাজকর্মের সূত্রপাত কোন দেশে হয়?

খ. কোন আইনে অক্ষম দরিদ্রদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করাে।

গ. মি, ‘x’ এর রিপাের্টের সাথে তােমার পাঠ্যবইয়ের কোন রিপাের্টের মিল আছে? ব্যাখ্যা করাে।

ঘ. উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত রিপাের্টই যুক্তরাজ্যের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ্লেষণ করাে। 

৪নং প্রশ্নের উত্তর

ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আধুনিক সমাজকর্মের সূত্রপাত হয়।

খ। ১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইনে অক্ষম দরিদ্রদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

১৬০১ সালের এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন অনুযায়ী রুগ্ন, বৃদ্ধ, পঙ্গ, বধির, অন্ধ ও সন্তানাদিসহ বিধবা প্রমুখ যারা কাজ করতে সক্ষম নন, তারাই অক্ষম দরিদ্রদের পর্যায়ভুক্ত। অক্ষম দরিদ্রদেরকে দরিদ্রাগারে রেখে তাদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করতে বাধ্য করা হতাে। যাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা থাকতাে তাদের জন্য ওভারসিয়ারের মাধ্যমে সাহায্যদানের ব্যবস্থা করা হতাে।

গ। মি, ‘X’ এর রিপাের্টের সাথে আমার পাঠ্যবইয়ের বিভারিজ রিপাের্টের মিল রয়েছে।

আধুনিক ইংল্যান্ডের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রবর্তনে ১৯৪২ সালের সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির ভূমিকা উল্লেখযােগ্য। স্যার উইলিয়াম বিভারিজের সামাজিক নিরাপত্তা রিপাের্ট অনুযায়ী এই কর্মসূচি গৃহীত হয়। উদ্দীপকটিতেও অনুরূপ একটি রিপাের্টের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

উদ্দীপকের মি, ‘x’ তার গ্রামের সমস্যা চিহ্নিত করে একটি রিপাের্ট প্রণয়ন করেছেন। এই রিপাের্টে তিনি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টিকারী পাঁচটি প্রতিবন্ধকের নাম উল্লেখ করেন। আলােচ্য বিভারিজ রিপাের্টেও অনুরূপ পাঁচটি প্রতিবন্ধকতার উল্লেখ ছিল। বিভারিজের রিপাের্ট অনুসারে তকালীন দারিদ্র্যপীড়িত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে পদৈত্য অক্টোপাসের ন্যায় জড়িয়ে রেখেছিল। এই পদৈত্য হলাে- অভাব, রােগ, অজ্ঞতা, মলিনতা ও অলসতা। বিভারিজের মতে, এই পদৈত্য বা পাঁচটি সমস্যাই ছিল ইংল্যান্ডের সার্বিক অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় বা প্রতিবন্ধক। এজন্য তিনি এই সমস্যা সমাধানে সুপারিশ প্রদান করেছিলেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকে আলােচিত রিপাের্ট এবং বিভারিজ রিপাের্টের মাঝে সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ। উদ্দীপকে ইঙ্গিতকৃত বিভারিজ রিপাের্ট যুক্তরাজ্যের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে একটি উল্লেখযােগ্য মাইলফলক হয়ে আছে।

বিভারিজ রিপাের্টের সুপারিশগুলাে যুক্তরাজ্যে সমাজসেবার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এবং বাস্তবমুখী নতুন ধারা প্রবর্তন করে। এ সুপারিশ অনুসারেই যুক্তরাজ্যের সামগ্রিক সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং এ পরিকল্পনার মেরুদণ্ড হিসেবে স্বীকৃত সামাজিক বিমা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এভাবে রিপাের্টটি যুক্তরাজ্যের সামাজিক নিরাপত্তাকে সুসংহত করেছে।

উদ্দীপকেও এ রিপাের্টকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। উদ্দীপকের মি, ‘X’ কে তার গ্রামের সমস্যা চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি গ্রামের সব শ্রেণির মানুষের প্রতিনিধিদের সাথে আলােচনা করে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপাের্ট জমা দেন মা বিভারিজ রিপােট এর অনুরূপ। আর বিভারিজ রিপাের্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলাে এটি সর্বপ্রথম সকল স্তরের জনগণের জন্য সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি প্রবর্তনের সুপারিশ করে। এই রিপাের্টের সুপারিশ অনুযায়ী পারিবারিক ভাতা আইন ১৯৪৫, বিমা আইন-১৯৪৬, জাতীয় সাহায্য আইন-১৯৪৮, জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা আইন-১৯৪৬ প্রভৃতি সামাজিক নিরাপত্তামূলক আইন প্রণীত হয়েছিল। এ আইনগুলাে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ কার্যকর ছিল। বিশেষত সামাজিক বিমা কর্মসূচির আওতায় যুক্তরাজ্যের জনগণের জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য বিমা, বার্ধক্য ও পঙ্গ বিমা, বেকার বিমা, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যুর জন্য বিশেষ বিমা, শ্রমিক ক্ষতিপূরণ প্রভৃতি সুবিধা প্রদান করা হয়। এককথায় বলা যায়, বিভারিজ রিপাের্ট যুক্তরাজ্যে আধুনিক সমাজকল্যাণমূলক আইনের ভিত্তি রচনা করে।

উপযুক্ত আলােচনা থেকে বলা যায়, বিভারিজ রিপাের্ট সম্পর্কিত প্রশ্নোত্ত বক্তব্যটি যথার্থ।

প্রশ্ন ৫। করিম তার বাবা-মা, ভাই-বােন নিয়ে কুমিল্লায় বসবাস করেন। সম্প্রতি তাকে কুড়িগ্রামে বদলি করা হয়। ফলে তিনি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কুড়িগ্রাম চলে যান। তার বাবা-মা কুমিল্লার বাসায় নিরাপত্তাহীনভাবে বসবাস করেন। 

ক. নগরায়ণ কী?

