সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের জ্ঞানমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। COS কী?

উত্তরঃ COS হচ্ছে Charity Organization society বা দান সংগঠন সমিতি।

প্রশ্ন ২। CSWE কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ CSWE ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন ৩। কত সলে ইংল্যান্ডে দান সংগঠন সমিতি (COS) গড়ে উঠেছিল?

উত্তরঃ ১৮৬৯ সালে ইংল্যান্ডে দান সংগঠন সমিতি (COS) গড়ে উঠেছিল।

প্রশ্ন ৪। শিল্প বিপ্লবের শুরু কোন দশকে?

উত্তরঃ শিল্প বিপ্লবের শুরু অষ্টাদশ শতকে।

প্রশ্ন ৫। NASW এর পূর্ণরূপ কী?

উত্তরঃ NASW এর পূর্ণরূপ National Association of Social Workers.

প্রশ্ন ৬। কে “শিল্পবিপ্লব” প্রত্যয়টির নামকরণ করেন?

উত্তরঃ আরনল্ড জে টয়েনবি ‘শিল্প বিপ্লব’ প্রত্যয়টির নামকরণ করেন।

প্রশ্ন ৭। দরিদ্র আইন কী?

উত্তরঃ  দরিদ্রদের মাল এবং কল্যাণার্থে প্রণীত আইনই দরিদ্র আইন।

প্রশ্ন ৮। প্যারিশ কী?

উত্তরঃ যুক্তরাজ্যের প্রশাসনিক বিভাগের অন্তর্গত স্থানীয় প্রশাসনভিত্তিক কাউন্টি অঞ্চল হলাে প্যারিশ।

প্রশ্ন ৯। ইংল্যান্ডে কত সালে দান সংগঠন সমিতি গঠিত হয়?

উত্তরঃ ১৮৬৯ সালে ইংল্যান্ডে দান সংগঠন সমিতি গঠিত হয়।

প্রশ্ন ১০। “Social Diagnosis” গ্রন্থটির লেখক কে?

উত্তরঃ “Social Diagnosis” গ্রন্থটির লেখক ম্যারি রিচমন্ড ।

প্রশ্ন ১১। ১৯০৫ সালে দরিদ্র আইন কমিশনের প্রধান কে ছিলেন?

উত্তরঃ ১৯০৫ সালে লর্ড জর্জ হ্যামিল্টন দরিদ্র আইন কমিশনের প্রধান ছিলেন।

সমাজকর্ম পেশার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট অধ্যায়ের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন

প্রশ্ন ১। COS -এর ২টি নীতিমালা লেখ। 

উত্তরঃ বিচ্ছিন্ন ও অসংগঠিত সমাজকল্যান বা সেবামূলক কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে COS গঠিত হয়।

COS এর দুইটি নীতিমালা হলােঃ

১.স্থানীয় দান সংগঠনগুলাের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বাের্ড গঠন করে এগুলাের মধ্যে সহযােগিতা স্থাপন করা।

২.কেন্দ্রীয়ভাবে দরিদ্রদের গােপন তালিকা প্রস্তুত করা।

প্রশ্ন ২। শিল্প বিপ্লব বলতে কী বােঝায়?

উত্তরঃ যেসব প্রচেষ্টা ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে শিল্প যুগের সূচনা হয় তাদের সমষ্টিই হলাে শিল্পবিপ্লব।

শিল্পবিপ্লব শব্দটি ‘শিল্প’ ও ‘বিপ্লব’ এ দুটি শব্দের সমন্বিত রূপ। যার সমন্বিত অর্থ শিল্প সংক্রান্ত বিপ্লব। এর সূচনা হয় ইংল্যান্ডে এবং পরে তা অতি দ্রুত পুরাে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এক কথায় বলা যায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ড ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের উৎপাদন ব্যবস্থায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে, তার প্রভাবে একটি নতুন যুগের সূচনা হয় ঐতিহাসিকগণ একে ‘শিল্পবিপ্লব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রশ্ন ৩। দরিদ্র আইন বলতে কি বােঝ?

উত্তরঃ মূলত দারিদ্র্য দূরীকরণ ও ভিক্ষাবৃত্তি মােকাবিলায় চতুর্দশ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও আমেরিকাতে সরকার কর্তৃক যে সব আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয় সেগুলােকেই দরিদ্র আইন বলা হয়।

দরিদ্র আইন একটি সামগ্রিক ও সাধারণ পরিভাষা। দরিদ্র আইনের ভিত্তিভূমি হিসেবে ইংল্যান্ডকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। দরিদ্র আইনগুলাের মধ্যে রাজা অষ্টম হেনরি প্রণীত দরিদ্র আইন-১৩৪৯, এলিজাবেথীয় দরিদ্র আইন-১৬০১, শ্রমিক আইন, দরিদ্র আইন সংস্কার ১৮৩৪ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।

প্রশ্ন ৪। ১৬০১ সালে দরিদ্র আইনের দুইটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তরঃ দারিদ্র্য দূরীকরণ ও দরিদ্রদের সঠিক পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৬০১ সালের দরিদ্র আইনটি প্রণীত হয়।

১৬০১ সালের দরিদ্র আইনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলাে সেই সব দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না, তাদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন তাদেও দায়িত্ব নিতে বাধ্য। এ আইনে দরিদ্রদের সক্ষম দরিদ্র, অক্ষম দরিদ্র ও নির্ভরশীল শিশু এ তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়।

প্রশ্ন ৫। পঞ্চদৈত্য বলতে কী বােঝায়?

