আবার আসিব ফিরে কবিতার জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন-১। কবি কোন নদীর তীরে ফিরে আসতে চেয়েছেন?

উত্তর: কবি ধানসিড়ি নদীর তীরে ফিরে আসতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন-২। কবি শঙ্খচিল শালিকের বেশে কোথায় আসতে চান?

উত্তর: কবি শখচিল শালিকের বেশে বাংলায় আসতে চান।

প্রশ্ন-৩। কবি কার্তিকের নবান্নের দেশে কী হয়ে ফিরে আসবেন?

উত্তর: কবি কার্তিকের নবান্নের দেশে ভােরের কাক হয়ে ফিরে আসবেন।

প্রশ্ন-৪। নবান্ন উৎসব কী মাসে হয়?

উত্তর: নবান্ন উৎসব কার্তিক মাসে হয়।

প্রশ্ন-৫। কুয়াশার বুকে ভেসে কবি কোথায় আসতে চান? 

উত্তর: কবি কুয়াশার বুকে ভেসে বাংলার কাঁঠাল ছায়ায় আসতে চান।

প্রশ্ন-৬। কবি কীভাবে একদিন এ কাঁঠাল ছায়ায় ফিরে আসবেন?

উত্তর: কবি কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন একাঠাল ছায়ায় ফিরে আসবেন।

প্রশ্ন-৭। কার লাল পাড়ে কিশােরীর ঘুঙুর থাকবে?

উত্তর: হাঁসের লাল পাড়ে কিশােরীর ঘুঙুর থাকবে।

প্রশ্ন-৮। কী করে হাসের সারাদিন কেটে যাবে?

উত্তর: কলসির গন্ধভরা জলে ভেসে হাঁসের সারাদিন কেটে যাবে।

প্রশ্ন-৯। বাংলার সবুজ করুণ ডাঙা কীসে ভেজা?

উত্তর: বাংলার সবুজ করুণ ডাঙা জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা।

প্রশ্ন-১০। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় সন্ধ্যার বাতাসে কী উড়ছে?

উত্তরঃ “আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় সন্ধ্যার বাতাসে সুদর্শন উড়ছে।

প্রশ্ন-১১। লক্ষ্মীপেঁচা কোথায় ডাকছে?

উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচা শিমুলের ডালে ডাকছে।

প্রশ্ন-১২। উঠানে খইয়ের ধান ছড়ায় কে?

উত্তর: একটি শিশু উঠানে খইয়ের ধান ছড়ায়।

প্রশ্ন-১৩। আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কোন নদীতে নৌকা বায়?

উত্তর: আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কিশাের রূপসা নদীতে নৌকা বায়।

প্রশ্ন-১৪। কিশােরের ছেড়া পালটি কী রঙের?

উত্তর: কিশােরের ছেড়া পালটি সাদা রঙের।

প্রশ্ন-১৫। রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে কে নীড়ে ফিরছে?

উত্তর: রাঙা মেঘ সঁতরায়ে ধবল বক নীড়ে ফিরছে।

প্রশ্ন-১৬। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটিতে কয়টি নদীর নাম উল্লেখ আছে?

উত্তর: ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটিতে দুইটি নদীর নাম উল্লেখ আছে।

প্রশ্ন-১৭। কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায় এর পরের চরণ লিখাে।

উত্তর: “কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঠাল ছায়ায় এর পরের চরণটি হলাে “হয়তাে বা হাঁস হবাে কিশােরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়।”

প্রশ্ন-১৮। ধানসিড়ি নদী কোন জেলায় অবস্থিত ছিল?

উত্তর: ধানসিড়ি নদী ঝালকাঠি জেলায় অবস্থিত ছিল।

প্রশ্ন-১৯। জলাঙ্গী কী?

উত্তর: আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি নদীকে জলাঙ্গী নামে অভিহিত করেছেন।

প্রশ্ন-২০। ‘ডাঙা’ শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: ‘ডাঙা’ শব্দটির অর্থ শুকনাে জায়গা।

প্রশ্ন-২১। সুদর্শন’ কী?

