আশা কবিতার জ্ঞানমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। কবি সিকান্দার আবু জাফর পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : কবি সিকান্দার আবু জাফর পেশায় সাংবাদিক ছিলেন।
প্রশ্ন ২। মুক্তিযুদ্ধের সময় সিকান্দার আবু জাফরের লেখা গানটি কী ছিল?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় সিকান্দার আবু জাফরের লেখা গানটি ছিল আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে।
প্রশ্ন ৩। সিকান্দার আবু জাফর কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ৪। সিকান্দার আবু জাফর খুলনার কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর খুলনার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ৫। সিকান্দার আবু জাফরের পিতার নাম কী?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফরের পিতার নাম সৈয়দ মঈনুদ্দীন হাশেমী।
প্রশ্ন ৬। সিকান্দার আবু জাফরের পিতা পেশায় কী ছিলেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফরের পিতা পেশায় কৃষিজীবী।
প্রশ্ন ৭। সিকান্দার আবু জাফর কোথা থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর তালা বি. দে. ইন্সটিটিউশন থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।
প্রশ্ন ৮। সিকান্দার আবু জাফর কোথা থেকে আই.এ. পাস করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আই.এ. পাস করেন।
প্রশ্ন ৯। সিকান্দার আবু জাফর কখন স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস শুরু করেন ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে।
প্রশ্ন ১০। সিকান্দার আবু জাফর কোন আন্দোলন বেগবান করার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন?
উত্তর : স্কিান্দার আবু জাফর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা আন্দোলনে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
প্রশ্ন ১১। সিকান্দার আবু জাফর কোন আন্দোলনে একনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক কর্মীর ভূমিকা পালন করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর স্বাধীনতা আন্দোলনে একনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক কর্মীর ভূমিকা পালন করেন।
প্রশ্ন ১২। আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে’ গানটি কার লেখা?
উত্তর : আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে’ গানটি সিকান্দার আবু জাফরের লেখা।
প্রশ্ন ১৩। ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে’ গানটি কোন সময়ে লেখা?
উত্তর : আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে’ গানটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লেখা ।
প্রশ্ন ১৪। আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে’ গানটি কোন জাতিকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল?
উত্তর : আমাদের সগ্রাম চলবেই চলবে’ গানটি বাঙালি জাতিকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
প্রশ্ন ১৫। সিকান্দার আবু জাফরের গান ও কবিতা কোন প্রেরণায় সমৃদ্ধ?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফারের গান ও কবিতা মেহনতি মানুষের মুক্তির প্রেরণায় সমৃদ্ধ।
প্রশ্ন ১৬। প্রসন্ন প্রহর’ কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : প্রসন্ন প্রহর’ কাব্যগ্রন্থটি সিকান্দার আবু জাফরের লেখা।
প্রশ্ন ১৭। তিমিরান্তিক’ সিকান্দার আবু জাফর রচিত কী ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর : তিমিরান্তিক’ সিকান্দার আবু জাফর রচিত কাব্যগ্রন্থ।
প্রশ্ন ১৮। মালব কৌশিক কাব্যগ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তর : মালব কৌশিক’ কাব্যগ্রন্থটি সিকান্দার আবু জাফরের লেখা।
প্রশ্ন ১৯। সিকান্দার আবু জাফর কত তারিখে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর : সিকান্দার আবু জাফর ৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
প্রশ্ন ২০। মানুষ কখন নির্ভাবনায় ঘুমায়?
উত্তর : মানুষ ‘গভীর-নিশুত রাতে নির্ভাবনায় ঘুমায়।
প্রশ্ন ২১। লােকে সােনা-রুপার কী জমায় না?
উত্তর : লােকে সােনা-রুপার পাহাড় জমায় না।
প্রশ্ন ২২। সারাদিনের পরিশ্রমেও এক দিনের কী খুঁজে পায় না?
উত্তর : সারাদিনের পরিশ্রমেও এক দিনের আহার্য খুজে পায় না।
প্রশ্ন ২৩। সেই জগতের কান্না-হাসির অন্তরালে কবি কী করতে চান?
