আশা কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

১। রিকশাচালক আরেফ আলী প্রতিদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যে টাকা আয় করে তা দিয়েই তার সংসার চলে। তার কোনাে বাড়তি চাহিদা নেই, সুখের কোনাে অন্ত নেই। প্রতি রাতেই সে নিশ্চিন্তে মনের সুখে ঘুমিয়ে যায়।

ক. কবি সিকান্দার আবু জাফর পেশায় কী ছিলেন?

খ. বিত্ত-সুখের ভাবনাহীন মানুষেরা সংশয়হীন কেন?

গ. উদ্দীপকের আরেফ আলীর জীবনের কোন দিকটির সাথে ‘আশা’ কবিতার কবির চাওয়ার সাদৃশ্য রয়েছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের আরেফ আলীর জীবনে ‘আশা’ কবিতার কবির প্রত্যাশার সামগ্রিক দিক প্রতিফলিত হয়নি।”- মন্তব্যটি যথার্থ কিনা? আলােচনা কর। 

২। সবার সুখে হাসব আমি কাঁদব সবার দুখে

নিজের খাবার বিলিয়ে দেব অনাহারীর মুখে

আমার বাড়ি বাজবে বাঁশি সবার বাড়ির সুর

আমার বাড়ি সবার বাড়ি রইবে নাকো দূর।

ক. মুক্তিযুদ্ধের সময় সিকান্দার আবু জাফরের লেখা গানটি কী ছিল?

খ. “যেথায় লােকে তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে ভাই”- বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকটি কবিতার কোন চেতনার সাথে সাদৃশ্য তৈরি করেছে তা ব্যাখ্যা কর।

ঘ. “সাম্যবাদী সমাজই মানবতার পীঠস্থান” উক্তিটির সাথে তুমি কতটুকু একমত? ‘আশা’ কবিতার আলােকে বিশ্লেষণ কর।

৩। বাখরাবাজ রাজশাহীর একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। এ গ্রামের মানুষরা খুব নিরীহ। তারা সারাদিন মাঠে-খেতে পরিশ্রম করে। খেয়ে না খেয়ে তাদের দিন কাটে। কিন্তু তারা খুব বন্ধুভাবাপন্ন। একজনের বিপদে সবাই এগিয়ে আমে। সম্মিলিতভাবে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে।

ক. কার আধার ঘরে আলাে জ্বালতে পারার কথা বলা হয়েছে?

খ. তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকা’ বলতে কী বােঝ?

গ. উদ্দীপকের গ্রামটির সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. কবি যে জগতের কথা বলেছেন ‘আশা’ কবিতায়, উদ্দীপকটি তার প্রতিবিম্ব– মন্তব্যটি বিচার কর।

৪। রইচ একজন রিচালক। সে সারাদিনে অনেক পরিশ্রম করে । দিন শেষে তার হাতে চারশ বা পাঁচশ টাকা থাকে। তাই নিয়ে সন্তুষ্ট হয়। বাজার করে মনের আনন্দে বাড়ি ফিরে যায়। রাতে শান্তিতে ঘুমায়। তার কোনাে হতাশা বা ক্লান্তি নেই।

ক. কবি কী চান?

খ. সােনা-রুপায় পাহাড় জমানাে বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের রইচের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার কাদের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘আশা’ কবিতার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশে সক্ষম নয়- মন্তব্যটি আলােচনা কর।

৫। মমিন সবুজ অরণ্য আর সাধারণ গ্রাম ভালােবাসে। শহরের কোলাহল সে সহ্য করতে পারে না। তার বারবার ইচ্ছা হয় সে শহর ছেড়ে নির্জন সুন্দর গ্রামে চলে যাবে। যেখানে মানুষের লােভ নেই। সেখানে মানুষ সম্পদের পেছনে দৌড়ায় না।

ক. আলাে কোথায় জ্বালার কথা বলা হয়েছে?

খ. আমি হারিয়ে যেতে চাই’- বুঝিয়ে লেখ। 

গ. উদ্দীপকের মমিনের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার কার সাদৃশ্য দেখা যায়? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের মমিনের চেতনা ‘আশা’ কবিতার কবির চেতনার দর্পণ মন্তব্যটি আলােচনা কর।

৬। কাজলের মাঝে মানবতাবােধ অনেক বেশি। সমাজের ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে সে চিন্তা করে। তাদের পড়াশুনার জন্য কাজল একটি পাঠশালা প্রতিষ্ঠা করে। দিন-রাত পরিশ্রম করে সে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষিত করতে চায়। কাজলের গর্ব সে মানবতার জন্য কাজ করছে।

ক. ‘আশা’ কবিতাটি কার লেখা?

খ. তবু যাদের মনের কোণে/নেই দুরাশা গ্লানি, চরণটি দ্বারা কবি কী বােঝাতে চেয়েছেন?