উত্তর: সুদর্শন হলাে এক দরনের গুবরে পােকা।

প্রশ্ন-২২। ‘লক্ষীপেঁচা’ কী?

উত্তর: লক্ষ্মীপেঁচা’ হলাে সুলক্ষণযুক্ত পেঁচা।

প্রশ্ন-২৩। ‘রূপসা’ কীসের নাম?

উত্তর: রূপসা একটি নদীর নাম।

প্রশ্ন-২৪। রূপসা নদীটি কোন জেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত?

উত্তর: রূপসা নদীটি খুলনা জেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত।

প্রশ্ন-২৫। “ডিভা’ শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর ‘ডিঙা’ শব্দটির অর্থ ছােট নৌকা।

প্রশ্ন-২৬। ধবল শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘ধবল’ শব্দের অর্থ সাদা।

প্রশ্ন-২৭। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি কে লিখেছেন?

উত্তর: আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি লিখেছেন জীবনানন্দ দাশ।

প্রশ্ন-২৮। “আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটি রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন-২১। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটির উৎস কোন গ্রন্থ?

উত্তর: আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটির উৎস রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থ।

প্রশ্ন-৩০। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি কোন বিষয়টি দেখিয়েছেন?

উত্তর: আবার আসিব কবিতায় কবি দেখিয়েছেন যে তিনি নিজের দেশকে খুবই ভালােবাসেন।

প্রশ্ন-৩১। প্রিয় জন্মভূমির কোন জিনিসগুলাে কবির দৃষ্টিতে সুন্দর হয়ে ধরা পড়েছে?

উত্তর: প্রিয় জন্মভূমির অত্যন্ত তুচ্ছ জিনিসগুলাে কবির দৃষ্টিতে সুন্দর হয়ে ধরা পড়েছে।

প্রশ্ন-৩২। কবির মতে, তার মৃত্যু হলেও কার সঙ্গে তার মমতার বাঁধন শেষ হবে না?

উত্তর: কবির মতে, তার মৃত্যু হলেও দেশের সঙ্গে তার মমতার বাঁধন শেষ হবে না।

প্রশ্ন-৩৩। জীবনানন্দ দাশ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

প্রশ্ন-৩৪। জীবনানন্দ দাশ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশােনা করেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশােনা করেন।

প্রশ্ন-৩৫। জীবনানন্দ দাশ কোন বিষয়ে এমএ পাশ করেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ইংরেজি সাহিত্যে এমএ পাশ করেন।

প্রশ্ন-৩৬। জীবনানন্দ দাশ কোন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।

প্রশ্ন-৩৭। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কীসের বৈচিত্র ফুটে উঠেছে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের কবিতায় বাংলাদেশের প্রকৃতির রং ও রূপের বৈচিত্র ফুটে উঠেছে।

প্রশ্ন-৩৮। কোথা থেকে জীবনানন্দ দাশ কবিতার রূপ-রস সংগ্রহ করতেন?

উত্তর: প্রকৃতি থেকে জীবনানন্দ দাশ কবিতার রূপ-রস সংগ্রহ করতেন।

প্রশ্ন-৩৯। জীবনানন্দ দাশ কবে মারা যান?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালে মারা যান।

প্রশ্ন-৪০। জীবনানন্দ দাশ কোন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ট্রাম দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।

আবার আসিব ফিরে কবিতার অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

 

প্রশ্ন-১। কবি কীভাবে এই বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছে?

উত্তর: কবি শঙ্খচিল, শালিকের বেশে অথবা ভােরের কাক বা হাস হয়ে এই বাংলায় ফিরে আসতে চেয়েছেন।

আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি বাংলার প্রকৃতির অপরূপ রূপে মুগ্ধ তাই মৃত্যুর পরেও প্রিয় প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে কবি ফিরে আসতে চান। কবি ভােরের কাক হয়ে কার্তিকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে ভেসে কাঁঠাল ছায়ায় ফিরে আসতে চান। অথবা হাঁস হয়ে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে বেড়াতে চান। প্রিয় প্রকৃতির সাথে পুনরায় মিশে যেতেই তিনি এই প্রকৃতির জীব হয়ে ফিরে আসতে চান।