উত্তর : সেই জগতের কান্না-হাসি অন্তরালে কবি হারিয়ে যেতে চান।
প্রশ্ন ২৪। প্রতিবেশীর আঁধার ঘরে কী জ্বালানাের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : প্রতিবেশীর আঁধার ঘরে আলাে জ্বালানাের কথা বলা হয়েছে ।
প্রশ্ন ২৫। সুখের জগতে মানুষ তুচ্ছ নিয়ে কেমন থাকে?
উত্তর : সুখের জগতে মানুষ তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে ।
প্রশ্ন ২৬। কিসের চিন্তায় মানুষের রাতে ঘুম হয় না?
উত্তর : সুখের চিন্তায় মানুষের রাতে ঘুম হয় না।
প্রশ্ন ২৭। কোন ধরনের মানুষের ঘুমের সমস্যা হয় না?
উত্তর : সুখী মানুষের ঘুমের সমস্যা হয় না।
প্রশ্ন ২৮। সমাজের বেশিরভাগ মানুষ কিসের লােভে দিনাতিপাত করে?
উত্তর : সমাজের বেশিরভাগ মানুষ টাকা-পয়সা ও সম্পদের লােভে দিনাতিপাত করে।
প্রশ্ন ২৯। অন্যের উপকার ও মঙ্গলের জন্য কিছু মানুষ নিজেদের জীবন কী করে?
উত্তর : অন্যের উপকার ও মঙ্গলের জন্য কিছু মানুষ নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে।
প্রশ্ন ৩০। মানুষকে ভালােবাসতে পারার মাঝে জীবনের কী নিহিত থাকে?
উত্তর : মানুষকে ভালােবাসতে পারার মাঝে জীবনের মহত্ত্ব নিহিত থাকে।
প্রশ্ন ৩১। যেখানে প্রতিবেশীর দুঃখ-কষ্ট দূর করে আলাে জ্বালানাে যায় কবি সেখানে কী করতে চান?
উত্তর : যেখানে প্রতিবেশীর দুঃখ-কষ্ট দূর করে আলাে জ্বালানাে যায় কবি সেখানেই থাকতে চান।
প্রশ্ন ৩২। জাগতিক এই পৃথিবী ক্রমশ কী হয়ে উঠছে?
উত্তর : জাগতিক এই পৃথিবী ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।
প্রশ্ন ৩৩। মানুষ স্বভাবের দিক থেকে ক্রমশ কেমন হয়ে পড়ছে?
উত্তর : মানুষ স্বভাবের দিক থেকে ক্রমশ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে।
আশা কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন ১। বিত্ত-সুখের ভাবনাহীন মানুষেরা সংশয়হীন কেন?
উত্তর : বিত্ত-সুখের ভাবনাহীন মানুষেরা দুরাশার গ্লানিতে ভােগে না বলেই তারা সংশয়হীন।
অর্থ-বিত্তের সুখ প্রকৃত সুখ নয়। প্রকৃত সুখের জন্য জীবনকে দুর্ভাবনামুক্ত করতে হয়। এজন্য প্রয়ােজন অল্পে তুষ্ট থাকা এবং জীবনে বিত্তসুখের ভাবনায় সােনা-রুপার পাহাড় গড়ার মানসিকতা পরিহার করা। মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে অন্যের সঙ্গে ব্যবধান তৈরি করে। এতে মানুষের প্রকৃত সুখ নষ্ট হয়, সংশয় সন্দেহ তৈরি হয়। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ এসব বিষয় থেকে দূরে থাকে। তারা পরস্পরকে ভালােবাসে। এ কারণেই তাদের জীবন ক্লিষ্ট নয়। দরিদ্র হলেও তারা বিত্তের পেছনে ছােটে না।
প্রশ্ন ২। যেথায় লােকে তুচ্ছ নিয়ে তুষ্ট থাকে ভাই”- বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর : অতিরিক্ত আশা না করে তুচ্ছতার মাঝেই তুষ্ট হওয়া সুখের বিষয়। প্রশ্নোক্ত লাইনটি দ্বারা কবি এ কথাই বােঝাতে চেয়েছেন।
