আমাদের লােকশিল্প প্রবন্ধের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-০১। আমাদের লােকশিল্প’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে গৃহীত ?
উত্তরঃ ‘আমাদের লােকশিল্প প্রবন্ধটি ‘আমাদের লােককৃষ্টি প্রবন্ধ থেকে গৃহীত হয়েছে।
প্রশ্ন-০২। ঢাকার মসলিন এক সময় কাদের বিলাসের বস্তু ছিল ?
উত্তরঃ ঢাকার মসলিন এক সময় মােগল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল ।
প্রশ্ন-০৩। জামদানি কারিগরদের বসবাস কোন গ্রামে ?
উত্তরঃ জামদানি কারিগরদের বসবাস নারায়নগঞ্জ জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে।
প্রশ্ন-০৪। কামরুল হাসান কোথায় অধ্যাপনা করেছিলেন ?
উত্তরঃ কামরুল হাসান ঢাকা আর্ট ইনস্টিটিউটে অধ্যাপনা করেছিলেন ।
প্রশ্ন-০৫। নকশিকাথা সেলাইয়ের উপযুক্ত ঋতু কোনটি ?
উত্তরঃ নকশিকাথা সেলাইয়ের উপযুক্ত ঋতু বর্ষা।
প্রশ্ন-০৬। কোন জেলার কাঠের নৌকা বিখ্যাত ?
উত্তরঃ বরিশাল জেলার কাঠের নৌকা বিখ্যাত।
প্রশ্ন-০৭। খাদি কাপড়ের বিশেষত্ব কী ?
উত্তরঃ খাদি কাপড়ের বিশেষত্ব হলাে এর সবটাই হাতে তৈরি।
প্রশ্ন-০৮। ঢাকার কোন জিনিসটি মােগল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল ?
উত্তরঃ ঢাকার মসলিন মােগল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল।
প্রশ্ন-০৯। ঢাকার নবাব পরিবার কী দিয়ে শীতলপাটি তৈরি করিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ ঢাকায় নবাব পরিবার হাতির দাঁত দিয়ে শীতলপাটি তৈরি করিয়েছিলেন।
প্রশ্ন-১০। আমাদের দেশের মেয়েদের একটি সহজাত শিল্পগুণ কী তৈরি করা ?
উত্তরঃ আমাদের দেশের মেয়েদের একটি সহজাত শিল্পগুণ হলাে কাপড়ের পুতুল তৈরি করা।
প্রশ্ন-১১। কামরুল হাসান কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ কামরুল হাসান ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন-১২। কোন আন্দোলনের যুগে বিদেশি কাপড় বর্জন করে দেশি কাপড় ব্যবহারের আদর্শ প্রবর্তিত হয়েছিল?
উত্তরঃ স্বদেশি আন্দোলনের যুগে বিদেশি কাপড় বর্জন করে দেশি কাপড় ব্যবহারের আদর্শ প্রবর্তিত হয়েছিল ।
প্রশ্ন-১৩। মসলিনের কারিগররা ঢাকার কোন অঞ্চলে বাস করত?
উত্তরঃ মসলিনের কারিগররা ঢাকার ডেমরা অঞ্চলে বাস করত।
প্রশ্ন-১৪। মাদুর তৈরি করত কোন অঞ্চলের কারিগররা ?
উত্তরঃ মাদুর তৈরি করত খুলনা অঞ্চলের কারিগররা ।
প্রশ্ন-১৫। কাঠের কাজকে কী বলা হতাে ?
উত্তরঃ কাঠের কাজকে হাসিয়া বলা হতাে।
প্রশ্ন-১৬। নারায়নগঞ্জের কোথায় তাঁতশিল্প গড়ে উঠেছে ?
উত্তরঃ নারায়নগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে তঁতশিল্প গড়ে উঠেছে ।
আমাদের লােকশিল্প প্রবন্ধের অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-০১। বর্ষাকালে নকশিকাঁথা তৈরির উপযুক্ত সময় কেন?