প্রশ্ন-২। আবার ফিরে আসার আকাক্ষার আড়ালে কবির কোন চাওয়াটি প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশের আবার ফিরে আসার আকাঙ্ক্ষার আড়ালে।

বঙ্গভূমির প্রতি তার ব্যাকুল ভালােবাসাই প্রকাশ পেয়েছে। কবি মনে করেন যখন তার মৃত্যু হবে, তখনও মাতৃভূমির সঙ্গে তার মমতার বাঁধন শেষ হবে না। কারণ এক জীবনে জন্মভূমিকে ভালােবেসে তিনি তৃপ্ত হতে পারেননি। তাই মৃত্যুর পরও তিনি নানা রূপে এই বাংলায় ফিরে আসতে চান।

প্রশ্ন-৩। কবি বাংলার বুকে ফিরে আসতে চান কেন?

উত্তর: বাংলাকে ভালােবাসেন বলে কবি কুয়াশার বুকে ভেসেবাংলার বুকে ফিরে আসতে চেয়েছেন।

কবি বাংলাদেশের রূপময় প্রকৃতির বৈচিত্র্যে এতটাই মােহিত যে, বাংলার রূপ তার কাছে অনন্য মনে হয়। বাংলার নানা ঋতু নানারকম দৃশ্যের অবতাড়না করে। শীতকালের কুয়াশাভো প্রকৃতি কবির মনে যে মুগ্ধতা আনে, তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তিনি মৃত্যুর পরে কুয়াশার বুকে ভেসে বাংলার বুকে ফিরে আসতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন-৪। কবি কেন কুয়াশার বুকে ভেসে ফিরে আসতে চেয়েছেন?

উত্তর: বাংলাকে ভালােবাসেন বলে কবি কুয়াশার বুকে ভেসে ফিরে আসতে চেয়েছেন।

কবি বাংলাদেশের রূপময় প্রকৃতির বৈচিত্র্যে এতটাই মােহিত যে, বাংলার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রূপ ব্লার কাছে অনন্য বৈশিষ্ট্যের আধার মনে হয়। বাংলার নানা ঋতু নানারকম দৃশ্য নিয়ে আসে। শীতকালের কুয়াশাভেজা প্রকৃতি কবির মনে যে মুগ্ধতা আনে, তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তিনি মৃত্যুর পরে কুয়াশার বুকে ভেসে ফিরে আসতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন-৫। কবি কেন সারাদিন কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে কাটাতে চান?

উত্তর: কবি বাংলার প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার জন্যই সারাদিন কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে কাটাতে চান।

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশে জালের মতাে অসংখ্য নদী, নালা, খাল-বিল, দীঘি-জলাশয় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এ বাংলার নদীতে হাঁসেরা ঘুরে বেড়ায়। হাঁসদের সঙ্গে এসব ফুল ও ফুলের গন্ধভরা জলের যে সখ্য সেটা উপভােগ করার জন্য কবি সারাদিন হাঁস হয়ে ভেসে বেড়াতে চান।

প্রশ্ন-৬৷ সারাদিন কেটে যাবে কলমির গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে চরণটি বুঝিয়ে লেখাে।

উত্তর: কবি হাস হয়ে সারাদিন কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে বেড়াতে চান। বাংলাদেশ নদীঘেরা এক দেশ। এদেশের নদীতে, বিলে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায় হাঁসের দল। হাঁসের সঙ্গে এদেশের নদী-বিলে ফোটা কলমি ফুলের যে সখ্য, তা উপভােগ করার জন্যই কবি সারাদিন হাঁস হয়ে কলমির গন্ধ ভরা জলে ভেসে বেড়াতে চান।

প্রশ্ন-৭। শিমুলের ডালে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকার মধ্য দিয়ে বাংলার কোন রূপ ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: শিমুলের ডালে লক্ষ্মীপেঁচা ডাকার মধ্য দিয়ে কবি বাংলার মায়াময় রূপ তুলে ধরেছেন।