উত্তরঃ পঞ্চদৈত্য বলতে ১৯৪২ সালে পেশকৃত বিভারিজ রিপাের্টে উল্লিখিত পাঁচটি সমস্যা- অভাব, রােগ, অজ্ঞতা, মলিনতা ও অলসতাকে বােঝায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধজনিত আর্থ-সামাজিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা মােকাবিলার লক্ষ্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ স্যার উইলিয়াম বিভারিজ একটি সামাজিক নিরাপত্তা রিপাের্ট পেশ করেন। এই রিপাের্টে তিনি উপযুক্ত পাঁচটি সমস্যা চিহ্নিত করেন। তার মতে, তৎকালীন দারিদ্রপীড়িত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে এই পাচটি সমস্যা অক্টোপাসের মতাে আঁকড়ে রেখেছিল। এই সমস্যাগুলােই পঞ্চদৈত্য নামে পরিচিতি পায়।

প্রশ্ন ৬। ১৬০১ সালে দরিদ্র আইনে সক্ষম দরিদ্র বলতে কাদেরকে বােঝানাে হয়েছে?

উত্তরঃ ১৬০১ সালের দরিদ্র আইন অনুযায়ী শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম লােকদের সক্ষম দরিদ্র বলা হয় ।

ইংল্যান্ডের সক্ষম দরিদ্রদের ভিক্ষাবৃত্তি সর্বতােভাবে নিষিদ্ধ করা হয় এবং জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। সক্ষম দরিদ্রদের সংশােধনের জন্য সংশােধনাগারে কিংবা কাজ করানাের জন্য শ্রমাগারে পাঠানাের ব্যবস্থা করা হতাে। যারা তা মানতে রাজি হতাে না তাদের কারাগারে পাঠানাে হতাে।

প্রশ্ন ৭। শিল্পবিপ্লবের ধারণা দাও।

উত্তরঃ যেসব প্রচেষ্টা ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে শিল্প যুগের সূচনা হয় তাদের সমষ্টিই হলাে শিল্পবিপ্লব।

শিল্পবিপ্লব শব্দটি “শিল্প’ ও ‘বিপ্লব’ এ দুটি শব্দের সমন্বিত রূপ। যার সমন্বিত অর্থ শিল্প সংক্রান্ত বিপ্লব। এর সূচনা হয় ইংল্যান্ডে এবং পরে তা অতি দ্রুত পুরাে বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এক কথায় বলা যায়, অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ড ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের উৎপাদন ব্যবস্থায় যে যুগান্তকারী পরিবর্তন 

 আসে, তার প্রভাবে একটি নতুন যুগের সূচনা হয় ঐতিহাসিকগণ একে ‘শিল্পবিপ্লব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

প্রশ্ন ৮। শিল্প দুর্ঘটনা বলতে কী বােঝায়?

উত্তরঃ শিল্পকারখানায় কর্মরত অবস্থায় যে সব দুর্ঘটনা ঘটে সেগুলােই শিল্প দুর্ঘটনা।

শিল্পকারখানায় যান্ত্রিক উৎপাদন পদ্ধতিতে শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়ােজিত হতে হয়। এতে পেশাগত দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। পেশাগত দুর্ঘটনার কারণে অনেক সময় শ্রমিক শ্রেণির অকাল মৃত্যু, বিকলাঙ্গতা ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। শিল্প-কারখানায় ঘটে যাওয়া এ সব পেশাগত দুর্ঘটনাই শিল্প দুর্ঘটনার অন্তর্ভুক্ত।

প্রশ্ন ৯। NASW গঠন করা হয়েছিল কেন?

উত্তরঃ সমাজকর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সমাজকর্ম পেশার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৫৫ সালে NASW (National Association of Social Workers) গড়ে তােলা হয় ।

সমাজকর্ম পেশায় দক্ষ কর্মী নিয়ােগ, সামাজিক অবস্থা এবং পেশা সম্পর্কে ধারণা প্রদান ছাড়াও সমাজকর্ম ও প্রশাসন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রভৃতি দিকের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে NASW সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন ১০। যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়ােগ বলতে কী বুঝায়? বুঝিয়ে বল ।

উত্তরঃ যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়ােগ বলতে উৎপাদন ব্যবস্থায় যন্ত্রের ব্যবহারকে বােঝায়।

অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ইংল্যান্ডে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য দেশে কৃষিভিত্তিক হস্তনির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থায় যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। একেই যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়ােগ বলা হয়। যান্ত্রিক পদ্ধতির প্রয়ােগের ফলে সমাজের সর্বক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।

প্রশ্ন ১১। বিভারিজ রিপাের্টের পঞ্চদৈত্যগুলো লিখ।

উত্তরঃ পঞ্চদৈত্য বলতে ১৯৪২ সালে পেশকৃত বিভারিজ রিপাের্টে উল্লিখিত পাঁচটি সমস্যা- অভাব, রােগ, অজ্ঞতা, মলিনতা ও অলসতাকে বােঝায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধজনিত আর্থ-সামাজিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা মােকাবিলার লক্ষ্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ স্যার উইলিয়াম বিভারিজ একটি সামাজিক নিরাপত্তা রিপাের্ট পেশ করেন। এই রিপাের্টে তিনি উপযুক্ত পাঁচটি সমস্যা চিহ্নিত করেন। তার মতে, তৎকালীন দারিদ্র্যপীড়িত ইংল্যান্ডের সমাজজীবনকে এই পাঁচটি সমস্যা অক্টোপাসের মতাে আঁকড়ে রেখেছিল। এই সমস্যাগুলােই পদৈত্য নামে পরিচিতি পায়।

Leave a Comment