খ. শিল্পবিপ্লবের ফলে মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে ব্যাখ্যা করাে। 

গ. উদ্দীপকে শিল্পবিপ্লবের কোন নেতিবাচক দিকের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে? ব্যাখ্যা করাে।

ঘ. উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মের জ্ঞান কীভাবে প্রয়ােগ করা যায়? বিশ্লেষণ করাে।

৫নং প্রশ্নের উত্তর

ক। নগরায়ণ হলাে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কৃষিভিত্তিক পেশা বা জীবনব্যবস্থা হতে মানুষ অকৃষিভিত্তিক পেশা বা জীবন পদ্ধতিতে স্থানান্তরিত হয়।

খ। শিল্পবিপ্লবের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় মানুষের মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে।

শিল্পবিপ্লবের পরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়। বিশেষ করে সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতির স্থান দখল করে নেয় আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। বিভিন্ন প্রাণঘাতী রােগের টীকা আবিস্কৃত হয় এবং অস্ত্রোপচার ও ঔষধশিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটে । এছাড়া স্বাস্থ্য সম্বন্ধে মানুষের সচেতনতাও বৃদ্ধি পায়। এসব কারণে শিল্প-বিপ্লবােত্তর সময়ে মানুষের মৃত্যুহার হ্রাস পায়।

গ। উদ্দীপকে সামাজিক ক্ষেত্রে শিল্পবিপ্লবের নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।

শিল্পবিপ্লবের ফলে সমাজজীবনে যে প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তার সাথে নানা অবাঞ্ছিত ও অস্বস্তিকর অবস্থারও সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যৌথ পরিবারগুলাে ভেঙে গিয়ে সামাজিক দূরত্বের সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি সমাজজীবনে নানা সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

উদ্দীপকে একটি যৌথ পরিবারের ভাঙনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। করিম সাহেব বাবা-মা, ভাই-বােন নিয়ে কুমিল্লায় বসবাস করতেন। কিন্তু বর্তমানে চাকরির কারণে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুড়িগ্রামে বাস করছেন। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে তার বাবা-মা কুমিল্লার বাসায় নিরাপত্তাহীনভাবে বসবাস করছেন। এ ধরনের ঘটনা বর্তমানে সারাবিশ্বেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পবিপ্লব পরবর্তী সময় থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত এ ধরনের পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে। কর্মসংস্থান ও উন্নত জীবনের আকর্ষণে মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহর ও শিল্পাঞ্চলে গমন করছে। এর ফলে যৌথ পরিবারগুলাে ভেঙে একক পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আত্মিক সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। ফলে যৌথ পরিবারের বৃদ্ধ, অক্ষম, বিধবা ও এতিমদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এবং তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। উদ্দীপকের ঘটনাটি শিল্প বিপ্লবের এই নেতিবাচক প্রভাবকেই নির্দেশ করছে।

ঘ। উদ্দীপকের সমস্যা সমাধানে পেশাগত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সমাজকর্মের জ্ঞান প্রয়ােগ করা যায়।

শিল্পবিপ্লবের ফলে সৃষ্ট নানা ধরনের জটিল সামাজিক সমস্যা মােকাবিলার প্রয়ােজনেই পেশাদার সমাজকর্মের উদ্ভব হয়। পেশাদার সমাজকর্মীরা সমাজকর্মের জ্ঞান ও পদ্ধতিসমূহ কাজে লাগিয়ে নানা সমস্যা সমাধান করেন। উদ্দীপকে নির্দেশিত শিল্পবিপ্লবের নেতিবাচক সামাজিক প্রভাব থেকে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানেও তাই সমাজকর্মের বিকল্প নেই। 

উদ্দীপকে করিমের বাবা-মা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছেন। এ ধরনের পরিস্থিতিতে প্রবীণকল্যাণ সমাজকর্ম নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে পেশাদার সমাজকর্ম বিশ্বাস করে যে, ব্যক্তি নিজের সমস্যা নিজেই সমাধানের মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে সমাজকর্ম পেশায় নিয়ােজিত সমাজকর্মীগণ প্রয়ােজনীয় সহায়তা প্রদান করবে। শিল্পবিপ্লব পরবর্তী সময়ে প্রযুক্তির বিকাশ এবং নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে পরিবার কাঠামাের পরিবর্তন, পারিবারিক দূরত্ব বৃদ্ধি, পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের নিরাপত্তাহীনতা ও সমস্যাগুলাে প্রকট হয়ে ওঠে। আর এ প্রেক্ষিতেই পেশাদার সমাজকর্মের উদ্ভব ও বিকাশ হয়েছে। তাই এ সকল সমস্যা সমাধানে সমাজকর্ম একটি কার্যকর ও ফলপ্রসূ পন্থা বলা যায়।

উপযুক্ত আলােচনা থেকে বলা যায়, পেশাদার সমাজকর্মের তত্ত্ব ও পদ্ধতির সমন্বয়ে উদ্দীপকে নির্দেশিত সমস্যা মােকাবিলা করা সম্ভব।

Leave a Comment