লক্ষ্মীপেঁচা বাংলাদেশের পাখি যার ভিন্নরকম সৌন্দর্য প্রকৃতিকে বিশেষ রূপ দান করে। অপরদিকে রক্তরাঙা শিমুল ফুলের সৌন্দর্য বাংলার রূপরঙে ভিন্ন সৌন্দর্য এনে দেয়। কাজেই লক্ষ্মীপেঁচা যখন শিমুলের ডালে বসে ডাকে, তখন তা বাংলার মায়াময় জাদুকরী রূপেরই একটি অসাধারণ চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরে।

প্রশ্ন-৮। কিশােরের সাদা ছেড়া পালের মাধ্যমে বাংলার যে রূপটি ফুটে উঠেহে তা বুঝিয়ে লেখা।

উত্তর: আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কিশােরের সাদা হেঁড়া পালের মাধ্যমে নদীমাতৃক বাংলার চিরন্তন রূপটি ফুটে উঠেছে।

বাংলার নদী-নালায় গ্রাম্য বালক ও কিশােরেরা স্বভাবসুলভ দুরন্তপনায় ছােট ছােট নৌকা ও খেয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। পাল তােলা ডিঙিতে করে তাদের এই ঘুরে বেড়ানাের মধ্যে অবাধ স্বাধীনতার রূপটি ফুটে ওঠে। বাংলার প্রকৃতির এই চিরন্তন অকৃত্রিম ভালােবাসার চিত্রটি প্রকাশ পায় কিশােরের সাদা-ছেড়া পালের মধ্যে।

প্রশ্ন-৯। বকের রঙা মেঘ সাতরিয়ে ঘরে ফেরা বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?

উত্তর: বকের রাঙা মেঘ সাঁতরিয়ে ঘরে ফেরা বলতে গােধূলির সময় তার ঘরে ফেরাকে বােঝানাে হয়েছে।

গােধূলির সময় আকাশ রঙিন বর্ণ ধারণ করে। তখন আকাশের বুকে ধবল বকের ওড়া দেখে মনে হয় সে যেন রঙিন মেঘের মাঝে সাঁতার কার্টতে কাটতে ঘরে ফিরছে।

প্রশ্ন-১০। ধবল বকের নীড়ে আসার মধ্য দিয়ে কবি কীসের ইঙ্গিত দিয়েছেন? ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর: ধবল মেঘের নীড়ে আসার মধ্য দিয়ে কবি দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরম স্নেহশীল স্বদেশের বুকে ফিরে আসার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন।

কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর প্রিয় জন্মভূমিকে এতটাই ভালােবাসেন যে, মৃত্যুর পরও নানা রূপে বার বার এখানে ফিরে আসতে চান। দূর-দূরান্ত থেকে বকেরা দল বেঁধে যেমন শেষ বেলায় মায়ের কোলের মতাে নীড়ে ফিরে আসে, কবিও তেমনি চিরকালের ভ্রমণ শেষে মাতৃভূমির মমতা জড়ানাে মাটিতে ফিরে আসার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন।

প্রশ্ন-১১। কবি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে ফিরে আসতে চেয়েছেন কেন?

উত্তরঃ জন্মভূমির প্রতি অপার মমত্ববােধের কারণে কবি তার প্রিয় ধানসিড়ি নদীর তীরে ফিরে আসতে চেয়েছেন।

ধানসিড়ি নদীর সঙ্গে কবির নিবিড় যােগাযােগ রয়েছে। এ নদীর সান্নিধ্যে কবির জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে। এ কারণেই কবি বাংলাকে ভালােবেসে জন্মভূমির প্রিয় এ নদীর তীরেই তিনি ফিরে আসতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন-১২। ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবির কেমন মনােভাব প্রকাশ পেয়েছে?

উত্তর: ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবির গভীর দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে।

আলােচ্য কবিতায় কবি মৃত্যুর পর বাংলায় আবার ফিরে আসার বাসনা ব্যক্ত করেছেন। তিনি প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গে ভর করে বাংলার মাটিতে আবারও ফিরে আসতে চেয়েছেন। মূলত তিনি বাংলার সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে জড়িয়ে থাকতে চেয়েছেন। তার এই মনােভাবের মধ্য দিয়ে দেশের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালােবাসাই প্রকাশিত হয়েছে।          

Leave a Comment