আমাদের সমাজের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হলেও তারাই প্রকৃত সুখী মানুষ। সামাজিক মর্যাদা না পেলেও জীবনের ক্ষুদ্র আশা ও তুচ্ছ প্রাপ্তিতে তারা তুষ্ট থাকে। বিত্ত-বৈভব অর্জন এবং অর্থ-সুখের দুর্ভাবনায় তাদের আয়ু কমায় না। অতিরিক্ত আশা করে তারা অর্থ-বিত্তের শিকলে বাঁধা পড়তে চায় না। প্রশ্নোক্ত লাইনটির মধ্য দিয়ে কবি এমন সুখের সন্ধানের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
প্রশ্ন ৩। বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনায়, আয়ু কমায় না’- আয়ু না কমার কারণটি ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : যাদের মাঝে বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনা নেই তাদের মনে অশান্তি নেই।
বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনা মানুষের অশান্তির মূল কারণ। অতিরিক্ত বিত্ত বৈভবের প্রত্যাশায় মানুষ অন্যায় পথে পা বাড়ায় এবং জীবনে অশান্তি ডেকে আনে। তাদের জীবনের আয়ু কমে যায়। কবি এমন এক জগতের সন্ধান করতে চেয়েছেন যেখানে মানুষের বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনা থাকে না। ফলে তাদের জীবনের আয়ুও কমে না ।
প্রশ্ন ৪। সারাদিনের পরিশ্রমেও কারা সুখে থাকে এবং কেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তর : বাস্তব জীবনে যাদের অর্থ-বিত্তের প্রত্যাশা কম এবং কম আশা নিয়ে বেঁচে থাকে, তারা সারাদিনের পরিশ্রমে সামান্য আহার পেয়েও তৃপ্ত থাকে।
শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে। এতটা পরিশ্রমের পর প্রাপ্তি তাদের অনেক কম। সারাদিনের পরিশ্রমের পরও তারা সুখে থাকে। উপভােগ করে জীবনের আনন্দময় সময়। তারা অল্পে তুষ্ট থাকে এবং পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল।
প্রশ্ন ৫। কবি তুচ্ছতার মাঝেই তুষ্ট থাকার কথা ব্যক্ত করেছেন কেন?
উত্তর : অতিরিক্ত আশা না করে সামান্য নিয়েই তুষ্ট হওয়া সুখের বিষয়। তাই কবি এ তুচ্ছতার মাঝে তুষ্ট থাকার কথা বলেছেন।
সমাজে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়। তাদের সামাজিক মর্যাদা দেওয়া হয় না। অথচ তারাই প্রকৃত সুখী মানুষ। জীবনের ক্ষুদ্র আশা ও তুচ্ছ প্রাপ্তি তাদের তুষ্ট রাখে। এই পৃথিবীতে তারা বিত্ত-বৈভবের লােভ মুক্ত হয়ে নিজেদের সুখী করে তােলে।
প্রশ্ন ৬। দিনের আহার্য-সঞ্জয় না থেকেও যাদের মনের কোণে গ্লানি দুরাশা নেই, কবি তাদের জয়গান গেয়েছেন কেন?
উত্তর : দিনের আহার্য-সঞয় না থেকেও যাদের মনের কোণে গ্লানি দুরাশা নেই, কবি তাদের জয়গান গেয়েছেন। কারণ তারা সুখী মানুষ।
অল্পে তুষ্ট থাকা, সামান্য প্রত্যাশীদের কবি জয়গান গেয়েছেন। যারা সারাদিন পরিশ্রম করে তাদের একটি দিনের পূর্ণ আহারও অনেক সময় জোটে না। তাদের থাকে না কোনাে সঞ্চয়। এত কষ্টের পরও তাদের মনে কোনাে গ্লানি থাকে না। জীবনে যতটুকু তারা পায় তাই নিয়েই সুখী। এসব মানুষের কারণেই পৃথিবী। সুখময় হয়ে ওঠে। কবি এ কারণেই তাদের জয়গান গেয়েছেন।