উত্তরঃ বর্ষাকাল নকশিকাঁথা তৈরির উপযুক্ত সময়। কারণ এ সময় সারাদিন বৃষ্টি হয় বলে মেয়েরা এ কাজের জন্য অবসর পায়।
‘আমাদের লােকশিল্প’ প্রবন্ধে ঔেষশ বাংলাদেশের লােকশিল্প ও লােক ঐতিহ্য বর্ণনা করেছেন। এখানে এদেশের অন্যতম লােকশিল্প নকশিকাঁথার কথাও বলা হয়েছে। নকশিকাঁথা আমাদের একটি গ্রামীণ লােকশিল্প। সাধারণত গ্রামবাংলার মেয়েরা এ কাঁথা সেলাই করে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যখন সারাদিন বৃষ্টি থাকে, চারিদিকে পানি থৈ থৈ করে, ঘরে থেকে বাইরে বের হওয়া যায় না তখন দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে পাটি বিছিয়ে পানের বাটা নিয়ে বসে এ নকশিকাথা সেলাই করে।
প্রশ্ন-০২। বর্তমানে জামদানি শাড়ি দেশে বিদেশে শুধু পরিচিতই নয়, গর্বের বস্তু।” কথাটি বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ জামদানি শাড়ির বিশেষত্বের জন্য তা বর্তমানে শুধু দেশে বিদেশে পরিচিতই নয়, আমাদের গর্বের বস্তু।
একসময় ঢাকাই মসলিনের খ্যাতি ছিল দুনিয়াজোড়া। মসলিন আজ বিলুপ্ত হয়ে গেলেও জামদানি শাড়ি কিছুটা সেই স্থান দখল করে আছে। শাড়ির বুননকৌশল, কাপড়ের বিশেষত্বের কারণে ঢাকাই জামদানি বিখ্যাত । এই শাড়ির কারলে বিদেশেও বাংলাদেশের একটি সুনাম তৈরি হয়েছে, যা আমাদের গর্বের বস্তু। প্রশ্নোক্ত কথাটি দ্বারা জামদানি শাড়ির বিশেষত্বের দিকটি বােঝানাে হয়েছে।
প্রশ্ন-০৩। শুধু কারিগরি দক্ষতা নয়, এ ব্রনে কাপড় বােনার জন্য শিল্পমন থাকাও প্রয়ােজন।’-বুঝিয়ে লেখ ।
উত্তরঃ শিল্পীমন না থাকলে মসলিন শাড়ি সৌন্দর্যমন্ডিত হয়ে উঠবে না। তাই এ কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা শহরের অদূরে ডেমরা এলাকার তাঁতিরা মসলিন কাপড় তৈরি করতেন। এ কাপড় এত সুক্ষ্ম ছিল যে, ছােট্ট একটি আংটির ভেতর দিয়ে অনায়াসে কয়েকশ গজ কাপড় প্রবেশ করানাে সম্ভব ছিল। মসলিন কাপড়ের এই যে শিল্পগুন তার জন্য কারিগরি দক্ষতাই কেবল যথেষ্ট নয়। কারণ কারিগরি দক্ষতার সঙ্গে শিল্পীমনের সমন্বয় না ঘটলে মসলিন শাড়ির এই বিশেষত্ব সৃষ্টি করা সম্ভব নয়।
প্রশ্ন-০৪। কাঁথার নাম নকশিকাথা কেন ?
উত্তরঃ কাঁথার নাম নকশিকাথা। কারণ এ কাঁথায় প্রতিটি সুচের ফেঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক-একটি পরিবারের কাহিনী,তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনের সুখ-দুঃখের নানান রং।
শুধু কতগুলাে সূক্ষ্ম সেলাই আর রং-বেরঙের নকশার জন্যই নকশি কাঁথাকে নকশিকাঁথা বলা হয় না। এই কথার মধ্যে লুকিয়ে থাকে কাঁথা সেলাইকারীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার আখ্যান। কাথার-প্রতিটি সুচের ফেঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক-একটি পরিবারের কাহিনী, তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনগাথা। আর এ কারণেই এ কাঁথার নাম নকশিকাঁথা।
প্রশ্ন-০৫। কাসা-পিতলের তৈজসপত্র কীভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ গলিত কাসা ঠান্ডা করে সাধারণত কাঁসা ও পিতলের তৈজসপত্র তৈরি করা হয়।
প্রথমে মাটির উঁচ করে তার মধ্যে ঢেলে দেয় গলিত কাঁসা। ধীরে ধীরে এ গলিত ধাতু ঠান্ডা হয়ে আসে। তখন ওপর থেকে মাটির উঁচটি ভেঙে ফেললেই ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে বদনা, মাটি, গ্লাস, থালা ইত্যাদি। তারপর এগুলাে পালিশ করা হয়। এ ধরনের বাসনে নানা রকম ফুল পাতার নকশা বা ফরমাশকারীর নাম খােদাই করা থাকে। আর এ ভাবেই তৈরি হয় কাসা-পিতলের তৈজসপত্র।