গ. উদ্দীপকের কাজলের মাঝে ‘আশা’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে? চিহ্নিত কর।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত কাজলের কর্মকাণ্ড ‘আশা’ কবিতার ভাবার্থের সমধর্মী হলেও পুরােপুরি এক নয়”- ‘আশা’ কবিতার আলােকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৭। গহিন অরণ্যের মাঝে থাকে এক কাঠুরিয়া। সে নিজেকে অনেক সুখী মনে করে। কারণ সে সম্পদের পাহাড় গড়তে চায় না। প্রতিদিন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার মাঝেই কাঠুরিয়ার আনন্দ। সারাদিনের পরিশ্রমের পর সে গান গেয়ে ঘুমাতে যায়। তার মনে কোনাে দুঃখ নেই।

ক. কোন ঘরে নির্ভাবনায় মানুষ ঘুমিয়ে থাকে?

খ. কারা তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের কাঠুরিয়া ‘আশা’ কবিতার কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? নির্ণয় কর।

ঘ. উদ্দীপকের বক্তব্য ‘আশা’ কবিতার যে বিশেষ দিকটিতে আলােকপাত করেছে তা ব্যাখ্যা কর।

৮। নওয়াপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে হঠাৎ দাউ দাউ করে আগুন লেগে যায়। এমন পরিস্থিতি মােকাবিলায় এগিয়ে আসে সেই বাড়ির প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বেঁচে যায়। অনেক জীবন। প্রতিবেশীদের এই কর্মকাণ্ডে দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা পর্যন্ত অভিভূত হন।

ক. বিত্ত-সুখের ভাবনায় কী কমে যায়?

খ. নেই দীনতা, নেই কোনাে সংশয়- চরণ দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের বিষয়টিতে আশা’ কবিতার কোন দিকটির প্রতিফলন ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপক ও ‘আশা’ কবিতা উভয়েরই মূল সুর এক ও অভিন্ন মূল্যায়ন কর।

৯। ইফতেহাম মানুষকে ঠকিয়ে, ঘুষ খেয়ে অনেক সম্পদের পাহাড় গড়ে তােলে। টাকা-পয়সা, আসবাবপত্র কোনােকিছুরই অভাব নেই তার। কিন্তু কোনােভাবেই নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যেতে পারেন না। অতিরিক্ত সম্পদের দুশ্চিন্তা তাকে জাগিয়ে রাখে রাতের পর রাত।

ক. ‘আশা’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত?

খ. কবি সেই জগতে হারিয়ে যেতে চেয়েছেন কেন? বুঝিয়ে লেখ ।

গ. ইমতেহাম চরিত্রটি ‘আশা’ কবিতায় কোন ক্ষেত্রটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? নির্ণয় কর।

ঘ. “উদ্দীপকের ভাবার্থ কোনােভাবেই ‘আশা’ কবিতার মূল সুর ধারণ করে না।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

১০। ভ্যানচালক আনােয়ার সারা দিন হাড়-ভাঙা পরিশ্রম করেও তিন বেলা খাবার জোটাতে পারে না। তার নেই কোনাে সঞ্জয়। তারপরও মনের কোণে কোনাে দুরাশা ভর করে না। সে নিজেকে গরিবও ভাবে না, বলে সে সুখী মানুষ। আনােয়ার চিন্তা করে টাকা-পয়সা কম পাই তাে কী হয়েছে, মানুষের সেবা তাে করছি।

ক. সিকান্দার আবু জাফর কর্মজীবনে কী ছিলেন?

খ. জীর্ণ বেড়ার ঘরে মানুষ নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকে কেন? ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার সাদৃশ্য নির্ণয় কর।

ঘ. উদ্দীপক এবং ‘আশা’ কবিতা উভয়েরই মূল সুর এক ও অভিন্ন মূল্যায়ন কর।

১১। মারিয়া বড়লােকের মেয়ে। সে বাবার টাকার অহংকার করে। গরিব-দুঃখী মানুষকে সে পছন্দ করে না। বাবা একদিন তাকে বুঝিয়ে বলেন, “দেখাে, গরিব-দুঃখীদের জীবন কতটা কষ্টে ভরা! তারা কতটা পরিশ্রম করে জীবিকা অর্জন করে! তারপরও তাদের কোনাে দুঃখবােধ নেই।’ বাবার কাছে এসব কথা শােনার পর থেকে মারিয়া গরিব-দুঃখী মানুষদের জীবন নিয়ে ভাবে।

ক. কোথায় মানুষ সােনা-রুপার পাহাড় জমায় না?

খ. ‘তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে’ বলতে কাদেরকে বােঝানাে হয়েছে?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আশা’ কবিতার বৈসাদৃশ্য দেখাও।

ঘ. উদ্দীপকটি কবিতার মূলভাবকে আংশিক প্রতিনিধিত্ব করে– বিশ্লেষণ কর।

Leave a Comment