প্রশ্ন-০৬। মসলিন এক সময়ের অনন্য ও অমূল্য সৃষ্টি ছিল কেন ? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ মসলিন এক সময়ের অনন্য ও অমূল্য সৃষ্টি ছিল। কারণ-এ কাপড়টি অতি সূক্ষ্ম সুতা দিয়ে বােনা হতাে।
দুনিয়াজুড়ে ঢাকাই মসলিনের কদর ছিল। ঢাকা শহরের অদূরে ডেমরা এলাকার তাঁতিরা এই মসলিন তৈরি করত। ঢাকাই মসলিন তৎকালীন মােগল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল। এ কাপড় অত্যন্ত মিহি সুতায় উন্নত কারিগরি দক্ষতায় নিপুণ হাতে তৈরি করা হতাে। এ কাপড় এত সূক্ষ্ম ছিল যে, ছােট একটি আংটির ভিতর দিয়ে অনায়াসে কয়েকশ গজ কাপড় প্রবেশ করানাে সম্ভব ছিল। কারিগরি দক্ষতার সাথে শিল্পীমনের সম্পৃক্ততায় এ শিল্পের গুণগত মান ছিল অতি উচ্চ।
প্রশ্ন-০৭। “কাঁথার প্রতিটি সুচের ফেঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক-একটি পরিবারের কাহিনী, তাদের পরিবেশ, তাদের জীবন গাথা”-এ কথার দ্বারা কী বােঝানাে হয়েছে ?
উত্তরঃ “কাথার প্রতিটি সুচের ফেঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক-একটি পরিবারের কাহিনী ,তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনগাথা”-এ কথার মাধ্যমে নকশিকাঁথার গুরুত্বকে বোঝানাে হয়েছে।
নকশিকাঁথার শুধু কিছু সূক্ষ্ম সেলাই আর রংবেরঙের নকশার সমষ্টিই নয়। এর প্রতিটি সুচের ফোঁড়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে গ্রাম বাংলার জন মানুষের মত পরিবারের হাসি-আনন্দের গল্প , তাদের যাপিত জীবনে প্রভাব বিস্তারকারী পরিবেশ এবং তাদের জীবনগাথা।
প্রশ্ন-০৮। শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকা জামদানি শিল্পের জন্য উপযােগী হওয়ার কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ শীতলক্ষ্যা নদীর পানির জলীয় বাষ্প জামদানি বােনার জন্য অপরিহার্য। তাই জামদানি শিল্প নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।
শতাব্দীকাল ধরে তাঁতশিল্প তথা জামদানি শিল্প শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বিস্তার লাভ করেছে। কারণ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় , এ নদীর পানির বাষ্প থেকে যে আর্দ্রতা সৃষ্টি হয় তা জামদানি বােনার জন্য অপরিহার্য। ভৌগােলিক অবস্থান, আবহাওয়া ও পরিস্থিতির জন্য শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী এলাকায় জামদানি শিল্প গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন-০৯। “সুক্ষ্ম সেলাই আর রংবেররঙের নতশার জন্যই নকশিকাঁথাকে’ নকশিকাঁথা বলা হয় না।” কেন? বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ সুক্ষ্ম সেলাই আর রংবেররঙের নকশার জন্যই নকশিকাঁথাকে নকশিকাথা বলা হয় না। কারণ কাঁথার প্রতিটি সুচের ফোড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে এক একটি পরিবারের কাহিনী, তাদের পরিবেশ, তাদের জীবনগাথা।
নকশিকাঁথা আমাদের একটি গ্রামীণ লােকশিল্প । আপন পরিবেশেই মেয়েরা তাদের মনের মতাে করে নকশিকাঁথা সেলাইয়ের অনুপ্রেরণা পেতেন। এক-একটা নকশিকাঁথা সেলাই করতে কমপক্ষে পাঁচ ছয় মাস সময় লাগত। নকশিকাঁথায় নানা রকম ফুল, লতা, পাতা, পাখি প্রভৃতি সুচের ফোড়ে আঁকা হতাে। এতে একটি পরিবারের আনন্দ, বেদনা, হাসি-কান্না, গল্পগাথা প্রতিফলিত হতাে। তাই সূক্ষ্ম সেলাই আর রংবেররঙের নকশার জন্যই নকশি কাঁথাকে নকশিকাঁথা বলা হয় না।
প্রশ্ন-১০। আমাদের লােকশিল্পের এক অতুলনীয় নিদর্শন শীতলপাটি।” এ কথা বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ শীতলপাটির নকশা মৌলিক বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক। এজন্য তাকে লােকশিল্পের এক অতুলনীয় নিদর্শন বলা হয়।
গ্রীষ্মকালে শুধু আরামের জন্যই শীতলপাটি জনপ্রিয় নয়। এর বুনন কৌশলের সৌন্দর্য আমাদের সবাইকে মুগ্ধ করে। ঢাকার নবাব পরিবার হাতির দাঁতের শীতলপাটি তৈরি করেছিলেন। ঢাকার জাদুঘরে তা সংরক্ষিত আছে।
প্রশ্ন-১১। লােকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব আমাদের সকলের কেন ?-বুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ লােকশিল্পের নানাবিধ গুরুত্বের কারণে এগুলো আমাদের সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ করা উচিত।
লােকশিল্প হচ্ছে দেশি জিনিস দিয়ে দেশের মানুষের হাতে তৈরি শিল্প সম্মত দ্রব্য। লােকশিল্প আমাদের ঐতিহ্য ও জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করে। বিশ্বের দরবারে আমাদের ঐতিহ্যকে যেমন তুলে ধরা যায় তেমনি অর্থ উপার্জিত হয়। নর-নারীর কাজের হাতিয়ার হয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়। এজন্য লােকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের দায়িত্ব আমাদের সকলের।
প্রশ্ন-১২। গ্রামীণ লােকশিল্পের বিলুপ্তির কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ রুচিবােধের পরিবর্তন, জীবনযাত্রায় সময় স্বল্পতা, আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং চরম দরিদ্রতাই গ্রামীন লােকশিল্পের বিলুপ্তির কারণ সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদা, রুচিবােধ, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়।
একসময় যা থাকে সবার লােভনীয় বস্তু,গর্বের জিনিস, কালের বিবর্তনে তা হয়ে পড়ে মূল্যহীন। গ্রামের লােকশিল্প একসময় ছিল বাংলার ঐতিহ্য। কিন্তু সেসব এখন বিলুপ্তির পথে। মানুষের রুচিবােধে আধুনিকতার প্রভাব, দরিদ্রতা প্রভৃতি কারণে গ্রামীন লােকশিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
প্রশ্ন-১৩। কোন ধরনের কাপড় বােনার জন্য শিল্পীমন থাকা প্রয়ােজন ?
উত্তরঃ মসলিনের মতাে সূক্ষ্ম ও নিপুণ কাপড় বােনার জন্য শিল্পীমন থাকা প্রয়ােজন ।
মসলিন কাপড় ছিল স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অনন্য। এটি এত সূক্ষ্ম সুতা দিয়ে সেলাই কা হতাে যা অনায়াসে কয়েকশ গজ কাপড় একটি আংটির ভেতর দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া সম্ভব। তাই এমন কাপড় বুনতে শিল্পীমন থাকা জরুরি।
প্রশ্ন-১৪। কোন ধরনের কাজকে হাসিয়া বলা হয় ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ পুরাতন খাট-পালঙ্ক , খুটি, দরজায় কারুকার্যখচিত কাঠকে হাসিয়া বলা হয়।
আমাদের কাঠের কাজের মধ্যে শিল্পগুণ তেমনটা না থাকলেও অতীতে এসব কাজের কিছু নমুনা পাওয়া যায়। পুরাতন খাট-পালঙ্ক, খুটি, দরজায় বা গৃহনির্মাণে পূর্বে কারুকার্যখচিত কাঠ ব্যবহার করা হতাে। এ ছাড়া বরিশাল অঞ্চলে নৌকায়ও এমন কারুকাজ দেখা যায়। এ ধরনের কারুকাজই হাসিয়া নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-১৫। শীতলপাটির নকশা কেন একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ শীতলপাটি বােনার সময় বিভিন্ন ধরনের নকশার সৃষ্টি একটি অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি বিষয় ছিল বলে তা মৌলিক বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক।
শীতলপাটি যারা বুনতেন তারা পার্টিতে নানা ধরনের নকশা, ফুল, পাখি ইত্যাদি তুলে ধরতেন, যা শুধু মানুষের জীবনধারাকেই উপস্থাপন করত না, পাশাপাশি এর সাথে জড়িয়ে থাকত দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তাই শীলপাটির নকশা মৌলিক বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক।